বরিশালে চিকিৎসক, নার্স, বরিশাল মেডিকেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

বুধবার সকাল থেকে তিনটি বাস শেবাচিম হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সকলকে আনা নেওয়ার কাজ শুরু করে।

মেয়রের পক্ষ থেকে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনটি বাসের মধ্যে দুইটি বাস করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরতদের জন্য এবং একটি বাস হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোতে দায়িত্বরতদের আনা নেওয়ার জন্য দেয়া হয়েছে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে।

মো:রাজিবুল হক (বরগুনা সংবাদদাতা):
বরগুনার বামনায় আজ বুধবার কৃষিবিভাগের উদ্যোগে উফসী বীজ ধান ও রাসায়নিক সার কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবেক সরকারের সভাপতিত্বে বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সাইতুল ইসলাম লিটু বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সাঈম, কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্তী এদবর, ইত্তেফাক সংবাদদাতা প্রভাষক মোঃ হাবিবুর রহমান,কৃষক আউয়াল ভেন্ডার, ইউনুস হাওলাদার প্রমুখ। পরে প্রতি কৃষককে ৫ কেজি বীজ ৩০ কেজি রাসয়নিক সার বিতরন করা হয়।উপজেলায় মোট ১২০০ জন কৃষকের মাঝে সরকারের এ প্রনোদনা বিতরন করা হয়।

বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের অর্ন্তভূক্ত হইলো বরিশাল অনলাইন প্রেসক্লাব।আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাগর চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এইচ আর শফিক স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তীতে বিসয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বরিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি খান রুবেল এবং সাধারন সম্পাদক রিপন হাওলাদারসহ ৬২ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটিতে সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আরিফিন তুষার(দখিনের মুখ), সহ-সভাপতি সোহেল মোল্লা (প্রিয় বরিশাল), সহ-সভাপতি রিফাত আবরার (দখিনের খবর ডট কম), যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান (বরিশাল ক্রাইম ট্রেস),

যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ গাজী(ডেইলি আজকের বার্তা), সাংগঠনকি সম্পাদক প্রিন্স তালুকদার (সকাল সংবাদ), দপ্তর সম্পাদক মজিবর রহমান নাহিদ(বার্তা বরিশাল), উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজ সিকদার (সাহসী সংবাদ),

প্রচার সম্পাদক মুরাদ হোসাইন(বরিশাল ক্রাইম বার্তা), উপ-প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান রিমু (বরিশাল ক্রাইম এলার্ট), আইটি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা (বরিশাল মেইল), শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এইচ আর হীরা (খবর বরিশাল) মহিলা বিষয় সম্পাদক সুমাইয়া জিসান (দেশপত্র ২৪),

ক্রিড়া সম্পাদক সাকিবুল হৃদয় (সত্য সংবাদ ডট কম), সমাজকল্যান সম্পাদক এম আর শুভ (একুশে আলো), অর্থ সম্পাদক মেহেদী হাসান খান (দেশ কন্ঠস্বর), সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী আল আমিন (সংবাদ সপ্তাহ),

সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রিফাত ইমরান (বরিশাল রিপোর্ট ২৪), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাওন খান (বরিশাল রিপোর্ট), কার্যনির্বাহী সদস্য এমকে রানা (বিজয় সংবাদ),

কার্যনির্বাহী সদস্য এম বশির (জনতার খবর), কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফ হোসেন (আজকের তালাশ), কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজ পাটোয়ারী (আকাশ বাংলা), কার্যনির্বাহী সদস্য পলাশ চৌধুরী (বাংলার মুখ),

কার্যনির্বাহী সদস্য নওরোজ কবীর (ধাঁনসিড়ি নিউজ), কার্যনির্বাহী সদস্য আম্মার হোসেন (ক্রাইম টাইমস), কার্যনির্বাহী সদস্য তানভির আহমেদ অভি (দখিনের বার্তা), সদস্য নাছির উদ্দিন (বিজয় নিউজ),

সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান (বরিশাল ট্রিবিউন), জে খান স্বপন (রাইজিং বিডি), সদস্য সাঈদ পান্থ (রিপোর্ট ৭১), সদস্য মাসুদ রানা (বরিশাল পিপলস), সদস্য আল-আমিন জুয়েল (বিএসএল নিউজ), সদস্য আরিফ হোসেন (আমার বরিশাল),

সদস্য হুমায়ন কবির রোকন (ডেইলি মতবাদ), সদস্য অনিকেত মাসুদ (পি নিউজ), সদস্য মশিউর রহমান (বিএসএল নিউজ),

