নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে গৌরনদী উপজেলায় পুকুরে ডুবে রহস্যজনকভাবে ৪৫দিন বয়সের এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা উমেদআলী গ্রামে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে কিছুক্ষন পর তাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির পুকুর থেকে শিশু কন্যা রুকাইয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা গৌরনদী মডেল থানার এসআই মোঃ হারুন-অর রশিদ জানান, ওই গ্রামের নানা মৃত আব্দুল হালিম আকনের বাড়িতে মায়ের সাথে বেড়াতে আসে পাশ্ববর্তী কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মেলকারের শিশু কন্যা রুকাইয়া। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঘর থেকে রহস্যজনকভাবে শিশুটি নিখোঁজ হয়।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃনগরীর ফলপট্রি মোড় সংলগ্ন লুবাবা সুজ এর বিরুদ্ধে বিদেশী চায়না জুতার নাম করে নিম্ন মানের বাংলা জুতা বিক্রির অভিযোগ করেছে ক্রেতারা।ক্রেতাদের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ১ জানুয়ারি দুই ক্রেতা ১৮ নং চকবাজার ফলপট্রি মোড় লুবাবা সুজ থেকে ১৭ শ ৫০ টাকা দরে ২ জোড়া কেস এন্ড সু ক্রয় করেন।নিম্ন মানের কেস সু(জুতা) হওয়ায় ক্রেতা মাস খানেক পায় দিতে না দিতেই জুতার তলা ফেটে যায়।ওই ক্রেতা গত দুই দিন অাগে লুবাবা সুজ ম্যানেজার জাহিদকে জানালে তিনি নানা চায়না জুতা বলে তাল বাহানা কথা বলেন ক্রেতার সাথে।এর অাগে যখন জুতা ক্রয় করতে যাই তখন তার সেলম্যান নানান ফুলঝুরির কথা বলেন,৬মাস ১বছরে এই জুতার কিছু হইবে না এটা বিদেশী চায়না কেস জুতা, কিছু হইলে ফেরৎ দিমু।ওই ক্রেতা ক্ষোভের সাথে জানান ফলপট্রি মোড় লুবাবা সুজ সাধারন ক্রেতাদের সাথে নিম্নমানের বাংলা কেস জুতা দিয়ে বিদেশী (চায়না) জুতা বলে বিক্রি করছে।১৭শ ৫০ টাকা নিয়ে নিম্নমানের জুতা দিয়ে অামাদের প্রতারিত করছেন প্রতিনিয়ত লুবাবা সুজ হাউজ।এ বিষয় ক্রেতা জীতয় ভক্ত সংরক্ষণ অাইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 প্রেম যে কি মধুর! কভু কাছে, কভু সুদূর কখনো জীবনে ফুল ফোটায়ে কাঁদিয়ে যায় সে দূর। এমন-ই ঘটনা ঘটেছে বরিশালের উজিরপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে নরসিংদী জেলার আলোকবালী এলাকার মুসলিম পরিবারের আব্দুল মোতালিবের ছেলে আনোয়ার পাশার সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে গত ২১ জানুয়ারী উজিরপুর পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের কলেজ ছাতড়ী আলোকবালী এলাকার আনোয়ার পাশার সাথে পালিয়ে যায়। কলেজ ছাত্রী পিতা ঘটনার দিন থানায় একটি সাধারন ডায়রী করে। ডায়রী নং-১০২৪।

জিডির সূত্র ধরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়া কলেজ ছাত্রী সহ আনোয়ার পাশাকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার দাবাইদ্রাকপুর এলাকা থেকে গত ৩০ জানুয়ারী উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গতকাল ৩১ জানুয়ারি সোমবার সকালে আনোয়ার পাশাকে আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ আনোয়ার পাশাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে।

কলেজ ছাত্রীর পিতা জানান, আমার মেয়ে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে আনোয়ার পাশা বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে বিরক্ত করা সহ তাহাকে ফুসলিয়ে ও ভুল বুঝিয়ে এবং বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করে।

বরিশালে কর্মরত সকল পর্যায়ের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন নবাগত বিভাগীয় কমিশনার মো. ‍আমিন ‍উল ‍আহসান। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল সার্কিট হাউজে বরিশাল জেলা প্রশাসনের ‍আয়োজনে ‍এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক জসীম ‍উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ‍আলোচনা করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ‍আমিন ‍উল ‍আহসান।

