বুকের ব্যথাজনিত অসুস্থতায় এ কে এম রেজাউল করিম ভূঁইয়া (৬২) নামে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৪ মে) দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

রেজাউল করিম চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনির বাসিন্দা মৃত নুর আহম্মদের ছেলে। তিনি অর্থঋণ মামলায় ২৫ এপ্রিল থেকে কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (রোববার) রেজাউল করিম নামে এক হাজতি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে কারাগারের ভেতরের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে আজকে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> মারণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দেড় মাস পর অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু হওয়ার খবরে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে নৌশ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। আগামীকাল সোমবার (২৪ মে) থেকে সব নৌবন্দর ও লঞ্চঘাট থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে ও অভ্যন্তরীণ পথে নৌযান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নৌপথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা দেওয়ার পর আজ রোববার (২৩ মে) থেকেই নৌবন্দরে অবস্থানরত নৌযানগুলো ধোয়ামোছার কাজ শুরু করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা আসার খবরে ছুটিতে থাকা নৌশ্রমিকদেরও দ্রুত কর্মস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে।

বরিশালের বাসিন্দারা বলছেন, লঞ্চ ও গণপরিবহন চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় আপাতত এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে ঠিকই। তবে এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ৬ এপ্রিল থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।

বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, লঞ্চ চালুর খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। তবে মালিক-শ্রমিক এবং বিআইডব্লিউটিএ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

বরিশালের বাবুগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাসুম খান (২১) নামের এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় আজ রোববার (২৩ মে) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনচার্জ মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই কিশোরীকে তার বাড়ি থেকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায় মাছুম খান। পরে তাকে একই গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা পরদিন জানাজানি হলে ৯৯৯ এ ফোন দেয় নির্যাতিতার বাবা। পরে নির্যাতিতার বাবাকে গৌরনদী থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। কিন্তু ঘটনাস্থল বাবুগঞ্জ থানাধীন হওয়ায় গৌরনদী থানা পুলিশ তাকে বাবুগঞ্জ থানায় পাঠিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্থানীয় কালাম জোমাদ্দারসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় কালাম জোমাদ্দারের নেতৃত্বে আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারি। পরে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের হস্তক্ষেপ চাইলে আমাদের উদ্ধার করা হয়।’

এই ঘটনায় শনিবার রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মাছুম খানকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে আদালতে সোপর্দ করে।

আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও নির্ধারিত ভাড়া সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় চারটি যাত্রীবাহি বাস এবং দুইটি মাইক্রোবাসের চালক ও সুপারভাইজারকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। এসময় গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের হয়রানিসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করার অভিযোগে চারটি গণপরিবহনের সুপারভাইজার এবং দুইটির চালকের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গৌরনদী মডেল থানার এসআই নাসির উদ্দিন ও হাইওয়ে থানার এএসআই মোঃ মামুনসহ পুলিশের দুটি টিম ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন।

পটুয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলার মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে।
রোববার (২৩ মে) জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চান্দুখালি গ্রামের শাহজাহান মৃধা (৬০) করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১৮ মে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল ভর্তি হলে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
পরবর্তীতে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে গত ২২ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে ওইদিন রাতে পটুয়াখালীতে প্রাপ্ত রিপোর্টে মৃত শাহজাহান মৃধাকে কোভিড পজেটিভ বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়াও জেলার বাউফল উপজেলার মনোয়ারা বেগম (৫২) গত ১৮ মে করোনার উপসর্গ নিয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলে তার নমুনা সংগ্রহ করা
হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে ঢাকা যাওয়ার পথে তিনি গত ১৮ মে রাতে মারা যান। পরে গত ২২ মে রাতে পটুয়াখালীতে প্রাপ্ত রিপোর্টে মনোয়ারা বেগমের নমুনায় করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানিয়েছেন, করোনা রিপোর্ট পাওয়ার পর রোববার (২৩ মে) তারা মনোয়ারা বেগমের সংস্পর্শে আসা পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করছেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলায় এক দিনমজুরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার (২৩ মে) সকালে উপজেলার টোনা ইউনিয়নের পূর্ব টোনা গ্রামের ঘর থেকে হাসান শেখের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

