ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কৈবর্তখালী আবাসনে আলোচিত গণ ধর্ষন মামলার প্রধান আসামি রবিউল হাওলাদার সহ বিভিন্ন মামলার পলাতক ৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্কলা বাহিনী। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. মাসুদ রানা।

পুলিশ জানায়, রাজাপুর উপজেলার কৈবর্তখালী এলাকায় গত ৯ সেপ্টেম্বর এক তরুনীকে গণধর্ষনের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি রবিউল হাওলাদারকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা থেকে আটক করে র‌্যাব-১। পরে রোববার রবিউলকে রাজাপুর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

রবিউল হাওলাদার উপজেলার কৈবর্তখালী এলাকার ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে। এদিকে রোববার রাতে রাজাপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অ¯্র সহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

বরগুনার তালতলী উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরাধীন ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ – এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সুফল ভোগী ৯০ জন জেলেকে মাছ শিকারের উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বিতরণ করা উপকরণের মধ্যে বৈধ জাল ও ফ্লুডসহ মাছ শিকারের অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে।

বিতরণী অনুষ্ঠানে তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার অলিউল্লাহ শুভ প্রমুখ।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, “ইলিশের উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধি করতে মৎস্য বিভাগসহ তৎপর রয়েছে সরকার। কিন্তু অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারায় ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ও আহরণ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে জেলেদের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে উৎসাহিত করতে জেলেদের বৈধ জালসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি প্রকল্প মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলেদের মাঝে বৈধ জালসহ বিভিন্ন দরকারি উপকরণ বিতরণ করেছি। আমাদের এই বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ

বরগুনার তালতলীতে চুরি মামলার ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. শাহজাহান গাজীকে (২৫) গ্রেফতার করেছে তালতলী থানা পুলিশ। এ সাজা এড়াতে তিনি ৬ মাস পালাতক ছিলেন।

বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বাদুরগাছা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শাহজাহান একই এলাকার মো. কালাম গাজীর ছেলে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, শাহজাহান গাজীর বিরুদ্ধে বগুড়ায় একটি চুরি মামলায় ১ বছরের সাজা হওয়ার পর তিনি দীর্ঘ ৬ মাস বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়িতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছেন।

ওসি আরো বলেন, শাহজাহান গাজীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করতে বরগুনায় শ্বশুরবাড়ি গেলেন চাঁদপুরের এক যুবক। অতঃপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিনরোডস্থ কলোনিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে ২৩০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ইয়াবাকারবারি হলেন – চাঁদপুর জেলা সদর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজি কবির সরকারের ছেলে মো. নাহিদ হোসেন হৃদয় (২৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইয়াবা নিয়ে বরগুনায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন নাহিদ- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (ডিবি) গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. বশির আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এসময় ওই বাড়িতে তল্লাশি করলে ২৩০টি ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে ইয়াবা জব্দসহ নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, গ্রেপ্তার নাহিদ একজন ইয়াবা সেবনকারী এবং বিক্রেতা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে।

বরগুনা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের ছয়টি আসনে এখন পর্যন্ত ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং অফিসার। রোববার (৩ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম যাচাই বাছাই শেষে ৬ জনের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল করেছেন।

এছাড়া বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড.শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকায় যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। বাতিলকৃত ৬ প্রার্থী হলেন, বরিশাল ১ আসনের জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ মোরশেদ জামান। তিনি হলফনামা সঠিকভাবে দাখিল করেননি। বরিশাল-২ আসন থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলবার্ট বাড়ৈ মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এদের উভয়ের হলফনামা সঠিকভাবে দাখিল না করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

বরিশাল ৬ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির খান সাগর, মোহাম্মদ শাহরিয়ার মিয়া, নূরে আলম শিকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের সবাই এক শতাংশ ভোটারের নাম জমা না দেওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এদিকে ১৫ লাখ ৪ হাজার ৪৬ টাকা ভ্যাট বকেয়া থাকায় বরিশাল ৩ আসনের জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়ার টিপুর মনোনয়নপত্রে আপত্তি দেয় ভ্যাট অফিস। পরে পরিশোধ করে কাগজ জমা দিলে তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়। বরিশাল ৪ আসনে মুক্তিজোটের দুইজন প্রার্থী থাকায় আসাদুজ্জামান নামে এক প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, যাচাই-বাছাইতে ৫৫ জনের মধ্যে ৬ জনের বাতিল ও সাতজনের মনোনয়ন অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বরিশালের ছয়টি আসনে ৫৫ জন প্রার্থী করেছিলেন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

