শামীম আহমেদ ॥ ঢাকা থেকে ছেলেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এসে লাশ হয়েছেন মৌজে আলী মৃধা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা বারোটার দিকে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কমলাপুর ভোট কেন্দ্রে।

প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন পূর্বে ঢাকা থেকে পুত্রদের সাথে পছন্দের ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ ফিরোজ মৃধাকে ভোট দিতে আসেন কমলাপুর গ্রামের মৃত কাদের মৃধার পুত্র মৌজে আলী মৃধা। সোমবার দুপুর বারোটার দিকে কমলাপুর ভোট কেন্দ্র থেকে সে (মৌজে আলী) ভোট দিয়ে বের হন।

প্রত্যক্ষদর্শী কাওসার হোসেন বলেন, মোরগ মার্কার প্রার্থী ফিরোজ মৃধার প্রতিদ্বন্ধী টিউবওয়েল মার্কার প্রার্থী মন্টু হাওলাদারের পক্ষে কয়েকজনে জাল ভোট প্রদান করেন।

এর প্রতিবাদ করায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধ মৌজে আলী মৃধা নিহত এবং প্রার্থী ফিরোজ মৃধাসহ কমপক্ষে ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়।

আহতদের শেবাচিম হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যাপক ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছেন। বেলা দুইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহন বন্ধ রয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার, গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

নিজস্ব প্রতিনিধি // নেশা, মাদক ও ইভটিজিংকে শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নানান ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। তখন প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস,নেশাদ্রব্য, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, নারী কেলেংকারী, চুরি, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং লুটপাটের মতো কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে মেহেন্দিগঞ্জের নিজাম বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ০৬ নং বিদ্যানন্দনপুর ইউনিয়নের ০৮ নং চর খাজুরিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিজাম ওরফে সন্ত্রাসী নিজাম
গতোকাল সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটের সময় চর খাজুরিয়া গ্রামের নুর ইসলাম শিকদার’র বাড়ির পাশে ইউনুছ হাওলাদার এর ছেলে জাকির হাওলাদারকে হামলা করেন।

সূত্রে আরো জানা যায়, অভিযুক্ত নিজাম বাহিনীর প্রধান নিজাম, জাকির হাওলাদার’র নিকট একাধিক বার চাঁদা চেয়ে আসছেন। কিন্তু ব্যাপারটি বিগত দিনে জাকির হাওলাদার এড়িয়ে গেলেও আজ সকালে যখন নিজাম জাকিরের কাছে পুনরায় চাঁদা দাবি করে, তখন জাকির কারন জানতে চাওয়ায় বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এবং এক পর্যায়ে নিজাম জাকির’র উপর চড়াও হয়ে কিল ঘুসি দেওয়া শুরু করেন, এবং সাথে থাকা নিজাম’র সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে জাকির হাওলাদার কে বিদেশি চার্জার লাইট ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পালাক্রমে আঘাত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান জাকির, তাকে ফেলে রেখে চলে যান নিজাম বাহিনীর সদস্যরা এবং জাকির হাওলাদার’র সাথে থাকা vivo Y11 মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে যানা জায়।

ভুক্তভোগী জাকির হাওলাদার বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, তার সাথে আলাপকালে জানা যায়, নিজাম সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বাশার ফকিরের ছেলে লিটন ফকির, মৃত্যু খালেক ফকিরের ছেলে বাশার ফকির, মন্নান ঘরামীর ছেলে হৃদয় ঘরামী, হারুন মাঝীর ছেলে রিফাত, মৃত্যু গনি হাওলাদার’র ছেলে ছগির এবং হাবিব চৌকিদার’র ছেলে জুয়েল সহ অন্যান্যরা সকাল ৮ঃ৩০ সময় ব্যাপক মারধর করেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য নিজাম কে ফোন করা হলে এই প্রতিবেদককে জানান, জাকির’র সাথে মারামারি হয়েছে কিন্তু গুরতর জখম হয়নি এবং ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যখন একে একে দেশের মাদক সম্রাট ও ক্যাডারদের যখন বিচারের আওতায় আনছে ঠিক তখনই জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আশায় রয়েছেন দখিনের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে একজন রাসেল হাওলাদার।

বরিশাল সদর উপজেলার ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নে মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত রাসেল। দীর্ঘদিন ধরে লামছড়ি সহ গোটা চরবাড়িয়া এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্র করে মাদক সম্রাট হিসেবে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন অনেক আগেই। এতে রাতারাতি হয়ে গেছেন তিনি বিপুল পরিমানের অর্থের মালিক।

