এবার বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে জড়িয়ে প্রতারনার নতুন ফাঁদ পাতা হয়েছে। প্রতারক চক্র প্রতিমন্ত্রী নাম ভাঙ্গিয়ে হজ্জ্বে পাঠানোর কথা বলে ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ চাচ্ছে।

এ ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আসিফ মাহামুদ হিমু বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। হিমু সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের মধ্য চরআইচা গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।

অভিযোগকারী হিমু বলেন, গত ৩ মার্চ তার ঘনিষ্ঠজন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে প্রতারক (০১৭৮৬৭৩৯২৩৪) কল দেয়। এরপর কৌশলে তার নাম ও পেশা জেনে তাকে অবহিত করে আপনি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কিছু সংখ্যক লোককে সরকারি ভাবে হজ্জ্বে পাঠানোর উদ্দেশ্যে নির্বাচিন করা হয়েছে। তার মধ্যে আপনিও একজন।

বিষয়টি সত্য তা নিশ্চিত কবার জন্য প্রতারক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম পরিচয়ে এক ব্যক্তির সাথে কথা বলায়। সে কথা বলার পূর্বে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলছি বলে কথা শুরু করেন। প্রতিমন্ত্রী পরিচয়ে ব্যক্তি তাকে (খাদিজা) ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য বলেন। টাকা বিকাশ করার পর ৩ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বরিশাল সার্কিট হাউসে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। সেখানে সরকারিভাবে হজ্জ্বে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে ৬০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব টাকা পাঠানোর তাগিদ দেয় প্রতারক চক্র।বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য খাদিজা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম পিন্টুর ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেন। তখন পিন্টু তাকে অবহিত করেন এটা প্রতারক চক্রের কাজ। এ ধরনের কোন সিদ্ধান্তই হয়নি। পিন্টু তাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।

বিষয়টি জানতে পেরে খাদিজার ঘনিষ্ঠজন ছাত্রলীগ নেতা হিমু বাদী হয়ে গত ৪ মার্চ বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

ডায়েরীর বিষয়টি স্বিকার করে কাউনিয়া থানার ওসি এআর মুকুল বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযোগ কারীর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি আরো বলেন, এভাবে কেউ মোবাইল করে বিকাশে টাকা চাইলে তা নিশ্চিত না হয়ে লেনদেন না করার আহ্বান জানান।এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটি একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। এ ধরনের কোন প্রলোভনে বরিশালবাসীকে না পড়ার আহ্বান জানান। তার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ বিকশা কিংবা নগদ টাকা চাইলে সরাসরি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নগরীর ১০নং ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ও বরফকল নৌ পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে চাদাঁ তুলছে কে এই ফাহিম।অভিযোগে সূত্রে জানাযায়,চানমারী স্টুডিয়াম গের্ট সংলগ্ন পশুপাখি ব্যবসায়ী ফারুক মিয়ার ছেলে ফাহিম ছোট থেকেই বখাটে ও উশৃংখল জীবন জাপনে অভ্যস্থ এরই মধ্যে এলাকায় গড়ে তুলেছে নিজেস্ব কিশোর গ্যাং বহিনী।বর্তমানে নৌ পুলিশ ও বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের সোর্স পরিচয় দিয়ে করছে মাদক ব্যবসা,অবৈধ ঝাটকা ইলিশ গাড়ি থেকে দুই বাহিনির নাম করে চাঁদা আদায়,এলাকার নিরীহ মানুষকে ভয়ভিতী দেখিয়ে টাকা অাধায় করছে দুই বাহিনির সোর্স পরিচয় দানকারী ফাহিম।এরই মধ্যে ফাহিমের সাথে ঝাটকা ইলিশ মাছ পাচারকারীদের মধ্যে কথোপকথনের ১০ রেকর্ড পাওয়া গেছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ কে ম্যানেজ করবে তা বলতে শুনা যায়।১০টি কথোপকথন কল রেকর্ড শুনা যায় ফাহিম মহিপুর,অালীপুর,ভোলা সহ দক্ষিন অঞ্চলের বিভিন্ন অবৈধ ঝাটকা ইলিশ পাচারকারীদের সাথে দুই বাহিনীকে ম্যানেজ করবে বলে টাকা দাবি করছে ফাহিম।যাতে করে পাচারকারীরা নির্বিঘ্নে অবৈধ ঝাটকা ইলিশ স্ব -স্ব স্হানে পৌছে যাতে পাড়ে।এ ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন দিনমজুর লোকদের নৌ পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ভয়ভিতী দেখায় ফাহিম।তার এই কর্মকান্ডের কারনে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের ভাবমূর্তি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়ে উঠচ্ছে ওই এলাকার মানুষের কাছে। সন্ধ্যায় নামার সাথে সাথে দলবল নিয়ে গাজাঁর আড্ডা নিয়ে বসেন।কেউ কিছু বলার সাহস ও পায় না।বেশ কিছু দিন আগে ফাহিম ইয়াবা সহ আটক হয় ওই মামলায় জামিনে রয়েছে।জেল থেকে বের হয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে এই ফাইম। এ বিষয় নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এই ধরণের কর্মকান্ড সে করে থাকে তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

