পৃথক অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ চারজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল।

 

এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার বিশেষ অভিযানিক দল বাবুগঞ্জের চাঁদপাশার বটতলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে চাঁদপাশা ইউনিয়নের উত্তর রফিয়াদি এলাকার মো. জহিরুল হক ওরফে মিন্টু হাওলাদারকে (৩৬) এক কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির বিশেষ অভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদমারি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া এলাকার মো. মিরাজ হোসেন (৩৮) ও মো. আরিফুল ইসলাম সুজনকে (৩৮) দুই কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়।

এছাড়া অপর এক অভিযানে বন্দর থানার বিশেষ অভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবের হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার মো. কামরুল ইসলামকে (৪০) দুই কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়।

আটকদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া সেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানজিল আহমেদ।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল নগরীর এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।

গতকাল রাতে বরিশাল কাউনিয়া থানার একটি বিশেষ আভিযানিক টিম ভাটিখানা, জোড় মসজিদসহ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিসিসি ৩ নং ওয়ার্ড ভাটিখানা সোনিয়া মসজিদ গলিতে অবস্থান নেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার আসামী মোঃ তানভীর হাওলাদার নবীন (২৫)। পিতা মোহাম্মদ লিটন হাওলাদার এবং তার সাথে থাকা একই মামলার সহযোগী মোঃ রাকিব মোল্লা।পিতা মোঃ কাদের মোল্লা উক্ত স্থান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাদক ব্যবসায়ী নবীন এবং তার সহযোগীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাৎক্ষণিক তারা দুজনকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই এনামুল এবং তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ী নবীনকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী নবীনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সেখান থেকে দুই শত পিস ইয়াবা (মেথাএমফিটামিন) ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে থানায় আটক করে আজ নিয়মিত মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এসময় অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন কাউনিয়া থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই/ মোঃ এনামুল হক,এসআই/সামসুল ইসলাম,এসআই/শওকত হোসেন, এএসআই কামরুল ইসলাম সহ সঙ্গীও ফোর্স।

এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার এসআই এনামুলের সাথে কথা বলে জানা যায় এই নবীন দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকায় মাদক ব্যবসার পরে আসছিল। অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির হওয়ায় তাকে ধরতে আমাদের খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে। এর আগেও আমরা নবীনের বসত করে অভিযান পরিচালনা করেছি কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী নবীন তার নিজের থাকার রুমটি অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে তৈরি করেছে এবং রুমের সাথে থাকা এটাস্ট বাথরুম হওয়াতে বাহির থেকে নক করার সাথে সাথে সে মাদক বাথরুমে ফেলে ফ্লাস করে দিতো। তিনি আরো বলেন নবীনের বিরুদ্ধে এর আগেও ২০০০ পিস ইয়াবার একটি মামলাসহ, এক কিশোরের অঙ্গহানি এবং হত্যার চেষ্টা মামলাও রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাদক ব্যবসায়ী নবীন নগরীর কাশীপুরে অবস্থিত ইনফ্রা পলিটেকনিক কলেজের একজন অনিয়মিত ছাত্র ছিল। মাদক ব্যবসায় এবং মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে তার পড়াশোনাও শেষ করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আমাদেরকে জানায় মাদক ব্যবসায়ী নবীনের পুরো পরিবার ওর এই মাদক ব্যবসায়ের বিষয়ে অনেক আগে থেকে অবগত একথায় তাদের কারণেই নবীনের মত একজন কিশোর হয়ে উঠেছে বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী এবং সেই সাথে ধ্বংস করছে এলাকার বাকি নতুন যুব সমাজকে। এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান মাদক ব্যবসায়ী নবীন ছাড়াও ভাটিখানা ও জোর মসজিদ এলাকায় আরও বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। আমরা তাদেরকেও নজরদারিতে রেখেছি। নবীনের সাথে জড়িত সকলের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে তদন্তের স্বার্থে এখন আমরা নাম প্রকাশ করতে পারছি না।

বরিশালের আলোচিত মাদকবিক্রেতা আমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শহরের পলাশপুর এলাকার সাত নং গুচ্ছগ্রামে আমিনের বাসার কাছাকাছি স্থান থেকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় ডিবি। এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার করে ২০ পিস ইয়াবা। কাউনিয়া থানা আওতাধীন আলোচ্চ্য এই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের খবর এলাকাবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একজন নারী মাদকবিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাফসান জানির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে অবস্থান করে। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও সেই নারীর পাত্তা না পেয়ে সেখানে আগন্তক স্থানীয় আমিন চৌধুরীর গতি রোধ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকি একপর্যায়ে পঁচিশোর্ধ্ব যুবক আমিনের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গুচ্ছগ্রামের মৃত চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে আমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বেঁচা-বিক্রিসহ বহুমুখী অপরাধ করে আসছিলেন। ইতিপূর্বে কাউনিয়া এবং কোতয়ালি থানা পুলিশ কয়েকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ফের এলাকায় এসে একই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। আমিন স্থানীয় সকলের কাছে মাদকের সাব-ডিলার হিসেবে পরিচিত, তিনি শহরের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ রসুলপুরের পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাদক ক্রয় পরবর্তী তা খুচরা বিক্রি করেন থাকেন। এই তথ্য পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকাবাসী অবগত থাকলেও ধুরান্ধার আমিনের লাগাম টানা যাচ্ছিলো না।

