বরিশাল নগরের কাশিপুরে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এবিএম জসিম উদ্দীন (৩৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে বরিশাল নগরের কাশিপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত এবিএম জসিম উদ্দীন পটুয়াখালী জেলার টেলিখালি এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবিএম জসিম উদ্দীন পটুয়াখালী থেকে মোটরসাইকেল যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

পথে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বরিশাল নগরের কাশিপুরে বিপরীতমুখী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

মোঃরাজিবুল হক (বরগুনা প্রতিনিধি)

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)বামনা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাক বামনা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ হাবিবুর রহমানকে সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় বামনা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ওমর ফারুক সাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত (৪ মে)রোজ মঙ্গলবার সরকারি সারওয়ারজান পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বরগুনা জেলা সমন্বয়কারী এম ডি রিয়াজ হোসেন এর সভাপতিত্বে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বামনা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু মোঃ মাসুদ রেজা ফয়সাল বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (রিপোট-৭১), সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ূন কবির সিকদার বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক আমাদের কন্ঠ ), সহ-সভাপতি এস এম ফোরকান মাহমুদ বরগুনা জেলা প্রতিনিধি (দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ),যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক সরেজমিন বার্তা ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেল্লাল হেসেন বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক বাংলাদেশের আলো), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (মান্না) বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ ও সংবাদ সারাদিন ), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজিবুল হক বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক সাহসী সংবাদ), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুমান গোলদার বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক গণজাগরণ), প্রচার সম্পাদক মোঃ মানজুরুল হক বাক্কি বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক দক্ষিণ অঞ্চল), দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ মানজুরুর মুকতাদির নাহিন আহসান রাহাবার বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক আমার সংবাদ ও সৈকত সংবাদ), তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক দিন প্রতিদিন ও সংবাদ সারাদিন) ও সদস্য মোঃ জাকির হোসাইন বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক ইনকিলাব), মোঃ সালাহউদ্দিন বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক মুক্ত খাবর),মোঃ বাসির মোল্লা বামনা উপজেলা প্রতিনিধি(দৈনিক জনতা), মোঃ জহিরুল হক বাদল বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক আজকে বিজনেন্স বাংলাদেশ ), মোঃ হাসানুজ্জামান সেতু বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (বিবিসি নিউজ-৭১), মোঃ নজরুল ইসলাম বামনা উপজেলা প্রতিনিধ (দৈনিক বাংলাদেশ সংবাদ ), মোঃ রাসেল রানা বামনা উপজেলা প্রতিনিধি (দৈনিক সংবাদ বাংলাদেশ) ।

বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় গাঁজাসহ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বন্দরথানা পুলিশের পৃথক দু’টি অভিযানে ২৫ গ্রাম ও ৩০ গ্রাম গাঁজাসহ ২জনকে আটক করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, বন্দরথানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সজল সাহা রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টুংগীবাড়িয়া ইউনিয়নের স্লুইজগেট নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে টুংগীবািয়া ইউনিয়নের বিশারত গ্রামের মৃত ছালাম গাজীর পুত্র নাসির গাজী(২৫)কে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে।

এঘটনায় বন্দর থানায় এস আই সজল সাহা বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে বন্দর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) সামসুল ইসলাম আজ সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টুংগীবাড়িয়া ইউনিয়নের নরকাঠি বাংলালিংক টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নরকাঠি গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের পুত্র রবিন হাওলাদার(২০)কে ৩০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে।

এঘটনায় বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় এসআই সামসুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, আমাদের মাদক বিরোধী অভিযানে এরা আটক হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বন্দরথানা পুলিশের সাথে মাদকের কোন আপষ নাই। আমরা মাদক নির্মূলে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবো।

তবে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান চৌকোস এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এক গৃহবধূ। সেই জিডি তদন্তের নামে ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশের উপপরিদর্শকের (এসআই)এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (গৃহবধূকে) বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ নিয়ে সোমবার (২৪ মে) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন যৌন হয়রানির শিকার ওই গৃহবধূ। তবে এক সপ্তাহ পর আজ সোমবার (৩১ মে) বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলার বাদী জানান, পুলিশের চাপের মুখে এতদিন কাউকে বিষয়টি জানাতে পারেননি।