এসময় মঞ্জে ‍উপস্থিত ছিলেন শহীদ ‍আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ‍এসএম ‍ইকবাল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ‍এসএম জাকির হোসেন ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক কাজী ‍আবুল কালাম ‍আজাদ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও মুরাদ ‍আহমেদ, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি পুলক চ্যাটার্জি ‍এবং কাজী ‍আল মামুন, কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ‍আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়াসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ‍উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বরিশালে গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত মান ‍উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করেন নবাগত বিভাগীয় কমিশনারের নিকট। ‍এসময় সাংবাদিকদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন বিভাগীয় কমিশনার ‍আমিন ‍উল ‍আহসান।

বরিশালের বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের এক পরিবারের সকল সদস্যকে রাতের আঁধারে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়েছে। এবং ওই সময় বাসার সবচে সিনিয়র নাগরিক মেলকাম ডি কস্তাকে (৯৪) মারধর করা হয়। শনিবার রাতের এই ঘটনায় ডি কস্তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন এই তথ্য বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছর একই এলাকায় শান্তি গোমেজ নামের এক ব্যক্তির বাসায় অনুরুপ ঘটনা ঘটে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনায় মামলা বিচারাধীন আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা রাতে এক যুবক পানি খেতে এসে ডি কস্তার বাসার খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। ওই খাবার খেয়ে রাতে একে একে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়লেও ডি কস্তার কিছুটা চেতনাবোধ ছিল। এসময় খোলা জানালা দিয়ে অন্তত ৩ যুবক বাসায় প্রবেশ করলে ডি কস্তা তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনিও অচেতন হয়ে পড়লে যুবকেরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায়।

ডি কস্তার স্বজন হ্যাভেন গোমেজ জানান, মেলকাম ডি কস্তা, তার ছেলে ডিউক, নাতি এবং পুত্রবধূসহ ৫ জনকে রোববার সকালে প্রতিবেশিরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেলকাম ডি কস্তা, নাতি এবং পুত্রবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে মেলকাম ডি কস্তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এবং এই ঘটনায় কারা জড়িত তা জানতে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করাসহ তাদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে, জানান ওসি।’

 

বরগুনার তালতলীতে দোলনায় খেলতে গিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র মো. ঈছা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের জমজ দুই শিশুপুত্র ঈছা ও মুছা ঘরের পেছনে দোলনায় খেলছিল। এমন মুহূর্তে ঈছার গলায় দোলনার রশি পেঁচিয়ে গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক মার্জিয়া আক্তার শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহত শিশুটির স্বজনরা জানায়, জমজ দুই ভাই ঘরের পেছনে দোলনায় খেলছিল। ঐ দোলনার রশি গলায় পেঁচিয়ে ঈছা মারা গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মার্জিয়া আক্তার বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তার গলায় ফাঁসের চিহৃ রয়েছে।

তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়েনর কালিগঞ্জ বাজারের ব্রিজ থেকে চাইনিজ কুড়াল সহ আটক হয় সন্ত্রাসী তারেক সরদার এর সহযোগী রিয়াজ সর্দার। শনিবার বিকেলে উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয় সন্ত্রাসী রিয়াজ। পরে মেহেন্দিগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। তার বিরুদ্ধে ভোলা থানায়ও মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

সুত্রে জানা যায়, আটককৃত আসামির বাবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, পুলিশের গাড়ি পোড়ানো মামলা, পুলিশ ক্যাম্পে হামলার মামলা, পুলিশ আহত করার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর দুটি জোড়া খুনের মামলার বাদি ও সাক্ষিদের মামলা তুলে নিতে ও হুমকি দিতে ওই এলাকায় যায় আটককৃত রিয়াজ সর্দারের সন্ত্রাসী বাহিনী। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিলে রিয়াজ ধরা পরেও বাকিরা পালিয়ে যায়। আটককৃত আসামি রিয়াজ সর্দার এর বাড়ি উলানিয়ার আশা গ্রামে।

আটককৃত আসামির বাবা জসিম সরদার একাধিক হত্যা মামলাসহ বহু অপকর্মের সাথে জড়িত । সন্ত্রাসীদের খল নায়ক হলেন, ২টি জোড়া খুনের আসামী দুর্ধর্ষ তারেক সরদার। খুন, জখম, জমি দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড তারেক সরদার ও তার বাহিনীর নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এলাকাবাসী তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

