নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ভোলা:: ভোলায় ইটবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. নাসির উদ্দিন (৭২) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নাসির ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আয়েশাবাগ গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, দরিদ্র নাসির উদ্দিন ওই গ্রামের চরফ্যাশন-বেতুয়া সড়কের বেতুয়া বেঁড়িবাঁধ এলাকায় একটি পানের দোকান করে জীবন পরিচালনা করতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে সে দোকান খুলে কেনা-বেচা করছিলেন। দুপুরের দিকে স্থানীয় একটি ইটভাটা থেকে ইটভর্তি করে ট্রাকটি বেতুয়া বেঁড়িবাঁধ এলাকায় উঠার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যবসায়ী নাসিরের দোকানে উঠিয়ে দিলে প্রচণ্ড ধাক্কায় ট্রাকটি উল্টে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা নাসিরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিদেশে পাচার করার অপরাধে ২ জনকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দন্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর দুইজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। বরিশাল মানব পঁাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ আসামীর উপস্থিতিতে এবং এক আসামীর অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার কাজীরচর এলাকার আব্দুল জলিল সরদার এবং ঢাকার বনানীর মেসার্স সানলাইট এন্টারপ্রাইজ নামক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মো. আনিছুর রহমান। খালাসপ্রাপ্তরা হলো দন্ডপ্রাপ্ত জলিল সরদারের স্ত্রী রাশিদা এবং জেসমিন আক্তার। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২ আগস্ট বরিশালের মুলাদীর কাজীরচর এলাকার আব্দুল জলিল পাশ্ববর্তী খালাসীর চর এলাকার জনৈক আবুল কালাম ওরফে মিজানুর রহমানকে ৫ লাখ টাকার চুক্তিতে লিবিয়া পাঠানোর কথা বলে সুদান পাঠিয়ে দেয়। সেখানে পেঁৗছে বাংলাদেশী সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৫জনকে বিপদগ্রস্থ অবস্থায় দেখতে পান আবুল কালাম। সেখান থেকে ট্রাকে করে ৭ দিন ও ৭ রাতে অবৈধভাবে তাকে সহ অন্যান্যদের লিবিয়া পাঠানো হয়। লিবিয়া পেঁৗছার পর দুই লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করা হয় আবুল কালামের পরিবারের কাছ থেকে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হলে লিবিয়া পুলিশ আবুল কালামকে গ্রেফতার করে। এর এক পর্যায়ে লিবিয়ায় কর্মরত বরিশালের মুলাদীর আব্দুল বারেক খান তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেয়। দেশে ফিরে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর ৪জনকে আসামী করে বরিশাল আদালতে একটি মামলা করেন আবুল কালাম। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করে তদন্তের জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মুলাদী থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন খান ৪জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী মামলাটি বরিশাল মানব পঁাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরন করা হয়। ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে গতকাল ওই রায় ঘোষনা করেন ট্রাইব্যুনাল।রায়ের সময় পলাতক থাকায় আসামি আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং উপস্থিত জলিলকে সাজাভোগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বাদী পক্ষে এপিপি কাইয়ুম খান কায়সার এবং আসামী পক্ষে হুমায়ুন কবির মামলা পরিচালনা করেন।

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় উপজেলায় ‘মুজিববর্ষে ভিক্ষুক পুণঃর্বাসন কর্মসূচীর’ আওতায় ৩০জন ভিক্ষুককে ১৫লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাশেম এর সভাপতিত্বে ভিক্ষা বৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্টির পুণঃর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ভিক্ষুকদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, ভাইস চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালা, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস তালুকদার, গোলাম মোস্তফা সরদার, বিপুল দাস, শফিকুল হোসেন টিটু।

অনুষ্ঠানে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ৩০জন ভিক্ষুককে ৫০হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তার মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গাভী, অটো ভ্যান, ছাগল, ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য মুলধন প্রদান করা হয়েছে।

শামীম আহমেদ ॥ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের অভয়শ্রমভূক্ত মেঘনায় ইলিশ নিধনের অভিযোগে ২৮ জেলেকে এক বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মেঘনায় ইলিশ নিধন করার সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ২৮ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

 

হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ: হালিম জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ইলিশ নিধনের অভিযোগে ১২ জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে- রাজিব খা, মো: আবুল হোসেন, মো: হানিফ হাওলাদার, রুবেল হোসেন, আলতাফ ঘরামী, সাইদুল ইসলাম, জাহিদ রাঢ়ী,

