বরিশার নগরীর পলাশপুর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে মহানগরীর কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল নিশ্চিত করেছেন।ওই গৃহবধু হলেন তানিয়া বেগম (১৮)। তিনি পলাশপুর এলাকার দিনমজুর সাগর সিকদারের স্ত্রী।
ঘটনাস্থলে থাকা কাউনিয়া থানার এসআই তানজীল আলম জানান, স্বামী-স্ত্রী দুপুরে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলো। বিকেলে স্বামী সাগর ঘুম থেকে জেগে স্ত্রী তানিয়ার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছে।
এসআই আরও জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর পরিবার দাবী করেছে।
তানিয়ার মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে জানিয়ে এসআই তানজীল বলেন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রহমান জানান, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেয়রের চাচা আলী হোসেন জানান, ৭নং পলাশপুর এলাকার খলিলুর রহমানের কন্যা তানিয়া। চার বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেশায় দিন মজুর জামাতা সাগর মাদকাসক্ত। ঠিকমতো আয় রোজগার করে না। তাই যৌতুকের জন্য প্রায়ই ভাতিজীকে মারধর করে।
চাচার অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়। হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
তানিয়ার মা জানান, সকালে কন্যা বাসা থেকে ৫০০ টাকা ও কবুতরের বাচ্চা নিয়ে স্বামীর বাসায় গেছে। তখন সে স্বাভাবিক ছিলো। তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না বলে দাবি মায়ের। গলায় কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই দাবি করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন বলে জানান তিনি।