বরিশালের গৌরনদীতে রাসিক হাওলাদার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন– প্রধান আসামির মা রানু বেগম ও শাখাওয়াত হোসেন কামরুল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাসিক হাওলাদার তার এক মেয়ে সহপাঠীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরদী এলাকায় তার মামার শ্বশুর (নানা) আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

মেয়ে সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে আসার ঘটনা কেন্দ্র করে পাশের বাসার মাদকসেবী রফিক সরদার (২৫) ৩-৪ জনের সহযোগিতায় আনোয়ার হোসেনের বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রাসিককে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এতে তার বাম হাতের রগ, হাড় ও চারটি আঙুলের অধিকাংশ কেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে ওই ছাত্রের মামা আকবর হাওলাদার বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিনজনের নাম উল্লেখসহ চারজনকে আসামি করে শুক্রবার সকালে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন– রফিক সরদার, তার মা রানু বেগম, ভগ্নিপতি শাখাওয়াত হোসেন কামরুল। মামলার পর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামির মা রানু বেগম ও শাখাওয়াত হোসেন কামরুলকে গ্রেফতার করেছে।

তাদের দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তৌহিদুজ্জামান জানান, প্রধান আসামি রফিক সরদারের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দলীয় অফিস ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় র্দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর করা হয়। এসময় চেয়ার ছুড়ে মারায় ১০/১২ জন আহত হয় বলে দাবী করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় দফা রাত ৯টার দিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুমের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।

এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলার সময় তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের দুটি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির প্রার্থী পৌর নির্বাচনের জনসংযোগ শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় অফিসে অবস্থান করেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অফিসে ঢুকে তাদের অফিস ত্যাগ করতে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চেয়ার ভাঙচুর করে এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাজী হুমায়ুন সিকদারকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারে। এসময় প্রার্থীকে রক্ষা করতে গিয়ে সোহেল, আজাদসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নৌকা সমর্থকরা এসে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এসময় তারা সিসি ক্যামেরা, জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান বলেন, বিএনপি অফিসে দু’পক্ষের (আ’লীগ- বিএনপি) বাকবিতন্ডার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবদুর রশিদ বলেন, বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচন অফিসে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।

বরিশালের উজিরপুরে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (ইউপি সদস্য) অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের সূত্র ধরে সরকারি কাজের টাকা ভাগাভাগির কথোপকথন ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

উজিরপুর উপজেলার ৩ নম্বর জল্লা ইউনিয়নের এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

এরইমধ্যে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরেও এসেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।
যদিও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেবী রাণী হালদারের সঙ্গে সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার দিপালী হালদারের ১৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের মোবাইল কথোপকথনটি কীভাবে ফাঁস হয়েছে তা নিশ্চিত হতে না পারলেও সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে মোবাইলে ইউপি সদস্য দিপালী হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথোপকথন থাকা কণ্ঠ তার বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি যে কথোপকথন হয়েছে তা সত্য জানিয়ে রেকর্ডটির বিষয়ে তিনি বলেন, ওই মোবাইলটি তার ছেলের কাছে ছিলো, তার কাছ কে যেন মোবাইলটি নিয়ে কী করেছে তা বলতে পারছি না।

কথোপকথনে সরকার হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (৪০ দিনের) কাজ না করিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার পরে তা ভাগবাটোয়ারার বিষয়টি স্পষ্ট। একইসঙ্গে চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনকে ঘুষ দেওয়ার পরও কেন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া নিয়ে তর্কের বিষয়টি স্পস্ট।

তবে উত্তরের প্রথমে চেয়ারম্যান বলেছেন, টাকা পয়সার কোনো বিষয় নয়, খারাপ ব্যবহার ও আচরণ ভালো না হওয়ার বিষয় নিয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস জানান, ফাঁস হওয়া কথোপকথনের খবর শুনেছেন তিনি। কিন্তু সেখানে মেম্বার-চেয়ারম্যান কী নিয়ে আলাপ করেছেন তা শুনেননি। অডিও রেকর্ডটি শুনে কোনো বিষয়ে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