হাশেম মাঝী, জয়নাল উদ্দিন ব্যাপারী, মাসুদ খা, নুর আলম ফরহাজী, সাকিল হোসেন মাঝী। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছেন।

 

তার আগে বুধবার রাতে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ১৬ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিযুষ চন্দ্র দে।

 

বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশের ৫টি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের ধরার ওপর দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১ মার্চ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামা জেলেদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: রাজধানীর খিলক্ষেত ৩০০ফিট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আশিক আব্দুল্লাহ হেলাল (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ভোর সারে ৫টার দিকে এ দুঘটনা ঘটে।
নিহত হেলাল বরিশালের হিজলা উপজেলার মাইকখোলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।

তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নিহত হেলাল খিলক্ষেত ৩০০ফিটে অবস্থিত ৭১সিকিউরিটি ইনচার্জ ছিল। সেখানেই থাকতো।

এসআই শামিমুল আরও জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ৩০০ফিট পুলিশ হাউজিং এর দক্ষিণ পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে সিকিউরিটি কোম্পানির দাড়োয়ানের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এমন সময় একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ হেলালকে চাপা দেয়, এতে তার মৃত্যু হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চরফ্যাসন:: ভোলার চরফ্যাসনে ২১ মামলার পলাতক আসামী শীর্ষ সন্ত্রসী মুরাদ হোসেন মুন্নাকে আরোও একটি চাঁদাবাজী মামলায় বিভিন্ন ধারায় ২০ বছর এক মাসের জেল দিয়েছেন আদালত। তার সহযোগী অপর তিন আসামী আজিজ, ইউসুব, ও ফুয়াদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মুল আসামী মুরাদ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সনে দুলারহাট থানার হাজিরহাটের চৌমুহনী এলাকায় খেয়া পারাপারের ইজারা নিয়ে স্থানীয় ইজারাদার আবদুল মতিন মেম্বারের নিকট মুরাদ হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সনে আবদুল মতিন মেম্বার বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় ৩৪১,৩২৩,৩৪১,৩৮৫, ৩৭৯ ও ৫০৬ ধারায় ১৩৭/১৩ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেশন-২৫৭/১৮ চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগ সাক্ষ্যপ্রামনে চাঁদা দাবি সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন। মুরাদ হোসেন দুলারহাট থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের আবুল বাসার চাপরাশীর ছেলে। বিজ্ঞ বিচারকের এ রায়ে সন্তষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আবদুল মতিন মেম্বারসহ এলকাবাসী।

রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ মোজাম্মেলহক জানান,আলোচিত ২১ মামলার পলাতক আসামী মুরাদ হোসেন একজন দূস্কৃতিকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজী, ডাকাতি, ধর্ষণ প্রতারনাসহ মোট ২১টি মামলা চলমান রয়েছে। গত বছরের ১৬ নভেম্বর অপর একটি চাঁদাবাজী মামলায় চরফ্যাসনের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধারায় ২০ বছর চার মাসের সাজা প্রদান করেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় সে পলাতক রয়েছে। এজন্য তার অনুপস্থিতেই এসব মামলার বিচার কার্য পরিচলনা করা হচ্ছে।

এদিকে সন্ত্রাসী মুরাদ হোসেনকে ২০ বছরের জেল প্রদান করায় এলাকায স্বস্থি ফিরে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ভোলা:: ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর গ্রামে তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী ব্যবসায়ি দাদা সালাউদ্দিন মীর (৫৩)। বুধবার (৩মার্চ) দুপুরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ভোলা থানা পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ধর্ষক সালাউদ্দিন জনতা বাজারের মুদি ব্যবসায়ি। ভিক্টিম স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরের দিকে ধর্ষক সালাউদ্দিন ওই ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক ছাত্রীর মুখ চেপে ধর্ষণ করে।পরে ভিক্টিমের চিৎকার শুনে ভিক্টিমের চাচী পাশে থাকা ঘর থেকে বের হলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক সালাউদ্দিন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বরিশালটাইমসকে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ বা মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি )

