শামীম আহমেদ :: গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ফি এর ভুয়া রশিদ তৈরি করে প্রতরনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করায় এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।

আটক মুন্না বেপারী কাগাশুরা এলাকার বারেক বেপারীর পুত্র ও স্যানিটারী মিস্ত্রি বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে মুন্নাকে নগর ভবন থেকে আটক করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার মোবাইল ডিউটিরত পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইছাকাঠী মহামায়া এলাকার জনৈক কবির গভীর নলকূপ বসানোর জন্য স্যানিটারী মিস্ত্রি মুন্নার সাথে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী কবির প্রাথমিক অবস্থায় মুন্নাকে ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। টাকা হাতে পেয়ে মুন্না প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ফি এর একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে।

এ কাজে সে কাগাশুরা ‘ইরা স্টুডিও’র সেলিমের সহযোগিতা নেয় এবং সেলিম একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে মুন্নাকে সরবরাহ করে। পরবর্তীতে মুন্না ওই ভুয়া রশিদ কবিরকে সরবরাহ করে। কবির তা হাতে পেয়ে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে। বিষয়টি টের পেয়ে সিটি কর্পোরেশন থেকে সংশ্লিষ্টরা ওই স্থানে গেলে প্রতারনার বিষয়টি ধরা পড়ে। কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ শাখা থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতারক মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং আজ তাকে কৌশলে নগর ভবনে ডেকে আনা হয়। মুন্না নগর ভবনে এলে প্রতারনার বিষয়টি তার কাছে উপস্থাপন করলে সে অকপটে তার প্রতারনার কথা স্বীকার করে।

এসময় মুন্না জানায়, প্রতারনার আশ্রয় নেয়ার পর বিষয়টি হাসিব নামে এক স্যানিটারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে অবগত করে। সে বিষয়টি দেখবে বলে মুন্নার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে।

এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা প্রতারক মুন্নাকে কৌশলে আটক করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে”।

 

শামীম আহমেদ :: বরিশালে দেশব্যাপি দ্রব্য মূল্যের সিমাহীন উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে অয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বাধা দিয়ে পন্ড করে দেয় কোতয়ালী মডেল থানার একদল পুলিশ।

আজ (২৬ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সদররোডস্থ মহানগর ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে এসময় বক্তব্য রাখেন মহানগর সাধারন সম্পাদক মসিউর রহমান মঞ্জু, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মিঠু, আঃ মোমেন কোটন, আরমান সিকদার নুন্না, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজ খান মিল্টন, তারেক সোলাইমান, প্রচার সম্পাদক ডাঃ আনিস। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সোহাগ খান, আল-আমিন নয়ন ও মোঃ মুছা।সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যলয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদররোডের সড়কে উঠার পূর্বেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলের সামনে ব্যাড়িকেড দিয়ে মিছিল পন্ড করে দেয়।

 

গৌরনদী প্রতিনিধি :: রাতের আধারে ঘুমন্ত পুত্রবধুর মাথার চুল কেটে নির্যাতনের পর তার শিশু পুত্রসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী গ্রামের।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতিতা গৃহবধু (২১) জানান, প্রেমের সম্পর্কে বার্থী গ্রামের মৃত খসরু মাঝির পুত্র বাপ্পির মাঝি (২২) তাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে বাপ্পি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে সে (নির্যাতিতা) বাপ্পির বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলা থেকে রেহাই পেতে ২০২০ সালের জুন মাসে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে ধর্ষক বাপ্পির সাথে তার বিয়ে হয়। এরইমধ্যে ওই গৃহবধুর গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। পরে শিশু সন্তান নিয়ে স্বামী বাপ্পি মাঝির বাড়িতেই অবস্থান করছিলো গৃহবধু।

তিনি (গৃহবধু) আরও জানান, শুরু থেকেই স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলোনা তার শ্বাশুরি ঝর্না বেগম ও বাপ্পির বড় ভাইয়ের স্ত্রী মিমি আক্তার। তারই ধারাবাহিকতায় শ্বাশুড়ি ও জা মিলে বিভিন্ন সময় তাকে (গৃহবধু) শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো।

ওই গৃহবধু বলেন, গত এক মাস পূর্বে রাতে একই বসতঘরের আলাদা রুমে সে (গৃহবধু) ঘুমিয়ে পরেন। রাতে তার শ্বাশুড়ি ঝর্না বেগম এবং জা মিমি আক্তার তার (গৃহবধু) পুরো মাথার চুল কেটে দেয়। পরবর্তীতে শারিরিক নির্যাতন করে তাকে তার শিশু পুত্রসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী বাপ্পী মাঝিও বাড়ি থেকে আত্মগোপন করেছেন। ফলে উপায়অন্তুর না পেয়ে বর্তমানে সে (গৃহবধু) বার্থী ইউনিয়নের গাইনেরপাড় এলাকার মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

