পটুয়াখালীর মহিপুরে বিয়ের একদিন পরই ওমর আলী (২৪) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের একটি মরিচ ক্ষেত থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত ওমর ওই এলাকার শাহজাহান ফরাজীর ছেলে।

মহিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ওমর আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের তাজেপাড়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে রুকাইয়ার (১৮) বিয়ে হয়। গতকাল কনের বাড়িতে বৌভাত শেষে রুকাইয়াকে তার বাড়ির লোকজনসহ ওমর আলীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ভোররাতে ওমর নামাজ পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। এর পর মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা মরিচ ক্ষেতে তার গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছে।

নববধূ রুকাইয়া (১৮) বলেন, ফজরের আজানের পর দুজনে পুকুরে ওযু করতে যাই। সে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে গেলে আমি ঘরে ফিরেছি। পরে ৭টার দিকে শুনতে পাই মৃত্যুর খবর।

মৃত ওমর আলীর বাবা শাহজাহান ফরাজী বলেন, ফজরের সময় ছেলে ও বউকে পুকুরপাড়ে দেখে আমি মসজিদে গিয়েছি। পরে জামাত শেষে ফিরে এসে দেখি মরিচ ক্ষেতে রক্তাক্ত পড়ে আছে ছেলে।

মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় দা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

 

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের এক সময়ের ভয়ংকর ডাকাত সদস্য, একাধিক মামলার আসামি হাকিম সরদার এর মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের একটি গোপন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার মুহুর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হলে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ফেসবুকের মাধ্যমে ভিডিওটিতে দেখা যায় সাবেক ভয়ংকর ডাকাত সদস্য ও বর্তমানে মাদক সিন্ডিকেটর গডফাদার নামের খ্যাত আঃহাকিম সরদার একটি বাগানের মধ্যে একদল মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মাদক বিক্রয় ও মাদক বিক্রয়ের জন্য সেল্টার সংক্রান্ত এক গোপন বৈঠক করেন, তারই মধ্যে থেকে একজন তাদের মাদক বিক্রয় ও মাদক বিক্রয় করতে নির্বিঘ্নে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাকিম ব্যবসায়ীদের কে বিভিন্ন প্রকার আশ্বাস দিচ্ছেন।উল্লেখ এই হাকিম উজিরপুর থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন। অপরদিকে ভিডিওতে আরেক ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ও বরিশাল সদর সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক ফেনসিডিল মামলার আসামিকে বন্দে আলী জমাদ্দারের পুত্র কবির জমাদারকে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে অন্যপাশে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কন্ঠ শোনা গেলেও তাদের কে ভিডিওতে দেখা যায়নি।উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, হাকিম সরদারের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি সহ একাধিকন রাজনৈতিক মামলা রয়েছে । এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাকিম সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ,ভিডিওর ঘটনাটি সত্য তবে,মাদক ব্যবসায়ী নাঈম ও রিপনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা এ মিটিং এর আয়োজন করেছি। আঃ হাকিম এর ভাষ্যমতে নাইম ও রিপনের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ভিডিও ফাঁসের বিষযে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহমেদ জানান,ভিডিওটি আপনাদের মাধ্যমে দেখেছি, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

দেড় কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা ইদ্রিস হাওলাদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত ই-মেইল বার্তায়
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে গৌরনদী উপজেলার মাগুরা নতুন বাজার এলাকা থেকে দেড়
কেজি গাঁজাসহ ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ইদ্রিস ওই এলাকার
মৃত কাদের হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার দুপুরে
গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে অভিযানে গিয়ে নিজের শটগানের গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চর শেফালী নলচর খালেরমুখে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. কায়সার আহমেদ মেহেন্দিগঞ্জ থানার কনস্টেবল।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে জাটকা শিকার বন্ধে অভিযান চলছিল। অভিযানে তাদের সহায়তায় যায় মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। অভিযানের সময় কনস্টেবল কায়সার তার সঙ্গে থাকা শটগানের গুলি লোড করতে যান। অসাবধানতায় গুলি বাম পায়ের বুটভেদ করে আহত হয়েছেন তিনি। পরে তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ দিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৎস্য বিভাগের বরিশালের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ও বরিশাল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। মেহেন্দিগঞ্জের গজালিয়া নদীতে এ অভিযানে র‌্যাব-কোস্টগার্ড ও পুলিশ সহায়তা করেছে। দিনভর পরিচালিত অভিযানে অবৈধ ২০টি পাইপজাল, ৮টি বেহুন্দি জাল ও ৫০ টি চরঘেরা জাল উদ্ধার করা হয়। পরে ওই জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।

 

