নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নিজ হেফাজতে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ইনজেকশন রাখার অপরাধে মাদক কারবারি বাদল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিনমাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। ১ মার্চ ২য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত বাদল ওরফে মুসা হাওলাদার ওরফে বুদা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বিহঙ্গল এলাকার মুজাহার হাওলাদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সে আদালতে অনুপস্থিত ছিল। বেঞ্চ সহকারি আব্দুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই সমীরণ মণ্ডল তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বরিশাল নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন সিকদারের কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ৪ পিস জি মরফিন ইনজেকশন, ৫ পিস ও মরফিন ইনজেকশন এবং ৫ পিস ফেনারেক্স ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে বাদল উত্তর সাগরদী ভাড়া বাসায় বসবাস করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি করে। এঘটনায় ওইদিনই কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। একই বছর ২৩ মার্চ তদন্তে সত্যতা পেয়ে থানার এস আই অরবিন্দ বিশ্বাস আসামি বাদলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন।রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে ওই সাজা দেন। রায়ের সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বুলবুল আহমেদ (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা আজ সোমবার (০১ মার্চ) রাতে লাশ আনতে গেছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গফরগাঁওয়ের শতাধিক লোকের এক কাফেলার সঙ্গে বুলবুল চরমোনাই পীরের মাহফিলে গিয়েছিলেন।

গফরগাঁও উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস শেখের ছেলে বুলবুল আহমেদ স্থানীয় সোনামিয়ার বাজারে টেইলার্স ব্যবসায়ী ছিলেন।

স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গফরগাঁওয়ের শতাধিক লোকের কাফেলার সঙ্গে বুলবুল চরমোনাই পীরের মাহফিলে গিয়ে গত শনিবার নিখোঁজ হন। রবিবার চরমোনাই ইউনিয়নের বিশ্বাসের হাট এলাকায় ব্রিজের ঢাল থেকে লুঙ্গি-পাঞ্জাবি দিয়ে হাত পা-বাঁধা ও পলিথিন দিয়ে মুখ-মাথা মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা বুলবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে বুলবুলের স্বজনরা সোমবার রাতে লাশ আনতে বরিশাল কোতয়ালি থানায় গেছেন।

নিহতের ভাতিজা শাহিন বলেন, চাচা কয়েকদিন যাবৎ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। যাওয়ার সময় আমরা না করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলেছেন সুস্থ আছেন যেতে পারবেন। আমাদের জানা মতে চাচার কোনো শত্রু ছিল না। কারা তাকে হত্যা করেছে জানি না। তবে আমরা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল::বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাজ্জাক মোল্লা (৭০) নামে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্জাক মোল্লা উজিরপুর উপজেলার মুন্ডুপাশা এলাকায় রাস্তা পাড় হওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়।

উজিরপুরের পশ্চিম মুন্ডুপাশা এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইউনুস হাওলাদার জানান, মৃত রাজ্জাক মোল্লা তার জমিতে কৃষিকাজ করতেন।

গতকাল সন্ধ্যার সময় রাজ্জাক মোল্লা মুন্ডুপাশা এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও রাজ্জাক মোল্লা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাজ্জাক মোল্লার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাজ্জাক মোল্লা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা হলেও কাজের জন্য তিনি উজিরপুরের মুন্ডুপাশা এলাকায় থাকতেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও বরিশালে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘর ও পিলার ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ মার্চ) বিকাল ৫ টায় জেলা পু‌লিশ সুপা‌রের কার্যাল‌য়ে ‌আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেল‌নে এই তথ্য জানান পু‌লিশ সুপার মো. মারুফ হো‌সেন।
গ্রেফতাররা হ‌লেন, ওই উপ‌জেলার চাখার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দীপু দত্ত, প্রক‌ল্পের ঠিকাদার রাম প্রসাদ মন্ডল, নির্মাণ শ্রমিক সর্দার ইমরান সিকদার, মো. সা‌দিক শেখ এবং মিশকাত মোল্লা।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে পু‌লিশ সুপার জানান, বানারীপাড়া উপ‌জেলার চাখার ইউনিয়নের সাকরা‌লে ভূমিহীন ও গৃহহীন‌দের জন্য জ‌মিসহ ১০০ ঘর নির্মাণ কর‌ছে সরকার। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রা‌তে ওই নির্মানাধীণ ঘ‌রের ২৬ টি পিলার ও এক‌টি ঘ‌রের দেয়াল ভাঙচু‌রের ঘটনা ঘ‌টে। পর‌দিন চাখার ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বাদশা মিয়া ৪/৫ জন‌কে আসামি ক‌রে এক‌টি মামলা দা‌য়ের ক‌রেন। এই মামলায় ৫ জন‌কে গ্রেফতার ক‌রে পু‌লিশ।

