পটুয়াখালীর বাউফলে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুণী এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে তিন দফায় মারধরের শিকার হয়েছেন।
অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন,তিন বছর আগে প্রতিবেশি মো. রাব্বি (২৩) নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সর্বশেষ গত এক মাস আগে তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে রাব্বি।বিয়ে করতে বললে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে রাব্বি।
নিরুপায় হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি তাঁর (রাব্বি) বাবা-মাকে জানায় এবং বিয়ের দাবিতে ওই ঘরে অবস্থান নেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বির পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে মারধর করে ঘরের বারান্দায় ফেলে রাখে।রাতে ওই বারান্দায় ছিলেন তরুণী।
শনিবার সকালে ফের মারধর করে ঘরের সামনে উঠানে ফেলে রাখে। বিকেল বেলা ফের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে উঠানে অচেতন হয়ে পড়েন থাকেন।
তরুণীর মা অভিযোগ করেছেন,খবর পেয়ে বিকেলবেলা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
পুলিশ গিয়ে তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
তিনি আরও বলেন,রাব্বির চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী। তিনি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলেছেন।
বাড়াবাড়ি করলে তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। তাঁর মেয়ে সুস্থ হলে এ ঘটনায় তাঁরা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
এ ঘটনার পর ঘরে তালা লাগিয়ে রাব্বি ও তাঁর পরিবারের লোকজন গা-ডাকা দিয়েছেন। এ কারণে রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে তাঁর চাচা ইউপি সদস্য (মো. শাহজাহান) মুঠোফোনে বলেন,‘শুনেছি প্রেমের সম্পর্ক ছিল।কিন্তু মেয়ের বয়স কম, ১৮ বছর হয়নি। তাই আমার পক্ষে বিয়ে পড়ানো সম্ভব না।
বিয়ে দেওয়ার বয়স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু মেয়ের অভিভাবকেরা তা মানতে চান না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,হাত ধরে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।মারধর ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ সত্য না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে করোনা অাক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হামলা চালিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শেরে বাংলা মেডিকেল হাসাপাতালে করোনা ইউনিটের তৃতীয় তলার আইসিইউতে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর স্বজনদের দাবি, অক্সিজেন সংকটের কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক ও নার্সরা সংকটাপন্ন ওই রোগীর সুচিকিৎসায় দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।এ ঘটনায় ওই রোগীর চার স্বজনকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুলাই রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান (৪০) করোনা উপসর্গ নিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে ছিল। গত ১৫ জুলাই রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হলে মনিরুজ্জামানকে করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এতে রোগীর তিন-চারজন স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে আইসিইউর ভেন্টিলেটর ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিনের ওপর হামলা চালায় ও হাত দিয়ে আঘাত করেন। এতে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিনটি ঠিক থাকলেও ভেল্টিলেটরটি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে মারা যাওয়া রোগীর ভাই হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে শুরু থেকেই চিকিৎসক ও নার্সরা ঠিকভাবে রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না। যেকোনো পরামর্শের জন্য গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার ভাইয়ের অবস্থা খারাপ হওয়ার পর ডাক্তার ও নার্সদের বারবার জানানো হলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেননি। এমনকি আইসিইউতে নিয়ে আসার পর থেকেও তার চিকিৎসা তেমন করেননি। আমরা ৩টার দিকে বারবার কথা বলার চেষ্টা করেছি ডাক্তারের সঙ্গে, কিন্তু ডাক্তার পাইনি। এছাড়া ভেল্টিলেটর ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ঠিকভাবে কাজ করছিল না। মূলত আমার ভাই অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট প্রধান ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনা ইউনিটে একজন রোগীর মৃত্যু নিয়ে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে জানানো হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি আরও বলেন, আইসিইউর ক্ষতিগ্রস্ত ভেল্টিলেটর ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সর্ম্পকে জেলা প্রশাসক এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, করোনা ইউনিটে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে স্বজনরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মুচলেকা দিলে মানবিক বিবেচনায় তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

 

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি টিপ ছুরি, ২টি চাপাতি, ১টি লোহা কাটার ব্লেড, ২টি লোহার পাইপ, ১টি স্ক্রুড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।

শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার পাহাড়তলী থানার ধুমকুল ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর থানার আলীরচর গ্রামের মৃত সোবেদ আলীর ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (৪৫), মো. কালামের ছেলে মো. লিটন (২৮), আলেক মিয়ার ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৯), কক্সবাজারের রামুর চর এলাকার মৃত সামশুল আলমের ছেলে মো. ইয়াসিন (৩৪), বরিশাল সদর উপজেলার রাজারচর এলাকার মৃত ফরিদ হাওলাদারের ছেলে নূর আলম ওরফে সুমন ও কুমিল্লার তিতাস থানার মাসুমপুর কালাগাজী বাড়ির মৃত জহুর আলীর ছেলে আলী আহমদ (৩৫)।

