ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। এক যুবকের সঙ্গে দুই তরুণীর প্রেম।

দুজনই বিয়ে করতে চান যুবককে। কিন্তু যুবক কাকে বিয়ে করবে? তা নিয়েই ঘটলো বিপত্তি।ঝামেলা গড়ালো পরিবারের মধ্যে। শেষপর্যন্ত সমাধান করতে এগিয়ে এলো গ্রাম পঞ্চায়েত।টসের মাধ্যমে ঠিক করা হলো, কে ওই যুবককে বিয়ে করবে? শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে।

একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঘটনাটি কর্ণাটকের সকলেশপুর গ্রামের।

২৭ বছর বয়সি ওই যুবকের সঙ্গে গত বছর পাশের গ্রামেরই একটি মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর দুজনে সম্পর্কে জড়ায়।

কিন্তু ছয় মাস আগে অন্য একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন ওই যুবক। এরপর দুজনের সঙ্গেই প্রেম করতে থাকেন ওই যুবক। কিন্তু কেউই কারও সম্পর্কে জানতে পারেনি।

আসল ঘটনার সূত্রপাত এরপর থেকেই। ওই যুবককে এক প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে দেখেন তারই এক আত্মীয়।

কিন্তু যুবকের বাড়ির লোক সেই সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি, উল্টো যুবকের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন।

এদিকে, খবর পেয়ে দুই মেয়ের বাড়ির লোকই ওই যুবকের বাড়িতে আসে। তখনই বিষয়টি সবার সামনে আসে।এরপর গোটা গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত বিবাদ মেটাতে আসে গ্রামের পঞ্চায়েত।

কয়েকদিন আগেই প্রথম সালিসি সভা ডাকা হয়, সেখানে ওই যুবককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কার্যত চুপই থাকেন।

এই ঘটনার পর দুজনের মধ্যে একজন আবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। যদিও শেষপর্যন্ত বেঁচে যান। এরপর গত শুক্রবার ফের পঞ্চায়েত সালিসি সভা ডাকে।

সেখানেই পঞ্চায়েতের সদস্যরা জানান, টসের মাধ্যমে ওই যুবকের কনে ঠিক করা হবে। আর তাতে যাতে তিন পরিবারই রাজি হয়, সে ব্যাপারে তাদের সম্মতিও নেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, এরপরই নাকি টসের মাধ্যমে ঠিক হয়, প্রথম প্রেমিকাকেই বিয়ে করবে ওই যুবক।

অনেকের মতে, যুবক নিজেই প্রথম যুবতীকে পছন্দের কথা জানিয়ে দেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য প্রথম প্রেমিকার সঙ্গেই বিয়ে হয় ওই যুবকের।

 

বরিশাল নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যাছাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

যাছাই-বাছাইয়ে বিএনপির প্রার্থী মো: হুমায়ুন কবির এর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সূত্র বলছে, জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখায় বিএনপির প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ঋন খেলাপির দায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনে ঋন খেলাপির বিষয়টি অবগত করেন।

এছাড়া হুমায়ুন কবির কৃষি ব্যাংকে ঋন খেলাপি রয়েছে। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইয়ের খবর পেয়ে কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সেখানে যায়। কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তার আসার বিষয়টি টের পেয়ে হুমায়ুন কবির কৌশলে তাকে নিয়ে গোপনস্থানে নিয়ে যায়।

অত:পর কৃষি ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে গোপন বুনিবনার দেনদরবারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী হুমায়ুন কবির নির্বাচন কমিশনে যে স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিয়েছে, তাও সঠিক নয়।

স্থানীয়রা জানায়, হুমায়ুন কবির ২৮ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা নন। তিনি কমিশনে যে ঠিকানা দিয়েছে, সেখানে তিনি থাকছেন না। এই হুমায়ুন কবির বসবাস করছেন নগরীর বগুড়া রোডের ইডেন ক্লিনিক লাগোয়াস্থানে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই হুমায়ুন কবির মূলত: জামায়াত-শিবিরের কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পূক্ত। জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে তিনি অর্থের যোগানসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। স্থানীয়রা তাকে বয়কট করেছন।