ভোলায় দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার। যাচাই-বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিনে রোববার (৩ ডিসেম্বর) এসব মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটানিং অফিসার আরিফুজ্জামান। বাতিলকৃত প্রার্থীদের মধ্যে ভোলা-১ আসনের প্রার্থী মিজানুর রহমান এবং ভোলা-২ আসনের প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী জাহাঙ্গির আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ভোটার তালিকা সঠিক না থাকা এবং একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় তাদের প্রার্থীরা বাতিল করা হয়।

এর আগে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে দাখিলকৃত যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং অফিসার। ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে ২০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে সদর আসন থেকে চারজন, ভোলা-২ থেকে ছয়জন, ভোলা-৩ থেকে পাঁচজন ও ভোলা-৪ থেকে পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৭টি, দুইটি অবৈধ এবং একটির সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং আরিফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

পটুয়াখালীর বাউফলে আতিকুল ইসলাম আতিক নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে দিকে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের ফজলুর রহমান মুন্সী বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইসমাইল নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করা হয়েছে।

বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আতিকুল ইসলাম (১১) স্থানীয় দারুল উলুম নুরানি হাফেজি ও এতিমখানার হেফজ শ্রেণির ১১ পারায় অধ্যায়নরত ছিল। আতিকের বাবার নাম সরোয়ার সরদার। পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিড়াইল গ্রামে তার বাড়ি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোর থেকে আতিক নিখোঁজ হয়। একপর্যায়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একই মাদ্রাসার ২৫ পারার অধ্যায়নরত ইসমাইল (১৮) নামের এক ছাত্রের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাদ্রাসা থেকে ৩শ গজ দূরের একটি মসজিদের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আতিকের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ইসমাইলকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ। আটক ইসমাইল বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালগুনি গ্রামের মজিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আতিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় ইসমাইল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাস করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তেরে জন্য পাঠানো হবে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

চলমান সরকার বিরোধী এক দফার আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তার কারণে বরিশাল মহানগর যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান শামীমকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহসভাপতি কামরুজ্জামান দুলালের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরই মধ্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলমান গণ-আন্দোলনে বরিশাল মহানগর যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান শামীম অনুপস্থিত থাকায় তার স্থলে মহানগর কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মাসুদুর রহমানকে মহানগর যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান ওরফে মামুনকে বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বরিশাল মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, ৩৩ জন নেতার ভোটে মহানগর যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান শামীমকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ঝালকাঠিতে এমপি বজলুল হক হারুনসহ সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন আমু, বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ঝালকাঠির দুটি আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই বোর্ড প্রধান রিটার্নিং অফিসার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

বাতিলকৃত অন্য প্রার্থীরা হলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান, মোহাম্মাদ ইসমাইল, ব্যরিস্টার ফখরুল ইসলাম, নুরে আলম, মজিবুর রহমান মৃধা ও জাতীয় পার্টি মনোনীত এজাজুল হক।

ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত নাসির উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তদের ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্র এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারী ১% ভোটারের তালিকায় দেওয়া তথ্য সঠিকভাবে যাচাইকালে সত্যতা না পাওয়ায় প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান জেলা রিটার্নিং অফিসার ফারাহ গুল নিঝুম।

ঝালকাঠি-১ আসনে সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হলেও তা পরিবর্তন করে পরে বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে নৌকা প্রতীক দেন দলের আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না।নির্বাচন জমে উঠেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এমনকি বিএনপির অনেক নেতাও দলটির ভুল দর্শন পরিত্যাগ করে নির্বাচনে এসেছেন। নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা এবং নীল নকশা বাস্তবায়ন হবে না বলেই দু-একটি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।’

ওসি এবং ইউএনও রদবদল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার প্রশাসনিক রদবদল করছে না, কর্মকর্তাদের বদলি করছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের আপত্তি নাই।’

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাড়া করা টোকাই দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করছে বিএনপি। বিএনপি নেতা-কর্মী পাচ্ছে না। তাই ভাড়া করা টোকাই দিয়ে বোমা হামলা, পেট্রোল বোমা মারাসহ এসব অপকর্ম করছে। অনেকে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ।

আগামীতে বিএনপির আরও অনেকে স্বাভাবিক রাজনীতির ধারায় আসবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহস থাকলে তারেক রহমানকে রাজপথে আসার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি জনসমর্থনের অভাবে তাদের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই কারণে তারা সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, হিংসা, চোরাগুপ্তা হামলা, নাশকতা করছে। স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে তারা রাজনীতিটাকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতির সমর্থন না দিয়ে তারা জনগণকে শত্রু ভাবে। বেলাল হোসেনের মতো একজন নিরীহ বাস হেলপারকে ৮০ শতাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ বা গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে। জনসমর্থহীন এসব গোষ্ঠী নির্বাচনে হেরে যাবে। সবসময় তারা পেছনের দরজা খোলা রাখে। পেছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।