আর সেই অর্থ দিয়ে গরমে এবার জনপ্রতিনিধি হওয়ার লক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন রাসেল হাওলাদার ওরফে গাঁজা রাসেল।

অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি গাজির খেয়াঘাট এলাকার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগকারী তোফেল হাজী ছেলে মো: রাসেল হাওলাদার। প্রথমে গাঁজা বিক্রির মাধ্যমে মাদকের জগতে পদার্পণ করেন রাসেল। লামচড়ির কয়েজন স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে দিয়ে গাঁজা বিক্রি করতে তিনি। এসব শিক্ষার্থীদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে একাজ করাতেন রাসেল। এতে তাকে সহযোগীতা করতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সহযোগী সংগঠনের নামধারী কয়েকজন কথিত নেতা। পরে রাসেল লামছড়ি এলাকায় শুরু করেন ফেন্সিডিল ও মরনেশা ইয়াবার ব্যবসা। ইয়াবা ব্যবসা শুরু করার কয়েকদিনের মাথাই রাসেলের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ! ক্রমশই বাড়তে থাকে রাসেলের মাদক ব্যবসার পরিধি। অস্তে আস্তে তিনি নিয়ন্ত্রনে নেয় গোটা চরবাড়িয়া এলাকা।

গাজির খেওয়াঘাট এলাকায় নদীর পাড়ে রাসেল গড়ে তোলেন একটি ঘর। সেখানে বসে তিনি তার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। এরই মধ্যে রাসেলের সংগ্রহশালায় যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। বেশ কয়েকজন যুবক দিন-রাত ওই ঘরটি অস্ত্র দিয়ে পাহারায় রাখতেন। এলাকাবাসী শুধু দেখতো এসব কার্যকালাপ কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় নি আজ পর্যন্ত।

যদিও রাসেল গাজার নাম ঘোছানোর জন্য ফেন্সেডিল আর ইয়াবার ডিলার হলেও এলাকার মানুষ তাকে পুরনো নামেই চিনে। নিজ এলাকা ছাড়িয়ে রাসেলের বিক্রির সোর্স হিসেবে মহাবাজ এলাকারও কয়েকজনকে ব্যবহার করতো এবং নতুন করে আবারো করছে। তার হয়ে মাদক বিক্রি করছে চরআবদানীরও একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। একাধিকবার জেলবাস করলেও তারা মাদক বিক্রির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে মহাবাজ, চরবাড়িয়া আর চরআবদানী এলাকাও তার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

রাসেল নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করেছেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অস্ত্রসহ এলাকায় মহড়া দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন ভোটার।

পরিচয় গোপন রাখার শ্বর্তে রাসেলের ক্যাডার বাহিনীর এক সদস্যের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদক এর সাথে। তিনি বলেন,‘৮নং ওয়ার্ডের রাসেল ভাইয়ের বিকল্প আর কিছু নেই। রাসের ভাই চাইলে চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা রাখে। ২১ তারিখ যত বড় গ্যাঞ্জামই হোক না কেন রাসেল ভাইকে মেম্বার বানাতে আমরা সবাই মাঠে আছি এবং থাকবো।’

স্থানীয় একাধিক ভোটার জানায়,‘রাসেল একজন মাদকব্যবসায়ী ও চিহ্নিত ক্যাডার, প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ আমরা যাতে সুষ্ঠভাবে এই এলাকায় ভোট দিতে পারি।’

থানা ও আদালত সূত্রে মামলার পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কাউনিয়া থানায় একটি মাদক মামলা হয় যার নং ১৬/২৭৯। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর অপর একটি মামলা নং ১৩/২৭৬। ১০ই মার্চ যে মামলাটি হয় তার নং ১৩/৬৭। ২০১৮ সালের ২০ই ফেব্রুয়ারি কাউনিয়া থানা মামলা নং ২৬/৫৬। একই বছরের ৬ জুন একই থানায় মামলা হয়। ২০১৭ সালের ২৮ জুন যে মামলাটি হয় তার নং ১৪/১২৭। ২০১৬ সালের ৯ই নভেম্বর মামলা নং ৮। ২০১৬ সালের ৫ই অক্টোবর কাউনিয়া থানা মামলা নং ৫। ২০১৫ সালের ১৪ জুন কাউনিয়া থানা মামলা নং ৮। ২০১২ সালে কাউনিয়া থানা মামলা নং ৪। এই প্রত্যেকটি মামলাই মাদকের। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর কাউনিয়া থানা মামলা নং ১০/২৭৪। ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট কাউনিয়া থানা মামলা নং ১৬। ২৫ জুন ২০১৯ মামলা নং ২৯/১৮১। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর মামলা নং ৩০/২৩৪। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মারামারি ও হত্যা চেষ্টার একটি মামলা রয়েছে যার নং ৯। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। মামলার বাদী খালেদা পারভীন। ওই মামলায় রাসেল হাওলাদার, আল-আমিন (টোকাই), মামুন হাওলাদার, মামুন ফকিরসহ বেশ কয়েক জন আসামী। এই মামলাগুলোই প্রত্যেকটি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলোই নিস্পত্তি করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি চলমান রয়েছে। রাসেলের মামলা সংখ্যা যতো বেশি তার অপরাধ প্রবণতা তার কয়েকগুন। তিনি সব সময়ই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে মাদক কারবারি করে যাচ্ছে।