ওসি হাসান ইমাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধুপকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি টিপ ছুরি, ২টি চাপাতি, ১টি লোহা কাটার ব্লেড, ২টি লোহার পাইপ, ১টি স্ক্রুড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি প্রস্তুতি, অস্ত্র, চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর এলাকার ডাকাতদলের সদস্যদের সাথে সমবেত হয়ে বিভিন্ন মহাসড়কে ও বাসা-বাড়িতে ডাকাতি করে বলে স্বীকার করে। পরে আসামিদের বিরেুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

শামীম আহমেদ : গভীর রাতে ওষুধের দোকানের টিনের চালা কেটে প্রবেশ করে ওষুধ চুরি করে পালানোর সময় চোরাইকৃত বিপুল পরিমান ওষুধসহ দুই চোরকে আটক করেছে রাত্রীকালিন টহলে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

শনিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, আটককৃতরা হলো-যশোর কোতয়ালী থানা এলাকার তৈয়ব আলী কাজীর পুত্র খোকন কাজী ও ভোলার দৌলতখান এলাকার সিদ্দিক মাঝির পুত্র রুবেল মাঝি।

ওসি আরও জানান, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে গৌরনদী বন্দরের খান ও মদিনা ফার্মেসীতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরাইকৃত বিপুল পরিমান ওষুধ নিয়ে আটককৃতরা পালানোর সময় টহল পুলিশের সদস্যরা চোরাইকৃত ওষুধসহ ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শামীম আহমেদ : থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে অতিগোপনে ধর্ষিতাকে বিয়ে করেছে ধর্ষক কাওসার সরদার।

বিষয়টি শনিবার দুপুরে ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের।

শনিবার দুপুরে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ছাত্রী জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে মাহিলাড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টারের কাছে গিয়ে চার লাখ টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

বিয়ের সময় মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সলেমান মৃধা, গ্রাম্য মাতুব্বর জব্বার সরদারসহ উভয় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নার্সিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আশোকাঠী গ্রামের প্রবাসী হাসান সরদারের পুত্র ওষুধ ব্যবসায়ী কাওসার সরদারের বিরুদ্ধে গত ২৯ জুন গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, বিয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মামলার আসামি কাওসার সরদারকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, গতকলা শুক্রবার বরিশাল নগরীর রুইয়ার পোল এলাকায় চেকপোস্ট বসান এয়ারপোর্ট থানার একটি দল।

বিকেল তিনটার দিকে চেকপোস্টে তল্লাশিকালে দুইজনকে চব্বিশ (২৪) বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেন তারা।

আটককৃতরা হলেন, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার উলাশি এলাকার মাহাতাব উদ্দিনের স্ত্রী আমিনা খাতুন (৪০) ও কাউনিয়া মতাসার এলাকার আনিস বেপারির ছেলে সজল বেপারি(২৪)।

আটক অভিযানে অংশ নেয় এয়ারপোর্ট থানার এস আই সাইদুল হক সর্দার, এএসআই আউয়াল, এএসআই জব্বার, এএসআই রায়হানুর রহমানসহ ৮/১০ জনের একটি দল।

এবিষয়ে এস আই সাইদুল বলেন, মতাসার সজল বেপারি দীর্ঘদিন যাবত বরিশালে ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে আসছেন এর আগেও তিনি একাধিকবার আটক হয়েছেন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন এস আই সাইদুল হক সর্দার।

 

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেন আশোকাঠির হালিম ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে সুমন মোল্লা। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ২০১৬ সনে কাজ শুরু করলেও, সম্প্রতি জতিসংঘের মহাসচিব তাকে জাতিসংঘের দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়ী আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করেন।

কনিষ্ঠতম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদী নিয়োগ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ মিশন তাকে অভিনন্দন জানায়।

বর্তমানে তিনি দক্ষিণ সুদানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধী শনাক্ত করা দলের দলনেতা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখার পূর্বে তিনি ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল’ ও ‘জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থ্যা’ তে কর্মরত ছিলেন।

