নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের উজিরপুরে নিখোঁজের দুইদিন পর ঝর্ণা রাণী মল্লিক নামের এক বিধবা নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার মশাং গ্রামের নিহত ওই নারীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগান থেকে ঝুলন্ত লাশ অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, গত দুইদিন যাবত বিধবা ওই নারী নিখোঁজ ছিলো। বুধবার দুপুরে স্বজনরা বাগানে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। এঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন ও নারী ৬ জন। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৯৩০ জনে।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০টি ল্যাবরেটরিতে ১৬ হাজার ৯৭২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৭ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৫৯ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭৭২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৬৬ জনে দাঁড়াল।

শামীম আহমেদ ॥ খাদ্য অধিকার মানবাধিকার এই শ্লোগনের বানি নিয়ে সকল মানুষের জীবিকা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ন করার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে উন্নয়ন সংস্থা খানি এবং ধ্রুবতারা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।

 

আজ বুধবার (৯) ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় নগরীর অশি^নী কুমার টাউন হল চত্বরে খাদ্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালিত হয়। শিবানী চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে একাত্ব প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সনাক জেলা সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ্ সাজেদা,রনজিৎ দত্ত, জহিরুল ইসলাম জাফর,মজিবর রহমান খান,শুভংকর চত্রবর্তী,লিংকন বাড়ৈ প্রমুখ।

 

 

অপর দিকে ধ্রুবতারা উয়ূথ ডেবেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বরিশাল বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়। কিশোর চন্দ্র বালার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক মাহাজিব রেজবি, যুগ্ম সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ কর্মকার,আফরোজা আক্তার লিনা,মাহফুজ রায়হান,বোরহান মারুফ, ইমরান রনি,সৈকত দে,মনির হাওলাদার ও পপি আক্তার প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিবস্ত্র করে ছবি এবং ভিডিও করার নির্দেশ খাদ সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান। এই সংক্রান্ত ফোনালাপের একটি রেকর্ডিং ফাঁস হয়েছে ফেসবুকে। ফাঁস হওয়া ফোন কল রেকর্ডের অডিওতে শোনা যায়, খোদ সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান তার অনুসারী শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাজিবুর রহমানকে কথোপোকথনের এক পর্যায়ে এমন নির্দেশ দেন। ৯ নভেম্বর বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে রেকর্ড হওয়া ফোন কলের অডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
২২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ওই অডিওর একপর্যায়ে শোনা যায়, শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাকে গেস্টরুমে নিয়ে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ও ভিডিও করে রেখে দিতে সাজিবুর রহমানকে নির্দেশ দেন ইমরান খান।

অডিওর ১৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ইমরান খান সাজিবুর রহমানকে বলেন- ‘ও (রুহুল আমিন) যদি ২৮ তারিখ ক্যাম্পাসে আসে গেস্ট রুমে নিয়া যাবি, নিয়া যাইয়া বাইন্ধা কাপড়-চোপড় সব খুইলা ফেলতে পারবি না??…..কাপড়-চোপড় খুইলা যাস্ট বলবি আসসালামু আলাইকুম, আর ক্যাম্পাসে আসবি না। বুজ্জিস না, ভিডিও একটা কইরা রাইখা দিবি, জুতার বাড়ির ভিডিওটা আমি করে রেখে দিছি, মনে কর দুইটা এটাচ করে বাজারে ছেড়ে দিলে…..।’

এ কথোপোকথন ফাঁসের পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন সাজিবুর রহমান। পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালান বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান তার রাজনৈতিক সহযোগীরা।’

বরিশালে সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে এক তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া এবং ওই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিকে শায়েস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার এই ভিডিও দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। কেউবা সুপারইম্যান আক্ষ্যা দিয়েছেন তাকে। তবে আবার অনেকে সমালোচনাও করেছেন, বলেছেন ভাইরাল হওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন তিনি।

ওই তরুণীর সাদিয়া আক্তার মীম নামের আইডি থেকে পুরো ঘটনার বিবরণসহ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে বিবিরপুকুর পার সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। অটোরিকশার মধ্যেই এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি তার পাশে এসে বসে। তরুণী তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে যতই সরে বসেন, ততই সেই ব্যক্তি তার ওপর চাড়াও হন। এক পর্যায়ে ওই তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন বেশ সময় ধরেই। উপায় না পেয়ে হাতে নাতে ধরার জন্য বিষয়টি মুঠোফোনে ভিডিও করছিলেন ওই তরুণী। নগরীর সদর রোডে আসার সাথে সাথেই হাতেনাতে ধরা হয় ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। এরপর তরুণী নিজেই মারধর করেন ওই ব্যক্তিকে।

এই পোস্টের পরই ওই তরুণীকে ফেসবুকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তবে অনেকে আবার দোষারোপও করেছেন।

