নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছিনতাইকরা ইজিবাইক বিক্রি করতে এসে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছে আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের মুলহোতা পলাশ হাওলাদার (৩২)। আটককৃত পলাশকে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত পলাশ হাওলাদার (৩২) ওই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মাগুরা গ্রামের আশরাফ হাওলাদারের পুত্র ও আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের মুলহোতা। সূত্রমতে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসতে পারে চালক মামুন রাঢ়ীকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই এবং অমানুষিক নির্যাতনের পর হাত ও পা বেঁধে অচেতন করে রাকিব হাওলাদারের ইজিবাইক ছিনতাইয়ের মূলরহস্য।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পলাশ হাওলাদার ও তার দুইজন সহযোগি সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে কমলাপুর গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির কাছে ছিনতাইকরা একটি ইজিবাইক বিক্রি করতে আসে। এসময় ওই ব্যক্তির সন্দেহ হলে সে পলাশের কাছে ইজিবাইক ক্রয়ের কাগজ দেখতে চায়। এসময় দ্রুত পলাশ ও তার সহযোগিরা ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ইজিবাইকসহ পলাশকে আটক করা হলেও তার অপর দুই সহযোগি পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে কমলাপুর গ্রামের নজরুল হাওলাদারের পুত্র রাকিব হাওলাদার নিজের ইজিবাইকসহ ভুরঘাটা বাসষ্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হন। পরেরদিন সকালে ইল্লা নামক এলাকার একটি ঘেরের পাশে অমানুষিক নির্যাতনের পর হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা রাকিবকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার ইজিবাইকটির কোন সন্ধান মেলেনি। এরপূর্বে গত বছরের আগস্ট মাসে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বার্থী হাইস্কুল সংলগ্ন খাল থেকে অর্ধগলিত জবাই করা মামুন রাঢ়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গৌরনদীর বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ড থেকে নিজের ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হয়েছিলেন উজিরপুরের উত্তর মোড়াকাঠী গ্রামের আব্দুছ ছালাম রাঢ়ীর পুত্র মামুন রাঢ়ী। চাঞ্চল্যকর মামুন রাঢ়ী হত্যা মামলাটি পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্তের পর সিআইডিতে হস্তান্তর করেন। অদ্যবর্ধি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামুন হত্যার কোন ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

অপরদিকে আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়মগরা বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইজিবাইক চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর ওই যুবক জানায়, সে মাদারীপুর জেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি গ্রামের জহিরুল মাতুব্বরের পুত্র শফিকুল (২৩)। তার বড় ভাইর ইজিবাইক নিয়ে সে বের হলে মাদারীপুর থেকে অজ্ঞাতনামা পাঁচ ব্যক্তি তাকে ভাড়া করে। পথিমধ্যে তার ইজিবাইক থামিয়ে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে উঠিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অপ্সান করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়।

ভোলার তজুমদ্দিনে নিজ ঘর থেকে যুবকের হাত-পা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি মস্তিষ্ক বিকৃত এ যুবক নিজের শরীরে নিজে কুপেয়ে জখম করে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

থানা পুলিশ ও প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে বৌবাজার এলাকার বিপুল চন্দ্র বর্ণিকের মস্তিষ্ক বিকৃত ছেলে প্রদীপ বর্ণিক (২৮) বসত ঘরের কে বটি দিয়ে নিজের হাতে পায়ে কুপিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহতের পিতা বিপুল বর্ণিক বলেন, প্রদীপের মাথায় সমস্যা ছিল, পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনিল বাবাজীর কির্তনে গিয়েছিলাম। ওখানে সমস্যা দেখা দিলে ছেলে বাসায় রেখে যাই।

মা শচী রানী বলেন, আমি পেসারের রোগী, বাসায় ছিলাম। প্রদীপ রুমের দরজা বন্ধ করে ঘরে থাকা বটি দিয়ে নিজেকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে লোকজন ডেকে মই এনে রুমের দরজা খুলে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রদীপ বেঁচে নেই।

ওসি তদন্ত এনায়েত হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পায়ে আংশিক ও বাম হাত সম্পূর্ণ কাটা লাশ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে পাঠিয়েছি। এলাকাবাসী জানান, ছেলেটি মানষিক বিকারগ্রস্ত রোগী, এর আগেও সে নিজেকে একই ভাবে কুপিয়ে জখম করেছে।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইদের মারপিটে গুরুতর আহত রেজাউল শেখ (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মনিরুল শেখ (৩৬) নামে নিহতের এক চাচাতো ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার ডাকরা গ্রামে হাসেম শেখের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। এসময়ে ভাইদের মারপিটে গুরুতর আহত হয় রেজাউল শেখ (৫০)।
তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মনিরুল শেখ (৩৬) নামে নিহতের এক চাচাতো ভাইকে আটক হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চলমান সব পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের (চলতি দায়িত্ব) দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) সাজ্জাদ উল্লাহ মো. ফয়সাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান সব পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ববির প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অবশ্য অনলাইনে ক্লাস চলবে।