সোমবার (১ মার্চ) বিকা‌লে তা‌দের আদাল‌তে সোপর্দ কর‌লে বিচারক তা‌দের জেলহাজ‌তে প্রের‌ণের নি‌র্দেশ দেন।

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বরিশালে সম্ভাব্য সফর নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে ভারতীয় হাইকমিশন এবং দেশটির স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) দুটি দল বরিশাল এসে সম্ভাব্য সফরের খুঁটিনাটি সব বিষয় পরখ করে গেছেন।

চলতি মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থান হিসেবে পরিচিত বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ‘সুনন্দা শক্তিপীঠ মন্দির’ (শ্রী শ্রী উগ্রতারা মন্দির) পরিদর্শন করতে পারেন এমন প্রত্যাশায় আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসলে তিনি উজিরপুরের ‘সুনন্দা শক্তিপীঠ মন্দির’ পরিদর্শন করতে পারেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। তার সম্ভাব্য সফরের আগাম প্রস্তুতির জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আকাশপথে ভারতীয় হাইকমিশন এবং এসএসএফের দুটি দল বরিশালে এসে সম্ভাব্য সফরের খুঁটিনাটি সব বিষয় পরখ করে গেছেন।

শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কামাল মহানগর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।

কামালের একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান রূপন জানান, তার বাবা সোমবার কারাগারে দুইবার বমি করে চেতনা হারিয়ে ফেলেন। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান রূপন।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল কারাগারে প্রবেশের আগে থেকেই বহু রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বয়সজনিত নানা রোগে তিনি অসুস্থ। কারা হাসপাতালের চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য তাকে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

হাসপাতালের মেডিসিন বর্হিবিভাগের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মানবেন্দ্র দ‍াস জানান, অসুস্থ সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে আসে কারা কর্তৃপক্ষ। তার রক্ত পরীক্ষাসহ বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত জানানো যাবে।

প্রসঙ্গত, ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় গত বছরের ৯ নভেম্বর বিসিসির সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল এবং সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পাঁচ জনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। একইসঙ্গে আদালত সাবেক মেয়র কামাল এবং জাকির হোসেন নামের ঠিকাদারকে এক কোটি টাকা করে জরিমানা করেন।

২৫ বছর পূর্বে পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়রের ওই দণ্ড হয়।

শামীম আহমেদ ॥ ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধুত্বের সম্পর্কের টানে বরিশালে এসে ফাঁদে আটকা পড়া ১৬ বছরের তরুনীকে সাড়ে ৪ মাস পরে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

 

 

 

মঙ্গলবার (০২ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার ৩ জনকে এরইমধ্যে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

 

 

এদিকে বরিশালে মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে জানাগেছে, ‍উদ্ধার হওয়া ১৬ বছরের ওই তরুণী নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় মানুষের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতো সে।

 

 

 

হঠাৎ করেই প্রায় ৭/৮ মাস পূর্বে ভিকটিমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পরিচয় হয় বরিশালের আরিফুল ইসলাম সুমনের সাথে। পরিচয়ের সূত্রে ভিকটিম তার পারিবারিক অসহায়ত্ব ও অভাব-অনটনের কথা জানায় ফেসবুক ফ্রেন্ড সুমনকে।

 

 

 

ভিকটিমের কাছ থেকে সবকিছু শুনে সুমন তাকে আশ্বস্থ করে এবং ভিকটিমকে দেয়ার মত ভাল কাজ হাতে আছে বলে জানায় সুমন। তবে ভিকটিম যদি সুমনের কাছে বরিশাল চলে আসে, তবেই সে ভালো কাজ দিতে পারবে বলে জানায় সুমন। পাশাপাশি সুমনের পরিবারের সাথেই ভিকটিম থাকতে পারবে বলে জানানো হয়।

 

 

 

এ-ধরনের আশ্বাসে আশ্বস্থ হয় অসহায় কিশোরী। পরবর্তীতে সুমন তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার সুমিকে সাথে নিয়ে ঢাকা গিয়ে ভিকটিমকে বরিশালে নিয়ে আসে এবং নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ তাদের ভাড়া বাসায় ভিকটিমকে রাখে। তবে ভিকটিমকে চাকুরি না দিয়ে ওই বাসায় আটকে রাখে সুমন ও তার স্ত্রী। পরবর্তীতে তাদের বন্ধু আরিফের সহায়তায় ভিকটিমের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। বিভিন্ন সময় তাকে যৌন নিপীড়ন করতে থাকে।

 

 

 

ভিকটিম যখন বুঝতে পারে অসৎ উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে তাকে এখানে এনে আটকে রাখা হয়েছে, তখন সে পালিয়ে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করলে সুমন তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাতে শুরু করে।