বিএম কলেজ ছাত্রী ও অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায়ী ওই তরুণী জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নারী হয়ে সে কেন এতো আগ্রাসী ভুমিকা পালন করেছে সেজন্য তার পরিবার স্থানীয়ভাবে চাপে রয়েছে। তাছাড়া যারা তাকে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্ট করেছে তাদেরকে সামনে আনার দাবি জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: সঠিকভাবে পৈতৃক সম্পত্তি বণ্টন না করায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক বৃদ্ধের লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন তার সন্তানেরা। বিবদমান বিষয়টি নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় নুরুল হক ভূঁইয়ার নিথর দেহ দুদিন ধরে পড়ে আছে কবরুয়া গ্রামের নিজ ঘরে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ দাফন করা হয়নি। এই খবর স্থানীয় একাধিক সূত্র সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুল হক ভূঁইয়া গত সোমবার সকাল ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে দ্বন্দ্বে জড়ায় তার দুই পরিবারের সন্তানেরা। সম্পত্তি নিয়ে পূর্ববিরোধের সমাধান না করে বাবার লাশ দাফন করতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নুরুল হক ভূঁইয়ার প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারের পক্ষে রয়েছে ৬ মেয়ে। চট্টগ্রাম স্টিল মিলে চাকরির সুবাধে সুরমা আক্তার নামে সন্দ্বীপের আরেক নারীকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে নুরুল হকের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনি নতুন বাড়ি করে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেই বসবাস করতেন। তাই ওই সংসারের সন্তানেরা আগেই ১৪০ শতক জমি তাদের নামে করে নেন। এ বিষয়ে শুরু হয় নতুন বিরোধ। পরে নুরুল হকের প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা দাবি করে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন।

সমস্যা সমাধান না করেই নুরুল হক ভূঁইয়া সোমবার সকালে মৃত্যুবরণ করলে বাবার সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেন প্রথম স্ত্রীর ছয় সন্তান। এ সময় প্রবাস থেকে বৃদ্ধের ছেলে নুরুল আফছার মোবাইলে গ্রামবাসীকে বলেন, ‘বাবার লাশ দাফনের দরকার নেই। আমরা কাউকে এক কড়া সম্পত্তিও দেব না।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত নুরুল হক ভূঁইয়ার দুই পরিবারের শান্তির জন্য এবং তার লাশ দাফনের ব্যবস্থায় গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

ঘটনাস্থলে থাকা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই পরিবার ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করা হচ্ছে। শিগগিরই মৃতের লাশ দাফন করা হবে।’

প্রায় সাড়ে সাত মাস অবরুদ্ধ থাকার পর ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদারদের কবল থেকে বরিশাল পুরোপুরি মুক্ত হয়েছিল। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা আকাশ-বাতাশ মুখরিত করে তোলে।

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর সকালের দিকে বরিশাল থেকে পাকিস্তান সেনারা গানবোট, লঞ্চ ও স্টিমারে গোপনে পালিয়ে যায়। গোপনে তাদের পালানোর খবর জানাজানি হয় দুপুরে। ভারতীয় বিমান বাহিনী দুপুর দুইটায় বরিশালে হামলা চালায়। দখলদারদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বিকেল তিনটায় বরিশালের অদূরে অবস্থানরত সুলতান মাস্টার ও আবদুল মান্নানের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল প্রবেশ করে শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক (বীর প্রতীক) জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শত্রুমুক্ত ছিল বরিশাল। ১৭ এপ্রিল পাকবাহিনী আকাশ পথে বরিশাল ও পটুয়াখালীতে হামলা চালায়। দ্বিতীয় দফা হামলা চালায় ২৬ এপ্রিল জল, স্থল ও আকাশ পথে। বরিশাল শত্রুকবলিত হওয়ার আগেই বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল স্বাধীন বাংলা সরকারের অস্থায়ী সচিবালয়। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে নিয়ে এই সচিবালয় গঠিত হয়।

মহিউদ্দিন মানিক বলেন, এই ঘাঁটি থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা হত। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানোর কাজ এখান থেকেই সম্পন্ন হত। পাক হানাদাররা বরিশাল শহর দখল করে নেয়ার পর বরিশালের মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে অবস্থান নেয়। তারা মাঝে মাঝে ঝঁটিকা আক্রমণ করে পাক বাহিনীকে কাবু করে ফেলেন। শহরের চারপাশ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর ৮ ডিসেম্বর পাকহানাদাররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় বলে জানান তিনি।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার এনায়েত হোসেন চৌধুরী নিউজজিকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবার বরিশাল মুক্ত দিবসে কোনো কর্মসূচি পালন করবেন না তারা।

মহামারি করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সারাদেশ শঙ্কিত। যার কারণে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। এ সময়েও বরিশাল নগরীর ভেতরে চলাচলকারী গণপরিবহনে নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই।

