নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনে যাচ্ছে সরকার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার দুই থেকে দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে।

তিনি আরও জানান, তবে লকডাউনে শিল্প-কলকারখানা খোলা থাকবে এবং সেগুলোতে শিফটিং ডিউটি চলবে। জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

গত কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সরকার লকাউনের দিকে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে নয় হাজার ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন।

গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে ৬৬ দিনের লকডাউন ছিল সারা দেশে। এ সময়ে জরুরি ছাড়া সব যানবাহন বন্ধ ছিল।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে সরকার লকডাউন ঘোষণা করছে।

সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

বরিশালে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৮ জন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের নথুল্লাবাদ, চৌমাথা, কাশীপুর এলাকায় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নির্দেশনায় ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর বাজার মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে এ অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাহাতুল ইসলাম ও আরাফাত হোসেন।

 

অভিযানকালে বাজারে আগত লোকদের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিতকরণ ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রেখে চলাফেরা এবং মাস্ক ব্যতিত কেউ যাতে কোনো ধরনের সেবা না পায় সেটি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রচারপত্র ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ সংম্বলিত ফেস্টুন এবং দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষদের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিতকরণ এবং ফ্রি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

অধিকন্তু মাস্ক না পরে ঘোরাফেরা করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করায় ২৮ জন ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে আইন-শৃঙখলা রক্ষায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের টিম সার্বিক সহযোগিতা দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জানান, জনগণকে করোনার টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৮ সালে এক প্রবাসী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে ঢাকার গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ।

পুলিশের দাবি গ্রেফতার জামাল হাওলাদার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহিম খানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

শনিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল নগরের রূপাতলী সিআইডি অফিসে আসামি জামাল হাওলাদারকে নিয়ে আসা হয়।

এ সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হাতেম আলী জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রবাসী আব্দুর রহিম খানকে ইলেক্ট্রিক কাজের হাতিয়ার ‘প্লাস’ দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ আরও জানায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরধা এলাকার বাড়িতে নতুন নির্মিত ভবনে ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিং কাজের জন্য জামাল হাওলাদারের সঙ্গে চুক্তি হয় প্রবাসী আব্দুর রহিম খানের।

এ জন্য তাকে আগাম ১১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ অসম্পন্ন রেখে চলে যান জামাল।
২০১৮ সালের ২২ মে ওই এলাকার কাকরধা বাজারে জামাল মিস্ত্রির সঙ্গে প্রবাসী রহিমের দেখা হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জামাল তার হাতে থাকা ইলেক্টিক কাজের হাতিয়ার ‘প্লাস’ দিয়ে প্রবাসী রহিমের মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রহিমের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই বছরের ১ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ৩ বছর পলাতক থাকার পর অভিযুক্ত জামাল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডের কোন শয্যা খালি নেই।
প্রতিদিন উপসর্গ নিয়ে গড়ে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন এই হাসপাতালে।

এদিকে সংকট আছে চিকিৎসকেরও।
এরই মধ্যে সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান।

শনিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮ জন রোগী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এরমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১ জনের।

মোট ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোই রোগীতে পরিপূর্ণ। আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আছেন যাদের জরুরি আইসিইউ সেবা প্রয়োজন।
কিন্তু শয্যা না থাকায় তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মোট ৩০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তারা ৩ শিফটে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যা প্রয়োজনের তুলানায় ৬০ ভাগ মাত্র। আরও চিকিৎসক দরকার সেবার জন্য। রোগীর সংখ্যা আরও বাড়লে সেবার পরিস্থিতি কি হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।

এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২০২০ সালের মার্চে মারা যান একজন। রোগী ছিলেন ৮ জন। গেলো মার্চে করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন ৩২ জন এবং রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৩৫১ জন।

দিনে দিনে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রতিদিনই সচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে কার্যত এখনো অনেকেই মাস্ক না পরাসহ স্বাস্থবিধি মানছেন না।