বরিশালে মাদকের বিষ ছড়াচ্ছে মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টু।মাদকসম্রাট সেন্টু একাধিক বার বিপুল পরিমান মাদক সহ বরিশাল এবং ঝালকাঠিতে আটক হয়। আবার বের হয়ে সে সবাইকে ম্যানেজ করে মাদক বিক্রি করে। ঝালকাঠির মাদক মামলায় শাকিল খান সেন্টু ফেনসিডিলের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো: শহিদুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।

 

 

 

 

মামলায় অন্য সাত আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল কারাগারে থাকাকালীন কারাগারে বসেই মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টু।

 

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদক সম্রাট সেন্টুর তার ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের বাণিজ্য দেখভাল করার জন্য তার ছোট ভাই শাহআলম ও সেন্টুর স্ত্রী তাহমিনা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রয়েছ।

 

সূত্র আরও জানায়, বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেন্টু ও শাহআলমের একাধিক বাসা ভাড়া নেয়া রয়েছে। একেক বাসায় সেন্টুর স্ত্রী পরিচয়ে একেকজন নারী থাকেন। এর বাইরেও শক্তিশালী নারী-পুরুষের সিন্ডিকেট রয়েছে।

 

যাদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের সাহায্যে মাদক সরবরাহ করছে শাহআলম, সেন্টুর স্ত্রী তাহমিনা, রিমি আক্তার, সেন্টুর দুলাভাই আবুল হোসেন, ভাগ্নে নিরবসহ তাদের সহযোগিরা। এরা সকলেই একাধিকবার মাদক মামলায় কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে ফের মাদক বাণিজ্যে জড়িয়েছে।

 

 

 

 

 

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েতুর রহমান জানান, সেন্টুকে এর আগে একাধিক বার বিপুল পরিমান মাদক সহ আটক করেছি। আগের তুলনায় মাদকের প্রভাব অনেকটা দমন হয়েছে। মাদক বিক্রি বন্ধে আমরা সবাই চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

বরিশাল নগরীর পলাশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্ধ কেজি গাঁজাসহ এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের আটক করে বিএমপি’র কাউনিয়া থানা পুলিশ। আটকৃতরা হলো- পলাশপুর বৌ বাজার এলাকার মো. কালাম মোল্লা (৫৫) তার স্ত্রী কুলসুম বেগম (৪২)।

এ ঘটনায় আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে বলে বিএমপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় অবৈধ দুটি ইটভাটাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পাঁচটি ইটভাটার চিমনি ও কিলন গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের অভিযানে এ জরিমানা করেন নির্বাহী হাকিম সুলতা সালেহা সুমি।

বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম রাশেদ বলেন, ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তোলার অভিযোগে উপজেলার দক্ষিণ বাইশারী এলাকার ড্রাম চিমনীযুক্ত মো. হায়দারী আলীর মেসার্স এবিবি ব্রিকস, মোতাহর আলী মোল্লার মেসার্স নূর ব্রিকস, মো. নুরুল ইসলামের মেসার্স মিহান ব্রিকস ও মেসার্স আল্লারদান ব্রিকস এবং বাইশারী এলাকায় সকিনা বেগমের জিগজ্যাগ পদ্ধতির মেসার্স শিরীন ব্রিক ফিল্ড-২ এর কিলন ও চিমনী গুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

বরিশালে দুই ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

এ ছাড়া ড্রাম চিমনিযুক্ত মো. নুরুল ইসলামের মেসার্স আল্লারদান ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা এবং মেসার্স শিরীন ব্রিকস ফিল্ড-২ এর মালিক সকিনা বেগমকে তিন লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।

অভিযানে র‌্যাব-৮, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি করে দল সহযোগিতা করেন।

অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মা-বাবাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বখাটে জাহিদ মোল্লা ও তার স্বজনরা লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলছাত্রীর আহত বাবা-মা ও চাচাতো ভাই রিমনকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

বুধবার রাতে আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়ের মা বৃহস্পতিবার আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার পর বখাটে জাহিদ মোল্লা পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত এক বছর ধরে বখাটে জাহিদ মোল্লা উত্ত্যক্ত করে আসছেন। গত তিন মাস আগে ওই স্কুলছাত্রীকে বখাটে জাহিদ মোল্লা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়- এমন দাবি ছাত্রীর বাবার। স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল খানের সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে বখাটে জাহিদ মোল্লা পুনরায় উত্ত্যক্ত করে বলে জানায় স্কুলছাত্রী। খবর পেয়ে ছাত্রীর বাবা এ ঘটনার প্রতিবাদ করে জাহিদকে মারধর করে বলে দাবি করেন ছেলের খালু সজল আকন।

