নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মোঃ মেহেদী হাসান প্লাবনকে সভাপতি ও মোঃ হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (বিইউসিসি)
এর নতুন কমিটি নির্বাহী কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। গত ৯ই অক্টোবর সংগঠনটির বার্ষিক সভায় ২০২০-২১ মেয়াদে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির নীতি নির্ধারকেরা।

এবারের বার্ষিক সাধারণ সভা ছিলো বিগত বছরগুলো থেকে পুরোপুরি ভিন্ন যা ভার্চুয়ালি পরিচালিত হয়। এবার পূর্নাঙ্গ কমিটি অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির উপদেষ্টামন্ডলী আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী অধ্যাপক, ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিস বিভাগ এবং মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিস বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর উপস্থিতিতে পূর্বের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় নতুন কমিটি ঘোষণা করে। এ বছর পূর্ণ কমিটি এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ১১ জন সদস্য। ৩১ সদস্যর এই নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে ১৮ জন সিনিয়র এবং ১৩ জন জুনিয়র নির্বাহী নিয়ে।

নতুন এই দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন যথাক্রমেঃ

সভাপতিঃ মোঃ মেহেদী হাসান প্লাবন, সহ-সভাপতিঃ মোঃ জালালউদ্দিন রুমি, সাধারণ সম্পাদকঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ( প্রশাসন): রুবাইয়া ইসলাম শান্তা, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ( পরিকল্পনা ): জান্নাতুল ফেরদৌসি জান্নাত, ৬ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হেড অফ আইটি সম্পাদক: সাকিবুল ইসলাম , সাংগঠনিক সম্পাদক: তৌহিদুল ইসলাম, হেড অফ অপারেশনঃ মোঃ আনিসুর রহমান বিপ্লব।

এছাড়া নতুন কমিটির অর্থ সম্পাদক: মোঃ শাওন হাওলাদার , অর্থ সহায়তা সম্পাদক: চার্লস শোভন বারই, হেড অফ রিসার্চ ও উন্নয়ন সম্পাদক: মোসাঃ তাসরিফা আক্তার, হেড অফ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পাদক: শাহরিয়ার আদনান, প্রচার সম্পাদক: মোঃ ইলিয়াস ,সহকারী প্রচার সম্পাদক: উম্মে হাফসা এবং ১১ জন কার্যনির্বাহী সদস্য।

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গত ১০ অক্টোবর ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. মইনুল হাসান জানান, ২০১৭ সালের ২ আগস্ট গলাচিপা আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে নির্জন ঘরে বিভৎস অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত দেলোয়ার মোল্লা (৬৫), তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৬৫) এবং পালিত কন্যা কাজলী আক্তারকে (১৫) বসত ঘরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইদ্রিস মোল্লা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় দেলোয়ার মোল্লার বোন পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে গলাচিপা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি সংযুক্ত করে পুলিশকে তদন্ত করার জন্য আদেশ দেন।

এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর ঢাকার পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ এলাকা থেকে মোহাম্মদ আবু রায়হানের কাছ থেকে নিহত কাজলী আক্তারের খোয়া যাওয়া নোকিয়া 1280 মডেলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আবু রায়হান জানান তার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে তার ফুপুর ননদের স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে এই মোবাইলটি দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মামলার তদন্তকারী অফিসার গলাচিপা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে সাভার থেকে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি ভাড়া বাসা থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, শহিদুল ইসলাম তার নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীর রাখেন। ওই নামে একটি ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং অটোরিকশা চালাতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম হত্যার বিষয় স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার শহিদুল ইসলামকে আজ আদালতে হাজির করা হবে।

তবে কী কারণে এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ।

বরিশাল প্রতিনিধি :: বরিশালে শিশু রনি (১১) হত্যা মামলায় আপন মা কনা বেগমসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এ রায় দেন বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শহীদ আহম্মেদ।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, রুহুল আমীন নলি ও শাহীন নলি। তারা সম্পর্কে দুই ভাই।

মামলার নথির বরাত দিয়ে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক জানান, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর হাট থানার পশ্চিম রতনপুর এলাকায় মায়ের পরকীয়ার সম্পর্ক ছেলে রনি দেখে ফেলে। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মা কনা বেগম ও তার দুই পরকীয়া প্রেমিক রুহুল আমিন নলি ও শাহীন নলি যোগসাজশে রনিকে হত্যা করে।

ঘটনার পরের দিন রনির বাবা লকিত উল্লাহ দোয়ারী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশের তদন্ত সাপেক্ষ আসামিদের স্বীকারোক্তিতে চার্জশিট দেন।

