নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন ২৮নং ওয়ার্ড (ফিশারি রোড পিছনের) এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র ফারুক হোসেন (৫৮) ওরফে মামলাবাজ ফারুকের বিরুদ্বে এক যুবকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে (০৩নং) আসামী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানীর শিকার ভুক্তভুগী যুবক আদনান হোসেন (২৬) একই এলাকার আলতাফ হোসেনের পুত্র। আদনান হোসেনের পরিবারের দাবী, মামলাবাজ ফারুক হোসেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আদনানের বিরুদ্বে গত ২০ জানুয়ারী সাজানো একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২০/০১/২০২১ তারিখ এয়ারপোর্ট থানায় (মামলা নং- ৪০৪(৫)/১) করা মামলার বিবরনিতে মারামারিতে আদনানের সম্পৃক্ততার কথা বলা হলেও ঘটনার সময় ১১/০৯/২০২১ তারিখ ঘটনার সময় আদনান এলাকায় থাকা তো দুরের কথা, বরিশালেই ছিলোনা। ঘটনার আগের দিনই (১০তারিখ রাতে) আদনান (ক্রিসেন্ট শিপিং লাইনস) সূরভী-০৯ লঞ্চে ঢাকায় গিয়েছেন। ঢাকা বাসাবো’তে একটি মেসে থাকেন তিনি। ১১তারিখ সকালে ঢাকা পৌছিয়ে নীল ক্ষেত গিয়ে বই কেনেন, সন্ধা ৭টায় সিটি কর্পোরেশনের ময়লার বিল, ও সাড়ে ৭টায় ওয়াফাই বিল পরিষদ করেন। পরবর্তিতে ওই দিন’ই তিনি তার মেসের ভাড়া পরিষধ করেন। এখনো তিনি ঢাকা অবস্থান করছেন। যার সিসিটিভি ফুটেজও আদনানের পরিবারের কাছে আছে বলে জানাজায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (এম.বি.এর) শিক্ষার্থী ও মিথ্যা মামলায় ৩নম্বর আসামী হওয়া শিক্ষার্থী আদনান বলেন- আমাকে হয়রানী করার জন্য ফারুক হোসেন এই ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলাটি দিয়েছেন। আমি বর্তমানে মানুষিক চাপে আছে। অভিযোগ রয়েছে ফারুক ইতিপূর্বে অনেকের নামে এধরনের ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে নিজের স্বার্থ উদ্বার করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে ফারুক হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাদিকবার ফোন করা হলেও (০১৭১১-….৩১৫) ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয় সম্বব হয়নি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিরুপায় আদনান হোসেন ও তার পরিবারের দাবী অতি দ্রুত যেন ঘটনার পিছনের ঘটনা খতিয়ে দেখে মামলাবাজ প্রতারক ফারুকের লাগাম টেনে ধরে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করেন। নয়তো হয়রানীর শিকার হতে হতে অচিরেই আদনানের মতো অনেক উজ্জল ভবিষৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সামাজিক সুরক্ষা  ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বরিশাল  বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার (ডিএলআরসি)   তরফদার মোঃ আক্তার জামীল বরগুনা জেলার সদর উপজেলার  তিন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছেন।  ২৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ রবিবার তিনি উক্ত ভূমি অফিসসমূহ পরিদর্শন করেন। বেলা ৯:০০ টায় প্রথমে তিনি সদর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শনে যান এবং ভূমি অফিসের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি ই-নামজারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। এছাড়া মঞ্জুরকৃত নামজারির ডিসিআর ধরে না রাখা এবং যথাসময়ে তা আর্কাইভ করার পরামর্শ দেন। এছাড়া হাট-বাজারের পেরীফেরি নির্ধারণ, চান্দিনা ভিটি  ও অর্পিত সম্পতির লীজ আইনানুগভাবে নবায়ন, মিস কেইসসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ, দেওয়ানী মামলার এসএফ ও অডিট আপত্তির জবাব যথাসময়ে প্রেরণ, সিকস্তি ও পয়স্তি জমির এডি লাইন নির্ধারণ প্রভৃতি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এরপর তিনি একে একে আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং পিতাম্বরগঞ্জ  ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। এখানে তিনি খাস জমিসহ সরকারি সকল সম্পত্তি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় এর নিমিত্ত ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়ারের  চলমান পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত ডাটা সংগ্রহ ও এন্ট্রি প্রদানের নির্দেশনা দেন।