একটি সূত্র জানায়, হুমায়ুন কবিরের গ্রামের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জে। তার পিতার নাম ফজলে আলী। ফজলে আলীর ভাই হযরত আলীর চহৎপুর এলাকায় বিশাল সম্পত্তি ছিল।

একপর্যায়ে হযরত আলী তার ভাই ফজলে আলীকে এক একর সম্পত্তি দানও করেন। পরবর্তীতে চাচা হযরত আলী মারা যাওয়ার পর ওই সম্পত্তি হুমায়ুনের নিজ নামে ডিগ্রী করে ভোগ দখল করছেন।

হুমায়ুনের জালজালিয়াতির মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতিতে অপরের সম্পত্তি জবর দখল করার অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় হুমায়ুন ভূমিদস্যু হিসেবেই পরিচিত।

 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ঢেপসা বুনিয়া সাকিনের কচা নদীর পশ্চিম পাড়ে বেড়িবাঁধের ইট সোলিং রাস্তার পাশে নালার মধ্যে থেকে আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার ভাসমান অবস্থায় গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অজ্ঞাত নামা মহিলা এর লাশ পাওয়া গিয়েছে।

স্থানীয় লোকজন লাশটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশকে খবর দিলে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে।

ইন্দুরকানী পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশের পরিচয় শনাক্ত জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

 

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির একটি তক্ষক পাচারকালে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা।

সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো, বাটাজোর এলাকার মান্নান সরদারের পুত্র রিপন সরদার ও গৌরনদী পৌর এলাকার চরগাধাতলী মহল্লার মৃত মোখলেচুর রহমানের পুত্র শহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় র‌্যাব-৮ এর ডিএডি সুলতান গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাটাজোর এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই তক্ষক গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে অন্যত্র পাচার করাচ্ছিলেন।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীর কাটপট্টি এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য (নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ) মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ওরফে রিপন (৪০) নামের এক ব্যাক্তিতে আটক করেছে বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে মোট ৩৩৮ পিস এ্যাম্পুলসহ তাকে আটক করা হয়।এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো: ফিরোজ আলম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে যার মামলা নয়-১৩। মামলার বিবরনীতে জানাযায়, ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের চৌকশ অফিসার (এসআই) মো: ফিরোজ আলম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নগরীর কাটপট্টি রোডের ১নং সিটি স্টল, থানা পুকুরের পূর্ব পাড় এলাকার এ আর মেডিসিট মার্ট ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে এ নেশাদ্রব্য আটক করে।এ ঘটনায় স্থাণীয় একাধিক ব্যাক্তির সাথে অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ আর মেডিসিন মার্ট ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন যাবৎ এই নিষিদ্ধ মাদক (নেশা জাতীয় ইনজেকশন) বিক্রি করে আসছে। তার ঔষধ ফার্মেসীতে সাধারন ক্রেতার থেকে সবসময় তরুন ক্রেতারই ভীর লেগে থাকতো বেশি।এই নিয়ে বিষয়টি স্থাণীয় একাধিক ফার্মেসীর মালিকরা গ্রেফতারকৃত মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ওরফে রিপনকে প্রশ্ন সম্মুখীন করলে তিনি বলেন, এই ফার্মেসী কার তা নিয়ে আপনাদের কোন ধারনা নেই। এই ফার্মেসীর মালিক মুন্না চেয়ারম্যান। পরে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোজ নিয়ে জানাযায় যে গ্রেফতারকৃত মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ওরফে রিপন ওই ফার্মেসীর ম্যানেজার। প্রকৃত মালিক বরিশাল সদর উপজেলার ৪ নং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না।আর তার নেতেৃত্বেই দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসীর আড়ালে নিষিদ্ধ এই মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছেন ফার্মেসী ম্যানেজার রিপন। স্থাণীয় একাধিক ফার্মেসীর মালিকরা বলেন যে এই ঘটনার যেন সঠিক বিচার হয়। কারন দোষ করবে একজন আর এর দায়ভার বর্তাবে অন্যদের গায়ে তা হবার নয় তাই আমরা এর সঠিক বিচার চাই যাতে তিনি এমন কর্মকান্ড ভবিষ্যৎ এ না করতে পারেন। আর এ ঘটনায় যেহেতু একজন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর দিকে ইঙ্গিত যায় সেহেতু এই প্রতিবেদক এ ঘটনা নিয়ে ৪ নং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানতে পারেন যে আরিফুরজ্জামান মুন্না দীর্ঘদিন যাবৎই এলাকায় গোপনে মাদক সাপ্লাই এর কাজ করে আসছে আর যার মূল টার্গেটই উঠতি বয়সী তরুন যুব সমাজ।খোঁজ নিয়ে আরো জানায়ায় যে আরিফুজ্জামান মুন্না শায়েস্তাবাদ বাজারের একাধিক ফার্মেসীতে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে আরিফুজ্জামান মুন্না এর মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন যে, ফার্মেসীতে এ্যাম্পুল বিক্রি দোষের কিছু নয় এটা রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালে ৯০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ১২ টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রামপট্টি বাসস্ট্যান্ডে চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর বিশ্বাসপাড়া ০২ নং ওয়ার্ডস্থ পাঁকা ইউনিয়নের মোঃ জিন্নুর বিশ্বাসের ছেলে বেনজির বিশ্বাস (৪০), চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও থানাধীন ০৭ নং ওয়ার্ডস্থ মোঃ সাদিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবু (৩৫), বরিশাল নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডস্থ মৃত মোকছেদ আলী সিকদারের ছেলে মাইনুল ইসলাম সিকদার ওরফে মনু (৪৫) এবং বানারীড়া থানাধীন শলিয়া বাকপুর মিয়া বাড়ীর মৃত হাচান আলীর ছেলে মাইনুদ্দিন মিয়া (৪৫)।