গৌরনদীতে শিক্ষার্থী ছিলেন আশোকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, পরবর্তীতে টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার সায়েন্স ও কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন একাধিক দেশি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মস্থল দক্ষিণ সুদানেই তার বসবাস তবে তার স্ত্রী ও মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা জেলা সংবাদদাতা):
প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে কনডেম সেলে বন্দি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর স্বপন কুমার বিশ্বাস। নিম্ন আদালতের ফাঁসির রায় হাইকোর্টেও বহাল থাকায় এর বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এ অবস্থায় কারাগার থেকে তাঁর মামলাটি পরিচালনার জন্য এক আবেগঘন চিঠি লেখেন দেশবরেণ্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের কাছে। চিঠি পেয়ে মাহবুব হোসেন সিদ্ধান্ত নেন, বিনা পয়সায় ওই আসামির মামলা পরিচালনা করবেন। করলেনও তা-ই। আর এ মামলায় শুনানি শেষে গতকাল সোমবার স্বপনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর স্বপন কুমারকে অবিলম্বে কনডেম সেল থেকে বের করে সাধারণ সেলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে সাজার ক্ষেত্রে রেয়াতসংক্রান্ত আইনের সব সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বপন কুমারের পক্ষে বিনা পয়সায় মামলা পরিচালনাকারী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রের নিযুক্ত আরেক আইনজীবী ছিলেন হাসিনা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

এদিকে খন্দকার মাহবুব হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘আপনার এই কার্যক্রম আমরা লিখিত রায়ের মধ্যে উল্লেখ করব।’ প্রধান বিচারপতি এ রকম বিনা পয়সায় আরো মামলা পরিচালনার জন্য খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রতি আহবান জানান। জবাবে মাহবুব হোসেন বলেছেন, আদালত দায়িত্ব দিলে তিনি এ রকম মামলা করতে রাজি আছেন।

 কোপা আমেরিকার ফাইনালে আগামীকাল রোববার ভোর ৬টায় মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আর এই খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘাত এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচারণা শুরু হয়েছে।
এই বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচারণা চালাতে আমার গাড়িতেও মাইক লাগিয়েছি। এ ছাড়া সদর মডেল থানাধীন ১৫টি বিটের কর্মকর্তারা মাইকিং শুরু করেছে। বাইরে প্রজেক্টরে গণজমায়েত হয়ে খেলা দেখা যাবে না, বাসায় বসে খেলা দেখতে হবে। এ ছাড়া খেলা পরবর্তী কোনো বিজয় মিছিল করা যাবে না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘রোববার ভোর ৬টা থেকে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই খেলা নিয়ে এরইমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই জেলা পুলিশ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনাল খেলা যেন খোলা জায়গায় বড় স্ক্রিনে, কোনো ক্লাবে বা চায়ের দোকানে দেখার আয়োজন না করা হয়, তা আমরা মাইকিং করে জানিয়ে দিচ্ছি। ফাইনাল খেলার দিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। এ ছাড়া জেলার ১১৬টি বিটে চারজন করে কাজ করবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। খেলা শেষ হওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই বিজয় মিছিল করা যাবে না। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাইব।’
উল্লেখ্য, খেলা নিয়ে তর্কবিতর্কের জেরে গত ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নে রেজাউল নামের এক ব্রাজিল সমর্থকের চাচা নোয়াব মিয়াকে (৬০) মারধর করেন আর্জেন্টিনা সমর্থক জীবন মিয়ার লোকজন। এই মারধরের জেরে একই দিন রাতেই আর্জেন্টিনা সমর্থক জীবনের তিন সহযোগীকে মারধর করেন ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ খবর উঠে আসে সুদূর আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমেও!
বরিশালে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বরিশাল সদর ছাড়া বিভাগের অন্য জেলা বা উপজেলা থেকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) সাধারণ রোগী পাঠাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস।
এই মধ্যে বরিশাল বিভাগের সব জেলা সিভিল সার্জন, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই চিঠি পাঠানো হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা ওই চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বরিশালজুড়ে দিন দিন বাড়ছে। যার মধ্যে বরিশাল মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ রোগী যারা রয়েছেন- যেমন অল্প জখম, সর্দি বা কাশির রোগী, যাদের চিকিৎসা জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে সম্ভব ওইসব রোগী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। এছাড়া বহির্বিভাগে রোগী সংখ্যা তো এমনিতেই অনেক। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই রোগীর সংখ্যা আরো বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেসব রোগীর চিকিৎসা জেলা বা উপজেলা হাসপাতালে দেয়া সম্ভব তারাও ভিড় করছেন এই হাসপাতালে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাসুদেব দাস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার পরও যদি কোনো রোগী বরিশাল মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয় তাহলে ওই রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হবে। ফিরিয়ে দেয়া হবে না।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই চিঠির বিষয়টি ঝালকাঠীর সাধারণ মানুষের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলছেন, মানুষ বাধ্য না হয়ে কেউ টাকা খরচ করে বরিশাল মেডিক্যালে যায় না। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে যাদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয় কেবল তাদেরকেই তো উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে বলেই মনে করেন তারা।