 

 

 

মিডিয়া সেলের এসআই তানজিল আহমেদ জানান, পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় ০৪ মাস ১৯ দিন আটক থাকার পর কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার রাসেল আহমেদ এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বরিশাল নগরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ১৫নম্বর ওয়ার্ডস্থ জনৈক সাইদুল কবির রিপনের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়।

 

 

 

এসময় টিনসেড ভাড়াটিয়া ঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করার পাশাপাশি মোঃ আরিফুল ইসলাম সুমন (২৪) তার হাবিবা আক্তার সাথী (১৮) ও তাদের বন্ধু মোঃ আরিফ(২২) কে আটক করা হয়।

 

 

 

পরবর্তীতে মামলা দায়ের করে ১ মার্চ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অপরাধে সাত জেলেকে আটক করা হয়েছে। বরিশালে রোববার ভোররাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ সময় প্রায় ৪০৫ কেজি জাটকা ও ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।

বরিশাল সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত বলেন, অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে মধ্যরাতে কীর্তনখোলা নদীর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু টোলঘরে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গাড়ির তিন কর্মচারী মো. রনি, রেজাউল, সোহেল খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অভয়াশ্রম কালাবদর নদীতে মাছ ধরার অপরাধে চারজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও পাঁচ কেজি জাটকাসহ জব্দ করা হয়।

বরগুনা প্রতিনিধি ||

বরগুনার বামনা হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার আরিফুল ইসলাম গাড়ীর ব্যবহৃত ফি (ইউজার ফি)জমা না দিয়ে আত্বসাত করেছে। স্বাহ্যমন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোঃ আঃ সালাম সাহেবের গোচরে আসলে তিনি বামনা হাসপাতাল পরিদর্শন করতে এসে ঘটনার সত্যতা পান এবং আত্বসাত কৃত টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাএ ৪৬০০০ টাকা জমা করেছে। এখনও লক্ষাধিক টাকা জমা করেনি।এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজারো অভিযোগ।তিনি তার বাসার বিদ্যুৎ লাইন নিয়েছেন হাসপাতালের পাম্পের লাইন থেকে।তার মিসেস ফেরদৌসী আক্তার আয়া হলেও তিনি আয়ার দায়িত্ব পালন না করে ঔষধ সরবারাহ রুমে বসে থাকেন।তার নিজের একটি এম্বুলেন্স রয়েছে।সরকারী এম্বুলেন্স নষ্ট বলে তার নিজের এম্বুলেন্সে রুগি পাঠাতে বাধ্য করে।তার খুটির জোর কোথায়।বাহির থেকে কোন এম্বুলেন্স আসলে দিতে হয় তাকে উৎকোচ। বরিশালে বামনা থেকে রুগীর ভাড়া সরকারী রেট ১৬৫০ হলেও তিনি রোগীদের কাছ থেকে গ্রহন করেন ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা
ইতোপূর্বে ভিবিন্ন অভিযোগে বামনা থেকে বদলী হলেও। পুনরায় আবার ক্ষমতার জোড়ে বামনায় চলে আসে।
উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা বলেন তাকে সরকারী
কোষাগারে টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।অন্য অভিযোগের বিষয় বলেন আমি খতিয়ে দেখবো।সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্হা নিবো।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেন্সিডিল মজুদ রাখার অপরাধে বাকেরগঞ্জের মাদক কারবারি কামরুজ্জামান হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত । একই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামী মজিবর রহমান বাবুল ওরফে বিসিক বাবুলকে খালাস দেয়া হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত কামরুজ্জামান উপজেলার হলতা হাওলাদার বাড়ির মৃত ইছহাক হাওলাদরের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় উভয়ই আদালতে অনুপস্থিত ছিল। বেঞ্চ সহকারি রেজাইল ইসলাম লিটন জানান, ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহিদুল তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নগরীর কালিবাড়ি রোডের প্রথম গলিতে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ কামরুজ্জামানকে আটক করে। এসময় তার সহযোগী বিসিক বাবুল পালিয়ে যায়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে কামরুজ্জামান তার ভাড়াটিয়া বাসায় ফেন্সিডিল মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে। পরে দলটি কামরুজ্জামানের ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালিয়ে আরো ৪৪ বোতলসহ মোট ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এঘটনায় একই দিন কোতোয়ালি মডেল থানায় দু’জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন এসআই জাহিদুল ইসলাম। একই বছর ১৬ জুলাই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসি ডিবি এসএম মাহমুদ হাসান আদালতে চার্জশীট জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জনের সাক্ষ্য প্রদান করতে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত আসামী কামরুজ্জামানকে ওই দণ্ডাদেশ দেন। রায়ের সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।