এদের মধ্যে অনেকেই আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে মাস্ক পরতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালনার নির্দেশনার পর বরিশালে বাস-মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন পরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে।

যা নিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রুপাতলী থেকে সরকার নির্ধারিত নিয়মে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও চরকাউয়া থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক ও মহাসড়কে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শুক্রবারের (২ এপ্রিল) তথ্যানুযায়ী, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া সাতজনসহ মোট চিকিৎসাধীন ১১২ জন রোগী। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী ২৪ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীসহ চিকিৎসাধীন ছিলেন ১০৫ জন রোগী। গত বুধবার (৩১ মার্চ) করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিলেন ৯৩ জন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ জনের।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা ওয়ার্ডে ১২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে দুটি ভেন্টিলেটর বিকল। বাকি ১০টিতেই রোগী চিকিৎসাধীন। এখনো আইসিইউ সেবা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন অন্তত ২০ জন রোগী। এর ফলে মুমূর্ষু রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী আইসিইউ সেবা দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারিতে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী আইসিইউ সেবা দিতে জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ বিভাগে দক্ষ জনবল নিয়োগের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান  জানান, আইসিইউ বিভাগে এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনো জনবল দেওয়া হয়নি। এ্যানেসথেশিয়া বিভাগ থেকে ডেপুটেশনে চিকিৎসক এনে সাময়িকভাবে আইসিইউ সেবা চালিয়ে রাখা হচ্ছে। অন্যান্য শ্রেণির কর্মচারীও নেই। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে। তবে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও রোগীদের চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এদিকে শেবাচিমের পিসিআর ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর আগের (বুধবার) গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ল্যাবে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪০ জনের।

আর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্তের হার দুই থেকে তিন শতাংশে নেমে আসে। গত মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহেও একই হারে স্থির ছিল। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনজন করে করোনা আক্রান্ত হতেন। কিন্তু গত ১৫ মার্চ থেকে এক লাফে এ সংখ্যা গড়ে ১২ জনে পৌঁছায়। যা কখনো কখনো ৩০ এর ঘরও অতিক্রম করছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাস্ক না পরে চলাফেরার কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আবার অনেকের করোনার লক্ষণ থাকলেও তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করিয়ে যেমন ঘুরে বেড়ান, তেমনি করোনার রোগীদের অনেকেই যারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে, তারাও আইসোলেশনে না থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে সংক্রমণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে নানাভাবে সচেতন করার চেষ্টা চলছে।

এদিকে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনপ্রতিনিধিদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।

রমজান মাসকে সামনে রেখে বরিশালের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। করোনার এমন পরিস্থিতির মধ্যে নগরীর বাজারগুলোতে তেমন কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। শনিবার (৩ এপ্রিল) নগরীর পোর্টরোড, বড় বাজার, চৌমাথা বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, এক ধরনের অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা রমজানকে সামনে রেখে কিছু কিছু সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা ক্রেতাদের ওপর।

পোর্টরোড বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মুরগি ও ডিমের দাম আগের থেকে কিছুটা বাড়তি। তবে আগের থেকে সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে অনেক সবজি পাওয়া গেলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকা।

বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা কবির বলেন, শীতের সিজন শেষ। সবজির দাম একটু বাড়বেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম বেশ কম ছিল। সামনে রমজান আসছে, এখন কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে এখন বাজারে কোনো সবজির অভাব নেই।

বরিশালের চৌমাথা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা কলা হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিকেজি কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

তবে কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে কক মুরগি ২৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে অপরিবর্তিত আছে খাসি ও গরুর মাংসের দাম। ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে খাসি আর গরুর মাংস ৫৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই কেজিপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা ও বাতাসি মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

বাজার করতে আসা মো. সাইদুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেরও দাম বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তা নাগালের বাইরে। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাবারে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।

 

