বরিশালের হিজলা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমে পাগল ৫ সন্তানের জননীকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। উপজেলার গুয়াবাড়িযা ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামের লিটন হাওলাদারের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী রুপনী বেগম পার্শ্ববর্তী মাউলতলা গ্রামের আলমগীর তালুকদারের ছেলে সোহেল তালুকদারের সাথে এ পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে রুপনী বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ৬ মাস পূবে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা সোহেল তালুকদার ওই এলাকায় গিয়ে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার তালিকা করে। তখন তার সাথে সোহেলের পরিচয় হয়। পরিচয় সুবাধে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল তার সাথে একাধিক বার দৈহিক মিলন করে।
তাছাড়া সোহেল ১০ জনের নামে ভিজিডি কার্ড ও ১০ জনের নামে রেশন কার্ড দেওয়ার কথা প্রতিজন থেকে নগদ অর্থ আদায় করে। এছাড়াও সোহেল তার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। কিন্তু সোহেল কাউকে ভিজিডি ও রেশন কার্ড করে দিতে পারেনি।
কিছুদিন আগে রুপনী বেগম সোহেলকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তখন সোহেল পরকীয়া প্রেম অস্বীকার করে। গত ২৭ জুন রুপনী বেগম বিয়ের দাবিতে সোহেলের ঘরে উঠলে সোহেল পালিয়ে যায়। এ সময় সোহেলের পরিবার রুপনীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ সংবাদ পেয়ে রুপনীর ভাই তাওহিদুল ইসলাম তার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে তার ভাই জানান, সোহেলের পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি। উপায় না পেয়ে আমার বোনকে ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে বেধে রাখি। এ ব্যাপারে স্বামী লিটন হাওলাদার বলেন, গত শুক্রবার তার স্ত্রী তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ ঘটনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ঘটনার বিষয়ে জানতে সোহেলের নিকট একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থানে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮) সদস্যরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন বাজার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, নলছিটি উপজেলা শ্রমিক লীগের নেতা ও শীতলপাড়া গ্রামের সোবহান হাওলাদারের ছেলে জলিল হাওলাদার (৪০) এবং একই উপজেলার নাঙ্গুলী গ্রামের আদম আলী মুন্সীর ছেলে শাহিন মুন্সী (৩২)।
এ ঘটনায় বুধবার (৩০ জুন) সকালে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার কালাম হোসেন তালুকদার বাদি হয়ে নলছিটি থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ব্যবসায়িক কাজ শেষে গত ১০ জুন মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফেরার পথে বরিশাল-পটুয়াখালি মহাসড়কের তুর্য্য পেট্রোল পাম্পের সামনে ডিবি পরিচয়ে জলিল ও শাহীনসহ ৩ জন ব্যক্তি কামাল হোসেন তালুকদারের পথরোধ করে। এরপর তার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্যান্টের পকেট থেকে নগদ ৪২ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন (যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা) ও বিকাশের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ছিনতাইকালে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর (ঢাকা মেট্রো ল ১১-১৬৭৯) স্মরণে রেখে বরিশাল রূপাতলীস্থ র‌্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন কালাম হোসেন তালুকদার। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি টিম মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে জলিল ও শাহীনকে আটক করে নলছিটি থানায় সোপর্দ করে। তাদেরকে আটককালে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ও একটি মোবাইলফোন জব্দ করে র‌্যাব।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ওই দুজনকে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
 বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের তালাস পত্রিকার প্রথম পাতায় “প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান খোলা রেখেছে কে এই শামীম” শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়।
মূলত চলামান লকডাউনের জন্য দোকানপাট বন্ধই রয়েছে । দোকানের বেঁচাকেনা বন্ধ তাই দোকানের কিছু রিপেয়ারিং কাজ চলমান ছিল। এই বিষয়টিকে আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষরা ভুলভাবে সাংবাদিক ভাইদের কাছে উপস্থাপন করে আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, প্রকাশিত সংবাদে দোকানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বেচাবিক্রির কথাও বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। কারন আমি একজন সচেতন মানুষ। তাছাড়া করোনা মহামারিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের ব্যবসায়ীদের যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত প্রায়ই আমাদের ব্যবসায়ীদের করোনাকালিন বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে চলছেন। এরপরও একজন ব্যবসায়ী কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যবসা পরিচালনা করে তা আমার বোধগম্য নয়।
এছাড়াও ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ ও প্রশাসনকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্যও সংবাদে উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত ছবি না জানিয়ে সংবাদে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা একজন সাংবাদিকের নীতিগত চরিত্র ও আইনের পরিপন্থী। এধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি ওই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
নিবেদক
শামিম হোসেন
প্রোপাইটর মোবাইল মেলা
গির্জামহল্লা বরিশাল
 কাভার্ডভ্যানের চাপায় ছেলের সামনেই মারা গেল মা রোজিনা বেগম (৪৫)।
আজ বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার মোস্তফাপুর বড়ব্রিজের উপর এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোজিনা পারভিন বরগুনা জেলার পুলিশ লাইন এলাকার পুলিশ সদস্য (এএসআই) মাহফুজুর রহমানের (২৮) মা ও জালাল আহম্মেদের স্ত্রী। মা ও ছেলে রাজধানী ঢাকার আফতাব নগর থেকে বরগুনায় নিজ বাড়িতে ফিরছিল। আহত পুলিশ সদস্য ঢাকার বাড্ডা থানায় কর্মরত।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে বরগুনা যাচ্ছিল ওই পুলিশ সদস্য ও তার মা। মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর বড়ব্রিজের উপর উঠলে বিপরীত থেকে আসা আইয়ান জুট মিলস্-এর একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রোজিনা বেগমের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয় ছেলে মাহফুজ। গুরুতর মাহফুজকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে চালক পালিয়ে গেলেও ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে জব্দ করা হয়েছে।

বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের তালাস পত্রিকায় (৩০-০৬-২০২১) বুধবার, প্রথম পাতায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান খোলা রাখছে কে এই শামীম! শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে সে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

মূলত চলামান লকডাউনের জন্য দোকানপাট বন্ধই রয়েছে । দোকানের বেঁচাকেনা বন্ধ তাই দোকানের কিছু রিপেয়ারিং কাজ করাচ্ছিলাম। তখন আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষরা সে বিষয়টিকে ভুলভাবে সাংবাদিক ভাইদের কাছে উপস্থাপন করে আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এতেকরে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি ঐ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

নিবেদক
শামিম হোসেন
প্রোপাইটর মোবাইল মেলা
গির্জামহল্লা বরিশাল