কথোপকথনে ইউএনওকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে যা বলা হয়েছে সেই সর্ম্পকে জানতে চাইলে প্রণতি বিশ্বাস বলেন, উজিরপুর উপজেলায় এমন ঘটনা এটাই প্রথম। আমার বিরুদ্ধে পেছনে বসে কেউ কিছু বললে সেটিতো সত্য হয়ে যাবে না।

ইউএনও বলেন, ইউপি সদস্য দিপালী হালদারের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত চলছিল। আপনি জেনে অবাক হবেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ‘এক কথায় অমায়িক লোক’। এক প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট আনতে গিয়েছিলেন দিপালী হালদার, তাকে সার্টিফিকেট দেননি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তখন দিপালী হালদার তাকে মারধর করতে উদ্যত হন। বিষয়টি জেনে আমি পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী গত বছরের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন জল্লা ইউনিয়নের সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিপালী হালদারের বিরুদ্ধে। সেখানে তিনি দিপালী হালদারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনেন।

আর ইউপি সদস্য দিপালী হালদার প্রতিবন্ধী ভাতার সার্টিফিকেট নিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ডা. শওকত আলী। এ ঘটনার পর কয়েকজন ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেবী রাণী হালদার অনাস্তা পত্র দেন ইউএনওর কাছে।

১৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের ফোনালাপের চুম্বুকাংশ বাংলানিউজের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:

ইউপি সদস্য দিপালী হালদার: মামী আপনি শুধু শুধু মেম্বারদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে কমপ্লেইন দিলেন, আর আপনিও সই দিলেন, এটা ভালো হইলো?’

চেয়ারম্যান বেবী হালদার: মানে কি, তুমি আমারে দোষো কেনো, খালি খালি কমপ্লেইন দিছি মেম্বারদের দিয়া, এডা কেমন কথা?

দিপালী হালদার: এহন শোনেন, আপনে যে টাকা চাইছেন আমার কাছে, আমি দিছি না আপনারে? ৭০ হাজার টাকা দিছি, আগেরবার কর্মসূচির দিছি ৫০ হাজার টাকা। তাইলে আমি কি আপনারে কম দিছি টাকা বলেন?’ আমি কর্মসূচির টাকা দিছি ৭০ হাজার, আপনি সেটা বলবেন না ইউএনওকে?

বেবী হালদার: বলেন, ‘৭০ হাজার দেও, আর তুমি ৯০ হাজার দেও, সেটা কোনো বিষয় না। তোমার আসবে কত? হিসাব থাকতে হবে, কত টাকায় কত আসবে। ৭০ হাজার, আর ৯০ হাজারের কোনো প্রশ্ন না এখানে। ’

দিপালী হালদার: না…আপনি কইছেন তোমার উপজেলা চাইছে ৪০ হাজার, আর…দিছি এতো, এটা বলে কইছেন ১ লাখ টাকা। এহন আমি আপনারে ৭০ হাজার টাকা দিছি, আগের বিলে দিছি ৫০ হাজার টাকা।

বেবী হালদার: কিসের তোমার ১ লাখ টাকা? তোমার কত পারসেন্ট আসবে সেটা জানে সচিব, তা তো আমিও জানি না এখনও। আর উপজেলা দিয়া ধরছে তোমার এবং চেয়ারম্যানের দুইডা প্রজেক্টে তাদের বেশি অভিযোগ, আর সব প্রজেক্ট তো দেখে নাই সেদিন। তারা ৩ থেকে ৪ টা প্রজেক্ট দেখছে, তার মধ্যে এ দুটা প্রজেক্টে বেশি অভিযোগ তাদের। পিআইও (অয়ন সাহা) লিখে দিছে, চেয়ারম্যানের প্রজেক্টে ১ লাখ ১০ হাজার, আর তোমার প্রজেক্টে দিছে ৯০ হাজার। এ দুইটা প্রজেক্ট দিয়া আমরা এইডা…দাবি করি। আর অন্য প্রজেক্ট বাদ-ই দিলাম, এইডা আমরা দাবি করি, এ ২ লাখ টাকা। তো অন্যান্য মেম্বাররা, তারা যে হ্যারা ১০/১৫ হাজার করে দিছে, হেইতো ভালো। এখন আমি তো…এরপরে সবাই মিলে আমারে ধরছে ৭০ হাজার, তোমারে ধরছে কত, ৫০ না, জানি কত হাজার।