 

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে পাঁচ ড্রেজার ও বলগেট মালিককে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের আরডিসি মো. বশির গাজী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন ।

আরডিসি মো. বশির গাজী বলেন, সুগন্ধা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করত একটি অসাধু চক্র। এতে নদীর পাড় ভেঙ্গে যায়।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন দায়ে ড্রেজার ও বলগেট মালিক আব্দুল কাইউম, মো. কামাল, মো. এরশাদ, মো. আউয়াল ও মো. ইব্রামিকে মোট দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮৬০ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

স্বর্ণ প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে খুলনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় বরিশাল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারকচক্রের কাছ থেকে কেনা সাত ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল নগরের কাটপট্রি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সুনীল কর্মকার পেশায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, খুলনায় একটি স্বর্ণ প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হলে সে বরিশাল নগরের সুনীল কর্মকারের কাছে চোরাই স্বর্ণ বিক্রয়ের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।

এরপর খুলনার মেট্রোপলিটন পুলিশ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় নগরের কাঠপট্টি এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সুনীল কর্মকারকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে চোরাইকৃত সাত ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে খুলনা পুলিশ।

গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে খুলনা চলে যায় অভিযানকারী দল।

 

বরিশালে নিজ ঘর থেকে রুবেল গাজি (৩৬) নামে এক রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরের কাউনিয়া থানাধীন আল-মাদানির বাসার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রুবেল বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর ভোলানাথ গ্রামের বাসিন্দা আবুল গাজির ছেলে।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে রুবেল আত্মহত্যা করেছে।

পেশায় সে একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়া বরিশাল নগরের আলমাদানি সড়কে ভাড়া থাকতেন।

পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বাসার বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে। বিষয়টি জানার পরে স্বজনরা থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
পরে খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মিজান মোল্লা বলেন, আমরা আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের কারনেই আত্মহত্যা করেছেন রুবেল।

 

একটি ফার্মেসি থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর ছয় টুকরো মরদেহ উদ্ধারের পর ঢাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জিতেশ গোপকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, তাকে ঢাকা থেকে সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শুক্রবার দুপুর ১টায় জানানো হয়েছে, জিতেশ গোপকে তারা গ্রেফতার করেছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের আব্দুল মতিন মার্কেটে জিতেশের ‘অভি মেডিকেল হল’ নামের তালাবদ্ধ ফার্মেসি থেকে তিন সন্তানের মা শাহনাজ পারভিন জ্যোস্নার (৩৫) ছয় খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের স্বামীর বাড়ি জগন্নাথপুর পৌর শহরের পৌরসভার পেছনের আবাসিক এলাকায়। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী ছুরুক মিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই হেলাল মিয়া বাদী হয়ে ফার্মেসি মালিক জিতেশ গোপকে আসামি করে খুনের মামলা করেছেন।

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় পলাতক থাকা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চুর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। ১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০ টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

তাদের দাবী এলাকার একসকিশোরীকে ধর্ষন ঘটনায় রাজধানীর খিলগাও থানায় দায়েরকৃত মামলায় অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাচ্চুর কুশপুত্তলিকা দাহ এবং কুলকাঠি সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

উল্লেখ্য, চাকরি ও বিয়ে করার প্রলোভনের অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চুর নামে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ১২ জানুৃযারি একটি মামলা দায়ের করেছে এক কিশোরী।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ থেকে ৮ মাস আগে বাচ্চুর সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে ওই নারীকে ঢাকায় চাকরি দেবে এবং বিয়ে করবে বলে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ বনশ্রীর একটি বাসায় ঢাকায় নিয়ে আসেন। ওইদিন তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন। সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামলার ২নং আসামির দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় নিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগীর বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এলাকার মেয়ে হিসেবে এবং আমি জনপ্রতিধির দায়িত্ব পালনের সূত্রে তাকে চিনি। তবে এই অভিযোগগুলো শতভাগ মিথ্যা। ওই মেয়ে সামনা-সামনি যদি বলতে পারে তাহলে যে বিচার করা হবে আমি সেই বিচারই মেনে নেব।

বাচ্চু নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের তিনবার আওয়ামী লীগের মনোয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে কুলকাঠি চেয়ারম্যানের দায়িত্বের পাশাপাশি নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।

খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলাটা রুজু করা হয়েছে।

 

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে ৮ম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্র হৃদয় মোল্লার (১৪) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে লাশ বানারীপাড়া থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৪টায় বানারীপাড়ার রায়েরহাট টিএন্ডটি মোড় সংলগ্ন কারসা ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মী জাহিদ হোসেন পূর্ব নারায়নপুর শহীদ মোল্লার ঘরে কিস্তি আদায়ের জন্য যান। এ সময় ঘরে টাকা না থাকায় শহীদ মোল্লার স্ত্রী, নিহতের মা ঝুমুর বেগম পার্শ্ববর্তী বাড়িতে টাকা সংগ্রহের জন্য ছুটে যান।

এ ব্যাপারে নিহতের মা ঝুমুর বেগম জানান, কারসা ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী জাহিদ স্যারকে ঘরের মধ্যে রেখে টাকা সংগ্রহে ছুটে যাই। কিছু সময় পরে এসে শুনি আমার ছেলে হৃদয় ঘরের দরজার দৌড়ের সাথে মাপলার পেচিয়ে ঝুলে রয়েছে। আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমার স্বামী সন্তানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

কারসা ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন জানান, আমি ওই ঘরে গিয়েছিলাম সত্য, সদস্য ঝুমুর বেগম টাকা খুঁজতে যাওয়ায় আমি অন্য সদস্যদের ঘরে কিস্তির টাকা কালেকশন করতে যাই। নিহতের পিতার ডাক চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনা দেখে মর্মাহত হই। তবে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে রহস্যজনক মৃত্যুর খবর শুনে হৃদয় মোল্লা (১৪) এর লাশ উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, নিহত হৃদয় মোল্লা পূূর্ব নারায়নপুর পল্লী ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিপু হালদার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিখনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ সময় আসামির ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা চালায় তার অনুসারীরা। গত ২৭ জানুয়ারি বরিশালের বাঘিয়া এলাকায় খুন হন দিপু হালদার।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় একই এলাকার মাদকসেবী কুডু মিস্ত্রিসহ আরও চার-পাঁচজন ২৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে দিপুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।ঘটনার দুই দিন পর নিহতের ছোটবোন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিখনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আসামি লিখনসহ লিটু নামের আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের হাইকোর্টে জামিন রয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়। তবে সাংবাদিকরা সেই ডকুমেন্ট দেখতে চাইলে দেখানো হয়নি।

এ ঘটনায় গ্রেফতার দুজনের মধ্যে লিটু হাইকোর্টের আগাম জামিনে থাকায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে নিহত দিপুর পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। এমনকি গ্রেফতারের পর যুবলীগ নেতা লিখনের হাতে হাতকড়া না পরিয়ে পুলিশভ্যানের সামনের সিটে বসিয়ে আদালতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেন লিখনের অনুসারীরা। ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়। বিমানবন্দর থানার প‌রিদর্শক আমান উল্লাহ বারী ব‌লেন, এক‌টি হত্যা মামলায় লিখন না‌মের এক আসামি‌কে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে।

 

স্ত্রীর নামে দলিলমূলে হস্তান্তর করা জমি প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা এবং বায়নার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদার ও তার স্ত্রী শাহানা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহর আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়ের পর সব অভিযুক্ত ব্যক্তি গত ১ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

এরপর নির্ধারিত তারিখে অন্য অভিযুক্তরা আদালতে হাজিরা দিলেও বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদার ও তার স্ত্রী শাহানা জিয়া অনুপস্থিত থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবদেন করেন। আদালত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি অন্য আসামিরা আদালতে হাজির হলেও বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদার ও তার স্ত্রী শাহানা জিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে আবারও সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী ও আইনজীবী এ কে এম আরিফুর রহমান খান জানান, রুপাতলী মৌজার ৪৭ শতাংশ জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালের ৩ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদারকে ২০ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে দেন তিনি। পাশাপাশি একটি বায়না দলিলও করেন। সেই দলিলের সাক্ষী ছিলেন চলমান মামলার আসামি ও জিয়াউদ্দিন সিকদারের জমির কেয়ারটেকার শাকিল এবং বিক্রি হতে যাওয়া জমির পূর্ব ওয়ারিশ দাবিদার কাওসার মোল্লা ও নাছির সিকদার।

২০ লাখ টাকা দিয়ে মামলার বাদী সেই জমিতে ৭ লাখ টাকার বালু ভরাট করাসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। এরপর জানতে পারেন ওই জমির মালিক বর্তমানে জিয়াউদ্দিন সিকদার নন। তিনি ২০১১ সালের ২৫ মে তার স্ত্রী শাহানা জিয়ার কাছে ওই জমি দলিলমূলে হস্তান্তর করেন। পরে বাদী বুঝতে পারেন তার টাকা আত্মসাতের জন্য ওই দলিলেল কথা গোপন রাখা হয়েছিল। প্রতারণার বিষয়ে ওই বিএনপি নেতাকে বাদী জিজ্ঞাসা করলে, নানান ধরনের হুমকি-ধামকি দেন তিনি। পরে ২০২০ সালের ২৯ মে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বাদীকে ২৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন বিবাদীরা।

তবে দীর্ঘদিনেও সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় ২০২১ সালের ১০ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বাদী। সেই মামলায় জিয়াউদ্দিন সিকদার ও তার স্ত্রী শাহানা জিয়াসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়।