নিজস্ব প্রতিবেদক|| বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গারুরিয়া উনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জুলফিকার হায়দার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী লাভ করেন।নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।
এছাড়া এলাকায় নিজেকে একজন নিষ্ঠাবান চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিতি অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে সরকারের তৃণমূল মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করে আসায় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তার সুফল ভোগ করছে। তার আমলে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নিজ অর্থায়নে বিলকিস জাহান কলেজের দুই তলা ভবন নির্মাণ করা। যা গত বছর এমপিওভুক্ত হয়েছে। কাঞ্চন সিকদার বিদ্যা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় করা,তুলাতুলি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ, খয়রাবাদ বোয়ালিয়া ব্রিজ পাস করা,নীলগঞ্জ কৃষ্ণকাঠি একটি ব্রিজ পাস করা,কাটাখালি কয়ার চর তিনটে ব্রিজ কাজ পাস করা। নিজ ইউনিয়নে ১১ কিলোমিটার পাকা রাস্তা কাজ করা। ৩০/৩৫ টি কালভার্ট করা,এবং এরি মধ্যে আরে ১০ টি ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে। এবং আরো ১২ টি ব্রীজের টেন্ডারের অপেক্ষায়। তার আমলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি গভীর নলকূপ স্থাপন হয়েছে। খয়রাবাদ বাজার এবং নিলগঞ্জ বাজার উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। ১ হাজার লোক নামাজ পড়ার জন্য আধুনিক মসজিদ নির্মাণ করেছেন।এছাড়াও আরো অনেক উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গৃহহীনদের ঘর ইউনিয়ন বাসীদের মধ্যেই সঠিকভাবে বন্টন করেছেন। ইউনিয়ন বাসির মধ্যে ভিজিএফ ভিজিডি চাল, বিধবা প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের ভাতার কার্ড সঠিকভাবে বন্টন করে ইউনিয়ন বাসের মধ্যে। কোন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় হঠাৎ করে জাতীয় পার্টির নেতা গারুড়িয়া ২ নং ওয়ার্ড উপিসদস্য মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ বাকেরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাথে একত্রিত ভাবে রাজনীতিতে চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু জাতীয় পার্টির এই নেতা সামনে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহলের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু যতোই অপপ্রচার চালাক আমার উন্নয়ন কর্মকান্ড থেমে থাকবে না। এবং আগামীতেও আমার উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। উন্নয়ন কর্মকান্ড ধারাই এর সঠিক জবাব দেওয়া হবে।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অদ্য ৬ মার্চ শনিবার বাবুগঞ্জ উপজেলার কলেজগেট বাজারে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বাবুগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান।

অভিযান চলাকালে মেয়াদ উত্তির্ন খাবার, নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া য়ায়
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক চারটি প্রতিষ্ঠানকে পৃথক মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনায় আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করে
বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।

উজিরপুর প্রতিনিধি ॥ বরিশালের উজিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা মুরগির খামারে আগুন দিয়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হযেছে।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় উপজেলার সাতলা গ্রামের শাজাহান বিশ্বাসের ছেলে জসিম বিশ্বাস(৩০) এর সাথে একই বাড়ীর আক্তার হোসেন বিশ্বাসের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

জানা যায় ১৬ বছর ধরে ২টি খামারে মুরগি পালন করে ব্যবসা করে আসছে জসিম বিশ্বাস। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত মুরগির খামার ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুরিয়ে ফেলাসহ খুন যখমের হুমকী দিয়ে আসছে একই বাড়ীর প্রতিপক্ষ আক্তার বিশ্বাস।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ মার্চ শনিবার সকাল ৮টায় জসিম বিশ্বাস মুরগির খামারে খাবার দিতে গেলে তাকে প্রভাবশালী আক্তার বিশ্বাস(৪০), নির্মল হালদার(৩০)সহ ৮/১০ অজ্ঞাত ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা মিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়।

এর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে ওই সন্ত্রাসীরা রামদা, লাঠি,লোহার রড, দেশীয় ধারালো দা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসলে জসিম ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান।

এরপর ওই সন্ত্রাসীরা সুযোগ নিয়ে মুরগির খামার ভাংচুর করে এবং খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ২ হাজার মুরগি পুরে ফেলেছে।

এতে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় জসিম বিশ্বাস বাদী হয়ে ঘটনার দিন উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানার অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যপারে তাৎক্ষনিক ভাবে এ.এস.আই সুমন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ওই প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ,সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্ত্রির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ভোলায় এনজিওর ঋণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে দেনাগ্রস্ত রিংকু বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূ কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত রিংকু বেগম ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব পলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ পাট-৩ গ্রামের মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী।

শনিবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রিংকু বেগমের স্বামী পেশায় জেলে। অনেক কষ্ট করে তাদের সংসার চলে। রিংকু বেগম বিভিন্ন এনজিওর থেকে ঋণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে স্বামীর ঘর নির্মাণ করেন।

পরে সময় মত কিস্তি পরিশোধ করতে পারতেন না। এছাড়াও স্থানীয়দের কাছ থেকে নেয়া টাকার সুদও ঠিকমত পরিশোধ না করতে পারায় পাওনাদাররা প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছিল।

চাপ সহ্য করতে না পেরে শনিবার সকালের কোনো এক সময় কীটনাশক পান করে ঘুমিয়ে পড়ে।

পরে বেলা ১১টার দিকে বড় ছেলে তাকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া শব্দ মেলেনি। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. ফরিদ শেখ বলেন, বিকেলে খবর পেয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ঝালকাঠির রাজাপুরে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ফাটল ধরেছে। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে মসসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। আর এ ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা।

নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় বরিশালের মেসার্স খান বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় মনির হোসেন, কামরুল ইসলাম দুলাল ও খোকন তালুকদার জানান, নির্মাণ শুরুর কিছুদিন পরে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে স্থানীয়দের প্রতিরোধে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সঠিকভাবে কাজ করার শর্তে পুনরায় কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে মসজিদের কাজ প্রায় শেষ। এর মধ্যে মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের ভিতর এবং বাইরের অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। এখন সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ওই ফাটল মেরামতের চেষ্টা চলছে।

তারা আরো জানান, মসজিদের মূল অংশের পাইলিং ঠিক থাকলেও পেছনের অংশে ঠিকভাবে পাইলিং না করার কারণে দেয়াল দেবে গিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে মসজিদের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার লিটন বলেন, অ্যাংকর সিমেন্ট একটু বেশি করা। তাই পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেয়ালের প্লাস্টারে ফাটল দেখা দিয়েছিল, তা ইতোমধ্যে ঠিক করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রেকৌশলী বাদল কুমার মণ্ডল বলেন, দুই দিন আগেও কাজের সাইট থেকে ঘুরে এসেছি। মসজিদের দেওয়ালে ফাটলের কোন ঘটনা চোখে পড়েনি। তবুও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশান বাড়িয়া গ্রামে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর শুক্রবার রাতে প্রেমিকের বাবা ভাইয়ের মারধরের অপমান সইতে না পেরে মতি হাওলাদার (২৫) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মতি হাওলাদার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু মজিদ হাওলাদারের ছেলে। মতির পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।

জানাগেছে, উপজেলার তেতুঁলবাড়ীয়া গ্রামের হারুন সিকদারের কন্যা ময়ূরীর (১৬) সাথে একই গ্রামের মৃত্যু মজিদ হাওলাদার ছেলে মতি হাওলাদার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত চার মাস ধরে চলে আসছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।

গত বুধবার মতি হাওলাদার তার এক স্বজনের মাধ্যমে প্রেমিকা ময়ূরীর বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।

কিন্তু এ বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন হারুন সিকদার। শুক্রবার বিকেলে প্রেমিকা ময়ূরীর বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে প্রেমিক মতি হাওলাদার হেটে যাচ্ছিল।

এমন সময় প্রেমিকার ভাই দ্বীন ইসলাম, শহীদুল ইসলাম এসে মতিকে গালাগাল করে। এতে যুক্ত হয় প্রেমিক ময়ূরীর বাবা হারুন সিকদার।

এক পর্যায় হারুন সিকদার ও তার দুই ছেলে, শ্যালক ফারুক ও শ্যালকের ছেলে মিরাজসহ ৫-৬ জনে মিলে প্রেমিক মতি হাওলাদারকে মারধর করে।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এতে ক্ষুব্দ হয় মতি। ওইদিন রাতে স্থানীয় শহিদ খাঁন নামের এক জেলে পায়রা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে একটি রেইন্ট্রি গাছের সাথে মতির ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্বজন ও পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মতির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার মতির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে।

এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পরপর হারুন সিকদার ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শুক্রবার বিকেলে হারুন সিকদার ও তার দুই ছেলে দ্বীন ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, শ্যালক ফারুক ও শ্যালকের ছেলে মিরাজসহ ৫-৬ জনে মিলে মতিকে মারধর করেছে।