সদস্য গোলাম মাওলা শান্ত (দাবানল নিউজ), সদস্য রেদোয়ান রানা (বরিশাল সিটি নিউজ), সদস্য সাঈদ পান্থ (রিপোর্ট ৭১), সদস্য মাসুদ রানা (বরিশাল পিপলস), সদস্য আসিসুর রহমান (ক্রাইম সিন ২৪),

সদস্য সঙ্গিত আহমেদ মিনার (হ্যালো বরিশাল), সদস্য সুব্রত বিশ্বাস (বরিশাল মুক্তখবর), সদস্য এইচ এম হেলাল (ভয়েস অব বরিশাল), সদস্য নাঈম ইসলাম (ডেইলি আগমনী), সদস্য অলিউর রহমান(সকালের বার্তা),

সদস্য লিটন বায়জিত (বরিশাল প্রেস), সদস্য মাহাদী হাসান(বরিশাল রূপান্তর), সদস্য পারভেজ মল্লিক (বরিশাল ট্রিবিউন), সদস্য চাঁন আকন (আজকের তালাশ), সদস্য মো. খান তুহিন (বরিশাল সংবাদ) সদস্য সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় (ডেইলি চন্দ্রদীপ),

সদস্য এস এল টি তুহিন (নিউজ জি ডট কম), সদস্য খান মাইনউদ্দিন (দখিনের কন্ঠ ডট কম), সদস্য মো. আমিন (বরিশালের ডাক),

সদস্য শাখাওয়াত হোসেন (ক্রাইম ফোকাস), সদস্য ইমরান হোসাইন (বরিশাল রাইট নিউজ), সদস্য এনামুল হক মুন্সি(জনপত্র ডট কম),

সদস্য সাব্বির আহমেদ (বরিশাল টিভি), সদস্য নাজমুল হক মুন্না (প্রতিদিন নিউজ), সদস্য শাহাদাত হোসেন (ডেইলি বাংলার ক্রাইম ২৪),

সদস্য মামুন হাওলাদার (বাংলার ক্রাইম বার্তা) সদস্য এইচ এম মনিরুজ্জামান (জনতার কথা), সদস্য মনির হোসেন (স্বপ্নের বাংলাদেশ), সদস্য শাকিল মাহমুদ (নিউজ স্টার ২৪), সদস্য খান আব্বাস (একুশের চোখ),

সদস্য অনীক ইসলাম রানা (দৈনিক বরিশাল সংগ্রাম)। নতুন এই কমিটি অনুমোদন দিয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাব। এই কমিটিকে তাদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে বলেও প্রেসবিজ্ঞপ্তীতে নিশ্চিত করেন।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা সংবাদদাতা)||

বরগুনার বামনা উপজেলার খোলপটুয়া বাজারের মেইন সড়কের পাশে মাছের ঘের হইতে অজ্ঞাত ৫০ উর্ধ এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে বামনা থানা পুলিশ।
জানা যায় সোমবার সকালে এলাকার লোকজন মাছের ঘেড়ের মধ্যে ওই নারীর লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে। মেয়েটির পড়নে কাপড় ছায়া ব্লাউজ ছিল।পায়ে প্লাস্টিকের জুতা ছিল।
স্থানীয় আলতাফ চৌধুরী জানান মহিলাটিকে গত দুই দিন ধরে বাজারে হাটাহাটি করতে দেখেছি এবং গতকাল এক দোকান থেকে খাবার কিনেছে।আমার মনে হয় ভারসাম্যহীন।
বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো:হাবিবুর রহমান জানান লাশের সুরাতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।এখন পর্যন্ত লাশের পরচয় পাওয়া যায়নি।পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি)||
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় জমি দখলে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুই জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পুর্ব চিলা গ্রামে শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে।
জানাগেছে, উপজেলার পুর্ব চিলা গ্রামের মোতালেব হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই মনির হাওলাদারের সাথে ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে গত এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার খুব সকালে ওই জমি দখলের জন্য মোতালেব হাওলাদার ৭-৮ লোকজন নিয়ে জমিতে ঘর তুলতেছিল এমন দাবী মনির হাওলাদারের। ওই জমিতে ঘর তুলতে বাঁধা দেয় মনির হাওলাদার ও তার লোকজন। অপর দিকে মোতালেব হাওলাদার দাবী করেন আমার জমিতে ঘর তুলতেছিল। ওই ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে মনির হাওলাদার ও তার লোকজন। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত আবু বকর ও রিপাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং নাজমা, আফাজ হাওলাদার ও রেহেনাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মনির হাওলাদার বলেন, মোতালেক হাওলাদার জোর করে তার জমি দখলে ঘর তুলতেছিল। এতে বাঁধা দিলে আমার স্বজন দুই নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।
মোতালেব হাওলাদার বলেন, গত বছর ওই জমির মিমাংসা হয়েছে। ওই জমিতে আমি ঘর তুলতেছিলাম। এতে মনির হাওলাদার ও তার লোকজন এসে ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে এবং আমার দুইজনকে কুপিয়ে আহত করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিদিনকার চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিটি করপোরেশন এ দুটি হাসপাতালের বর্জ্য অপসারন বন্ধ করে দেয়ায় সর্বত্রই দূর্গন্ধ অঅর ময়ল আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।