ছাগলে ফসলি জমির ধানের চারা বীজ খাওয়ায় হিজলার গৌরবদী ইউনিয়নে কাঞ্চন রাঢ়ী নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কাঞ্চন রাঢ়ীর মেয়ে জেসমিন সাংবাদিকদের জানান, তাদের একটি ছাগল সিরাজ তালুকদারের জমির কিছু ধানের চারা খেয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ তালুকদার ছাগলটিকে ধরে পেটায় ও একটি ডোবার পানিতে ফেলে দেয়। কাঞ্চন রাঢ়ী এর প্রতিবাদ জানালে সিরাজ তালুকদার,তার শ্যালক মিলন মোল্লা সহ ১০/১৫ জনে তার পিতাকে লোহার রড সহ লাঠি দিয়ে পেটায়। কাঞ্চন রাঢ়ীকে রক্ষায় মেয়ে জেসমিন, দুই ভাই রাসেল, মোকসেদ, চাচাতো ভাই সোহেল সহ আরো কয়েকজনে এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধোর করা হয়।

সিরাজ তালুকদার তার দলবল নিয়ে চলে যাবার পর কাঞ্চন রাঢ়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে কাঞ্চন রাঢ়ীকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হলে বুধবার রাতে মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন গুরুতর আহত কাঞ্চন রাঢ়ী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন।

হিজলা থানার ওসি মো: ইউনুস মিয়া সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে নিহতের আত্মীয় স্বজন বরিশালে থাকায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা দায়ের করেননি।

চরফ্যাশনে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক

চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ চরফ্যাশন উপজেলার ওচমানগঞ্জ ৯নং ওয়ার্ডে বৃদ্ধ কর্তৃক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক মোস্তাফা পাটওয়ারী(৬৫)কে গ্রেফতার করেছে।

চরফ্যাশন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বৃহম্পতিবার সকাল ৭টায় মোস্তাফা পাটওয়ারী জোরপূর্বক ৬ বছরের শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে পাশ্ববর্তী আমির হোসেন পাইকের বাগানের মধ্যে পুকুর পাড় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে বীর্যপাত ঘটায়। বাসায় গেলে তার পরনের পোষাকে কিশের দাগ নানি জিজ্ঞাসা শিশুটি তার কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। এতে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে মোস্তাফা পাটওয়ারীকে আটক করে।

এই ব্যপারে শিশুর নানি বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আসামীকে বৃহম্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

শামীম আহমেদ॥ বরিশাল নগরীতে নাম-কা ওয়াস্তে থাকা বেশী কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে বিভিন্ন ধরনের প্রতারনার বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে। রোগীর পরীক্ষা-নীরিক্ষার প্রতারনা ছাপিয়ে এখন ব্র্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোগো ব্যবহার করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ পাতা হয়েছে। আর এ কাজে যুক্ত রয়েছে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪ কর্মচারী।

 

আর অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার হচ্ছে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের গেটের বিপরীতে পাশে সাউথ মেডিনেভো সিটি সেন্টার। সেখানে একটি ব্রান্ড কোম্পানীর লোগো সংযুক্ত করা হয়েছে। আর সাউথ কথাটি এমন ভাবে দেয়া হয়েছে যা কারো চোখে পড়ে না।লোগো প্রতারনার সাথে জড়িতরা হচ্ছে হাসপাতালের কর্মচারী মেহেদী, রিনা, রানী, রনি, হাফিজ, মুক্তা, শামসুন্নাহার, সহকারি পরিচালকের গাড়ির অতিরিক্ত চালক মেহেদী, সুমন, নুপুর,এ্যানি, মিজান, রুমা-১ ও রুমা-২। এরাই হচ্ছে ওই লোগো প্রতারনার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

 

হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, গত বছর আগস্ট মাসে ওই কর্মচারীরা একটি ব্র্যান্ড কোম্পানীর নাম ফলো করে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম দিয়ে সেটি চালু করে। তবে এ ক্ষেত্রে তারা সাউথ শব্দটি এমনভাবে ব্যবহার করছে যা রোগীর স্বজনদের চোখে পড়ে না।আর ওই ১৪ জন হাসপাতালে কর্মরত থাকায় তারা সেখানকার রোগীদের ব্র্যান্ড কোম্পানীর কথা বলে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়। সেখানে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়। কিন্ত যে সিটিস্ক্যান মেশিন আনা হয়েছে তা একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল।