দিপালী হালদার: আমারে টাকা ধরছে কে, আপনি?

বেবী হালাদার: সবাই মিলে, সব মেম্বাররা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে, যার যার কাজের মানের ওপর নির্ভর করে। দুটি প্রজেক্টের ওপর বেশি অভিযোগে। আমি চেয়ারম্যান বিধায় আমাকে বেশি ধরছে। আমারে একারে ধরছে ৭০ হাজার, আমি সেই ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দিছি, একেবারে নগদ দিছি… সচিবের কাছে ৭০ হাজার টাকা জমা। ……..আর উপজেলার টাকার সঙ্গে পারসেন্টের টাকার কি যোগাযোগ, তুমি আগে পারসেন্ট বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়া দিছো। আর জেয়ারে (পরে) ২০ হাজার টাকা ভাগে ভাগে দিছো, এখন তোমার কাছে পারসেন্টের হিসাবে আরও পায়।

দিপালী হালদার: আমি ওই কাজে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিছি, আর কত দিবো?

বেবী হালদার: আমি চেয়ারম্যান হইয়া আমি ৭০ হাজার টাকা দিতে পারছি, আমার স্বামী (নিহত চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালাদার নান্টু) এতো টাকা ঋণ-দেনা রেখে গেছে, ব্যাংকে…বাড়ি-ঘর সব। আমি হ্যা দিতে পারছি, আমি চেয়ারম্যান হইয়া। আর তোমরা মেম্বার হইয়া দিতে পারবা না, তোমরা উপজেলায় গিয়া বুঝবা, এইখানে বুঝবা, ওইখানে বুঝবা। বেশ বোঝো, সমস্যা কি?

দিপালী হালদার: আমাদের কাজ ভালো না হলে তারা (উপজেলা প্রশাসন) বিল দিবে না, কিন্তু ইউএনও, পিআইও আমাদের কাছে এতো টাকা চায় কেন? এগুলো আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন না।

বেবী হালদার: বলতে পারি না …আবার, বলছি না। সব ইউনিয়ন থেকেই নিছে, যে যে ইউনিয়নের কাজের মান ভালো না, সবাইই দিছে, কম আর বেশি। এখন.. জল্লা ইউনিয়নের কাজ যথেষ্ট খারাপ কইছে। জল্লা থেকে ২ লাখ টাকার কম তারা (উপজেলা প্রশাসন) নিবেই না, আমি দেড় লাখ টাকা নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরতেছি। তারা (উপজেলা প্রশাসন) কোনো টাকাই ধরে না, ২ লাখ টাকার এক টাকাও কম নিবে না। ইউএনওর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত টাইম নিছিলাম, যে এর মধ্যে টাকা দিয়ে দিবো। শেষে আমারে ইউএনও পর্যন্ত ধরছে সেই টাকার জন্য। আগে তো…পিআইওর সঙ্গে সচিবের কথা হতো। আমার সঙ্গে বেশি কিছু বলে নাই। এখন তো ইউএনও সরাসরি সেদিন আমারে ধরছে, যে আপনি সেই টাকা কবে দিবেন? আপনি তারিখ দেন কবে দিবেন। আমি তারিখ দিয়ে আসছি, গত সপ্তাহের মধ্যে। কিন্তু সেই তারিখ তো শেষ, এখন এই সপ্তাহও যায়। তারা (উপজেলা প্রশাসন) এক টাকাও কম নেবে না।

তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি ইউপি চেয়ারম্যান বেবী রাণী হালদার। তবে তার দাবি কণ্ঠ নকল করে অডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অয়ন সাহা বলেন, অনিয়মের অভিযোগে বেশ কয়েকটি কাজের টাকা আমরা আটকে দিয়েছি। টাকা লেনদেনের বিষয়ে তিনি কোনো ঘুষ নেননি বলেও জানান।

উজিরপুর উপজেলার ৩ নম্বর জল্লা ইউনিয়নের ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৪১ জন শ্রমিকের কাজের জন্য ২৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে ওই ইউনিয়নের সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ না করে টাকা নিয়ে গেছে জনপ্রতিনিধিরা। ঘুষের সেই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এ কথোপকথনটি ফাঁস হয়।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি)

পরকীয়া প্রেমিকের হারানো মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের কারণেই স্বামী হত্যার ঘটনায় ফেঁসে যান স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মিতু। শিক্ষক স্বামীকে হত্যার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক। ইতিমধ্যে স্বামীর পেনশনের টাকার আবেদনও করেছিলেন স্ত্রী। তবে একটি কল রেকর্ডই তার কাল হয়ে দাঁড়ায়। ধরা পড়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এতেই বেরিয়ে আসে বরগুনার আলোচিত শিক্ষক নাসির উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এ ঘটনার নয় মাস পর মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজুর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনে নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথোপকথনের রেকর্ডিং পান নাসিরের স্বজনরা।

পরে থানায় অভিযোগ করলে নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মিতু (২৪) এবং মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়াকে (২০) বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বরগুনার গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন নাসির উদ্দিন। তিনি সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মো. গয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

গ্রেফতারকৃত মিতু বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার মো. মাহতাব হোসেনের মেয়ে এবং রাজু মিয়া ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত বছর ঈদের আগের দিন ২৩ মে রাতে স্বামীকে খাবারের সঙ্গে রাত ৮টায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মিতু। রাত ১১টার পর রাজুকে ফোন করে তার বাসায় আসতে বলে মিতু। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে বাসায় এসে হাত-পা বেঁধে পায়ের উপরে উঠে বসে রাজু।

স্ত্রী মিতু স্বামীর বুকের উপর উঠে কম্বল দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করলে প্রাণভিক্ষা চান শিক্ষক নাসির। টানা দুই ঘণ্টা ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে যায় নাসিরের দেহ। সফল হয় কিলিং মিশন। মিতু সবাইকে জানায় তার স্বামী অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে রাতে ঘুমের মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

পরদিন সকালে তড়িঘড়ি করে নাসিরকে দাফন করা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার ওই স্কুলশিক্ষককে হত্যার চেষ্টা করে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মিতু।