আমরা এগিয়ে না গেলে মতিকে ওই সময়েই তারা মেরেই ফেলতো। তারা আরো বলেন, এখন শুনছি মতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত মতি হাওলাদারের চাচা মাহতাব হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলেকে হারুন সিকদার ও তার লোকজন মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলের সাথে হারুন সিকদারের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

ওই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হারুন সিকদারের বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তারা তা ফিরিয়ে দিয়ে মতিকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে কলাপাড়ার মধুপাড়া গ্রাম থেকে শিক্ষক মোতাহার হোসেন তালুকদারকে গ্রেফতারের পর শনিবার তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১ মার্চ দুপুরে ধানখালী ইউনিয়নের মধুপাড়া গ্রামের ধলাই বাজারের আলম মোল্লার মুদি দোকানের মধ্যে আটকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ চেস্টা চালায় মোতাহার তালুকদার।

গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক মোতাহার হোসেন তালুকদার উত্তর লালুয়া ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

কিশোরীর মা মামলায় উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন ওই কিশোরীকে ঘরে রেখে বড় মেয়েকে নিয়ে সে পাশের বাড়িতে যায় ধর্মীয় তালিম জলশায়।

এ সুযোগে প্রলোভন দেখিয়ে ছোট মেয়েকে বাজারে নিয়ে দোকানের মধ্যে আটকে ধর্ষণের চেস্টা করে মোতাহার তালুকদার।

এসময় সে কান্নাকাটি করলে তাকে ছেড়ে দেয়। কিশোরী বাসায় এসে কান্নাকাটি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পড়ে স্থানীয় একটি চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, তারা খবর পেয়ে শুক্রবার কিশোরীকে উদ্ধার করেন এবং রাতে মোতাহারকে গ্রেফতার করেন।

রাতেই এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোতাহার হোসেন তালুকদারকে প্রধান আসামী করে কিশোরীর মা মামলা দায়ের করেন।

শনিবার সকালে কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মোতাহারকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বরিশালে দুজন সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এরা হচ্ছে, সদর উপজেলার বুখাইনগর এলাকার চিত্ত রঞ্জন শীল-এর ছেলে পলাশ ও নগরীর চাঁদমারী এলাকার বিমল হালদারের ছেলে বাপ্পী।
সেচ্ছায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে পলাশ মাহামুদুল্লাহ আফফান নাম গ্রহন করেছে। এছাড়া বাপ্পী হালদার মুহাম্মদ ইবরাহীম খলিলুল্লাহ নাম গ্রহন করে হলফনামা দিয়েছে নোটারীপাবলিকের কাছে।

অনলাইন ডেস্ক :: ময়মনসিংহে অস্ত্র ও মাদকসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আল আমিন ওরফে আলম (৩২), মো. সুজন মিয়া (২৮), হাবিবুর রহমান রাশেদ (৪০), মো. সিরাজুল ইসলাম (৩০), আবদুল আওয়াল বাবুল (৪০), শান্ত অভিজিৎ রেমা (৪০), মো. সোহাগ মিয়া (৩০), মো. ইলিয়াছ (৪১) ও সোহেল ঢালী (২৫)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় একটি পাইপগান, দুটি গুলি, ৭শ’ পিস ইয়াবা, তিন বোতল ফেনসিডিল ও পাঁচ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা শাখার (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় নিজ ঘরে রুবেল হাওলাদার (১৮) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রুবেল ওই গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের ছেলে। পেশায় দিনমজুর ছিল সে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ২টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রুবেলকে দেখে তার চার বছর বয়সি বোন রাবেয়া। পরে রাবেয়া ডাক-চিৎকার দিয়ে পরিবারের অন্যদের জানালে তারা এসে আহাজারি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রুবেলের মা শাহিনুর বেগম  বলেন, জুমার নামাজ পড়ে জিলিপি নিয়ে রুবেল বাড়িতে এসে আমাকে ডায় দেয়। তখন আমি রান্না করছিলাম। কিছুক্ষণ পর রুবেলের গলায় ওড়না পেঁচানো দেখে রাবেয়া আমাকে ডাক দেয়। আমি এসে দেখি, হাঁটু ভাজ করে বসা অবস্থায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো। ওই অবস্থায় মানুষ মারা যাইতে পারে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো কাজ না করে বেকার সময় পার করা নিয়ে ওইদিন রুবেলের সঙ্গে তার মা ও বড় ভাই সাইদুরের সঙ্গে ঝগড়া হয়।

রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।