এ ঘটনার জের ধরে ওই রাতে মেয়ের বাবা ও অন্তঃসত্ত্বা মাকে সালিশ বৈঠকের কথা বলে বখাটে জাহিদ মোল্লার খালু সজল আকন ডেকে নেন। পরে সজল আকন, ছালাম আকন, সাইফুল মোল্লা ও বখাটে জাহিদ মোল্লা তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তাদের রক্ষায় মেয়ের চাচাতো ভাই রিমন এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে। এতে তাদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে ওই রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

স্কুলছাত্রীর বাবার বাড়ি ঢাকার সাভার থানার বাজারশোন এলাকায়। গত দুই বছর আগে তিনি আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামে জমি কিনে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি এই এলাকায় না হওয়ায় তারা আমাকে নির্যাতন করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

বখাটে জাহিদ মোল্লার খালু সজল আকন স্কুলছাত্রীকে তার ভায়রার ছেলের উত্ত্যক্তের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ভায়রার ছেলেকে মেয়ের বাবা মারধর করেছে। তাই আমি সালিশ বৈঠকে বসার কথা বলে তাদের ডেকে এনেছি; কিন্তু তিনি আমার ওপর হামলা করেছেন।

বখাটে জাহিদ মোল্লার বাবা সাইফুল মোল্লার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ও তার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকা থেকে শাফায়েত হোসেন জিসান (২০) নামের এক যুবককে জোরপূর্বক ইজিবাইকযোগে অপহরণ করে তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের পর হত্যা চেষ্টার সময় এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে আটককৃতদের থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। এসময় ১টি ধারালো ছোরা এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা আটক করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম শাফায়েত হোসেন জিসান। তিনি নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার বাসিন্দা।

আটককৃতরা হলেন- ভাটিখানা জোড় মসজিদ ২য় গলির মৃত লিয়াকত হোসেন ডায়মন্ডে ছেলে মেহেরাব মিয়া (২১), আবেদাবাগ মাদানী সড়ক মসজিদের উত্তর পার্শ্বে রাজিব হাজীর বাসার ভাড়াটিয়া মোঃ টিপু মুসুল্লির ছেলে মোঃ মামুন মুসল্লি (২৪), জোড় মসজিদ ১ম গলির মোঃ গোলাম মোস্তফা মোল্লার ছেলে মোঃ সোয়েব (২২)।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান আহত শাফায়েত হোসেন জিসানের বরাত দিয়ে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে যুবক জিসানকে জোরপূর্বক অপহরণ করে রোকেয়া আজিম রোডের নির্জন একটি স্থানে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় নাঈম নামের এক যুবক তাদের হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিসানকে জবাই করার হুমকি দেওয়া হয়। নাঈম তাৎক্ষনিক বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করে সন্ত্রাসী গ্রুপের তিনজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। পাশাপাশি জিসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসি আরও জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যোয়- ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন শাফায়েত ও তার বন্ধুবান্ধবের সাথে মেহরাব, সোয়েব ও তাদের বন্ধুবান্ধব সিফাত-আরিফসহ কয়েকজনের সাথে খাবার বন্টন নিয়ে ঝামেলা হয় এবং সেখানে মারামারির ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে শাফায়াতকে কাউনিয়া হাউজিং চৌরাস্তা থেকে অটোযোগে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে রোকেয়া আজিম সড়কের দিকে নিয়ে যায় এবং তাকে বেধম মারধর করেন। এক পর্যায়ে ১টি ধারালো ছোরা দিয়ে জিসানকে জবাই করার হুমকি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

আহত শাফায়েত বলেন- নির্বাচনের দিন খাবার বন্টন নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এ কারণে আমাকে অপহরণ করে একটি নিঝুম স্থানে নিয়ে আমাকে জবাই দেওয়ার চেষ্টা ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী। স্থানীয়দের সহায়তায় কাউনিয়া থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।

শাফায়েত হোসেন জিসানের পিতা জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, তার ছেলেকে অপহরণ করে অমানুষিক নির্যাতনের পর হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন- হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকে জোড় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

বরিশাল নগরীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি রাসেল এজলাসে ছিলেন।

দণ্ডিত মো. রাসেল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাতে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট প্রতিবেশীর ঘরে একা ছিল ১৩ বছর বয়সি এক মেয়ে। এ সুযোগে রাসেল ওই শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সহযোগী পলাশ মোল্লার সহায়তায় মরদেহের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। শিশুর মা ঘরে এলে ওই দুজনকে পালিয়ে যেতে দেখে। এ ঘটনায় ২৪ আগস্ট শিশুর বাবা বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি কাউনিয়া থানার এসআই কামাল হোসেন দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। আদালত ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার অপর আসামি শিশু হওয়ায় তার বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে হচ্ছে।’