অনুসন্ধানী তথ্য বলছে, গোটা চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সকল মাদক সেবীদের একমাত্র মাদকের হাটের মালিক রাসেল। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে মাদক তুলে দিচ্ছে রাসেল। রাতে মাদক বহন ও নিরাপদে চলাচলের জন্য রাসেলের রয়েছে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা। সড়ক পথে চলাচল করলে যে কারো চোখে পড়তে পারে সে। এই কারনেই নদী পথকেই বেছে নিয়েছে মাদক সম্রাট রাসেল।

অপরদিকে রাসেলকে আটকের জন্য গোটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান করলেও তাকে আটক করা সম্ভব হবে না। কারন তালতলী থেকে সড়কের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে তার লোক লাগানো রয়েছে। কোন এক স্থান থেকে পুলিশ প্রশাসনের কেহ ওই এলাকায় ঢুকলেই সাথে সাথে তার কাছে সংবাদ চলে যায়। ফলে রাসেল চলে যায় তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ৮নং ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দা জানায়,‘রাসেল দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম করে আসছে আমাদের এলাকায়, তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না কারন যে মুখ খুলবে তাকেই পরতে হবে রোষানলে। এলাকার ময়-মুরুব্বি কাউকে মানেনা রাসেল।’

তারা আরও বলেন,‘রাসলে মেম্বার হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে এলাকায় প্রভাব খাটাচ্ছে, অনেককে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। যার মূল ব্যবসা হলো মাদক, সে যদি এলাকার মেম্বার হয় তাহলে যে আমাদের কি যে অবস্থা হবে বুঝে উঠতে পারতেছিনা।’

এক বিস্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রাসেলকে মেম্বার বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন এসময়ের সুদ ব্যবসায়ী তোতা মিয়া, বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা খালেক প্যাদাসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। অর্থের বিনিময়ে ওই নেতারা রাসেলকে সমর্থন করছেন। এছাড়া অর্থের বিনিময়ে কয়েকজন সুবিধাভোগী সাংবাদিক টাকার বিনিময়ে মাদকসম্রাট রাসেলকে ‘জনপ্রিয় নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সংবাদ প্রকাশ করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক || এলাকার চিহ্নিত চোর নিয়ে মেম্বার প্রার্থী দীর্ঘদিন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছে। চোর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ঘটনা বলায়।বর্তমান মেম্বার সহ তার পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে নতুন মেম্বার প্রার্থী ও তার ক্যাডার বাহিনী।ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়াবুনিয়া গ্রামে।আহত সূত্রে জানা যায়,জব্বার প্যাদা ফুটবল প্রতীক নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।আর তার এই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে এলাকার চিহ্নিত চোর ও একাধিক মামলার আসামি ভাষান কে নিয়ে।এলাকার এই চিহ্নিত চোর সর্বশেষ স্টান্ডে একটি দোকান চুরি করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।এ ঘটনা নিয়ে একটি চুরির মামলা হয়। ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জহীরের ভাই এই ঘটনা একটি পরিবারকে বলাই, মেম্বার প্রার্থী জব্বার পাদা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে গত ১৩ ই জুন রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার সময় জহির মেম্বারের নিজ বাড়িতে হামলা চালায়।বাড়িতে ঢুকে জহির মেম্বারসহ তার দুই ভাই শাহরিয়া (৪৬) ও রাসাওয়ান ও বৃদ্ধ পিতা মজিবুর মাতুব্বরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার ওপর কুপিয়ে জখম করে।অতঃপর স্থানীয় জনগণ আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতলে নিয়ে যায়।শাহরিয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।এঘটনায় বর্তমান মেম্বারের ফুপাতো ভাই ফেরদৌস খান কিসলু বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে ও ৩০ জনের নামে অজ্ঞাত নামা  একটি মামলা করে।মামলা নম্বর ২০।মামলার আসামিরা হলো, জব্বার প্যাদা,জলিল, খলিল,ফোরকান ও আলমগীর, কামাল,জাহিদ,আব্দুলসত্তার,সালাম প্যাদা, ইউসুফ,জলিল প্যাদা,মালেক প্যাদা,খালেক, জাহিদ, ইব্রাহিম,ভাষান,হৃদয়সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩০ জন।

 

রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি’র ইউএনও আম্বিয়া সুলতানা নাসরিনকে নিয়ে গত ৩১ মে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেন তার ননদ জান্নাত আরা। যা বরিশালের স্থানীয় দৈনিক আলোকিত বরিশাল, দৈনিক মতবাদ, দৈনিক কীর্তনখোলা, দৈনিক শাহানামা, দৈনিক সমায়ের বার্তা, দৈনিক বরিশালের কথা সহ বেশ কয়টি আঞ্চলিক পএিকায় বিভিন্ন শিরোনামে ইউএনও আম্বিয়া সুলতানা নাসরিনকে নিয়ে সংবাদ হয়েছে। এই সংবাদের ভিন্ন মত প্রকাশ করে রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দির ইউএনও আম্বিয়া সুলতানা বলেন, এটি আমার স্বামী, শাশুড়ী ও ননদের পারিবারিক বিষয়। এখানে আমার কোন বিষয় নই। এ বিষয়ে কখনো কান দেই না। আমি এই সম্পদের ওয়ারিশ ও না। আমি চাকরির সুবাদে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি থাকি। আমার সম্মান হেয় করার জন্য আমাকে জড়িয়ে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তা সত্য নয়। আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্যই এধরনের বক্তব্য দিয়েছে। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। এখানে আমি বসবাসও করি না। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করিয়ে তাদের কি লাভ হয়েছে তাও আমার বোধগম্য নয়। আমি চাই তাদের এই সমস্যা তারা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলুক। তাতে আমার কোন আপত্তিই নেই। আমি এই সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ইউএনও আম্বিয়ার শাশুড়ী জানান, আমার মেয়ের বিবাহ হয়েছে। কিন্তু শশুড়আলয় তুলে নিচ্ছে না। কারন, তুলে নিতে হলে আমার মেয়ের নামে বাড়ির দোতালা লিখে দিতে হবে। তার জন্য তারা আমার মেয়েকে চাপ সৃষ্টি করে। তাই মেয়ে তার সংসার বাচাঁনোর জন্য আমার ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু আমি বাড়ি লিখে দিতে অস্বীকার করলে আমার ওপর বারবার চড়াও হয় এবং আমার গায়েও হাত তোলে। তারপর আমি সহ্য না করতে পেরে ৯৯৯ নম্বরে কল করি। তারপর পুলিশ এসে সবকিছু শুনে আমার বাড়ি থেকে তাদেরকে নামিয়ে দেয়। আমার বক্তব্য, আমার মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ হিসেবে যতুটুকু সম্পত্তি সে পাবে তাকে ততুুটুকুই দেয়া হবে। কিন্তু আমি জীবিত অবস্থায় কাউকেই বাড়ি ও সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি না। আমার ছেলে ও ছেলের বউ ইউএনও এখানে থাকে না। আমার ছেলে বউ এ বিয়য়ে কোন মাথা ব্যাথাও নেই। সে তার কাজ ও সংসার নিয়ে সে সময় ব্যস্ত থাকে। কেন তাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তাও আমার জানা নেই। আমার পরিবারদের কে নিয়ে আমার মেয়ে জান্নাত আরা মনগড়া তথ্য দিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জান্নাত আরার ভাই মোঃ আসিফ ইকবাল জানান, আমার বোন দীর্ঘদিন যাবত শশুড়আলয় যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে । কিন্তু আমার বোনের শাশুড়ী এবং স্বামী সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাড়ির দোতালা, সম্পত্তি এবং ব্যাংকে গচ্ছিত নগদ টাকা আমার বোনের নামে লিখে না দিলে তারা আমার বোনকে শশুড়আলয় নিবে না। আমার বোন সংসার বাচাঁনোর জন্য প্রতিনিয়িত আমার মায়ের উপর চাপ প্রয়োগ করতো এবং এক পর্যায়ে তার গায়ে হাত তোলা শুরু করে। আমার মা তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা নেন। আমি ঢাকায় চাকরি করি। এই সুযোগে আমার বোনের স্বামী ও তার মা পরিকল্পিত ভাবে সম্পত্তি হাসিলের উদ্দেশ্যে আমার মায়ের ওপর হামলা করে। আমরা তার কোন সার্টিফিকেট, পাশ বই, গহনা, জামা কাপড় কোন কিছুই আটকে রাখিনি। সব কিছুই তার ব্যক্তিগত রুমের ব্যক্তিগত আলমারিতে রক্ষিত আছে। যার চাবি আমার বোন জান্নাত আরা’র কাছেই আছে। আমি এবং আমার স্ত্রী কোন ভাবেই তাকে তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করিনি। কারন, আমরা এই সম্পত্তির মালিক নই। এই সম্পত্তির মালিক আমার মা। আমার পিতার সম্পত্তি আমার চাচা ও ফুফুদের সাথে এজমালি আছে। যা এখোনো ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি। আমার বোন জান্নাত আরা মনগড়া তথ্য দিয়ে আমাদের নিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রতিবাদকারী
হাওয়া নূর বেগম
জানুসিংহ রোড, কাউনিয়া ২নং ওয়ার্ড, বরিশাল ।
মোঃ আসিফ ইকবাল, ঢাকা।
আম্বিয়া সুলতানা নাসরিন
ইউএনও, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ি ।