এস.এম.মিরাজ || বরিশাল প্রশাসনের এক কর্মকর্তার কালো রঙের ওয়াকি টকি ব্যবহার করে নগরীতে মাদক ব্যবসা পরিচালনা ও বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে ভাটিখানার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বাবু ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে।রয়েছে নগরীতে তার নামে মামলা চাঁদাবাজি চুরি-ছিনতাই ও চাঁদা না দিলে হত্যার উদ্দেশ্যে মানুষকে মারার অভিযোগ।নিজেকে কখনো সাব ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর, ও প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা দাবি করতো। সাধারণ মানুষকে এই ভাবেই সে প্রতিনিয়ত হয়রানি করত। বোঝার কোন উপায় নেই, কারণ তার হাতে থাকতো প্রশাসনের কালো রংয়ের ওয়াকি টকি। ইতিমধ্যে
প্রশাসনের ওয়াকি টকি নিয়ে নেটে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে নেটিজেনদের সমালোচনার ঝড় ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

ভিডিওটিতে দেখা যায় ডান হাতে প্রশাসনের কালো রংয়ের ওয়াকি টকি বাম হাতে মোবাইল।
মোবাইল ফোনটি লাউড স্পিকার দিয়ে কোন এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে এক পিস ফেনসিডিল চাচ্ছে। অপরপ্রান্তে ওই ব্যক্তির কাছে হুমকিস্বরূপ একপিস মাল যাচ্ছে বাবু।এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মাদক ব্যবসায়ী বাবু, রিফাত ও শাওনের সাথে বরিশাল ডিবির এক কর্মকর্তার খুব ভালো সম্পর্ক। তার ইশারায় এবং পাওয়ার দেখিয়ে নগরী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা।তবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী বাবু কালো রংয়ের ওয়াকি টকি হাতে নিয়ে নিজেকে প্রশাসন দাবি করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা ও মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে সেই ওয়াকি টকি টি ওই কর্মকর্তার।

সম্প্রতি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বাসা থেকে ৩৮ টি ওয়াকি টকি উদ্ধার করে প্রশাসন। এঘটনা ও বিভিন্ন অপরাধের কারণে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে আদালত।একজন সংসদ সদস্যের ছেলে হয়েও পার পায়নি আইনের কাছে। আইনের কাছে সবাই সমান হয়। হতে পারে সে গরিব, নয় সে ধনী। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে বাবু একাধিক অপরাধ করে আসলেও প্রশাসন নীরব নিরব থাকাই নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সুশীল সমাজের দাবি এখনই যদি ওই অপরাধকে না থামানো যায় তাহলে ভবিষ্যতে এর মাশুল দিতে হবে প্রশাসনকে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ওয়াকি টকি ব্যবহারের নিয়ম নেই। ওয়াকি টকি লাইসেন্স কোন ব্যক্তিকে নয়, প্রতিষ্ঠানকে দেয় বিআরটিসি। যার মাধ্যমে আধা কিলোমিটার পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব। শুধু মাত্র কালো রঙ এর ওয়াকি টকি প্রশাসন ব্যবহার করবে এবং অন্য কালারের অকি টকি প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার করবে। কোনভাবেই কালো রংয়ের ওয়াকি টকি কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার করিতে পারিবে না।বেআইনিভাবে যদি কেউ ওয়াকি টকি ব্যবহার করে তাহলে বাংলাদেশি আইন অনুযায়ী ১০ বছরের সাজা তিনশত কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
। এ ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহিরুল হক জানান,ওয়াকি টকি এক এলাকার জন্য অনুমতি নিয়ে অন্য এলাকায় ব্যবহার বেআইনি।
মাদক ব্যবসায়ী বাবু ও তার সহযোগীরা কথা না শোনায়,নগরীতে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যেই হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এই বাবু। পরবর্তীতে আহত ওই যুবককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে ভর্তি করে।অতঃপর ওই যুবকের ভাই রুবেল কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করে। মামলা নাম্বার ১।