  ঝালকাঠিতে মৃত ছেলের পেনশনের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন হতভাগ্য অসুস্থ মা। সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনাইকাঠি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বারেদিয়া গ্রামের মৃত. সৈয়দ আব্দুল ওহাবের ছেলে সৈয়দ গোলাম ফারুক বরিশাল নগরীর রূপাতলী গ্যাস টারবাইন এলাকার বিদ্যুত কেন্দ্র (বিউবি) তে ফোরম্যান-বি পদে কর্মরত অবস্থায় গত ২০১৯ সালে ২১ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তার ঘরে তার স্ত্রী, মা, এক পুত্র, অবিবাহিত দুই বোন ও প্রতিবন্ধি এক ভাই রয়েছেন। গোলাম ফারুক তার চাকুরীরত অবস্থায় তার পেনশনভোগী হিসেবে কাউকে নমিনী শেণীভূক্ত করে যায় নি। তার মৃত্যুর পরে পেনশনের মোট ৭৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ওই দপ্তর কিন্তু সেই টাকা আত্মসতের অভিযোগ উঠেছে গোলাম ফারুকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গোলাম ফারুকের এ অভিযোগ এনে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখ বরিশাল গ্যাসটারবাইন বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বরাবর, ২০২০ সালে ১৩ জুলাই ঝালকাঠির বিনাইকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তাদের কাছে কোন সহযোগিতা না পেয়ে গোলাম ফারুকের অসুস্থ মা ২০২০ সালের ১৬জুলাই বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (জেনারেশন) বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গোলাম ফারুকের দাফন কাফন বাবদ ৯লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, জিপি ফান্ডের ১৬ লক্ষ টাকা, ছুটির নগদায়নের ৮২ হাজার টাকা তার অসুস্থ মায়ের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তুলে নেয় তার স্ত্রী সৈয়দা জেসমিন আক্তার। এছাড়া অবশিষ্ট থাকা ৫৩ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার পায়তারা চালানোর অভিযোগও উঠেছে সৈয়দা জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে।
গোলাম ফারুকের মা সেতারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, এই জালিয়াতিতে সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন এক্সিয়ান হাসান মাহমুদ এবং ওই অফিসের কর্মচারী (অবসারপ্রাপ্ত) ফজলু। তারা নিয়মঅনুযায়ী আমাকে না জানিয়ে জেসমিনের জালিয়াতিতে সহযোগীতা করেন। মুসলিম ফরায়েজ মোতাবেক ১হাজার অংশের ১৬৭ অংশের অংশিদার আমি। কিন্তু আমার পুত্রবধু জেসমিন আক্তার তা দিতে আমাকে অসম্মতি জানান। মূলত আমি একজন প্যারালাইজড রোগী। আমি চলাফেরা করতে পারি না। আমি আমার ছেলের উপরেই নিরর্ভরশীল ছিলাম। এছাড়া আমার ছোট ছেলেটাও প্রতিবন্ধি, দুইটা মেয়ে বিবাহযোগ্য।
আমার পূত্রবধূ জেসমিন আমাদের কোন খোঁজ খবর রাখেনা, ভরন-পোষণ দেয় না, সব মিলিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি যাতে আমি আমার প্রাপ্য অর্থটুকু পাই, তাহলে আমি কোনমতে জীবনযাপন করতে পারবো।
 কথায় আছে, মানুষের দেহ থেকে প্রাণ গেলে আর কিছু থাকেনা। সেই লাশের সাথে এবার অমানবিক ঘটনা ঘটালেন বরিশালের মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের কর্তাবাবুরা। জানা যায়, মুলাদী উপজেলার ৯নং ওয়ার্ড নিবাসী তপন সরদারের মা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার লাশ ঢাকা থেকে গত ২৪ শে জুন বৃহস্পতিবার মুলাদীর উদ্দেশ্যে লাশবাহী এম্বুলেন্সযোগে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এম্বুলেন্সটি মীরগঞ্জ ঘাটে আসলে শুরু হয় তুলকালাম কান্ড! ফেরীতে এম্বুলেন্স পারাপারে বাঁধা দেয় ঘাটের কর্তাবাবুরা। তাদের দাবী লাশবাহী এম্বুলেন্স পার হতে ৫ হাজার টাকা প্রয়োজন।
মৃত ওই নারীর স্বজন রিপন অভিযোগ করে বলেন,‘মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে মানুষের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে আগে শুনেছি কিন্তু একটা লাশের গাড়ি আটকে রেখে টাকা দাবী করবে এটা ভাবতেও পারিনি। লাশ নিয়ে মীরগঞ্জ ঘাটে গেলে তারা এম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবী করেন।
আমাদের কাছে ১৫শ’ টাকার বেশি ছিলোনা, আমরা অনেক আকুতি-মিনতি করে ১৫শ’ টাকা রাখার কথা বললেও তারা সাফ জানিয়ে দেয় যে ৫হাজার টাকার এক টাকাও কম হবে না। পরে আমরা লাশ এম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে ট্রলারে করে ওপার নেই।’ খেয়াঘাটে দীর্ঘদিনের জিম্মিদশায় থেকে পরিত্রাণ মিলছে না মুলাদীবাসীর। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির অভিযোগ পাহাড় সমান অবস্থানে চলে আসলেও স্থানীয় প্রভাব ও আধিপত্যের কাছে তা সব হার মেনে যাচ্ছে।
