গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৭২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জনে। মৃত ১৮৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১২১ জন এবং ৬৪ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৪৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৩৫টি।
এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৭ হাজার ২৩১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫১ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে সাত জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৯২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন ও শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।