এরপর ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এ আদেশ দেন বিচারক। আদেশের সময় মা কনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। আরেক দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন নলি পলাতক রয়েছেন।

অনলাইন ডেস্ক :: নেত্রকোনার পূর্বধলায় গৃহবধূ লিপি আক্তারকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার চাচাতো দেবর রাসেল মিয়া রোববার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পূর্বধলা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসেল শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। পরে রোববার তাকে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে নেয়া হলে সেখানে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৪ অক্টোবর ভোরে পূর্বধলা উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী লিপি আক্তারকে গলাকেটে হত্যা করে তার চাচাতো দেবর রাসেল। এ সময় রাসেল নিজেও তার গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হত্যাকাণ্ডের সময় লিপির স্বামী আজিজুল বিজিবির পঞ্চগড় এলাকায় কর্মরত ছিলেন। আলিফ নামে তাদের ১২ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে লিপি বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর আজিজুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন।

রাসেল পূর্বপরিকল্পিতভাবে লিপির ঘরে প্রবেশ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর নিহত লিপির বোন ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে রাসেলসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীর সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের ৭ মাস ধরে বন্ধ থাকায় বকেয়া বেতন পরিশোধসহ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দের’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে একই দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক সংগঠক বেল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা নুরুল হক ও হারুন শরীফ প্রমুখ। এসময় বক্তারা ৭ মাস ধরে বন্ধ থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধসহ কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে একই দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে গিয়ে অবস্থান নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার সেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী (১২) অবশেষে মা হয়েছেন। মেয়েটি গত সোমবার রাতে রংপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। পরিবারটি অতিদরিদ্র হওয়ায় স্থানীয় ইউডপি চেয়ারম্যান ওই ধষির্তা মায়ের যাবতীয় ব্যয় বহন করেন।
পুলিশ জানায়, বুড়িমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৫) চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশুটিকে একাধিকবার ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির (ছাত্রীর) বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর (১২) দিনমজুর বাবা-মা পাথর ভাঙার মেশিনে কাজ করতেন। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী একই ইউনিয়নের দুই সন্তানের জনক ওয়াজেদ আলী দীর্ঘদিন ধরে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিতা মেয়েটি মা হয়েছে। তবে আসামি পলাতক থাকায় এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালসহ বরগুনা শহরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। বরিশালে কয়েকজন কিশোরকে ধরে সতর্ক করে ছাড়া হলেও গ্যাংলিডারের উগ্রভাবে রাখা চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। আর বরগুনায় এক গ্যাংলিডার ও অন্য এক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। বরিশাল নগরীর বিনোদন স্পটগুলোতে এদের অপতৎপরতায় বিপাকে পড়ছেন ভ্রমণপিপাসুরা থেকে শুরু করে সাধারণ নারী-পুরুষ। শনিবার রাতে এমন একদল কিশোর গ্যাংকে পাকড়াও করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ সময় উগ্র গ্যাং লিডারের চুল কেটে দেয় ডিবি পুলিশ। রোববার (১১ অক্টোবর) ভিডিওর মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ দাবি করেছে, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে, চলবে।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মাহি  জানান, শনিবার রাতে নগরীর আমতলা পানির ট্যাংকের লেকের পাড়ে ১০ থেকে ১৫ জন কিশোর আড্ডা দিয়ে হই-হুল্লোড় করছিল। তাদের অপতৎপরতায় লেকে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ অস্বস্তির মাঝে ফেলে দেয়। এই বিষয়টি ডিবি পুলিশের নজরে আসলে কিশোরদের পাকড়াও করেন। তাদের নেতৃত্ব দেওয়া এক কিশোরকে (১২) উগ্রভাবে চুল রাখায় পাশের সেলুনে নিয়ে তা কেটে দেওয়া হয়েছে।

মহিউদ্দিন মাহি বলেন, ওই কিশোর উগ্রভাবে চুলে রং করেছে, কানে দুল পরেছে, শরীরে উলকা এঁকেছে। কিশোর হওয়ায় তাদের সবাইকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, পানির ট্যাংকের লেকসহ নগরীর বেশ কয়েকটি স্পটে কিশোর গ্যাং তৎপর। আড্ডার নামে নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। এসব স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, জানান তিনি।

অন্যদিকে বরগুনায় কিশোর গ্যাং লিডার রুহুল মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে শহরের চরকলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে পাকড়াও করা হয়।

রুহুল পৌর শহরের উপকণ্ঠে লাকুরতলা এলাকার ইউসুফ মল্লিকের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চুরি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা ধরনের অপরাধ করে আসছিল। রুহুলের বিরুদ্ধে মারামারি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোট দুটি মামলা রয়েছে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর চরকলোনি এলাকার গ্যাংলিডার সানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রুহুল ও সানি দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভ টিজিংসহ ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল।