জানা গেছে- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ১২ টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার এসআই মোঃ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় একটি চৌকস টিম এয়ারপোর্ট থানাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রামপট্টি বাসস্ট্যান্ডে চেকপোস্ট অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। পরে কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি একপর্যায়ে তেলের ট্যাংকির মধ্যে বিশেষ কৈাশলে রাখা ৯০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

একাধিক মাদক মামলার ধৃত আসামীগণ পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়- তারা সীমান্তবর্তী এলাকা চাপাইনবাবগঞ্জ হতে অবৈধ ফেন্সিডিল এনে বরিশাল শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় কাজে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্র।
ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’’

 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।

আজ বুধবার বেলা বারোটার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই যুবকের নাম জসিম (৩৫)। পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে সে। গ্রামের বাড়ি মির্জাগঞ্জ হলেও বরিশাল শহরে বিভিন্ন সময় দিনমজুুরি করে তার সংসার চলে।

শেবামেক হাসপাতালে ডিউটিরত আনসার সদস্য মো: বায়জিদ ও রাজু বলেন,‘হাসপাতালের বহি:বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর মোবাইল চুরি করার সময় ওই যুবককে আমরা ধরতে সক্ষম হই । পরে তাকে শেবামেক হাসপাতাল পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শেবামেক হাসপাতাল পুলিশের ইনচার্জ আব্দুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই দোলা আক্তার বলেন, শেবামেক হাসপাতালে চোর সন্দেহে কেউ আটক হয়নি।’’

 

স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ দেওয়াটাই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরীকাঠী গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিন হাওলাদের পুত্র মোটরসাইকেল চালক মো: মতিউর রহমান সুমনের। অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ভূক্তভোগী সুমনের স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে লোভ-লালসা দেখিয়ে বিবাহ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই শরীফ এমন অভিযোগ করেন মো: মতিউর রহমান সুমন। এ সকল বিষয় নিয়ে ভূক্তভোগী সুমন এরআগেও পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন সুরাহা না পেয়ে ফের বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এএসআই শরীফের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও এএসআই শরীফ তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তার মানক্ষুন্ন করা হচ্ছে বলে দাবী করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমন তার স্ত্রীকে দিয়ে এএসআই শরীফের কাছে মোবাইল নাম্বারের উপর একটি অভিযোগ করান। সেই থেকেই সুমনের স্ত্রীর সাথে এএসআই শরীফের সাথে পরিচয় হয় এবং তার সাথে একাধিকবার মোবাইলে কথাবার্তা হয়। এমনকি তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর তার স্ত্রীকে আনতে গেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং পুলিশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সুমনের স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে নোটিশ পাঠায়। সুমন তার মেয়ে আনতে গেলে সাদা কাগজে তিনটি স্বাক্ষর রেখে মেয়ে দিয়ে দেয়। এরপর লোক সমাজে এসআই শরীফ তার স্ত্রীকে বিবাহ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন সুমন।