গৃহবধুর শ্বাশুরী ঝর্না বেগম ও তার জা মিমি আক্তার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ন অস্বীকার করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোলার মনপুরায় কৌশলে ঘরে ঢুকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত এবং হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অবস্থার অবনতি ঘটনায় সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেখান থেকে ভোলা জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাত ১২টার দিকে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামে গ্যাং রেপের এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিন (৩৫) উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে।

পলাতক চার আসামি হলেন- মো. বেল্লাল মেকার, মো. হেলাল, মো. ইউসুফ দালাল, মো. সেলিম মেকার। এরা সবাই উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দ।

মামলা এবং ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে গৃহবধূর স্বামী মাছ শিকারে সাগরে যায়। তাই দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ। রাত ১১ টার দিকে মহিলা কন্ঠে ওই গৃহবধূর নাম ধরে একাধিকবার ডাক দেয় অভিযুক্তরা।

টের পেয়ে গৃহবধূ দরজা খোলার সাথে সাথে শিপন ওরপে আলাউদ্দিন, মোঃ বেল্লাল মেকার, মোঃ হেলাল, মোঃ ইউসুফ দালাল, মোঃ সেলিম মেকার গৃহবধূর হাত, পা ও মুখ বেঁধে পাশের বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণের পর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

রাত ১ টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন থাকা ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে, ঘটনা শুনতে পেয়ে গৃহবধূর স্বামী সোমবার বাড়িতে আসলে ওইদিন রাতেই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মামলার প্রধান আসামি মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিনকে আটক করে।

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, ‘গণ ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়েছে। পালাতক বাকি চার আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিঘ্রই তারা ধরা পড়বে বলে জানান তিনি।

 

নগরীর সিএন্ডবি পোল এলাকায় মোটরসাইকেল ও ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে পপি আক্তার (২৮) নামের একজন নার্স নিহত হয়েছে।

নিহত পপি আক্তার নগরীর বেসরকারী রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে কর্মরত ছিলেন।

ঝালকাঠির নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা পপি আক্তার কর্মের সুবাদে নগরীর ব্যাপ্টিষ্ট মিশন রোডের একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।

সোমবার দিবাগত রাতে শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার মোঃ আবুল কালাম স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, সোমবার বিকেলে পপি আক্তার মোটরসাইকেলযোগে এক রোগীর বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

পথিমধ্যে বিপরীতমুখী একটি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে পপি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

আজ মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর সকাল ১১ ঘটিকায় সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের আওতায় বরিশাল পুলিশ অফিসার্স মেসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন পুলিশ কমিশনার বিএমপি জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার মহোদয়।

এ সময় তিনি বলেন, প্রো-এ্যাকটিভ পুলিশিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশি সেবা কে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় আইজিপি ড. মোঃ বেনজির আহমেদ বিপিএম বার মহোদয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ দেশব্যাপী বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং সহ বিভিন্ন নিবর্তনমূলক টুলস ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় দেশের সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠীর বিভিন্ন উৎসবগুলোকে শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের ক্ষেত্রে সর্বস্তরে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, এদেশের কোন মানুষই সংখ্যালঘু নয়; মূলত যারা অপরাধী, দুষ্কৃতিকারী, অন্যায়কারী ও দেশবিরোধী তারাই হল এদেশে প্রকৃত সংখ্যালঘু।

আর এসমস্ত সংখ্যালঘুদের দমনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে পুলিশের পাশাপাশি সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে, সমাজের প্রতিটি সদস্যকে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে ও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই জাতির পিতার স্বপ্নের অসম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে।

এ সময় তিনি আসন্ন ৩০ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) বিএমপি কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিরোধমূলক পুলিশি ব্যবস্থা হিসেবে অপরাধ দানাবাঁধার আগেই সমূলে উপড়ে ফেলার মাধ্যমে একটি নির্ভেজাল সেবা জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং এর ভূমিকা অপরিসীম।

তাই একটি কার্যকরী কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং বাস্তবায়নে বরিশাল মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৪টি থানা কে ৯৭ টি বিটে ভাগ করে একজন সাব-ইন্সপেক্টর কে বিট ইনচার্জ করে প্রত্যেকটি বিটে একটি অস্থায়ী বিট কার্যালয় স্থাপন করেছি এবং বিট ইনচার্জের মোবাইল নাম্বার টি অপরিবর্তিত রেখেছি, যাতে করে বিট ইনচার্জের বদলী হলেও ভুক্তভোগী খুব সহজেই যেন নতুন বিট ইনচার্জের নিকট থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারে।

এ সময় তিনি অপরাধ নিবারণ ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং এর ভূমিকা তুলে ধরতে গিয়ে বিএমপি’র থানা সমূহের বিগত ছয় মাসের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বিগত ছয় মাসে বরিশাল মহানগর এলাকার থানা সমূহে ৮৩৩ টি মামলা হয়েছে।