ডিবি পুলিশ জানায়, বরিশালে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে তাদের একটি টিম গুচ্ছগ্রামের তিন রাস্তার মোডে অবস্থান নিয়ে হোসনে আরা নামক নারী মাদক বিক্রেতাকে ধরার টার্গেট নেয়। কিন্তু অনেক সময় অবধি অপেক্ষার পরে নারী মাদক ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া না গেলেও অনেকটা কাকতালীয়ভাবে ধরা পড়েন আমিন চৌধুরী।

গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাফসান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এবং তিনি জানান, গ্রেপ্তার আমিন একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা, কিন্তু তাকে কৌশল মতো পাওয়া যাচ্ছিলো না। মঙ্গলবার রাতে অভিযানে কাকতালীয়ভাবে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের পরবর্তী বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, যুবক আমিনের বয়স বেশি না হলেও তিনি মাদক বিক্রিতে বেশ পটু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কী ভাবে বাণিজ্য চালাতে হয় তার কৌশল ভালোই জানেন, বোঝেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না! অপরাধ করে যে পার পাওয়া যায় না ডিবি পুলিশের অভিযানে তা আরেকবার প্রতীয়মাণ হলো।

স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আমিন চৌধুরী এর আগেও একাধিকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন, খেটেছেন জেলও। কিন্তু মোটেও তিনি শোধরাননি, বরং মাদকের দেদার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে ফের গ্রেপ্তারের খবর এলাকার বাসিন্দাদের প্রশান্তি দিয়েছে। এবং এলাকাবাসীর তরফ থেকে দাবি উঠেছে, এই আমিনের সহযোগীসহ বাকি সকল মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তারের। চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা আমিনকে গ্রেপ্তার করেতো ডিবি পুলিশ বাহবা নিলো, এখন অপরাপর ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা শুরু করবে কী না।
এলাকাবাসীর দাবি, শুধু আমিনকে আটক করলেই হবে না আমিনের শেল্টার দাতা সুন্দরী রমণী, মাদক সম্রাজ্ঞী কে আটক করা হোক।তাহলে মাদক ব্যবসা ধীরে ধীরে নির্মূল হবে সমাজ থেকে।ওই মাদক সম্রাজ্ঞী নেতৃত্বে প্রায় ১৭ জন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয় বিক্রয় করে।তার কাজ হল তার আন্ডারে ১৭ জন ব্যবসায়ীকে প্রশাসন আটক করেলে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তাদের জামিনে মুক্ত করে নিয়ে আসবে।জামিনে মুক্ত করে নিয়ে এসে ফের তাদের হাতে মোটা অংকের টাকা এবং মাদকদ্রব্য হাতে তুলে দিবেন।এর আগে বরিশাল নগরীর, কাউনিয়া, নতুল্লাবাদ, কলেজ এভিনিউ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
কিন্তু প্রশাসনের নজরদারের কারণে গা-ঢাকা দিয়েছেন পলাশপুর এলাকায়।যেহেতু পলাশপুর কলোনী এলাকা এবং গণবসতি তাই তার ব্যবসা পরিচালনা করার সুবিধায় এলাকায় এসেছেন।সুশীল সমাজের দাবি তাকে আটক করলে, এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে।

 

ঝালকাঠির নলছিটিতে বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিফাত খান নামে এক যুবককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে নলছিটি থানায় মামলাটি করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ আগস্ট রাতে ঘরে একা পেয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী সিফাত খান। মেয়েটি এ ঘটনা তার মা-বাবাকে জানান। তারা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে সিফাত ওই পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকেন। পরে তরুণীর মা সোমবার দুপুরে নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন সিফাত।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

 

বরিশালে হাসানস ট্রাভেলস নামে একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চৌমাথা বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- বরিশাল নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেলতলা এলাকার মন্নান খলিফার ছেলে মো. হেলাল হোসেন (২৫) ও নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরমোনাই ট্রলার ঘাট এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে মো. সন্টু খান (৩০)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে নগরের চৌমাথা নতুল্লাবাদ টু রূপাতলীগামী মহাসড়কের ওপর অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় চট্টগ্রাম থেকে বরিশালগামী হাসানস ট্রাভেলস নামে একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারিকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক মাদককারবারিরা চট্টগ্রাম থেকে মাদক নিয়ে বরিশালে আসছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়।
তাদের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এনায়েত হোসেন।

 

মহালছড়ি উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. সোহেল মিয়া (৩৩) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার মাইসছড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়।

সোহেল মাইসছড়ি ইউনিয়নের ছাত্রদল সভাপতি ও নুনছড়ি গুচ্ছগ্রামের কবির আহমেদের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার (২০ আগস্ট) সকালে মহালছড়ি মাইসছড়ি ডিপি পাড়া এলাকার এক তরুণীকে তার বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সোহেল।

এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। ততক্ষণে সোহেল মিয়া পালিয়ে যান।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন।

মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগীর মামলার ভিত্তিতে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

আগৈলঝাড়া উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক দাঁতের চিকিৎসক ও ফার্মেসি ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও দুটি অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার সোহেল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে ইমামা বানিন।
সোহেল বলেন, দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় উপজেলা সদর রোডে অভিযানটি পরিচালনা করেন।

এ সময় প্রিংয়াকা ডেন্টাল কেয়ার নামে এক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী প্রিয়াঙ্কা ঘটককে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভাই ভাই ফার্মেসি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ পাওয়ায় সেটির সত্ত্বাধিকারী নাজমুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালীন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পপি ডেন্টালের প্রদীপ রায় ও আঁখি ডেন্টাল কেয়ারের সত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর বেপারী পালিয়ে গেলে বিচারক তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেন।

অভিযানে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শুকলাল শিকদার ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

গাজীপুরে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করতেই আরেক বাসের ধাক্কায় আরিফ হোসেন নামের এক কেমিক্যাল কোম্পানির মার্কেটিং কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ হোসেন (৩২) বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া গ্রামের শাহজাহান গাজীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের বাসন সড়ক এলাকার মা কালার হাউস কেমিক্যাল কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার ছিলেন।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‌‘রবিবার দুপুরে প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের বাসে ঢাকা থেকে রাজেন্দ্রপুরে যাচ্ছিলেন আরিফ হোসেন। বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে বমি করতে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চন্দ্রাগামী তাকওয়া পরিবহন বাসের ধাক্কায় আরিফের মাথা ফেটে যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরই তাকওয়া পরিবহনের বাসটি পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নগদ টাকা ছাড়া পুলিশ কেসের নথি নড়ে না। হাসপাতাল স্টাফদের কাছে খোদ পুলিশ সদস্যরাও জিম্মি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না দিলে চিকিৎসাপত্রের রিপোর্টই গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
    শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই কক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হয়ে থাকে।

মূলত মারামারি হামলা-পাল্টা হামলার ক্ষেত্রে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন তাদের পুলিশ কেস হলে বেশকিছু ডাক্তারি নথি প্রয়োজন হয়। সেগুলো রাখা হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ১৫৬ নম্বর রুমে। কিন্তু বছরের পর বছর এই রুম থেকে গুরুত্বপূর্ণ এসব নথি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালেরই একটি মহল এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি টাকার বিনিময়ে গায়েব করেন

সবশেষ গত ৮ আগস্ট এমসি রুম থেকে বিভিন্ন মামলার আলামতের বিপুল সংখ্যক নথি একসঙ্গে গায়েব হয়। রাতের অন্ধকারে কক্ষটির জানালার লক খুলে কাগজপত্র চুরি হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুষ না দিলে চিকিৎসা সনদ পাওয়া যায় না। অনেক সময় আবার আসামি পক্ষের হয়ে হাসপাতাল কর্মচারীরা চিকিৎসা ফাইলই গায়েব করেন। বিভিন্ন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের স্টাফদের কাছে জিম্মি হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পুলিশকেও।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি পারিবারিক বিরোধে তার ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হলে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বন্দর থানায় তিনি মামলা করেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা সনদ নিতে গেলে তাকে জানানো হয় সেই কাগজ চুরি হয়েছে। পরে তিনি হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জানালে তাকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেন।

আরেক ভুক্তভোগী কাজ এনায়েত দাবি করেন, এমসি কক্ষে তার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘুষ না দিলে সনদ দেয়া হবে না বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঞা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তারা জেনেছেন হাসপাতালের এমসি শাখার জানালার লক খুলে নথি চুরি হয়েছে। এটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণ কোনো চোর তো আর ডাক্তারি নথি গায়েব করতে যাবে না এটা পরিকল্পিত।’

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান জানান, এই দফতরে যাকেই দায়িত্ব দেয়া হয় তারাই ঘুষ লেনদেনে জড়ায়। কয়েকজনকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সবশেষ নথি চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নথি চুরিতে বারবার নাম উঠে আসছে এমসি শাখা থেকে বরখাস্ত হওয়া সোহাগ ও তার সহযোগী আমিনুলের নাম। যদিও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমান বন্দর থানার রহমতপুর বিমান বন্দর মোড়ে অভিযান চালিয়ে ৩শ পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে।

গত শনিবার রাতে এই অভিযান চালায় বিমান বন্দর থানা পুলিশ। আটক দুই জন হল বরিশাল জেলার কাজীরহাট থানার সিকদার বাড়ির সরোয়ার সিকদার (৩০) ও বরিশাল নগরীর কলেজ রো এলাকার রাজিব হাওলাদার (৪২)।

রবিবার বিএমপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমান বন্দর থানার একটি বিশেষ দল শনিবার রাতে রহমতপুরে বিমান বন্দর মোড়ে অভিযান চালিয়ে সরোয়ার ও রাজিবকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে করে তারা।

এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।