সুমন অভিযোগ করে বলেন- এর আগে যে অভিযোগ করেছিলাম তাতে কোন বিচার হয় নাই, কারন আমার কাছে কোন প্রমান ছিল না। তবে এখন কিছু প্রমান যোগার করেছি। গত ৬ মাস আগে এএসআই মােঃ শরীফের বউ মােসাঃ সিমা বেগম আমার কাছে ফোন করে সত্যটা জানতে চাইলে আমি তাকে সবটা জানাই। আস্তে আস্তে বড় বউ সিমা বেগম তার (শরীফের) চলায় ফেরায় সে আমার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে সে বিষয়টি বুঝতে পারে। এমনকি বিবাহের ব্যাপার সিমা বেগমের পরিবার সবাই জানতে পেরে যায়। তার পর সিমা বেগম শরীফকে বাধা দিলে তাকে তালাখের হুমকি দেয় শরীফ। সেই ভয়ে দুটি সন্তান নিয়ে একজন অসহায় নারী কোথায় দারাবে তার জন্য সে কোন অভিযােগ দিতে পারে নি। এএসআই মােঃ শরীফের বড় বউ সিমা বেগম প্রতিদিন আমাকে ফোন করে এ কথা বলতাে। এএসআই মােঃ শরীফের বড় বউ সিমা বেগম আমার সাথে যে ফোনে কথা হয়েছে তার কল রেকর্ড ও ভয়েস রেকর্ড প্রমান হিসাবে আমার কাছে রয়েছে। এবং ৪ মাস আগে এএসআই মােঃ শরীফে সাথে আমার স্ত্রী লাবনীর সাথে ঝগড়া হয় তার পরে লাবনী বাড়ি থেকে রাগ করে বাকেরগঞ্জ  ১০ মিনার তার চাচাতাে দুলা ভাইয়ের বাড়িতে যায় খােঁজ করতে করতে সেখানে গিয়ে লাবনীকে পায় এএসআই মােঃ শরীফ তার ছােট স্ত্রী। সেই চাচাতাে বােনের কল রেকর্ড ও ভয়েস রেকর্ড প্রমান হিসাবে আমার কাছে রয়েছে। এদিকে সাহেবের হাট সােনালি ব্যাংকে লাবনীর নামে একাউন্ট করে দিয়েছে মােঃ শরীফ, তার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। এএসআই মােঃ শরীফ শুধুই এতেই খান্ত নয় তার বিরুদ্ধে অভিযােগ দিয়েছি বলে সে চাকুরিতে জয়েন্ট করার পর আমাকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে মামলার জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। আর এই নিয়ে বারবারি করলে প্রাণে মারারও হুমকি দিয়েছে। আমি আমার অসহায় মেয়েকে নিয়ে কোথায় দাড়াবাে। আমার স্ত্রী লাবনীর বাবার বাড়িতে রাতে এএসআই মােঃ শরীফের যাওয়ার একাধীক প্রমান রয়েছে। আমি আমার স্ত্রীকে কোন এক ব্যক্তি ফোনে আজে বাজে কথা বলত তার জন্য থানায় অভিযােগ দিলাম এএসআই মােঃ শরীফের কাছে। সে আমার সংসারের বিষয় নিয়ে সুষ্ঠ বিচার না করে আমার স্ত্রী লাবনীকে লােভ দেখিয়ে সে নিজেই তার সাথে সংসার করে। মাননীয় পুলিশ কমিশনারের কাছে বিনীত আবেদন পুলিশ জনগনের জন্য কিন্তু রক্ষক যখন ভক্ষক তখন জনগন কোথায় যাবে। আমার ৯ বছরের মেয়েকে অনাথ করে দিল এবং আমার সংসার ভেঙ্গে দিল এএসআই মােঃ শরীফ। আমি পূনরায় এর সঠিক বিচার চাই।