উল্লেখ, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ববির বিভন্ন বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৮ ডিসেম্বর। এর আগে করোনার কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

 

গত দুই থেকে আড়াই মাস আগে  ভোলার এক সাংবাদিক, আমার সাথে কথা আছে এই বলে  আমাকে ডেকে নিয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিনের হোটেল চিলেকোঠায় আমার সাথে বসে। এবং আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাপের মুখে রেখে একটি ভিডিও রেকর্ড তৈরি করে। ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দিবে এই বলে প্রায় আমাকে ভয়-ভীতি দেখায়। এবং গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তার নিজ ফেসবুক ওয়ালে উক্ত ভিডিওটি আপলোড করে। যা আমার জন্য মানহানিকর।মূলত আমি সম্পূর্ণ ভিডিওতে যা বলেছি তা না দেখিয়ে, ভিডিওটির মূল অংশ কেটে,আমাকে প্রশাসনের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এডিট করে আপলোড দিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে আমি হেলাল ভূইয়া এক জন মাছ ব্যবসায়ী। কিছু কুচক্রী মহল ব্যবসায়ীক সম্মান নস্ট করতে সাংবাদিক ভাইকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে  আমাকে  সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক

মোঃ হেলাল ভূইয়া

মাছ ব্যবসায়ী

ভোলা বোরহানউদ্দিন।

মো:রাজিবুল হক রাজু(বরগুনা প্রতিনিধি)

মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার হাতেম আলীর মৃতুত্যে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে দুপুর ১•১৫ মি.সময় তাহার নিজ বাড়ীতে বার্ধক্য জনিত কারনে ইন্তেকাল করেন।
বরগুনার বামনা উপজেলার রুহিতা গ্রামের কৃতিসন্তান যুদ্ধকালীন ৯ নং সেক্টর, বুকাবুনিয়া সাব সেক্টর এর তালতলী-কলাপাড়া এলাকার কমান্ডার সেনাবাহিনীর অবঃ প্রাপ্ত সুবেদার মোঃ হাতেম আলী হাওলাদার (৯২) মৃত্যুতে গতকাল শনিবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনিতীবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


যুদ্ধকালিন তিনি বরগুনার তালতলির আগাঠাকুরপাড়ায় ১০ই ডিসেম্বর দুপুরে এবং কলাপারা ও পাথরঘাটাতেও কয়েকদফা পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করেন এবং তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে বীরত্বেরসাথে দ্বায়িত্বপালন করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক || অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছে ইয়ামা লাভার্স বাংলাদেশ।
 
রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইয়ামা লাভার্স বাংলাদেশ এর সদস্যবৃন্দর  নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন Yamaha Lover’s Bangladesh (YLB) এর পক্ষ থেকে অয়ন ,সায়েদ, আমিনুল, নবাব, রাব্বী, আরিফ, সাইফ, রানা , আবির, রাকিব, আরও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ।

একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ এর প্রথম প্রহরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বরিশাল উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনারের কার্যালয় (ডিএলআরসি) এর কর্মকর্তা-র্কমচারীবৃন্দ।

শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার তরফদার মো: আক্তার জামীলের নেতৃত্বে ডিএলআরসি অফিসের কর্মকর্তা-র্কমচারীবৃন্দ, বরিশাল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মেহেদী হাসান এবং সদর উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-র্কমচারীবৃন্দ রাত ১০:০০ টার মধ্যেই সার্কিট হাউজের সামনে এসে উপস্থিত হন। এরপর সকলে খালি পায়ে হেঁটে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এরপর নির্ধারিত সময়ে রাত ১২:০১ মিনিটে তারা বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি তারা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরসহ নাম না-জানা শহীদ ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে রচনা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি। তাদের আত্মদানের স্মৃতিকে মনে রেখে সারাদেশে উদযাপিত হয়ে আসছে মাসজুড়ে অমর একুশে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে।