ওই সিটিস্ক্যানের রিপোর্ট সঠিক না হওয়ায় তারা সেটা দিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা বন্ধ করে দেয়। এরপর ওই সকল কর্মচারী স্বল্প মূল্যে তা ক্রয় করে তাদের লোগো প্রতারনার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেটআপ করে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু রিপোর্ট নিয়ে রোগীদের স্বজনদের সাথে দ্বন্দ্বও হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে তারা রেহাই পায়।কাঠালিয়ার বাসিন্দা মহিসন সিকদার বলেন, তার রোগীর সিটিস্ক্যান দিলে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাকে মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়। তারা আমাকে বুঝায় ওই সেন্টারটি ঢাকার এবং দেশে এর বেশ সুনাম রয়েছে। এখান থেকে সিটিস্ক্যান করলে তা সঠিক রিপোর্ট দেবে।

এতে করে আমার বিশ্বাস জন্মে। এরপর তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে সিটিস্ক্যান করানোর পর তা চিকিৎসককে দেখানো হয়। সে রিপোর্ট সঠিক নয় বলে আবার করানোর পরামর্শ দেন।

এ সময় চিকিৎসক আমাকে বকাঝকাও করেন। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে বাংলা বাজারের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে সিটিস্ক্যান করানোর পর তা সঠিক হয়। বিষয়টি প্রতারনা বুঝে আমি আমার কিছু স্বজন নিয়ে তাদের কাছে এর জবাব চাই। তখন তারা তাদের ভুল স্বিকার করে টাকা ফেরত দেয়।

 

একইভাবে প্রতারনার শিকার হওয়া বানারীপাড়ার ইদ্রিস আলী বলেন, হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখানের পরপরই ৪ থেকে ৫ কর্মচারী নিজেদের হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দিয়ে ব্র্যান্ড কোম্পানী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সিটিস্ক্যানসহ অন্যান পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

এরপর তাদের পরামর্শ মতো মেডিনোভা সিটি সেন্টারে গিয়ে সিটিস্ক্যান করানো হলে তা চিকিৎসক সঠিক হয়নি বলে আবার করানোর জন্য বলেন। তখন চিকিৎসককে বুঝাতে চেষ্টা করি ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করানো হয়েছে।

তখন তিনি সাউথ লেখাটা দেখিয়ে বলেন এটি ভূয়া মেডিনোভা। পরে মেডিকেলের সামনের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সিটিস্ক্যান করানো হলে তা সঠিক হয়। বিষয়টি প্রতারকদের কাছে জানানো হলে তাদের সাথে বাগবিতন্ডা হয়।

বিষয়টি কেউ সবাই জেনে যাবে এ কারনে তারা আমাদের টাকা ফেরত দেয়। তিনি আরো বলেন, তাদের কথায় কোনভাবে বুঝা যায়নি তারা ওই ভূয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। মেডিনোভা বলা হলেও সেটি নাকি মেডিনোভা নয়। মেডিনোভা কোম্পানীর নাম ও লোগো সামনে রেখে তারা দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতারনা করে আসছে।

 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশালের সদস্য সচিব রফিকুল আলম বলেন, সরকারের যে প্রতিষ্ঠান এদের লাইসেন্স দিচ্ছে তাদের উচিত এ বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়া। এভাবে বহু ডায়াগনস্টিক সেন্টার লোগো প্রতারনা করে রোগীদের আরো বিপদে ফেলছে।অন্তত ব্র্র্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রোগীরা ভালো পরীক্ষা-নীরিক্ষা আশা করে। এ জন্য ছোট একটি শব্দ যুক্ত করে প্রতারকরা ব্র্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে লাইসেন্স নিচ্ছে। এরপর নতুন শব্দটি এমনভাবে লিখছে যা কারোর চোখে পড়ে না। এ জন্য কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামের সাথে শব্দের মিল থাকলে তাকে লাইসেন্স না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

 

এ ব্যাপারে মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি. বাংলাদেশের বরিশালের জেনারেল ম্যানেজার ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে ওই ভূয়া সেন্টারে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং নাম পরিবর্তন না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দেয়া।

 

সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, আমি বরিশালে নতুন যোগদান করেছি। এখন পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করতে পারিনি। বর্তমানে আমি করোনায় আক্রান্ত। বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। সুস্থ হয়ে যোগদান করার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।