ঈদুল ফিতরের আগের দিন নাসিরের মৃত্যু হওয়ায় স্বজনরা এ মৃত্যু নিয়ে তেমন চিন্তিত ছিলেন না। স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে সবাই মেনে নেয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর ২৩ মে ঈদুল ফিতরের আগের রাতে নাসিরের মৃত্যুর খবর পান তার স্বজনরা। পরবর্তীতে নাসিরের স্বাভাবিক মৃত্যু জেনে তাকে স্বাভাবিক নিয়মেই দাফন করা হয়। ঘটনার নয় মাস ১৯ দিন পর তার স্বজনরা জানতে পারেন- নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মিতু ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজু নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কম্বল চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, নাসির হত্যার মূল পরিকল্পনা ছিল স্ত্রী মিতুর। আমরা মিতু ও রাজুকে গ্রেফতার করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক স্বরজিৎ সরকার তদন্ত করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল ১১ টায় দাড়িয়াল ইউনিয়নের মিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক ওই এলাকার ওমান প্রবাসী জালাল হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার ২০।আহতের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে সোহাগ হাওলাদার ও তার দুই বন্ধু কে নিয়ে মিয়া বাজার থেকে কামারখালী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পথিমধ্যে মিয়া বাজার এলাকায় সোহাগ পৌঁছালে হঠাৎ করেই আল আমিন রাড়ি, উজ্জল রাড়ি, মিরাজ হাওলাদার সহ ৫/৭ জন যুবক গতিরোধ করে মারধর শুরু করে। দুই বন্ধুসহ সোহাগ গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, সোহাগের পিতা ওমান প্রবাসী জালাল মিয়া তার পূর্বপুরুষের ৩৬ শতাংশ জমির পাশে থাকা ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে আত্মীয় মান্নান মোল্লা কাছ থেকে।কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ রুহুল আমীন রাড়ি, মনির রাড়ি, ও শহীদ জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। গত ১০ ই জানুয়ারি ওমান প্রবাসী জালাল মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।তার ধারাবাহিকতায় গতকাল জালাল মিয়ার পুত্র সোহাগকে আলামিন রাড়ি, উজ্জ্বল, মিরাজ হাওলাদারসহ ৫/৭ জন হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে নগদ ২৫ হাজার টাকা মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে সোহাগের পরিবার।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হাত পা-বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়া অপহৃত যুবক রায়হান (২২) কে দীর্ঘ ৬ দিন পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে স্থানীয় শ্রমিকরা একটি ডিঙ্গি নৌকা যোগে ফাতরার বন এলাকায় বালু আনতে গিয়ে তাকে দেখতে পায়। নৌকাটি দেখে রায়হান তাদের কাছে সাহায্য চায়। শ্রমিকরা তাকে হাতা পা বাঁধা অবস্থায় নৌকায় তুলে। পরে মহিপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়হান পাশ্ববর্তী উপজেলা তালতলী এলাকায় তার শ্বশুর বাড়ি উদ্দেশ্যে রওয়ান দেয়। পরের দিন শুক্রবার বিকেলে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নির্যাতনের ভিডিও দেখে নিজ পুত্রকে সনাক্ত করেন পিতা আবুল কাশেম। এ ঘটনায় রবিরার রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মহিপুর থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন তিনি। পুলিশ ওই রাতেই ইউসুফ নামের এক যুবককে আটক করে। তার তথ্যের ভিক্তিতে সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ের ইলিয়াস নামের আরো একজন যুবককে গ্রেফতার করেন। এসময় ঘটনা স্থান থেকে নির্যাতানের লাঠি ও রশি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে বুধবার সকালে একটি ডিঙ্গি নৌকায় ফাতরার বন এলাকায় বালু আনতে যায়। এসময় বালুবাহী নৌকার থাকায় শ্রমিকরা তাকে দেখতে পায়। নৌকাটি নিয়ে তারা কাছা কাছি গেলে রায়হান তাদের কাছে সাহায্য চায়। পরে তারা মহিপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তাদের হেবাজতে নিয়ে যায়।

মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মামলা রুজুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রায়হানকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যলয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান না দেখিয়ে জাতির সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগে দায়েরকৃত এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলায় উপাধ্যক্ষ শহিদুলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। ১০ ফেব্রুয়ারী বুধবার বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পলি আফরোজ বিচারাধীন আদালত এ আদেশ দেন। ৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আহবায়ক হাচান মাহমুদ বাবু মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মেহেন্দিগঞ্জ পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজের উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উপজেলার কাজিরহাট থানা এলাকার সন্তোষপুরের মৃত আঃ কাদের আকনের ছেলে। নথী থেকে জানা যায়, বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আহবায়ক হাচান মাহমুদ বাবু তার ব্রাউন কম্পাউন্ডের নিজ বাসভবন বসে ফেসবুকে ও পরে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন গত ২৬ জানুয়ারি মেহেন্দিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন আমুর নির্বাচনী উঠান বৈঠকে শহিদুল ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, এমপি পংকজ নাথের নমিনেশন শেখ হাসিনার হাতে নয়, বরং পংকজকে নমিনেশন না দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে না। এমন সংবাদ পড়ে হাচান মাহমুদ বাবুর হৃদয়ে রক্তরক্ষণ হয়। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, বিশ্ব মানবতার নেত্রী, প্রধান মন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে কোন প্রকার সম্মান না দেখিয়ে শুধুমাত্র শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করে জাতির সামনে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার এক হাজার কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে বলে হাচান মাহমুদ বাবু মনে করেন। এঘটনায় গতকাল মামলাটি দায়ের করলে আদালত মামলাটির আদেশ দানে ১০ ফেব্রুয়ারী ধার্য্য করেন । বুধবার শুনানি শেষে শহীদুলকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

বরিশাল  এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবতীকে (১৯) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রতিবেশী সিদ্দিক গাজীর পুত্র লম্পট সুমন গাজীকে (২৭) গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ পালরদী গ্রামের।

এজাহারে জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই যুবতীকে বাড়িতে রেখে তার মা মঙ্গলবার দুপুরে কাজের জন্য অন্যত্র যান। এ সুযোগে প্রতিবন্ধী যুবতীকে বাড়িতে একা পেয়ে সুমন গাজী জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় যুবতীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে লম্পট সুমন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে যুবতীর মা বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে সুমন গাজীকে গ্রেফতার করেছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শামীম আহমেদ:

দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান এবং বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় জেলার মুলাদী ও বানারীপাড়া পৌরসভার দুই বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের ১৪ নেতাকে বহিঃস্কার করা হয়েছে।

কহিঃস্কৃৃতদের মধ্যে ১০ জন মুলাদীতে ও চারজন বানারীপাড়া উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের নেতা। বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস।

বহিঃস্কৃৃতরা হলেন-আসন্ন মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সফিকুজ্জামান রুবেলের নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচন করা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও শ্রমিক লীগের আহবায়ক দিদারুল ইসলাম খান। একইসাথে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন জানানোর ঘটনায় মুলাদী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন হিরন হাওলাদার, মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেহ উদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মশিউর রহমান টিপু, মিজানুর রহমান হাওলাদার, মোসলেম উদ্দিন বয়াতী, দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার, এমএ আজিজ ও আনোয়ার হোসেন তালুকদার।

অপরদিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারীর বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলের নৌকা মার্কায় সহযোগিতা না করে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টুকে বহিঃস্কার করা হয়েছে। একইসাথে তাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করায় পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুল হক মাছুম, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা ছাইয়েদুর রহমান ছাইয়েদকে আওয়ামী লীগের সকল পথ থেকে বহিঃস্কার করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:

৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে জেলার গৌরনদী উপজেলার শাওড়া গ্রামে রেশমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধুকে নির্যাতন করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার স্বজনরা।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু বাদি হয়ে স্বামী সাইদুল শরীফ (৩২)সহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল শরীফকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুশান্ত কুমার জানান, গত ৭ বছর পূর্বে শাওড়া গ্রামের দেলোয়ার শরীফের পুত্র সাইদুল শরীফের সাথে উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের কন্যা রেশমা বেগমের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কনের পক্ষ থেকে মেয়ে জামাতাকে নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল যৌতুক দেয়া হয়। গত দুই মাস পূর্বে সাইদুল শরীফ ব্যবসার জন্য পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। দাবিকৃত যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় সাইদুল প্রায়ই তার স্ত্রী রেশমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাইদুল তার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী রেশমাকে বেধড়ক মারধর করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু বাদি হয়ে স্বামী সাইদুল শরীফসহ তিনজনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে সাইদুলকে গ্রেফতার করেছেন।