কোভিড রোগী ব্যতীত কাগজে কলমে হাজার বেডের বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত দেড়বছর যাবত বিপাকে রয়েছে হাসপাতালের প্রতিদিনকার গড়ে তিন থেকে চার টন বর্জ্য নিয়ে। আর তার কারন দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত এই চিকিৎসা সেব প্রতিষ্ঠানটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন জনবল, যন্ত্রপাতি বা সুষ্ঠু কোন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠকাল থেকে অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভা এবং পরে সিটি কর্পোরেশন তাদের পরিচ্ছন্নতা কর্র্মীদের দিয়ে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারন করাত।
কিন্তু গত বছর করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু হলে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্জ্য অপসারন বন্ধ করে দেয়। ফলে জমতে থাকে বর্জ্যরে স্তুপ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনের নজরে নিলেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বা দিনভিত্তিক কর্মচারীদের দ্বারা হাসপাতালের বিভিন্নস্থানে বর্জ্য স্তুপকৃত করে রাখছে।
তবে এ ব্যবস্থায় পুরো হাসপাতালটি যুড়েই ময়লার ভাগার আর দুর্গন্ধ। তবে এখন আর কাউকে রুমাল দিয়ে নাক ঢাকতে হয়না। কারন সকলের মুখেই রয়েছে মাস্ক। এদিকে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে জমে থাকা বর্জ্য অপসারন করা না হলে হাসপাতাল ও কলেজ এলাকার সর্বত্রই ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কতৃপক্ষ।
বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদাশীনতায় দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতাল কতৃপক্ষ বর্জ্য নিয়ে বিপাকে থাকলেও জেনারেল হাসপাতালের কোন সমস্যা ছিলনা। কারন এই হাসপাতালে করোনা রোগীর কোন চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়না। কিন্তু সেখানেও সাম্প্রতিককালে বর্জ্য অপসারন নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর এ হাসপাতালটিতে বয়স্ক ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়ায় এখানে ডায়রিয়া রোগীদের বর্জ্য জমছে।
এই হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের বর্জ্যও জমছে বিধায় বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা অপসারন করতে চাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বিসিসি’র বর্জ্য একস্থান থেকে অন্যত্র নেবার জন্য প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক যানবাহন থাকলেও বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কোন যান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকায় তা পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে হাতেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

বরিশালে ত্রাণ ও রেশনের দাবিতে রিকশা মিছিল করেছেন চালকরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে এই মিছিল কর্মসূচি শুরু হয়।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও এর শ্রমিক ফ্রন্টর আহ্বানে প্রায় পাঁচ শতাধিক চালক রিকশা মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি নগরীর সদর রোড, হাসপাতাল রোড, নথুল্লাবাদ আমতলা মোড় ঘুরে সিটি করপোরেশনের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তারা স্লোগান দেন, খাবার না দিলে লকডাউন মানি না।

রিকশা চালক বাচ্চু বলেন, আমারা রিকশা চালিয়ে খাই। রিকশা বন্ধ হলে কী খেয়ে থাকবো সেই ব্যবস্থা না করেই লকডাউন চলছে।’

আরেক রিকশাচালক কুদ্দুস বলেন, রিকশা নিয়ে বের হলেই পুলিশ আমাদের হয়রানি করে। আমরা কি তাহলে না খেয়ে থাকবো?