হাসান পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের পূর্ব টোনা গ্রামের ছোবাহান শেখের ছেলে।

নিহতের মামা শামসুল হক বরিশালটাইমসকে বলেন- আজ রোববার (২৩ মে) সকালে তার ভাগিনার বাড়িতে স্থানীয় এক ডাব ব্যবসায়ী ডাব কিনতে আসে। এ সময় হাসানকে অনেক ডাকাডাকি করলেও তার কোনো সারাশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই ডাব ব্যবসায়ী ঘরের জানালা দিয়ে হাসানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।

পরবর্তীতে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।

শামসুল বলেন- “হাসানের গলায়, বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত ছিল।”

পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ওসি আ জা মো মাসুদুজ্জামান বরিশালটাইমসকে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারর চেষ্টা করছে পুলিশ এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> ঝালকাঠির নলছিটিতে গাঁজাসহ সাইদুর রহমান শাহিন (৪১) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। শাহিন ওই ইউনিয়নের কুশঙ্গল গ্রামের আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে।

আটকের সময় শাহিনের কাছ থেকে ১০ গ্রাম গাঁজা এবং একটি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়।

রোববার (২৩ মে) সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে কুশঙ্গল ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় একদল মাদক কারবারিকে ধাওয়া দেয় স্থানীয় জনতা। এসময় একজনকে আটক করে তারা। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ জানান, শনিবার রাতে শাহিনের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ল।

তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুমতি দেয়া হয়েছে আন্তঃজেলা বাস। হোটেল-রেস্তারাঁয় আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষ বসে খেতেও পারবে।

এসব শর্তে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে রোববার (২৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে চার দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে সময়ে বিধিনিষেধের শর্তেও নানান পরিবর্তন আনা হয়।

সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ রোববার মধ্যরাতে।

 

এস এম মিরাজ||বরিশালে আমের আড়ৎসহ বাজারগুলোতে ভারতীয় ফরমালিন মেশানো আমে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অহরহ বিক্রি হচ্ছে এসব আম। দেশী আম না উঠায় সুমিষ্ট ফলের নামে ভোক্তারা খাচ্ছেন ক্যামিক্যাল মিশ্রিত আম। অনেক ক্রেতা না জেনেই স্বাদ বিহীন অথচ দেখতে রংচঙা ফরমালিন মেশানো আমগুলো বেশি দামে কিনছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরিশালের আড়ৎ ও বাজারগুলোতে এসময় যেসব ফরমালিনযুক্ত আম বিক্রি হচ্ছে তা ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে এ বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছেন বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকায় এক শ্রেনীর অসাধু আড়ৎ মালিকরা। ভারত থেকে আনা গোলাপখাস ও সুন্দরী নামের এসব আম মজুদ করার পর গড়ে এক কেজি আমের মূল্য দাড়ায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ক্রেতার কাছে পৌছে দিতে খুচরা দোকান মালিকদের কাছে ওই আম বিক্রিকরা হচ্ছে ১২০ থেকে থেকে ১৩০ টাকা মুল্যে। সুতরাং প্রতি কেজি আম আড়ৎ মালিকরা লাভ করছেন অর্ধেক অর্থাৎ ৬০ টাকার ও বেশি। তারা অতিরিক্ত দাম হাকিয়ে খুচরা আম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর আম বিক্রেতারা জেনেশুনে এসব ফরমালিনযুক্ত আম লাভের আসায় প্রতি কেজি ১৭০ থেকে থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। ফলে বাধ্য হয়ে ওই বিষাক্ত আম অতিরিক্ত দামে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। অথচ এই বিষাক্ত আম খাওয়ার পর রোগাক্রান্ত হওয়ার আসঙ্কা অধিক।