বরিশাল নগরের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দার কাজীপাড়া এলাকায় তামান্না আফরিন (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

তামান্না আফরিন আলেকান্দার কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম টিপুর বড় মেয়ে।

দক্ষিণ আলেকান্দা এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় নানা হাফেজ আলমগীরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তামান্নার মায়ের সঙ্গে প্রায় ৩ বছর আগে তার বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তামান্না তার মায়ের সঙ্গে নানা হাফেজ আলমগীরের বাড়িতে থাকতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তামান্ন বাসার দোতলায় যান। এসময় তার মা বাসার বাইরে ছিলেন।

বেলা সোয়া ৩টার দিকে তার মা বাসায় ফিরে দোতলায় মেয়ের খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা গিয়ে তামান্নাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়ের আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখছেন না জানিয়ে মা জাকিয়া বেগম  জানান, তামান্না খুব ইমোশনাল ছিলো। ফেসবুক কিংবা ইউটিউব চালানোর পাশাপাশি রাত জেগে কার সঙ্গে যেন মোবাইলে কথা বলতো। এ কারণে কয়েকদিন আগে তার মোবাইলের হেডফোন ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। পরে আবার পুরনো একটা হেডফোন দেনও তিনি। এরপর আর মেয়েকে কোনো বকাঝকা করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বাবা রফিকুল ইসলাম টিপুর অভিযোগ মেয়েকে তার নানাবাড়ির লোকজন হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, তামান্নার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মসূচি চলাকালে হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারদের মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (০২ এপ্রিল) হেফাজতের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল ৩টায় বরিশাল নগরের বাজাররোডস্থ জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন মাদরাসা ময়দানে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালীম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আব্দুল খালেক হরিণাফুলিয়া, মাওলানা শেখ সানাউল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা মোখলেছুর রহমানসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরামরা।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন দেশের ইসলামপ্রিয় জনগনের ওপর হামলার ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। দেশপ্রেমিক, ইসলামপ্রিয় তাওহিদী জনতার ওপর হামলা ও হত্যার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

২৭ মার্চ সারাদেশে নজিরবিহীন হরতাল পালিত হয়েছিলো। ২৭ মার্চ হরতাল থেকে অনেক নির্দোষ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা আন্দোলন করেছে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে ।

এ সময় বক্তারা ৫ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, যাদের ইশারায় ও যাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রিয় মুসুল্লিদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, সরকারের সন্ত্রাসী লীগ বাহিনীকে সবধরনের জাতীয় অনুষ্ঠান থেকে বিরত রাখা, সরকার বাংলাদেশের মাটিতে ইসলাম ও মুসলমানদের মতামতের বাইরে কোন ইসলামী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, অন্যায়ভাবে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়া এবং গণগ্রেফতার করে নিরাপরাধ মানুষদের হয়রানি বন্ধ করা।

এ সময় বক্তারা তাদের ৫ দফা দাবি অনতিবিলম্বে মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

সমাবেশ শেষে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সমাবেশে উপস্থিত হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএমপি গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক এইচ এম আব্দুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে  ০২ এপ্রিল ২০২১ খ্রিঃ বিকেলে কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২৩নং ওয়ার্ডস্থ ইসলামপাড়া সড়কে বায়তুচ্ছালাম জামে মসজিদ এর উত্তর পাশে আকিক ভিলার সামনের এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনায়, কোতয়ালী থানার কালুশাহ সড়ক এলাকার মোঃ আমির হোসেন মোল্লার ছেলে মোঃ আওলাদ হোসেন মোল্লা কে ৭০ পিস ইয়াবা, একটি মোবাইল ফোন সহ গ্রেফতার করা হয় । এছাড়া, এই আসামীর আরেক সহযোগী কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকার আসামী মোঃ মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে রাইফেল মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য, আসামী মোঃ আওলাদ হোসেন মোল্লা’র বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় ০১ টি জিআর সাজা ও ০৮ টি ওয়ারেন্ট আছে।

আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।