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মানিক হাওলাদার বলেন, ‘বিগত লকডাউনে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কিছু সহায়তা পাওয়া গেলেও এবার কোনো তরফ থেকে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না।’

রিকশা-ভ্যান চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মল্লিক বলেন, বরিশালে পাঁচ থেকে ছয় হাজার রিকশা শ্রমিক রয়েছেন। এদের নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না। অনেকে গ্রামে চলে গেছেন, কেউ কেউ বস্তিতে কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছেন।’

বাসদ বরিশাল মহানগর কমিটির সদস্য সচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না। শ্রমিক যারা দিন আনে দিন খায় তাদের রেশনের দাবি করছি। তাদের ফ্রি করোনা পরীক্ষার দাবি করছি। এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।’

বরিশাল নগরীর থানা কাউন্সিল এলাকা থেকে গত শুক্রবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে কল আসে মোবাইল ফোনে। ওপাশের কণ্ঠটি অসহায় ও ভয়ার্ত। তার বাড়িতে অসুস্থ রোগী, তার অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার, হবে? এপাশ থেকে তাকে অভয় দেন ডা. মনীষা চক্রবর্তী, ‘কোন চিন্তা করবেন না, আমরা আসছি।’ সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত টিম এই চিকিৎসকের নেতৃত্বে অক্সিজেন নিয়ে হাজির হন ওই বাসায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান পরিবারের দুই সদস্য করোনায় আক্রান্ত। এ সময় তাদের অক্সিজেন দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপত্র দেন ডা. মনীষা। বাসার অপর সদস্যকে পৃথকভাবে থাকার পরামর্শ দেন। এটা একটি রাজনৈতিক দলের করোনাকালীন কর্মকাণ্ড। দলটির নাম বাসদ। সংগঠনের বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা এভাবেই করোনাকালে সাংগঠনিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সচল রেখেছেন তাদের অক্সিজেন ব্যাংক।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ওই বাড়িতে পৌঁছার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ডা. মনীষা চক্রবর্তী‘ আইডি থেকে লাইভ করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ২৪ হাজার রি-অ্যাক্ট, ২৮ হাজার ভিউ এবং ২৮১ জন বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন। মন্তব্যগুলো ঘেঁটে দেখা গেছে, জেলাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বাসদের এ কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং বিত্তবানদের এভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ডা. মনীষার এই উদ্যোগে সহায়তা করার জন্যও আগ্রহ দেখিয়েছেন অনেকে।

জানতে চাইলে ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বেশিরভাগ মানুষ করোনা হওয়ার পরও হাসপাতালে যেতে চান না। তাদের জন্য অক্সিজেন থেকে শুরু করে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। এমনকি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও দেওয়া হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনে ওষুধও আমরা দিয়ে থাকি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল আছে। আমরা প্রশাসনের কাছে নগরীর বগুড়া রোডের আম্বিয়া হাসপাতালটি করোনা চিকিৎসার জন্য চেয়েছিলাম। বর্তমানে বরিশালের ৭০ ভাগ টেকনোলজিস্টের চাকরি নেই। এরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত। আমরা তাদেরকে নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু, রাজনীতির এমন মেরুকরণ, ভালো উদ্যোগের জন্য চাইলেও তা আমাদের দেওয়া হয়নি।

ডা. মনীষা বলেন, অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন, অনেকেই অক্সিজেনের অভাবে ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। আমরা আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দিতে চাই না। এ কারণেই অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছি। ধনাঢ্যদের কাছে আবেদন আপনারও এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসুন, তাহলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে।

বাসদ এর সাংগঠনিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছর মার্চ মাস থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হয় সারাদেশে। এর ব্যতিক্রম হয়নি বরিশালে। নগরীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে কোটি মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড থেকে শুরু করে আইসিইউ এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও সংকট দেখা দেয়। এ সংকট মোকাবিলায় সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসে বাসদ। তারা গত বছর জুন মাসে নগরীর ফকিরবাড়ি দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও ঘরে থেকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তারাই বেশি অক্সিজেনের সংকটে পড়েন। তাদের অনেকে বাসদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্রি অক্সিজেন সেবা গ্রহণ করে আসছেন। ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেওয়ার জন্য বাসদ এর ১২ জন স্বেচ্ছাসেবী ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।

এমন একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, ‘নগরীর যে স্থান থেকেই আমাদের অবহিত করা হউক আমরা সাথে সাথে সেখানে চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা একরকম চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করি। অক্সিজেনের লেবেল থেকে শুরু করে করোনা রোগের সকল আলামত জেনে সেভাবেই চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এখানে চিকিৎসকেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়। যতদিন পর্যন্ত রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন ততদিন তাকে সেভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।’