যদিও এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের মনে জায়গা পেয়েছে চাপা ক্ষোভ। এলাকাবাসী ও যাত্রীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দৈনিক আজকের তালাশ। সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় এর বাস্তব প্রমাণ চিত্র। পাঠকদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো অনুসন্ধানের প্রতিটি মূহুর্ত। বরিশাল থেকে যাত্রা শুরু করে মীরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় উপস্থিত হয় সংবাদকর্মীরা। স্থানীয়দের সাথে আলাপ হলে জানা যায়, হিজলা-মুলাদী এলাকার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই খেয়াঘাটে ইজারাকৃত ট্রলার রয়েছে দুইটি (যা কিনা লাল নিশান টানিয়ে নির্ধারণ করা রয়েছে)।
নদী পারাপারে সময় লাগে (এপার-ওপার) প্রায় ২০ মিনিটের মতো। সেমতে নির্ধারিত ইজারার ট্রলার ঘাটের দুই প্রান্তে অবস্থান করার কথা। দীর্ঘক্ষণ ঘাটে ইজারার কোন ট্রলারের কোন খোঁজ না পাওয়া গেলে পরে উপায়ন্তর হয়ে একটি ট্রলারে নদী পারাপারের জন্য ট্রলারে ওঠে অনুসন্ধানী দল।
মাঝ নদীতে ১২/১৩ বছরের একটি শিশু ভাড়া নিতে অগ্রসর হয়। মটরসাইকেল বাবদ ৪০ টাকা এবং জনপ্রতি ১০ টাকা করে সর্বমোট নেয়া হয় ৫০ টাকা। খেয়ার নির্ধারিত টাকা দিয়ে পার হতেই হঠাৎ পথরোধ করে একজন লোক। ৪০ টাকা দেন? এমন আবদার ছুড়ে দেয়। অনুসন্ধানী দলের প্রশ্ন কিসের টাকা? প্রতিত্তোর আসে এমনভাবে, “কিসের টাকা জানেন না, ঘাডের টাকা”।
কোন রশিদ বিহীন টাকা পরিশোধ করে আমরা এগিয়ে গেলাম কিছুদূর। চায়ের দোকানে অপেক্ষা করতে লাগলাম যাত্রীদের। কিছুক্ষন পরে কথা হয় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ মন্নান মিয়ার সাথে কথা । প্রশ্ন করলাম দুইবার কিসের টাকা । তিনি জানান- বাবা এটা সুমন রাঢ়ীর। তারা যেমনি মন চায় তেমনি চলে এ ঘাট। ইউএনও কিছু বলেনা। কে এই সুমন রাঢ়ি ? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমন রাঢ়ীর পরিচয়। তিনি মুলাদী প্রেসক্লাবের সভাপতি। গত ১০ বসর প্রেসক্লাব তার দখলে। তার সম্বন্ধে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মুলাদী প্রেসক্লাবসহ সকল সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে নির্দেশনা রয়েছে তার। কথা হয় ইসমাঈল সাহেবের সাথে।
তিনি এই এলাকার বাসিন্দা। তার দেয়া তথ্যমতে জানা যায়, ইজারাদার সুমন রাঢ়ির নিয়োজিত একটি মহল ব্যস্ত থাকেন টোল আদায়ের কাজে। নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র ইজারাদারের ট্রলারে যাত্রি পারাপার করার কথা। কিন্তু ২ টি ট্রলার রয়েছে বাকিগুলো তাদের ইচ্ছে মতো ব্যক্তি মালিকানাধিন । রিজাভের নামে ২ বার ভাড়া আদায় করা হয়। এই পথে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের যাতায়ত বলে দাবি করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুলাদীর একজন শিক্ষক। তিনি জানান এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে হতে হয় লাঞ্চিত।
গতমাসে ভুক্তভোগীদের এই অবস্থা থেকে মুলাদী পুলিশ বেশ কয়েকদিন ঘাট পরিদর্শন করেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তাদের চোখে এমন ঘটনা অপরাধ বলে মনে হয়নি বলে টিমকে জানান তিনি। স্থানীয় বেশ কিছু বিশ্বস্ত সূত্রের দেয়া তথ্য, অভিযোগ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রয়েছে এর অন্তরালের খবর।
 নার্সিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার আশোকাঠী হাসপাতালের সামনের একটি ফার্মেসীতে ওষুধ ক্রয় করতে গিয়ে পরিচয় হয় আশোকাঠী গ্রামের হাসান সরদারের পুত্র ফার্মেসী মালিক কাওসার হোসেনের সাথে।
পরবর্তীতে ফার্মেসী মালিক কাওসার তাকে (ভুক্তভোগী ছাত্রী) প্রেমের ফাঁদে ফালায়। গত তিনবছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো।