সম্প্রতি বরগুনার গ্যাং গ্রুপ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহাদী হাসান বলেন, অপরাধী যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পত্রিকায় যাদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাদের বিষয়েও তদন্ত চলছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালে যুবকের সাথে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে যুবকের সাথে যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগ অস্বীকার করেন পুলিশের হেফাজতে থাকা আইনজীবী শামসুল হক। ওই আইনজীবীর অপরাধ প্রমাণিত হলে তার দায় সমিতি নেবে না বলে জানিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।
অভিযুক্ত শামসুল হক নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম সময়ের আলোকে জানান, অভিযোগকারী যুবক রাজিব রায় নগরীর কাউনিয়া প্রথম লেনের বাসিন্দা বিভুতি রায়ের ছেলে। তৃতীয় লিঙ্গের কথা বলা হলেও তিনি তৃতীয় লিঙ্গের নন এমনটি দাবি করেন। তবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষর সাথে চলাফেরা করেন বলে স্বীকার করেছেন।

ওসি জানান, শনিবার রাতে রাজিব রায় (২৪) কোতয়ালি মডেল থানায় আইনজীবী শামসুল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৮ মাস ধরে শামসুল হক তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে আসছে। যৌন সম্পর্কের ভিডিও ক্লিপ পুলিশকে দেন তিনি।

এ ঘটনায় মামলা রুজুর পর ওই রাতেই আইনজীবী শামসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে রোববার বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিকেল ৩টায় আদালতের সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এই তথ্য ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সোহান  নিশ্চিত করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই ফজলুল হক
বরিশালটাইমসকে জানান, অভিযোগকারী যুবককে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়।

ভিকটিমের শারীরিক এবং ডায়াগনোসিস পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে পাঠানোর কথা বলেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. রেফায়েতুল হায়দার।

পুলিশের তদন্তে ওই আইনজীবীর অপরাধ প্রমাণিত হলে বিষয়টি নিন্দনীয় হবে বলে  জানিয়েছেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম। এমন জঘন্য অপরাধ প্রমাণিত হলে এর দায় ব্যক্তির ওপর বর্তায় মন্তব্য করে তিনি বলেন- আইনজীবী সমিতি কোনো ভাবেই এর দায় নেবে না।

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ভাসুর মঙ্গল খানকে গ্রেফতার করেছে।

আজ রবিবার দুপুরে হিজলা থানার ওসি অসিম কুমার সিকদার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতিতা গৃহবধূ তার স্বামীকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকার একটি বস্তিতে বসবাস করেন। অতিসম্প্রতি ওই গৃহবধূ একা গ্রামের বাড়িতে আসেন। গত দুই সপ্তাহ পূর্বে গ্রামের বাড়িতে রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় গৃহবধূর আপন ভাসুর মঙ্গল খান মধ্যরাতে তার রুমে প্রবেশ করে মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে গৃহবধূর স্বামীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, গৃহবধূ পরেরদিন সকালে বিষয়টি তার শ্বাশুড়িকে জানালে সে ঘটনাটি চেঁপে যাওয়ার জন্য বলে। ঘটনার পরপর গৃহবধূকে তার ননদ ঢাকায় পৌঁছে দেয়। সেখানে (ঢাকা) গিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামীর কাছে খুলে বলেন। পরবর্তীতে ওই গৃহবধূকে নিয়ে গত ৯ অক্টোবর তার স্বামী গোপনে মুলাদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমানের কাছে হাজির হয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। তিনি হিজলা থানার ওসিকে ঘটনার বিবরণ শুনে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে তার ভাসুর মৃত হাসেম খানের পুত্র মঙ্গল খানের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মঙ্গল খানকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ থাকবে।

নিষিদ্ধ এই সময়ে বরিশাল জেলায় ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকা ৪৭ হাজার জেলের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে মোট ৯৪০ মেট্রিক টন চাল বিরতণ করা হবে।

ইতোমধ্যে এসব বরাদ্দকৃত চাল জেলা থেকে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৭৫ হাজার ৬৯১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকা এবং হত-দরিদ্র অনুযায়ী বিশেষ বিবেচনায় ৪৫ হাজার জেলেকে এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলের সংখ্যা ও চাল বরাদ্দের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আগের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। কারণ এই সরকার ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম এবং নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা শিকারে বিরত থাকা জেলেদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বিশেষ ভিজিএফের চাল বিতরণ করছে।

তাই জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ ও সহায়তায় কোনো ধরনের অনিয়ম-আত্মসাতের ঘটনা ঘটলে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।