বাদীর আইনজীবী আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে, নগরীর ধান গবেষণা রোড এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। তা তদন্তের দায়িত্ব পান কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আসাদুল ইসলাম। তিনি জিডির বিষয়টি তদন্তের জন্য বাদীকে থানায় ডেকে নেন।

১৬ অক্টোবর বাদী থানায় গেলে এসআই আসাদুল নানা অজুহাতে তার রুমে বাদীকে বসিয়ে রাখেন। এরপর দস্তখত গ্রহণের অযুহাতে এসআই আসাদুল বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন এবং ঘাড়ে চুমু দেন। এর প্রতিবাদ জানালে মামলার আসামি বাদীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরেন এবং বিবাহ করার আশ্বাস দেন। এ সময় বাদীর স্বামী এসে পড়লে এসআই আসাদুল ওই নারীকে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনার পরপরই বাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানালে তিনি বিচার করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ওসি তখন জানান অভিযোগের বিষয়ে একজন নারী এএসআই তদন্ত করবেন। যৌন হয়রানির শিকার গৃহবধূ ওই এএসআইয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে জানতে পারেন তিনি কিছুই জানেন না। মূলত অসত্য অযুহাতে কালক্ষেপণ করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে থানায় লিখিত এজাহার দিতে চাইলে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। মামলায় থানার সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও বাদী উল্লেখ করেছেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে আমরাও খতিয়ে দেখছি।

মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই আসাদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলার তদন্ত করতে যাওয়ায় মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বরিশাল জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির ঢাকা পোস্টকে জানান, এখন পর্যন্ত এমন কোনো মামলার দায়িত্ব পিবিআইতে আসেনি। মামলার দায়িত্ব পেলে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে।

উজিরপুর প্রতিনিধি॥ বরিশালের উজিরপুরে প্রাইভেট শিক্ষক কর্তৃক এসএসসি পরিক্ষার্থীকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে শারিরিক নির্যাতন করে, ক্ষোভে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ প্রাইভেট শিক্ষকসহ ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। ছাত্র’র পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের মুলপাইন গ্রামের আব্বাস ফকিরের ছেলে রিফাত ফকির(১৬) এবং বড়াকোঠা ইউনিয়নের গড়িয়া গ্রামের সেলিম আকনের মেয়ে তানজিলা হাসান তোফা চৌমুহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একই ক্লাসে লেখা-পড়া করে।

এরই সুবাদে দুজনের মধ্যে দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ছাত্রীর মাতা জোবেদা বেগম ২৫ মে সকালে প্রাইভেট শিক্ষক গড়িয়া গ্রামের ছত্তার গোমস্তার ছেলে রফিক গোমস্তা(২৫) এর কাছে নালিশ করেন। প্রাইভেট শিক্ষক রফিক অতি উৎসাহী হয়ে একই এলাকার আশ্রাব আলি হাওলাদারের ছেলে ইমরান হোসেন হাওলাদারকে বিষয়টি জানান।

এরপর ইমরান বিকেল ৩টায় রিফাতকে বাড়ী থেকে ডেকে গাববাড়ী নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে রফিক ও ইমরান মিলে শাসনের নামে প্রকাশ্যে ছাত্র রিফাতকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। হামলার ঘটনা ও প্রেম সংঘঠিত বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভে ২৬ মে সকাল ৭টায় নীজ বসত ঘরে বিষপান করে ওই ছাত্র। বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে মূমূর্ষ অবস্থায় রিফাতকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টায় মারা যায়। লাশ ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ছাত্র’র দাদী হোসনেয়ারা বেগম(৭০) সাংবাদিকদের কান্না করে বলেন আমার নাতি রিফাত তার সহপাঠি তানজিলার সাথে প্রেমের সর্ম্পক থাকায় তার মাতা জোবেদা বেগম প্রাইভেট শিক্ষক রফিকের কাছে নালিশ করেছে। এরপর রফিক ইমরানকে পাঠিয়ে আমার সামনে থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দিয়ে রিফাতকে ডেকে নিয়ে মানুষের সামনে মারধর করেছে।

একারনেই আমার আদরের নাবালক নাতী রাগে, ক্ষোভে, লজ্জায় এবং ভয়ে বিষপান করেছে। মামলার বিষয়টি ৩১ মে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান নিশ্চিৎ করেছেন। অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক মোঃ রফিক গোমস্তা ও স্থানীয় ইমরান হাওলাদার ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে রফিকের কাছে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানিনা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ।