রাস্তা-ঘাটসহ গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাচল করছেন মানুষজন, আর এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়া যে কোনো সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা থাকলেও গণপরিবহনে এর কোনো বালাই নেই, যাত্রীরা মাস্ক ছাড়াই উঠছেন। এমনকি ওই সব গাড়ির চালকদের মুখেও নেই মাস্ক।গণপরিবহনে অনেক যাত্রীই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার কারো মাস্ক থাকলেও তা মুখের নিচে ঝুলিয়ে রেখেছেন।

দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ থাকলেও তা মানছে না বাস চালকরা। প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাস্ক না ব্যবহারের জরিমানা ও সাজা কমে আসায় মানুষের মধ্যে এমন অনীহা দেখা দিয়েছে বলে মনে করে সুশীল সমাজ।

অঞ্জনা রানী নামে এক মাহিন্দা যাত্রী বলেন, বাড়ি থেকে মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছি, আর এখন তো করোনায় মানুষ মরে না! অযথা কেন মুখ আটকিয়ে রাখবো। যারা বেশি সচেতন তাদের এ রোগে আক্রান্ত হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মুখে মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আমানুর রহমান নামের এক বাস যাত্রীর সোজাসাপটা উত্তর, মাস্ক পরে কী হবে, যে পরিমাণ ঘনবসতি, কোনো শারীরিক দূরত্ব মানার উপায় নেই। করোনা হওয়ার হলে এমনিতেই হবে।

অটোরিকশা চালক সোহেল মল্লিকের মুখেও মাস্ক নেই। সেটা কেন ব্যবহার করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদিন মাস্ক পরে থাকাটা অস্বস্তি লাগে। তাই তিনি কিছু সময়ের জন্য খুলে রেখেছেন।

সচেতন যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, সচেতন না হলে করোনার প্রকোপ বাড়বে। তাই চালক-যাত্রী সবাইকে সচেতন হয়ে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

এদিকে মাস্ক না ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশে নগরীতে প্রতিদিন দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার বলেন, আমরা মাঠে থাকায় মানুষ সচেতন হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে মানুষকে সচেতন করতে এ অভিযান চলমান থাকবে।

অনলাইন ডেস্ক :: করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ৭। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৯০৬ জনে দাঁড়াল।

মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ২০০টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২টি।

একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হন আরও দুই হাজার ২০২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জনে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ এক হাজার ১৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ২৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।

এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত ৬ হাজার ৯০৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ২৮০ (৭৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৬২৬ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৫৫ শতাংশ)।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২২ জন। এছাড়া মৃত ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩, চট্টগ্রামে ছয়জন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন, সিলেটে একজন এবং রংপুরে একজন রয়েছেন।

বাকলার মোড় টু শায়েস্তাবাদ সি.এন.জি ও মাহেন্দ্র আলফা চলাচল নিয়ে দুই গ্রুপে মারামারির ঘটনা ঘঠেছে। আজ সোমবার দুপুর ১ টার দিকে শায়েস্তাবাদ খেয়াঘাট ও বাজার এলাকায় উভয় গ্রুপে এ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় গ্রুপের অভিযোগ সূত্রে জানাযায় আজ দুপুরে শায়েস্তাবাদ বাজারে আলফা স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে সি.এন.জি চালক সোহেল মোল্লা এ সময় অালফা স্ট্যান্ড থাকা চালক এনামুল খা সহ অনন্যা চালকরা বাধা দেয় এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।এর কিছু খন পর ইউনিয়ান আওয়ামীলীগ সভাপতি নাম বলে মীমাংসা করার কথা বলে স্হায়ানী নাসির খানসমা ডেকে আনে অলফা চালকদের। হটাৎ করে সি.এন.জি চালক সোহেল মোল্লা, সুমন খানসমা,মামুন মোল্লা,নজু খানসমা,ইউনুস মোল্লা, জাহাঙ্গীর সহ ৩০ থেকে ৪০ জন হামলা চালায় আলফা চালকদের উপর। এতে আহত হয় আলফা চালক এনামুল খা,সাইফুল খা,ইমরান,মুরাদ,ফারুক ও লিটন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শায়েস্তাবাদ বাজার এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে দুপুর ২ টার দিকে বাকলার মোর থেকে সি,এন, জি চালাক মোকলেস যাত্রী নিয়ে শায়েস্তাবাদ গেলে তাকে আটক করে অলফা চালকরা মারধর করে। মারামারির ঘটনার পর থেকে বাকলার মোর টু শায়েস্তাবাদ অলফা ও সি,এন,জি গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্হিতি থাকায় আজ শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ান আওমীলীগের সভাপতি মামুন তালুকদার মীমাংসা করার কথা রয়েছে বলে একটি সূত্রে থেকে জানাগেছে।