এছাড়া ভূমি অফিসের  সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। এসময় তার সাথে বরগুনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) এর অতিরিক্ত দায়িত্বে কর্মরত বরগুনা সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার এবং ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৫) জোরপূর্বক ধর্ষনের ফলে ওই ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার। এঘটনায় থানায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগি মাদ্রাসা ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব ও উত্যক্ত করে আসছিলো একই গ্রামের মৃত খসরু মাঝির পুত্র বাপ্পি মাঝি (২২)। এরই মধ্যে বাপ্পির সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ছয় মাস পূর্বে বাপ্পি মাঝি ভুক্তভোগির বসতবাড়ীতে এসে তাকে (ছাত্রী) জোরপূর্বক ধর্ষন করে। সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারী ছাত্রীর পেটে ব্যাথা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামী বাপ্পির মা র্ঝনা বেগম ও ভুক্তভোগির খালা তানিয়া বেগম ভুক্তভোগিকে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পরে। পরবর্তীতে বিষয়টি আসামি বাপ্পিকে জানানো হলে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। শুক্রবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বরিশাল বিভাগে এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২৫ জন। এতে সর্বোচ্চসংখ্যক পুরুষ ভোটার বেড়েছে ভোলা জেলায় এবং পটুয়াখালীতে বেড়েছে নারী ভোটার। জেলাওয়ারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার বেড়েছে বরিশালে। আর কম বরগুনায়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চলতি বছরের হালনাগাদ হিসাবে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গত বছর বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নতুন ভোটার বেড়েছিল ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৬ জন।

নতুন ভোটারের সংখ্যা কমার বিষয়ে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে একসঙ্গে ৩ বছরের, অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই সময় যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়েছিল, তখন তাঁরা ভোটার হতে নিবন্ধিত হয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে যাদের বয়স ১৮-এর নিচে, অর্থাৎ ১৫ বছরের মধ্যে ছিল, তাদের নামও হালনাগাদ তথ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ওই সময়ের নিবন্ধিত কিন্তু ভোটার হয়নি, এমন ব্যক্তিরা চলতি বছর ভোটার হওয়ার যোগ্য হলেও নতুন করে আর নিবন্ধন করেনি। এ কারণে এ বছর নতুন ভোটারের সংখ্যা কম হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেটি হয়নি। তবে সারা বছরই উপযুক্ত ব্যক্তি ভোটার হতে পারেন। তবে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানান মো. আলাউদ্দিন।
ইসির হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এবার নতুন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ৬১ হাজার ২১২ এবং নারী ভোটার ৪৬ হাজার ২৩৩। তৃতীয় লিঙ্গের কেউ ভোটার হননি। নতুন এই ভোটার নিয়ে বিভাগের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৫০।
বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার সবচেয়ে বেশি নতুন ভোটার বেড়েছে বরিশাল জেলায়, যার সংখ্যা ২২ হাজার ১০৩ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পটুয়াখালী জেলা। এই জেলায় ভোটার বেড়েছে ২১ হাজার ৩৫০ জন। তৃতীয় অবস্থানে আছে ভোলা। এই জেলায় ভোটার বেড়েছে ১৯ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৩২৩ জন পুরুষ ও ৭ হাজার ৪০৬ জন নারী । ঝালকাঠি জেলায় ভোটার বেড়েছে ১৮ হাজার ৪৮৭ জন। নতুন ভোটার বৃদ্ধির সূচকে পিরোজপুর জেলার অবস্থান পঞ্চম। এই জেলায় ভোটার বেড়েছে ১৪ হাজার ৮৭৫ জন। ছয় জেলার মধ্যে কম ভোটার বেড়েছে বরগুনায়। এই জেলায় নতুন ভোটার হয়েছেন ১০ হাজার ৯৮১ জন।

বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন ভোটার হওয়ার জন্য এবং ভোটারদের তথ্যে ভুল বা গরমিল থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ আছে। এখন অনেকে আবেদন করছেন। এতে ব্যাপক সাড়া আছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর দেশে দুই থেকে আড়াই শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি পায়। এবারও সেই অনুযায়ী বৃদ্ধি পাবে।’
১৭ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটার ১১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৮। খসড়া তালিকায় ২০১৯-২০ সালে নতুন ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাদারীপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজন নিহত। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় মাদারীপুরের শিবচরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সীমানা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বরিশালের উজিরপুর থানার বাবুর খানা গ্রামের আনোয়ার হোসেন তালুকদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৫৫) এবং বরিশালের উজিরপুর থানার পূর্ব দামুড়া গ্রামের মো. জালাল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (১৭)।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে আসা একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার দুপুর ১টায় শিবচরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সীমানা নামক স্থানে এসে এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে এবং দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিবচর হাইওয়ে পুলিশ তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাচ্চর রয়েল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি হাইওয়ে থানা পুলিশের জিম্মায় আছে।’

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মোল্লা আইস কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শাহজাহান হোসেন সম্রাট (৫০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক শ্রমিক। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা বরফ মিলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সম্রাট পিরোজপুরের বাদুরা গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও ফয়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পৌর শহরের মোল্লা আইস ফ্যাক্টরিতে বরফ তৈরির কাজ চলার সময় গ্যাসের একটি সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিলের ভেতরে থাকা বরফকল মিস্ত্রি মো. শাহজাহান ওরফে সম্রাট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর কর্মীরা।

এ ঘটনায় আশপাশে থাকা শিশুসহ আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের জরুরিভিত্তিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গ্যাসের এমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত ও অসুস্থ হচ্ছে মানুষ।

এ সময় ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রিমন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা সুলতানা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবুল ফাতাহ বলেন, একজন নিহত হয়েছেন ও আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে অক্সিজেন সংকটের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

পাথরঘাটা ফায়ার সর্ভিসের ফায়ারম্যান মারুফুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। তবে গ্যাসের বিষাক্ত এমোনিয়া কারণে কাছে যেতে পারিনি। এতে আমাদেরও দুইজন সহকর্মী আহত হয়েছেন।

গৌরনদীতে প্রাইভেটকার ও পিকআপের সংঘর্ষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ইল্লা দাখিল মাদ্রাসার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন- বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এইচএম মাহমুদুর রহমান, তার স্ত্রী ঝর্না সুলতানা, আত্মীয় হাসনা ইকবাল, ইসরাত হোসেন পুন্নী, পিকআপ চালক রনি ও ভ্যানচালক লিটন।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. মাহাবুব ইসলাম জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহমুদুর রহমান ও তার পরিবারের তিন সদস্য একটি প্রাইভেটকারযোগে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গৌরনদীর ইল্লা দাখিল মাদ্রাসার কাছে পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা পিকআপের সঙ্গে ওই প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়।

বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাইওয়ে থানা পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করেছে।

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ৩২ পিস ইয়াবাসহ রাকিবুল ইসলাম (২৮)কে আটক করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। রাত এগারোটার দিকে উপজেলার ঘুটাবাছা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক যুবক কালমেঘা ইউনিয়নের সরোয়ার ইসলাম এর ছেলে রাকিবুল ইসলাম।

বিসিজি স্টেশান পাথরঘাটার স্টেশান কমান্ডার লেঃ ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকা হতে রাত ১১ টারদিকে ৩২ পিস ইয়াবা সহ রাকিবুল ইসলামকে আটক করে কোস্টর্গাড।