ঢাকায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শহরের আমতলা সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদল নেতারা জানায়, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপুর নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ছাত্রদলের খাবার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রগীল হামলা চালায়। এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়। এর প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও পালন করতে দিচ্ছে না পুলিশ। আমরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয়। মিছিল সামনের দিকে যেতে চাইলে অসংখ্য পুলিশ এসে চারদিক ঘিরে ফেলে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে যেতে বাধ্য করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করলে শান্তিশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়।

ঝালকাঠিতে ৫০ পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
গতাকল বুধবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ পরিদর্শক মো. মাইনউদ্দিন ও এসআই মো. আসলাম খানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন রাব্বী সরদার (২২) ও মতিউর রহমান (৪৩)।
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাইনুদ্দীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মধ্য চাদকাঠি এলাকা থেকে রাব্বী সরদার ও মতিউর রহমানকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বরিশালে গলদা চিংড়ির রেণুসহ পৃথক স্থান থেকে আটক ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে একজনকে একবছর ও বাকি ১৮ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

 

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত তামান্না এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে উপজেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশের পৃথক অভিযানে সাড়ে সাত লাখ গলদা চিংড়ির রেণুসহ তাদের আটক করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, ভোলা থেকে ট্রাকে করে বাগেরহাটে গলদা চিংড়ির রেণু পাচার হচ্ছে এমন সংবাদে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। এ সময় একটি ট্রাকের ২০টি প্লাস্টিকের ড্রামে থাকা ছয় লাখ গলদা চিংড়ির রেণুর জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ট্রাকে থাকা ১৯ জনকে। দুপুর ২টার দিকে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৮ জনকে এক মাস করে করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।

 

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটগামী একটি পিকআপে ৫ টি ড্রামভর্তি দেড় লাখ গলদা চিংড়ির রেণু উদ্ধার করা হয়। এসময় একজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: স্বর্ণের চেইন চুরির অভিযোগে বরিশাল নগরীতে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক জাহানারা বেগমের (৪০) বাড়ি কুমিল্লা ও বিলকিস আক্তারের (৩৫) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বলে জানা গেছে।

কোতয়ালি থানার এসআই দোলা জানান, লঞ্চঘাট এলাকায় এক নারীর চিৎকার শুনে টহলরত পুলিশ গিয়ে জানতে পারে অপরিচিত দুই নারী তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। পরে অভিযুক্ত দুই নারীকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আটকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত চেইনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো জানান, ওই দুই নারী মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা একেক সময় একেক নাম-ঠিকানা বলছেন।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আটক দুই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’’

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার তালতলীতে দুলাভাইয়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ও থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকালে তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পাশের জেলার কলাপাড়া উপজেলার লেবুপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামিরা হলো- দুই নম্বর আসামি রুবেল (২৮) ও চার নাম্বার আসামি জাহিদুল ইসলাম (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৩১ মার্চ উপজেলার সোনাকাটা টেংরাগিরি-ইকোপার্ক বনে দুলাভাইর সাথে ঘুরতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। পরে দিন ১ এপ্রিল থানার ওই তরুণী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালায়। এরই সূত্র ধরে গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া এলাকায় লেমুপাড়া এলাকা থেকে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মো. কামরুজ্জামানের যৌথ অভিযানে চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ও তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’