সচেতন নগরবাসীর মধ্যে এসব বিষয়ে চাউর থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা । ফলে আম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ অর্থাৎ নগরবাসী আছেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। এক্ষেত্রে অনেকের অভিব্যক্তি হলো ফরমালিন মেশানো আম খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং এ কারনে তারা চাচ্ছেন বরিশালের বাজারে বিক্রিত আমগুলো পরীক্ষ নিরীক্ষা করে বিক্রি করা হোক। পাশাপাশি প্রশাসনও বিষয়টি অনুমানে নিয়ে বাজারগুলো তদারকি করুক।

এদিকে কেমিক্যালযুক্ত ফলের বাজার সয়লাভ হয়ে যাওয়ায় আম না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এ প্রসঙ্গে বরিশালের একাধিক ডাক্তার জানান, আমে প্রচুর পুষ্টি থাকায় চিকিৎসকরা সাধারনত গর্ভবতী মা, শিশুসহ রোগীদের এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই আম যদি হয় বিষাক্ত তাহলে পুষ্টির পরিবর্তে রোগীদের বিষ খাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কেমিক্যালযুক্ত আম খাওয়া আর বিষ খাওয়া এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। দেশে ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের নানা মরণব্যাধি দেশে আসংকাজনক হারে বাড়ছে। এর অন্যতম কারন আমসহ বিভিন্ন বিষাক্ত ফল খাওয়া। এছাড়া বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়ার পেছনেও কেমিক্যালযুক্ত ফলসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দায়ী। তাই বিষাক্ত আম না খেলে পরিবারের সবাই সুস্থ থাকবেন বলে তারা দাবী করেন।

এ বিষয়ে বরিশাল প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, ফরমালিনযুক্ত আম বিক্রি রোধে প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রশাসন তৎপর রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেলেই আনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কিন্তু বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো যখন ভ্রাম্যমান আদালত পোর্ট রোড এাকায় আড়ৎগুলোতে অভিযান চাাচ্ছিল তখনই দুই‘শ গজ দূরত্বে নগরীর ফলপট্রি এলাকায় দোকানগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছিল ফরমালিনযুক্ত আম।

বিয়ের তিন মাস না পেরোতেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে অর্পিতা মজুমদার (১৮) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে।পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

এ ঘটনায় অর্পিতার বাবা লিটন মজুমদার বাদী হয়ে তার মেয়ের জামাই সবুজ রায় ওরফে শৈসব রায়, শ্বশুর শৈলেন্দ্রনাথ রায়, শাশুড়ি যমুনা রায় ও প্রতিবেশী অনুপ রায়কে আসামি করে শুক্রবার (২১ মে) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় শুক্রবার রাতেই শৈলেন্দ্রনাথ রায় ও অনুপ রায়কে তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার (২২ মে:) পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মেয়ের বাবা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেতলোচ গ্রামের লিটন মজুমদারের মেয়ে অর্পিতাকে স্বরূপকাঠির আতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে সবুজ রায় প্রেম করে বিয়ে করে। মেয়ের বাবা গরিব হওয়ায় বিয়েতে অমত দেয়া ছেলের পরিবার একসময় এলাকাবাসীর চাপে মেয়েকে ঘরে তুলতে বাধ্য হয়। ঘরে নেয়ার পর থেকেই অর্পিতার উপর নেমে আসে শ্বশুর, শাশুড়ির অমানুষিক নির্যাতন। এক সময় বাবা মায়ের কথা মত সবুজও তার স্ত্রীকে নির্যাতনে যোগ দেয় এমনকি সে নিজেদের ঘরে স্ত্রীকে রেখে প্রতিবেশী ক্ষিতীষ সাধকের বাসায় থাকতো।
গত ১৯ মে সকালে অর্পিতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে মারধর করলে ওই রাতে অর্পিতা বিষপান করে। পরে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমান জানান, অর্পিতার বাবা চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।