পরে আসামীকে পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করলে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও সমমনাদের সমন্বয়ে এবং ২০ দলীয় জোটপন্থী আইনজীবীদের পৃথক দুটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি পদে সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মাসউদ বাবলু এবং সাধারন সম্পাদক পদে বিসিসির প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন পার্থী হচ্ছেন।
অপরদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরমের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আলম পান্না ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন মীর্জা রিয়াজ।
জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপ পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজু জানিয়েছেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিল হচ্ছে আগামী ২৭ জানুয়ারী।

বরিশালের বানারীপাড়ায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় সাক্ষীর স্থলে ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদারের ভাই সেলিম সরদারকে আসামি করায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

১০ জানুয়ারি ভিকটিম (৪৫) বাদী হয়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের করার পর এলাকায় এ তোলপাড় শুরু হয়।

উপজেলার চাখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খিজির সরদারের ভাই সেলিম সরদারকে সাক্ষীর স্থলে ভুলবশত ৩নং আসামি করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে আটকে রাখা এবং মীমাংসা করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদী (ভিকটিম) ওই মামলায় তার ছোট দেবরের শ্বশুর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদারের ছোট ভাই সেলিম সরদারকে সাক্ষী করতে চাইলেও ভুলবশত ৩নং আসামি করা হয়েছে বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে ৮ মার্চ আদালতে পরবর্তী ধার্য তারিখ লিখিত আবেদন করবেন বলেও যুগান্তরকে জানান।

এ ব্যাপারে ওই মামলার বাদী (ভিকটিম) ও তার স্বামী যুগান্তরকে জানান, ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় উত্তর চাখার গ্রামের মাদকাসক্ত আন্টু হাওলাদার (৪৫) পার্শ্ববর্তী ভিকটিমের বাড়িতে একা পেয়ে তার হাত-মুখ বেধে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমের স্বামী চাখার বাজার থেকে বাড়ি ফিরে ধর্ষক আন্টু হাওলাদারকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে।

পরে ভিকটিমের স্বামী মোবাইল ফোনে তার ছোট ভাইয়ের চাচা শ্বশুর সেলিম সরদারকে ঘটনা স্থলে ডেকে আনে। এদিকে সেলিম সরদার ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর তাদের ওপর হামলা চালায় আন্টু হাওলাদারের ভাই সান্টু হাওলাদার, সেলিম হাওলাদার ও তার ছেলে মাইনুল হাওলাদার। পরে সেখানে আন্টু হাওলাদারকে ঘটনাস্থল থেকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে ভিকটিমের পরিবার এ ঘটনাটি সেলিম সরদারের বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদারকে জানান।

এ সময় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে রাজি না হলে ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদারের সামনে তিনি আত্মহত্যা করার ঘোষণা দেন। ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার তাকে সান্ত করার পাশাপাশি তাদেরকে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।

এ সময় পুত্রবধূকে (ভিকটিম) বাড়ি নিয়ে যান শ্বশুর এবং সেখানে তার ভাতিজা পুলিশ সদস্যর ঘরে রাখেন। পরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হলে পুনরায় তারা ঘটনাস্থলের নিজ বাড়িতে ফিরে যান।

এ ঘটনার ১৭ দিন পর ১০ জানুয়ারি ভিকটিম বাদী হয়ে ধর্ষক আন্টু হাওলাদার, ভাই সেলিম হাওলাদার ও ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সেলিম সরদারকে আসামি করে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদারকে সরাসরি আসামি না করা হলেও আর্জিতে তার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে আটকে রাখা ও মীমাংসা করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার  জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীরা তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলার আর্জিতে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনতে ষড়যন্ত্র করছেন।

তিনি  জানান, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি ওই মামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি বরিশাল ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন  জানিয়েছেন।