ছাত্রীর পরিবারের লোকজনও বাড়ীতে না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে নিহত ছাত্র’র পরিবার ও এলাকাবাসী সুবিচারের দাবীতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে।

ঝালকাঠির কাঠালিয়ার কৈখালী বাজারে আগুনে আট দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কাঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

সোমবার (৩১ মে) সকাল ৬টায় উপজেলার কৈখালী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক খোঁজ নিতে কাঠালিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় চেচরীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জোমাদ্দার বলেন, সোমবার সকাল ৬টায় কৈখালী বাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এতে একটি ফার্মেসি, একটি ফ্লেক্সিলোডের, দু’টি হার্ডওয়ারের, দু’টি কসমেটিকসের, মুদি ও চায়ের দোকানসহ আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, খবর পেয়েই কাঠালিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পথ পরিবর্তন করে ঘুরে আসতে হয় তাদের। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের বেশি সময় লাগে।

এদিকে এরমধ্যেই ভান্ডারিয়া ফায়ারসার্ভিস ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলেও তুমুল বেগে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। এরপর কাঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া ফায়ারসার্ভিস ইউনিটের যৌথ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অপহরণ ও ছিনতাইয়ের মামলায় সাইফুল ইসলাম (৩২) নামের এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত।

রােববার (৩০ মে) দুপুরে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম তারিক শামস জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানাের নির্দেশ দেন।

সাইফুল ইসলাম ঝালকাঠির নলছিটি পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নলছিটির কুশঙ্গল ইউনিয়নের বিন্দুঘােষ এলাকার মৃত সােহরাব হােসেনের ছেলে আল আমিন শরীফের সঙ্গে কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরােধ রয়েছে।

তারা পরস্পরের আত্মীয়। ২০২০ সালের ৯ জুলাই আল আমীন শরীফ তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় কুশঙ্গল ইউনিয়নের বিহঙ্গল এলাকা থেকে অপহৃত হন।

অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ২০ জুলাই আল আমিন শরীফের স্ত্রী রূপা বেগম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে নলছিটি থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে সাইফুল ইসলামের নাম ছিল না। পরে আদালতের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে সাইফুলের নাম উঠে আসে এবং তাকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে আদালতের কয়েদখানায় সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা ও বানােয়াট মামলা।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা সংবাদদাতা):
বাংলাদেশ সরকারের ত্রান ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান আজ শনিবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বামনা উপজেলার ক্ষতি গ্রস্থ এলাকা ও নতুন বাজারে ত্রানের নির্মানাধীন ত্রানের ঘর, সদর আর রশিদ ফাজিলমাদরাসা, ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রীকলেজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে মিলিত হন। উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধার সভাপতিত্তে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃমোঃ এনামুর রহমান। সভায় বক্তব্য রাখেন কাঠালিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির,বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবেক সরকার,কাঠালিয়ার উপজেলা নিবাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ,ষ্টারলিং গ্রুপের পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম সেন্টু ফোনে মন্ত্রীর সাথে কথা বলে বামনার সমস্যা তুলে ধরেন।উল্লেখ্য মন্ত্রী সাহেবের সাথে সেন্টু সাহেরের পূর্বেই পরিচয় রয়েছে। বামনা থানার ওসি মো হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, অধ্যক্ষ মাওলানা মো ইউনুস আলী, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, সাংবাদিক নেসার উদ্দিনও হাবিবুর রহমান প্রমূখ। পরে তিনি( মন্ত্রী)ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজে লা পরিদর্শনে যান।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি)
বরগুনার বামনায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেরিবাদ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করায় কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছে।এদিকে দক্ষিণ ডৌয়াতলা গ্রামের মতি জোমাদ্দারেরন পুত্র নান্না জোমাদ্দার মাছ শিকার করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
এলাকা বাসী ও থানা সূত্রে জানা যায় নিহত নান্না গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের হোতাখালে মাছ শিকার করতে গেলে হঠাৎ খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো হাবিবুর রহমান জানান নান্না দীর্ঘ দিন রৃদ রোগে ভুগতে ছিল। ঠান্ডা জনিত কারণে পানিতে পরেই তার মৃত্যু হয়েছে।পরিবারের দাবিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাপন করা হয়েছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে মাদক বিক্রেতাকে ধরতে গিয়ে লঙ্কাকান্ড সৃষ্টি করল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শহরের কাশিপুরের চহঠা এলাকায় শনিবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি টিম চার মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করলে তাদের একজন মাসুদ তালুকদার হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করাসহ হাতকড়া উদ্ধারে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মসরুদের নেতৃত্বে ঘণ্টাব্যাপি রুদ্ধদার অভিযানে ঘাম ঝরালেও শেষত্বক ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু স্থানীয় এক চা দোকানিকে চাকরি রক্ষার্থে যে কোনো মূল্যে আসামি মাসুদ নয়, অন্তত হাতকড়াটি উদ্ধারে সহযোগিতা চায়। শনিবার রাত ১০টার দিকের এই ঘটনাটি বরিশাল পুলিশে জানাজানি না হলেও এনিয়ে শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের চহঠা এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, ডিবি পুলিশ এই ঘটনায় মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করলেও তাতে পালিয়ে যাওয়া মাসুদকে অন্তর্ভুক্ত করেনি।