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফা তালুকদারের বিরুদ্ধে শত বছরের রেকর্ডিও খাল দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে উদয়কাঠি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা তালুকদার জনগুরুত্বপূর্ণ খালের ভিতরে বাধ দিয়ে শ্রমিকের মাধ্যমে মাটি দিয়ে খাল ভরাট কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ ননী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহাকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানিয়ে খাল ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন। ওই খালটি দিয়ে এলাকাবাসী চলাচল ও খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া খালটি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনেও ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি রক্ষায় এর ওপর কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারীভাবে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। খালের সম্পত্তি নিজেদের মালিকানা দাবি করে তা ভরাট করে দখল চেষ্টা চালান ওই আওয়ামী লীগ নেতা। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রভাবশালী ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে বাধা দিতে ভয় পেয়ে তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের শরনাপন্ন হন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উদয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ ননী বলেন,বর্তমান সরকার যেখানে দেশের প্রতিটি আনাচে কানাচের খাল খনন এবং অবৈধ দখল মুক্ত করছেন তখন আমার ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ খাল ভরাট করার কথা শুনে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুশান্ত হালদার,সহ-সভাপতি সন্তোষ মিস্ত্রী ও যুগ্ম সম্পাদক স্বপন বিশ্বাস সহ স্থানীয়দের নিয়ে খাল ভরাটে বাধা দিয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে উদয়কাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা তালুকদার দাবি করেন ওই সম্পত্তি খালের নয় তাদের ব্যক্তি মালিকানা। সরকারি সার্ভেযার এনে মাপলে তার এ দাবির সত্যতা পাওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা জানান তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরিশাল নগরীতে পুলিশ সার্জেন্টের হামলায় দুই সংবাদকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেলে নগরীর আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও বাস শ্রমিকদের আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার উদ্দেশ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় দৈনিক আজকের তালাশ এর প্রতিবেদক ফাইজুল ইসলাম ও শিক্ষণবিশ প্রতিবেদক হাসিবুল ইসলাম।

তারা আমতলার মোড় এলাকায় পৌঁছালে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট কাওছার হামিদ তাদের রুপাতলী এলাকায় যেতে বাঁধা দেয়।

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার কথা জানালে ওই দুই সংবাদকর্মীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সার্জেন্ট কাওছার হামিদ।

পরে কাওছার হামিদ সংবাদকর্মীদের গাড়ির কাগজপত্র থাকা স্বত্তেও গাড়ির চাবি নিয়ে যায়, তখন ওই দুই সংবাদকর্মী গাড়ির চাবি নেয়ার কারন জানতে চাইলে সংবাদকর্মীদের মারতে শুরু করেন।

এক পর্যায়ে ওই সার্জেন্ট আমতলার মোড় পুলিশ বক্সে সংবাদকর্মী ফাইজুল ইসলাম ও হাসিবুল ইসলামকে নিয়ে বেধরক মারধর করেন।

এ ঘটনা জানতে পেরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরত্বর আহত অবস্থায় ফাইজুল ইসলামকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা চলছে বলে জানায় দৈনিক আজকের তালাশ কর্তৃপক্ষ।

গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই নাটকীয়তা জন্ম দেয় সার্জেন্ট কাওছার হামিদ। নিজেকে বাঁচাতে উল্টো নিজের পোষাক ছিঁড়ে ওই দুই সংবাদকর্মীর উপর দোষ চাপাতে শুরু করে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া সাংবাদিকদের সাথেও ক্ষিপ্ত হয়ে সার্জেন্ট কাওছার হামিদ বলতে থাকেন, ‘যত বড় সাংবাদিক হউক না কেন ওগো পক্ষে যে সাফাই গাইবে আজকে তারই খবর আছে।

গুরুত্বর আহত সংবাদকর্মী ফাইজুল ইসলাম সহকর্মীদের জানায়, আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমতলার মোড়ে পৌঁছালে সার্জেন্ট কাওছার আমাদের গাড়ি আটকে দেয়।

এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার কথা বললে সার্জেন্ট কাওছার ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এ পর্যায়ে গাড়ির চাবি নিয়ে যায়।

পরে আমরা গাড়ির চাবি নেয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে আমাদের মারতে মারতে পুলিশ বক্সের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে লাইট বন্ধ করে আমাদের দুজনকে বেধরক মারধর করেন।

এক পর্যায়ে কাওছার তার হাতে থাকা ওয়ারলেস দিয়ে আমার মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে। আহত শিক্ষনবিশ সংবাদকর্মী হাসিব জানায়, আমাদের পুলিশ বক্সে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে চর-থাপ্পর ও লাথি দেয়ার পাশাপাশি আমার অন্ডকোষ চেপে ধরে।

আমি সার্জেন্ট কাওছারের কাছে আকুতি-মিনতি করার পরেও সে আমাকে মারতে থাকে আর বলতে থাকে দেখি তোগো সাংবাদিকরা তোগে কিভাবে রক্ষা করে।

অন্যদিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলেই নাটকীয়তার মাধ্যমে নিজেকে বাঁচাতে নিজের উপর হামলার ঘটনা সাজিয়ে শিক্ষণবিশ সংবাদকর্মী হাসিবকে চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করে সার্জেন্ট কাওছার হামিদ।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সার্জেন্ট কাওছার হামিদের মারধরে গুরুত্বর আহত সংবাদকর্মী হাসিবকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরিশালের সাংবাদিক মহল।