ভোলার চরফ্যাসনে দুই যুবকের গলাকাটা পোড়া লাশের মাথা উদ্ধার করেছে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার সময় উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের ঘটনাস্থল থেকে এক হাজার গজ উত্তরে ফরাজি বাড়ির মহিবুল্লাহ’র বাথরুমের ট্যাংকি থেকে পোড়া লাশের মাথা দুইটি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) জোড়াখুনের মুলহোতা সিরাজুল ইসলামকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল বিকালে আসলামপুর ইউনিয়নের জনৈক মহিবুল্লাহ’র বাড়ীর সেফটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে জোড়া খুনের মাথা দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল আছলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরী ব্রিজের সংলগ্ন ভুঁইয়াদের ছাড়া বাড়ি থেকে মাথা বিহীন ২টি পোড়া লাশ উদ্ধার করে চরফ্যাসন থানা পুলিশ। দুর্বৃত্তরা এই বাগানে গলা কেটে দুই যুবককে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সময় মাথা বিহীন পোড়া লাশ দুটি দেখে চরফ্যাসন থানার পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে ভোলায় দাফন করেন৷ এ ঘটনায় এস আই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা করেন।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন মিয়া জানান, এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারী-পুরুষসহ ৭ জন কে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মাথা দুটি ডিএন এ টেস্টের জন্য পাঠানো হবে। খুবই শ্রিঘ্রই লাশের পরিচয় এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে পৌর সভা ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মতিন মোল্লা জানান, ৩নং ওয়ার্ডের (বেলার বাপ নামে পরিচিত) উৎকণ্ঠ শীলের দু‘পুত্র তপন শীল(৫২) ও দুলাল শীল (৫৫) নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ লাশ দুটি তাদের।
স্থানীয়রা জানান, তারা পরি ভারত বসবাস করত। এই সহদোর দুই ভাই পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডে ৫৬শতক জমি বিক্রি করেছে আসলামপুর ৪নং ওয়ার্ডের আবু জাফর ওরফে জাফর ফরাজীগংদের কাছে। জমির লেন-দেন নিয়ে এই ঘটনাটি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তাদের ধারনা।
পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল মিজানুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্ধেহে বৃহম্পতিবার বিকালে মূল হোতা সিরাজুল কে আটকের পর তা দেয়া তথ্যাঅনুযায়ী সন্ধ্যায় আবু জাফর ওরফে জাফরকটা বাচ্চা ফরাজী(৬২) ও তার স্ত্রী, মো. আবুল কাশেম(২২), হেলাল উদ্দিন(২৫) ও আলী আজগর(৩৫)সহ ৭জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।