আরেক স্বেচ্ছাসেবী জানান, যাদের বেশিদিন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় সেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত অক্সিজেন কনসেনট্রেটরও ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আমাদের কাছে ৪টি কনসেনট্রেটর আছে। এসব কনসেনট্রেটর বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে।

বাসদ’র জেলা কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, ‘যেসব রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য প্রথমে অক্সিজেন ব্যাংক থেকে পালস অক্সিমিটার মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে পালস অক্সিমিটারের রিডিং দেখে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেই। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ৩০টি পালস অক্সিমিটার নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ২৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ১০০ পালস অক্সিমিটার দিয়ে এই কার্যক্রম চলছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এত বেশি কল আসছে যে তা সামাল দিলে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ জন্য আরও অক্সিজেনের সিলিন্ডার প্রয়োজন। তিনি বিত্তবানদের এজন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত: গত বৃহস্পতিবার থেকে বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশ (বিএমপি)ও একইরকম সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অক্সিজেন ব্যাংক সিলিন্ডারের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু করেছে। এমন কাজে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএমপি কমিশনারও।

বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্লাবাড়ি এলাকায় সুমি বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে সুমির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এক সন্তানের জননী সুমি বেগম নগরীর বিল্লাড়ি এলাকার নয়ন গাজীর স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমির সঙ্গে স্বামী নয়ন গাজীর দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। তবে সন্তানের কথা ভেবে সুমি বেগমেকে ধৈর্য্য ধরতে বলতেন মা রিনা বেগম।

নিহত সুমির মা রিনা বেগম অভিযোগ, ২০০৫ সালে সুমির সঙ্গে নয়ন গাজীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান হয়।

সুখের কোনো কমতি ছিল না। কয়েক মাস আগে নয়ন গাজী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীকে নিষেধ করেন সুমি। সুমি জোরালো প্রতিবাদ করলে প্রায়ই মারধর করতো নয়ন গাজী।

রিনা বেগম বলেন, প্রতিবেশীদের কাছে থেকে জেনেছি শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। প্রতিবেশীরা মারধর ও চিৎকার শুনেছেন।

বিমানবন্দর থানা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা বলেন, সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই বিয়োগান্তের ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ’র সুদৃষ্টি, ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর ফরিদ আহমদের সহায়তায় ও এলাকাবাসীর নিজস্ব খরচে নির্মিত হওয়া বরিশাল নগরীর ২৯নং ওয়ার্ড বাঘিয়া মৌজার হযরত খানজাহান আলী সড়ক থেকে আ: রাজ্জাক খান সড়ক পর্যন্ত নির্মিত রাস্তাটি একটু বর্ষা হলেই পানিতে ডেবে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই কাউন্সিলরের সহোযগিতায় মাটি কেটে উচু করে সংস্কার করতে শুরু করেন এলাকাবাসী। তবে অভিযোগ উঠেছে- ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইমরান মোল্লা, হযরত খান জাহান আলী সরক সংলগ্ন মো: আব্দুল মোতালেব হাওলাদার ওরফে ভূমিদস্যু মোতালেব, স্থানীয় সন্ত্রাসী শাওন সহ বেশ কিছু ক্যাডার সড়ক নির্মানে বাধাঁ দিয়ে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ’র নিকট একটি অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। অভযোগে তারা উল্লেখ করেন, বিসিসি মেয়র, ও কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে আমাদের এখানের সড়কটি নির্মিত হওয়ায় আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাবার সঙ্কায় সড়কটি কিছুটা উচু ও প্রশস্ত করতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাতে বাধাঁ দেয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় সন্ত্রাসীরা ওই সড়কের বাসীন্দাদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকেন। যা মুখে প্রকাশ করার মতো নয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই সড়কে বাস করা ভুক্তভুগী পরিবার গুলো মনে করেন- নতুন করে সংস্কার হতে যাওয়া সড়কটি এতটাই ছোট যে, ওইখান থেকে একটি রিক্সাও চলাচল করা সম্বব হচ্ছেনা। তাদের দাবী- বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ পূর্বেও কোন সন্ত্রাসী কার্জকালাপে আপোষ করেনি, এবারো এই সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কঠিন ব্যাবস্থা গ্রহন করে এলাকাবাসীর চলাচলের সড়কটি যেন আরো সুন্দর হয়।