একদিনের সফরে বরিশাল এসে জেলা পুলিশের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনসহ ৩টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। পরে জেলা পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কল্যাণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সোমবার বেলা পৌনে ১২টায় নগরীর পলিটেকনিক রোডে ফিতা কেটে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ৩ তলা ভবনের উদ্বোধন করেন। এর আগে ফলক উন্মোচন এবং বেলুন ও ফেস্টুন উড়ান।

এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার, ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান, র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে পুলিশের একটি চৌকষদল তাকে সালাম ও অভিবাদন প্রদান করেন।

উদ্বোধন শেষে জেলা পুলিশ লাইন্সে বরিশাল রেঞ্জের ৬ জেলা ও মেট্রোপলিটনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। পরে তিনি জেলা পুলিশ লাইন্সের নবনির্মিত প্রধান গেট ও পুলিশ অফিসার্স মেসের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইনস-এ বরিশালের ৬ জেলার পুলিশ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যদের সাথে সভা করেন।

পুলিশের হেফাজতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ছে।নিহত যুবকের নাম লিটন খাঁ (৩৫)। তার বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা থানার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে। পেশায় তিনি সিএনজি চালক। জীবিকার তাগিদে লিটন খাঁ ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। তার তিন সন্তান রয়েছে।

দশমিনা থানা পুলিশ রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাতে তাকে পুলিশ পাহারায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

লিটনের স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, বাড়ির পাশের আক্রাম খান সিনিয়র দাখিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত শনিবার রাতে মাদরাসা-সংলগ্ন বিরোধীয় জমির একটি পুকুরে কে বা কারা বিষ দেয়। এতে ওই পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠে। পুকুরে বিষ দেয়ার ঘটনায় মাদরাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন তার স্বামী লিটনকে সন্দেহ করেন। তবে ওই সময় লিটন ঢাকায় ছিলেন। এরপর মাদরাসা সুপার লিটনের নামে দশমিনা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জমি নিয়ে বিবদমান সমস্যা সমাধানের কথা বলে ফোনে লিটনকে বাড়িতে আসতে বলেন।

 

তিনি বলেন, ‘রোববার আমার স্বামী বাড়িতে আসেন। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় আমার স্বামী ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলেন। রাতে থানা পুলিশ জানায়, আমার স্বামী অনেক অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ (সোমবার) সকালে জানতে পারি, আমার স্বামী মারা গেছেন।’

থানায় নেয়ার সময় লিটন সুস্থ ছিলেন বলে দাবি করেন তার স্ত্রী মাজেদা বেগম। তিনি বলেন, ‘তার শরীরে কোনো রোগ ছিল না। হঠাৎ করে কীভাবে মৃত্যু হলো তা পুলিশই ভালো বলতে পারবে। আমার তিন সন্তান এখন এতিম। আল্লাহ এর বিচার করবেন।’

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়ে লিটন খাঁ নামে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। থানায় আসার কয়েক মিনিটের মধ্যে বাথরুমে যান লিটন। এর পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তার হাতে একটি বোতল ছিল। তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১টার দিকে লিটন মারা যান।

তিনি আরও জানান, পুলিশ হেফাজতে তাকে মারধর দূরের কথা; তার সঙ্গে কেউ দুর্ব্যবহারও করেননি।

 

দশমিনা ও গলাচিপা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, থানায় প্রবেশের সময় কীটনাশকজাতীয় তরলের বোতল লুকিয়ে রেখেছিলেন লিটন খাঁ নামের ওই যুবক। থানায় প্রবেশের চার মিনিটের মাথায় তিনি বাথরুমে যান। এরপর ওই তরল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন লিটন। এরপরও থানার সেন্ট্রি বা কারোর দায়িত্বে গাফিলতি ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার দহাকুলায় দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চাচির সঙ্গে পরকীয়ার কারণে দিনমজুর আজিজকে কুপিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাতিজা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) গ্রেফতার দুইজন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ জানান, দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরমধ্যে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাতিজা নজরুল ইসলামের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, পরকীয়ার জেরে গত শনিবার রাতে আব্দুল আজিজকে বাড়ির পেছনে বাঁশ বাগানে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই দা উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা মোল্যাপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ মোল্যাকে বাড়ির পেছনে বাঁশ বাগানে দা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মোটর সাইকেল-মাহেন্দ্রার সংঘর্ষে আজিজুল হক (৩৫) নামের এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আশোকাঠী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। নিহত আজিজুল গৌরনদী উপজেলার কালনা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার এসআই মুজাম্মেল হক জানান, সোমবার দুপুর বারটার দিকে মহাসড়কের আশোকাঠী ব্রিজের উত্তর পাশে মোটর সাইকেল-মাহেন্দ্রার সংঘর্ষ হয়। এতে মোটর সাইকেল চালক আজিজুল ও মাহেন্দ্রা চালক গুরুতর আহত হয়। স্বজনরা মোটর সাইকেল চালক আজিজুলকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার (আজিজুল) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাহেন্দ্রাটিকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উত্তর উলানিয়াতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উলানিয়া উত্তর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিঠু চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রোববার (৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার সংবাদ পৌঁছালে তার সমর্থকদের ওপর এলোপাথাড়ি হামলা চালায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের নেতৃত্বে উত্তর ইউনিয়নের সলদি গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিঠু চৌধুরীর সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে ওই হামলা চালানো হয়।


এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজল রাড়ি (৬০), হাকিম রাড়ি (৫৫), উকিল রাড়ি (৪৮) ও মাইদুল রাড়িকে (২৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং তাদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়।

খবর পেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল, এসআই মিজান ও এসআই রবীন্দ্রনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের উদ্ধার করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবিদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. এসকেন্দার হাওলাদার (৮০) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন।গতকাল রোববার সন্ধ্যার পরে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রুহিতারপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তিনি মৃত মোনতাজ উদ্দীন হাওলাদারের বড় ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই আ. বারেক হাওলাদার জানান, নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে রাস্তা পাড় হয়ে বাড়ি ফেরার পথে একটি বাস পেছন দিয়ে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঘাতক বাসটিকে আটক করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ বরিশাল শের-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে পদ্মা নদীতে একটি ডাম্প ফেরি ডুবে গেছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে ফেরিটি পুরো ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার আসার পথে ড্রেজারের পাইপে ধাক্কা লেগে ডাম্প ফেরি রানীগঞ্জের তলায় ফাটল ধরে। পরে যাত্রী ও যানবাহন ঘাটে নামিয়ে নোঙর করা হলে ফেরিটি ডুবে যায়।

বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১২টার দিকে ডাম্প ফেরি রানীগঞ্জ শিমুলিয়া ঘাট থেকে ২২টি যানবাহন নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আসার সময় নদী খননের ড্রেজারের পাইপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

এ সময় এটির তলা ফেটে যায়। পরে রাত ৪টার দিকে দ্রুত ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটে এনে যানবাহন নামিয়ে নোঙর করে রাখা হয়।

তবে ভেতরে পানি প্রবেশ করে পুরো ফেরিটি ডুবতে থাকে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুরো ফেরিটি পদ্মায় ডুবে যায়।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এ সময় নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে বরিশাল নগরীতে বিশাল জনসমাগম হয়।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

বিজ্ঞাপন
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুচ বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনেও এই মৌলবাদী চক্র জামায়াত ইসলাম ও তাদের সহযোগীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেই জামায়াত আর ধর্মন্ধগোষ্ঠি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। শেখ হাসিনার বাংলায় স্বাধীনতা বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। জাতির জনকের ভাস্কর্য এদেশে হবেই, তাতে কেউ বাঁধার সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিক প্রতিহত করা হবে।’

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীরসহ ত্রিশ ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা। এসময় মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

বরিশালে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে আমেনা বেগম (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বান্দররোডস্থ প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আমেনা বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদি সিকদারপাড়ার ফরিদ সিকদারের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজমিস্ত্রি সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে রূপাতলী থেকে দু’জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চঘাট যাচ্ছিল একটি অটোরিকশা।


পথে প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্কের সামনে সংস্কারাধীন সড়ক অতিক্রমকালে রূপাতলী থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে গেলে এর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন আমেনা।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের হিজলায় উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর স্থানীয় স্থানীয় দুই সাংসদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং পঙ্কজ দেবনাথের কর্মীদের এই সংঘাতে অন্তত ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে দুগ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়ে মাঠে নামলে হাসানাত অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ টিপু সিকদার এবং পঙ্কজ অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলেও এই সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে হিজলায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে বরিশাল-১ আসনের এমপি (মন্ত্রী মর্যাদা) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ টিপু সিকদার এবং বরিশাল-৪ আসনের (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) সাংসদ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলনের কর্মীরা। পঙ্কজ অনুসারীরা আগেভাগেই উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন এবং উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন। সমাবেশ চলাকালে বিশালাকারের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে একই স্থানের দিকে হাসানাত আব্দুল্লাহ অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুলতান মাহামুদ টিপু সিকদার আসতে চাইলে তাতে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলনের কর্মীরা বাধা দেয়। এনিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।

একাধিক নেতাকর্মী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন- ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে উভয় নেতার কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় নেতার অন্তত ২০ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতাল ও বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এর আগেই পুলিশ ভুমিকা রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এই বিষয়ে জানতে হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।