বরগুনার বামনায় গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে রেলী বের করা হয়।
রেলী শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবেক সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা।
সভায় বক্তব্য রাখেন বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডঃ চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রুমি খানম, আলতাফ হোসেন হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামীযুবলীগ এর সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম সারওয়ার, শ্রমিক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ নেসার উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার প্রমুখ। এসময় দুইজন ভোটারের হাতে জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রদান করা হয়।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গন ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারী কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নগরীর পশ্চিম বগুড়া রোডস্থ আল আমিন মসজিদের পূর্ব পাসস্থ আবুল কালাম আজাদের সাথে তার সহযোগী কাশিপুর গনপাড়া এলাকার মৃত্যু জোনাব আলী হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার, রহম আলী জমিদারের ছেলে মিজান জমিদার ও রায়পাশা কড়াপুর এলাকার সাত্তার কারিগরের ছেলে নিজাম কারিগরকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে ধর্ষিতা বলেন, আবুল কালাম আজাদের সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৭ টায় অভিযুক্ত সোহাগ তাকে তার কাগজ পত্র বুঝে নেয়ার জন্য আল আমিন মসজিদের পাশে আজাদ ম্যানসন নামে আবুল কালাম আজাদের ল চেম্বারে যেতে খবর দেয় । বাদীনি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেখানে গিয়ে অন্যান্য অভিযুক্তদের দেখতে পায়। অভিযুক্ত সোহাগ তাকে এককাপ রং চা দেয়। তিনি রং চা খেয়ে মাথা ঘুরে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর তার কোন হুশ ছিলো না। ১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬ টার দিকে ১৮ নং ওয়ার্ডস্থ কাঞ্চন পার্কের সামনে থেকে তার স্বামী ও ভাশুর তাকে উদ্ধার করে র‍্যাব ৮ এর অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিমানবন্দর থানায় নিয়ে যায়। তার স্বামী ও তার স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি শাখায় ভর্তি কয়ায়। ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে ক্ষত চিহ্ন দেখতে পায়। তখন তিনি বুঝতে পারেন অভিযুক্তরা তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে গনধর্ষন করে ভোরে কাঞ্চন পার্কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এধরণের অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের হলে থানা পুলিশ মামলার তদন্ত কার্যক্রম সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলে জানায় থানা পুলিশ। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ বরিশাল আদালতের আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা বলে ধর্ষিতার পরিবার নিশ্চিত করেন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিক্রির জন্য নিজ হেফাজতে ৬ শ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে ২ বছরের কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান ঝালকাঠি জেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের তারপাশা গ্রামের মৃত্যু তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে।তিনি ডিএমপি রমনা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে দায়িত্বে ছিল। তার কনস্টেবল নাম্বার ১৭৪৮৭ এবং বিপি নাম্বার ৭৭৯৬১৬১৮০৪। বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বরিশাল বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন মেট্রো গোয়েন্দা পুলিশের এস আই নজরুল ইসলাম। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলম ওয়ার্কসপের সামনে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে ১শ পিস করে রাখা প্যাকেটের ৬ প্যাকেট থেকে ৬শ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় তিনি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। মাদক সরবরাহর কোন প্রকার বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। সে পুলিশে দায়িত্ব পালন করে আইনের চোখে ধুলো দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। এধরণের অভিযোগ দেয়া হলে তদন্তে সত্যতা পেয়ে একই বছর ১৭ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিভাগের এসআই ইউনুস আলী ফরাজি আদালতে চার্জশীট জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১০ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে ওই সাজা দেন। রায়ে সাজা হওয়ার পরপর ওইদিনই মিজানুর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানায়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে সাজাভোগে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ সদস্য হওয়ার পরেও মাদক ব্যবসা করায় তার সাজা আরও বেশী হওয়া উচিত ছিল বলে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বরিশাল আদালতের একাধিক আইনজীবী। অপরদিকে মিজানুর রহমানের সাথে অন্য এক মামলায় হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি জানান, মিজানুর মামলা হতে খালাস পাওয়ার জন্য সাক্ষীদের মুখ বন্ধ করতে দুইজন সাক্ষীকে ৩৫ হাজার করে ৭০ হাজার টাকাও দিয়েছিল। সেই দুইজন জোড়ালো সাক্ষী না দিয়ে মিজানুরের পক্ষে কথা বলে যায়। এতে আদালত তাকে বেশী সাজা দিতে পারেনি। এদিকে সাজা হওয়ার পরপরই তিনি মামলা হতে রেহাই পেতে জরুরী ভিত্তিতে নকল সরবরাহ করে ৩ মার্চ বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি আপীল দায়ের করেন। একইসাথে জামিনের আবেদন করেন। জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম বিচারাধীন আদালত আগামী ১১ মার্চ মামলার মূল নথি তলব আপীল শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেন এবং জামিন আবেদন নথিভুক্ত করে রাখেন বলে আদালত সূত্র জানায়।