স্থানীয় ও ঘটনাপ্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়- ডিবির এসআই মসরুদের নেতৃত্বে শনিবার রাত ১০টার দিকে চহঠা কারিকর বাড়ি পোল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। একপর্যায়ে তারা স্থানীয় মুনসুর তালুকদারের ছেলে মাসুদ তালুকদার ও তার তিন সঙ্গীকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তারে সক্ষম হলেও আরও দুজন মোস্তফা এবং সালু পালিয়ে যায়। পরক্ষণে এই চারজনকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলার প্রাক্কালে কৌশলে দৌড়ে মাসুদ পালিয়ে যায়। এসময় ডিবি পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পুনরায় গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ঘন্টাব্যাপি ওই এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, হাতকড়াসহ মাসুদ পালিয়ে যাওয়ার পরে ডিবি পুলিশ আশপাশ এলাকাসমূহে গণতল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু তারা মাসুদকে গ্রেপ্তার বা হাতকড়া উদ্ধার করতে না পারলেও একটি মাধ্যমে জানতে পারে, স্থানীয় চা দোকানি আলমগীর কারিগরের দোকানে মাসুদ দিনের অধিকাংশ সময় আড্ডাবাজি করে এবং তার সাথে সম্পর্কও ভাল।

একটি সূত্র জানায়, ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা এই সুযোগটি নিয়ে আলমগীরের স্মরণাপণ্ন হয় এবং মাসুদকে নয়, অন্তত হাতকড়াটি উদ্ধার করে দেওয়ার সহায়তা কামনা করে চাকরি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। অবশ্য এই সময় দোকানিও সহযোগীতার আশ্বাস দিলে ডিবি পুলিশ তার কাছে হাতকড়ার চাবিটি দিয়ে আসে।

জানা যায়, ওই দোকানি কোনো মাধ্যম মাসুদের সাথে যোগাযোগ করে এবং রাতেই তার কাছ থেকে হাতকড়ার চাবিটি এনে রেখে দেয়। পরবর্তীতে দোকানির কাছ থেকে রাত ২টার দিকে ডিবি পুলিশের এসআই মসরুদ ও এএসআই ইসাহাকসহ কয়েকজন গিয়ে চাবিটি নিয়ে আসে।

ঘটনাপ্রত্যক্ষদর্শী অপর এক ব্যক্তি জানান, গভীর রাতে চাবি আনতে গিয়ে দোকানিকে ঘুম ভাঙানোয় তিনি কিছুটা বিরক্তবোধ করেন এবং জোরে বলতে থাকেন আপনাদের চাবি নিরাপদ স্থানে অর্থাৎ সবুজ শার্টের পকেটে রেখেছি। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তারা হাতকড়া নিয়ে চলে আসে।

তবে গাঁজা ব্যবসায়ী হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং স্থানীয় দোকানির সহায়তায় তা উদ্ধার করার বিষয়টি এসআই মসরুদর অস্বীকার করলেও একটু বিব্রত হয়ে এএসআই ইসাহাক বলেন, আমি মুল অভিযানে ছিলাম না। হাতকড়া ও চাবি আনতে যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে এসি স্যারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।

শনিবার রাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করলেও স্থানীয় চা দোকানি আলমগীর বলছেন, অনেক কষ্ট করে তাদের হাতকড়াটি উদ্ধার করেন। এবং ওই রাতেই পুলিশ সেখানে গিয়ে তা নিয়ে আসে। এসময় বিষয়টি কারও কাছে বলতে দোকানিকে নিষেধও করে।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মঞ্জুরুল রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’