এই ৮৩৩ টি মামলার কার্যক্রমের উপর বিবেচনা করেই মূলত আপনারা জনগণ পুলিশ কে মূল্যায়ন করে। কিন্তু বিগত ছয় মাসে এই ৮৩৩ টি নিয়মিত মামলার বাহিরেও মহানগর পুলিশ ৯৯৯ এর মাধ্যমে -১৩০০ টি, বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে – ১০৩৬ টি, থানায় মামলা বা জিডির বাহিরে-৩০৩২ টি
সর্বমোট পাঁচ হাজার একশত তেত্রিশটি বিভিন্ন ধরনের অপরাধ/সমস্যা দানাবাধার আগেই বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিংকে কাজে লাগিয়ে সেগুলোর সুষ্ঠু সামাজিক সমাধান করেছে।

মূলত বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং হল একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ। যার মাধ্যমে পুলিশ নীরবে-নিভৃতে আপনাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হেডকোয়ার্টার্স জনাব প্রলয় চিসিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্ জনাব মােহাম্মদ এনামুল হক সহ বিএমপি’র সকল শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, উপস্থিত ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং এর নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সিনিয়র সিটিজেনগন সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ম সাংবাদিক বৃদ্ধ।

 

গরু চুরি করে পিকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৪ সদ্যস্যকে আটক করেছ গৌরনদী থানা পুলিশ।

শুক্রবার ভোরে গৌরনদী পৌরসভার কাছেমাবাদ হাই মাকের্টের কাছ থেকে পিকআপ ও ৪টি চোরাই গরুসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার বেতীপাড়া গ্রামের কাদেরের পুত্র তৈয়ব আলী প্যাদা (৫০), একই গ্রামের সৈয়দ ফকিরের পুত্র আমিনুল ফকির (২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহাবাজপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র শুভ মিয়া (৩২), গৌরনদী পৌরসভার দিয়াশুর গ্রামের সেলিম সরদারের পুত্র রবিউল হাসান (৩২)।

আসামি তৈয়ব আলী প্যাদার বিরুদ্ধে ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, নলছিটি থানায় একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানতে পারেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের গরু চুরি করে পিকআপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। পরবর্তীতে পৌর এলাকার কাছেমাবাদ হাই মাকের্টে কাছ থেকে পিকআপভর্তি গরুসহ চোরদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় গরুর মালিক শহিদুল হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আট্ককৃত চোরদের শুক্রবার দুপুরে বরিশাল আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

পিরোজপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে।

ঘাতক স্বামী আব্দুস ছাত্তার শেখ (৫০) ওই গ্রামের মৃত জোনাব আলী শেখের ছেলে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্ত্রী তাহমিনা বেগমকে হত্যা করেন ছাত্তার শেখ। শুক্রবার ভোরে ছয় মাসের কন্যাসন্তানকে নিয়ে তিনি থানায় হাজির হন।

ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চাঁন সরদার জানান, আব্দুস ছাত্তার বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারেননি। এ জন্য তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারে তার কলহ লেগেই থাকত। ধারণা করা হচ্ছে, এর জেরেই স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন ছাত্তার।

সদর থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারী ছাত্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

 

পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মেয়ের বিয়েতে বাঁধা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজনে। এসময় উভয়পক্ষের হামলা ও সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা গ্রামের।

ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল বেপারী জানান, শুক্রবার দুপুরে তার মেয়ের বিয়ের জন্য বাড়িতে মেহমান আসার কথাছিলো।

এ খবর পেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান পন্ড করার জন্য শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। তিনি আরও জানান, সদ্য ইউপি নির্বাচনে তিনি ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন।

ওইসময় একই বংশের চাচাতো ভাই ফরিদ বেপারী অন্য প্রার্থীকে সমর্থন করায় তিনি পরাজিত হন। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরধরে ফরিদ বেপারী ও তার সহযোগিরা অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করে।

এসময় পাল্টা হামলায় ফরিদ বেপারীসহ আরও তিনজন জখম হয়। হামলাকারীরা বাবুল বেপারীর বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, খবর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

হামলায় গুরুত্বর আহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল বেপারী, ভাতিজা জিলকদ বেপারী, চাচাতো ভাই স্কুল শিক্ষক বরাত হোসেন বেপারীকে পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলা হাসপাতালে এবং তার (বাবুল) ভাবী স্কুল শিক্ষক আসমা খানম, প্রতিপক্ষের ফরিদ বেপারী, তার ভাই ফারুক বেপারী ও বাবা মোকসেদ বেপারীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত ইকবাল হোসেন। শুক্রবার বিকালে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত দলের জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নগরীর নানুয়ার দীঘিরপাড়ে দর্পণ সংঘের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেওয়ার কথাও স্বীকার করে ইকবাল। তবে কার নির্দেশে সে এ কাজটি করেছে অথবা ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত- এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না করা পর্যন্ত কোনো বিষয়ে আমরা কথা বলতে পারব না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে সব বিষয়ে আপনাদের জানানো হবে।