এরআগে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই শরীফ জানিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। তার মানক্ষুন্ন করার জন্যই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। সুমনের স্ত্রীকে আমি বিবাহ করতে যাব কেন ওই মহিলাওতো ভাল না।
কিন্তু আজ তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভি করেন নি।

 

বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আফরোজের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক ফেইক আইডি খুলে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে জেবুন্নে‌ছা বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে থাকিলেও রাজনীতিতে অতটা সক্রিয় নেই। জেবুন্নেছা সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের স্ত্রী।

এ ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন সাবেক এই এমপি। তিনি ইতিমধ্যে ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর আজ বুধবার জেবুন্নেছা আফরোজ তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো: বেশ কিছুদিন যাবত কে বা কারা আমার ছবি এবং নাম ব্যবহার করে যেমন জেবুন্নেছা আফরোজ হিরন/জেবু আফরোজ এমপি ইত্যাদি, আরো কিছু নাম দিয়ে আইডি খুলে আমার আত্মীয়স্বজন, নেতা/কর্মী, চেন/অচেনা এমনকি সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা চাচ্ছে। যা কিনা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর, লজ্জাজনক। শুধু তাই নয় আমি শঙ্কিত কোনোরকম অপকর্ম/সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড ফেক আইডি দ্বারা না ঘটে। ইতিমধ্যে আমি সাইবার ক্রাইমে নোটিশ করে থানায় জিডি করেছি। সাইবার ক্রাইম থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে এবং শনাক্তের পর্যায়ে এনেছে। অতএব সবার জ্ঞ্যাতার্থে জানাচ্ছি আমার নিজস্ব আইডি একটাই। এর বহির্ভুত কোনো আইডির কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য আমার দায় নেই। যারা এ ধরনের আইডির কিছু অপকর্ম দেখেন বা জানতে পারেন দয়া করে তারা আমাকে আর কখনও বিরক্ত করবেন না আশা করি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেবুন্নেছা আফরোজ বলেন, পরিচিত-অপরিচিতদের কাছে ৬শ’ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। ২ কোটি টাকা চাইলেও আমার নামের সাথে যেত। বিষয়টি লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর। পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গুলশান থানাও জিডির তদন্ত শুরু করেছে। বিভ্রান্তি অচিরেই দূর হয়ে যবে বলে আশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, জেবুনেচ্ছা আফরোজ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বরিশাল সদর আসনের সাবেক ‍এমপি প্রায়ত শওকত হোসেন হিরণের স্ত্রী। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন হিরণ। কর্মেগুণে তিনি স্থান করে নেন বরিশালবাসীর অন্তরে।

এরপর ২০১৪ সালে সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে আবারও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পান হিরণ। কিন্তু তিনি বিএনপি দলীয় প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে ওই বছরই সদর আসনে ‍এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি ‍নির্বাচিত হন। ‍ওই বছরের ৯ ‍এপ্রিল বরিশালবাসীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জননন্দিত মেয়র শওকত হোসেন। এরপর সদর আসনের ‍উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ‍এমপি নির্বাচিত হন প্রয়াত হিরণের স্ত্রী জেবুন্নেচ্ছা আফরোজ।

 

বরিশালে নিখোঁজের ১২ দিন পর জিলা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাহাদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

কীর্তনখোলা নদীর এ্যাংকর সিমেন্টের জেটি এলাকা থেকে বুধবার দুপু‌রে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোস্ট গার্ড বরিশালের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মাসুম পারভেজ জানান, এ্যাংকর সিমেন্টের জেটির পন্টুনের কাছে কচুরিপানার মধ্যে একটি মরদেহ ভাসার খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড অভিযান চালায়। উদ্ধার করা হয় এক কিশোরের অর্ধগলিত দেহ। এরপর ফাহাদের মামা সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন।

ফাহাদ ২৭ আগস্ট বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে কীর্তনখোলা নদীতে ট্রলার ভ্রমণে গিয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। সে সময়ে কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি।