(বরগুনা সংবাদদাতা):
বরগুনার বামনা উপবজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আনোয়ার জোমাদ্দারের স্ত্রী শিমুল বেগম(৫০) এর কান বাশের কঞ্চিতে ফাটলেও প্রতি পক্ষ আমির জোমাদ্দারের পুত্র ও চৌকিদার খালেদার শ্বামী মোঃ রফিকের কথা বলা হচ্ছে সে কানে কোপ দিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় শিমুল বেগমের স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন জোমাদ্দার ও রফিকের বাবা আপন ভাই। তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে এবং কোর্টে ও থানায় বিভিন্ন মামলা মোকার্দ্দমা রয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ বশিরুল আলম গত শনিবার ঘটনা স্থলে যান এবং উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে আসার কিছুক্ষণ পরই তারা উভয় পক্ষ ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এ সময় বৃদ্ধ শিমুল বেগমের কান বাশের কন্চিতে কেটে যায়। পরে রফিক কে ফাসিয়ে দেওয়ার জন্য তার চাচাতো ভাই আলামীন নাটক তৈরি করে এবং বলে রফিক কোপ দিয়েছে।তবে স্বাক্ষী প্রমানে সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া শিমুল বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের যে ছাড় পত্র আনা হয়েছে তা ভুয়া তৈরি করা বলে জানা যায়।
রফিক বলেন আলামীন আমার চাচাতো ভাই তাদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ আছে। শিমুল বেগম আমার আপন চাচী তাকে আমি কোপ দেই নি।তার কান বাশের কঞ্চিতে কাটছে।আমাকে ফাসানোর জন্য মিথ্যা বলা হচ্ছে এবং চাচীকে বরিশাল হাসপাতালে না নিয়ে আত্বীয়দের বাড়ী রেখে ভুয়া ছাড়পএ তৈরি করে লোক জনকে দেখানো হচ্ছে।
আলমীন বলে রফিকদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে।তাই নিয়ে তাদের সাথে ঝগড়া ঝাটির সময় রফিক আমার চাচীর কানে কোপ দেয়।তাকে বরিশাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ী আনছি।আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।

বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ বশিরুল আলম বলেন এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মামত ভাই ও যুবলীগ নেতার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ফুফাত ভাই। বুধবার দুপুর ১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মুসলিম গোরস্থান রোডের পন্ডিত বাড়ির বাসিন্দা মৃত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমানের ছেলে শাহারিয়া মো. সালা উদ্দিন।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৮ বছর যাবৎ আমার মামাতো ভাই মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়া সাচিব রাজিব কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছি।

 

এর ধারাবাহিকতায় গত ১ আগস্ট রাজিবের বালুর ট্রাক ঢুকে আমাদের ড্রেনের ওপর নির্মিত স্লাব ভেঙে ফেলে। এ বিষয়ে আমি তার কাছে জানতে চাইলে সে আমাকেসহ পরিবারের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং হামলা করে।

 

এক পর্যায় ষ্টীলের জিআই পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে চাইলে আমি হাত দিয়ে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করি। এতে প্রচ- আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমার ডান হাত ভেঙে যায়। এই ঘটনায় আমি থানায় এজাহার দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়া মো. সালা উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, ‘শাহরিয়া সাচিব রাজিব একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বে তিন-চারবার তিনি ফেন্সিডিলসহ মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়। এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।

 

আমি বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে তাতেও সে বাধা দেয়। আমার কাছে সে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণ এবং আমার মেঝ ভাইকে মারধর করে। এমনকি আমার নিজের একটি মোটরসাইকেল কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। তার পরিবারকে এ বিষয়ে বহুবার জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই আমরা এবং আমাদের ভাড়াটিয়ারা তার ভয়ে ভিত হয়ে থাকি।

 

তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বরিশালের সিটি মেয়র, প্রতিমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধাণ সহ বিচারের দাবি করেন সালা উদ্দিন।
এদিকে, ‘সংবাদ সম্মেলনে ফুফাতো ভাইয়ের করা অভিযোগের কিছু অংশ অকপটেই স্বীকার করেছেন সাহারিয়া সাচিব রাজিব। তিনি বলেন, ‘সালা উদ্দিন আমার জমি দখল করে একটি ড্রেনের ওপর স্লাব নির্মাণ করেছে। ভাই হওয়ায় আমি সেটা মেনে নিয়েছি। সম্প্রতি আমার একটি বালুর ট্রাক বাড়ির ফেতরে ঢোকার সময় ওই স্লাবটি ভেঙে যায়। এজন্য সে এবং তার পরিবারের লোকেরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এর প্রতিবাদ করায় সে আমার গায়ে ঢিল ছুড়লে আমি পায়ে আঘাত পাই। এই ঘটনায় আমি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি। পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সালা উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের উজিরপুরের বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও কৃষকলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১ আগষ্ট রবিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার সানুহার বাসস্টান্ডে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গৌরাঙ্গ লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কবিরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, শাহজাহান সরদার, আয়নাল হক হাওলাদার প্রমূখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লকিতুল্লাহ, শরীফ জিয়াউল, শ. জ. আলীম, শিক্ষক সোলায়মান,ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ পলাশ তালুকদার,যুগ্ন আহবায়ক মোঃ দোলোয়ার হোসেন সরদার,উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াদ সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জালাল গাজী, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলামিন খলিফা, যুবলীগ নেতা মোঃ দুলাল হাওলাদার, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সুমন হাওলাদার হারিছ, ইউপি সদস্য আঃ সালাম সরদার, শাহজাহান বেপারী, শহিদুল ইসলাম জাকারিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হক সরদারসহ ৩ শতাধিক নেতাকর্মী।

মানববন্ধন শেষে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হক হাওলাদার।

এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী বক্তারা ,আহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা এবং হত্যাকারীদের দ্রত গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসির দাবী জানান।

উল্লেখ্য ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার(৭০)কে প্রকাশ্য পরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং একই পরিবারের ৪জনকে উপর্যুপরি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছিল।

এই ঘটনায় নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামী করে ৩১ জুলাই উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইতি মধ্যে ৪জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে বালু ব্যবসায়ী কতৃক দুই সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ৩০ জুলাই (শুক্রবার) সকালে ১ নং ওয়ার্ড আইচা এলাকার খেয়া ঘাট সংলগ্ন  স্হানে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সায়েস্তাবাদ ২ নং ওয়ার্ড পূর্ব চরআইচা এলাকার দিন মজুর নাসির মোল্লার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৭)দুই সন্তানের জননী সাথে একই এলাকার মৃতঃ আ রব হাওলাদারে ছেলে বালু ব্যবসায়ী জসিম হাওলাদের দীর্ঘ দিনের একটি অবৈধ সম্পক ছিল।কিন্ত খাদিজা বেগমের সন্তানরা বড় হয়ে যাওয় এ অবৈধ সম্পক থেকে জসিমের কাছ থেকে সড়ে আসতে থাকে খাদিজা বেগম।কিন্ত জসিম কিছুতেই এই অবৈধ সম্পক থেকে সড়ে আসতে নাড়াজ।গত ৩০ জুলাই সকালে খাদিজা বেগম জসিমের  চরআইচা এলাকার বালুর খোলার এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে জসিম জোর পূর্বক খাদিজাকে বালু খোলার টং ঘড়ে নিয়ে যায়।এ সময় খাদিজা জোর চিৎকার করলে স্হায়নীরা তাদের আটক করে।কিন্ত কৌশলে জসিম জানলা কেটে পালিয়ে যায়।পরে ওই ভুক্তভোগী নারী ৩০ জুলাই রাতে বরিশাল কাউনিয়া থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

ঝালকাঠির নলছিটিতে হত্যাচেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামি সাইদুল ইসলাম মন্টুকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
যদিও আসামি মন্টু পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশে থাকেন সব সময়। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগও দিচ্ছেন।
এমনকি নলছিটির মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ফটোসেশন করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) সাইদুল ইসলাম মন্টুর বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা (নম্বর-১১, তারিখ-২৬ জুন ২০২১ইং) থাকলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
পুলিশের তালিকায় পলাতক হলেও তিনি সরব উপজেলাজুড়ে। আবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও রয়েছে তার একাধিক ছবি।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ফটোসেশন করেন। ছবিটি ফেসবুকে আসার পর এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ফটোসেশন করা ওই আসামিসহ ১৫-১৬ জন লোক গত ২২ জুন বিকেলে নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধে জেরে উপজেলার ঝাহাতলা বাজারের ব্যবসায়ি জলিল সিকদার ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়।
বেদম মারধরের একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে জলিল সিকদারের ভাই নাসির সিকদার ও মেয়ে মুক্তা আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় দা দিয়ে তারা পরপর কোপ দেয়।
এতে ওই দুজন গুরুতর জখম হন। পরে মেম্বার মন্টুর নেতৃত্বে জলিল সিকদারের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
এ ঘটনায় জলিল সিকদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বাদি হয়ে গত ২৩ জুন থানায় মামলা করেন।
বাদি মাকসুদা বেগম অভিযোগ করেন, আসামিরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
এ ঘটনায় তার স্বামী জলিল সিকদার বাদি হয়ে ২৯ জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফটোসেশন করায় তিনি ভীত, শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ওই মামলা সুষ্ঠ তদন্ত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মেম্বার সাইদুল ইসলাম মন্টু মামলার আসামি এটা তার জানা ছিল না।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা জেলা সংবাদদাতা):
অতিবর্ষণে বরগুনার বামনা উপজেলায় ভয়াবহ জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৩ হাজার পুকুর ও মাছের ঘের। মাটি আগলা হয়ে উপড়ে পরেছে অন্তত কয়েক হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। পানির নীচে আউশের ধান ক্ষেত ও আমনের বীজতলা। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে অন্তত কোটি টাকার ক্ষতি হবে।

জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে বিরামহীন ভারী বৃষ্টিপাতে বামনা উপজেলায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জলকপাট দিয়ে তেমন পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। তলিয়ে গেছে উপজেলায় পুকুর ও মাছের ঘের। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানাগেছে।
জলাবদ্ধতায় উপজেলার কয়েক হেক্টর আমনের বীজতলা এবং কয়েক হেক্টর আউশ ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে আউশ ধানের পরাগায়ন বন্ধ হয়ে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা যায় কৃষি বিভাগ থেকে
। পানিতে তলিয়ে থাকায় কৃষকের চাষাবাদ প্রায় বন্ধ। ভারী বৃষ্টিপাতে মাটি আগলা হয়ে অন্তত কয়েকহাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পড়ে গেছে।ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার জনজীবন বিছিন্ন হয়ে পরেছে। পানিতে মাঠ-ঘাট থই থই করছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্তী এদবর বলেন, গত তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে উপজেলায় ভয়াবহ জলাদ্ধতা দেখা দেয়।আমনের বীজতলা এবং আউশ ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে আউশ ধানের পরাগায়ন বন্ধ হয়ে ধান চিটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টিপাত এভাবে চলতে থাকলে আমনের বীজতলা পঁচে কৃষকের বেশ ক্ষতি হবে।

ঝালকাঠিতে চুরি হয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে ঝালকাঠি থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি থানার ওসি মো: খলিলুর রহমানের নির্দেশনায় পুলিশ উপপরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাফুরকাঠিস্থ হিরু চেয়ারম্যানের বাড়ির দরজায় ব্রিজের উপর থেকে চুরি হওয়া ডিসকোভার ১৩৫ মটর সাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানায় পৌরসভার মসজিদ বাড়ি রোডের জালাল আহমেদের পুত্র আতাউর রহমান ওরফে জায়েদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-১২ তারিখ: ২২/০৭/২০২১খ্রি:।
আসামীরা হলো- আকব্বার মল্লিকের ছেলে আবুল বাসার (২০), এমদাদের ছেলে  রানা(২০) ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সকাল অনুমান ৫টার দিকে তার বন্ধু রায়হান ঝালকাঠি পৌরসভাস্থ ৫নং ওয়ার্ড কামার পট্রি রোডস্থ উত্তর পার্শ্বে আব্দুর শক্কুর হাওলাদারের ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়ির প্রবেশ রাস্তার শেষ মাথায় তার মোটরসাইকেল রেখে রায়হানের ভাড়াকৃত বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাহিরে মোটরসাইকেল দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুজি করে। পরে সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ দেখে গাড়ী চুির হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: খলিলুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী চালালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাফুরকাঠিস্থ হিরু চেয়ারম্যানের বাড়ির দরজায় ব্রিজের উপর থেকে চুরি হওয়া ডিসকোভার ১৩৫ মোটরসাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৪৫ জনে।
  এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ হাজার ১৪৫ জনে।
এই সময়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১০ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় ১ জন এবং বরগুনায় ১ জনসহ মোট ২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি জানান, মোট আক্রান্ত ২৮ হাজার ১৪৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৩৩ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ৭৬ জন নিয়ে মোট ১২ হাজার ২৯জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ১১ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৪৫৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৪১ জনসহ মোট ২ হাজার ৮৬৭ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ১৬ জনসহ মোট ৩ হাজার ৮৭১ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ১ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৩৮৮ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৫ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৭ জন।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দশ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৭২০ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭১০ জনের মধ্যে ৫১ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ১১২ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৮৮ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৬৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৫২ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
 পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় ১০২ পিস ইয়বাসহ বখতিয়ার শরীফ (৫২) নামে এক মাদক কাারবারি কে করেছে থানা পুলিশ।শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে তাকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় ।
বকতিয়ার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের কলেজ মোড় এলাকার জামিরতলা এলাকার মৃত আব্দুল কাদের শরীফের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের জামিরতলা এলাকার রাস্তায় ৪/৫ জনের একটি দল মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান করে বখতিয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হলেেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় বখতিয়ার দেহ তল্লাশি করে ১০২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ভাণ্ডারিয়া থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বরিশাল টাইমসকে জানান, গ্রেপ্তার হওয়া
রখতিয়ার একজন নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ৪টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া সে একটি অস্ত্র মামলায় ১৪ বছর সাজা ভোগ করে কারাগার থেকে বের হয়েছে।
এ বিষয়ে বখতিয়ার শরীফের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
 পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আব্দুল হক সিকদার (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সগির (৩৫), তার বাবা নাসির মিস্ত্রী (৫৫) ও আইয়ুব আলী খান (৫৫) নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত আব্দুল হক সিকদার স্থানীয় দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের মৃত হাতেম আলী সিকদারের ছেলে।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের মোতালেব সিকদার ও নাসির হাওলাদারের জমি নিয়ে মামলা চলছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মোতালেব সিকদার তার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার বাধা দেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ৫ নারীসহ ২০ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’পক্ষের ৮ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গুরুতর আহত আব্দুল হক সিকদারকে বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকা নেওয়ার পথে রাতে মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় মারা যান।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বরিশালটাইমসকে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।