এরইমধ্যে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্নস্থানে নিয়ে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাওসার একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করলে কাওসারকে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২৭ জুন ওই ছাত্রীকে আশোকাঠী হাসপাতালের সামনে ডেকে আনে কাওসার।
সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষক কাওসারের সাথে মীমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনটি সাদা ষ্ট্যাম্পে ওই ছাত্রীর স্বাক্ষর আদায় করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর হাতে জোরপূর্বক ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ছবি তুলে টাকা রেখে দেয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

 

 অশ্লীল শর্ট ফিল্ম ও টিকটক তৈরির অভিযোগে দুই নারী ও তিন যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সিনেমা ও ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রাজিবুল আলম এই কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চর সারোটিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে কায়েস, রায়গঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাইকপাড়া গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে আইয়ুব আলী, উল্লাপাড়া উপজেলার ব্রক্ষকপালিয়া গ্রামের গোলবার আলীর ছেলে মুকুল হোসেন, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে শামসুন্নাহার বিউটি ও বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ এলাকার জান্নাতী।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মুকুল হোসেনকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, আইয়ুব আলী ও কায়েসকে দুই মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, শামসুন্নাহার বিউটি ও জান্নাতীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাজিবুল আলম বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তরা অর্থের বিনিময়ে অশ্লীল শর্টফিল্ম ও টিকটক তৈরি করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছাড়তো। মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়াতে ফিল্ম তৈরির সময় তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদানের পর তাদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
 পরকীয় প্রেমের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মধ্যপূর্ব কারগাাঁও আল আকসা জামেমসজিদ রোডের এম আর ফুট অ্যান্ড ক্যামিক্যাল কোম্পানিতে নিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে এ গণধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, বরিশালের উজিরপুর থানার গাববাড়ি গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদারের (২১) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমরান শ্রীনগর উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের এম আর ফুট অ্যান্ড ক্যামিক্যাল ফেক্টরিতে চাকরি করতেন।
তিনি জানান, ইমরান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শ্রীনগর আসতে বলেন। তিনি বরিশাল থেকে শ্রীনগর উপজেলার কামারগাঁও আসেন। পরে ইমরান ও ওই এলাকার খলিল শেখের ছেলে রিপন শেখসহ (৩৬) চার-পাঁচজন বখাটে তাকে এম আর ফুট অ্যান্ড ক্যামিক্যাল ফেক্টরিতে তাকে আটক করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই গৃহবধূ ফেক্টরি থেকে পালিয়ে বেড় হয়ে ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানান। পরে তিনি শ্রীনগর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টরির মালিক লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্বপন ঘোষের কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে সেমাই ফেক্টরি করে ছিলাম। তখন রিপন, ইমরানসহ অনকেই আমার এ ফেক্টরিতে কাজ করতেন। তবে দু’বছর ধরে ফেক্টরিটি বন্ধ রয়েছে। রিপন শেখ হয়তো আগেই ফেক্টরির চাবি বানিয়ে রেখে ছিল। ওই চাবি দিয়েই বখাটেরা ফেক্টরির তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেছে। মেয়েটিকে গণঘর্ষণ করেছে।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হেদায়েতুল ইসলাম ভুইঞা বলেন, মামলা হয়েছে। দু’জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।