নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি রোধ ও ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

আজ (২৩ নভেম্বর) বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি রোধে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি বরিশাল জেলার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং ভূমিহীন মানুষের খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সমিপে খোলা চিঠি বিতরণ করা হয়।

 

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম শাফিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মিরাজ। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রী কমিটির সভাপতি জননেতা বাচ্চু ভূইয়া, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল সদর উপজেলার সদস্য সচিব ইয়াসমিন সুলতানা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা সভাপতি মোহাম্মদ জাবের প্রমুখ।

 

 

বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, “করোনার প্রভাবে দেশের সকল মানুষে অর্থনৈতিকভাবে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এই সময়ে ভাসমান শ্রমজীবীদের জন্য সরকারের যে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা ছিল তারা তা না করে বরং দূর্বল বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে জনগনের জীবনকে আরো সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সকল ধরনের জ্বালানী খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু দুর্নীতিবাজ সরকার কর্ণপাত করছে না। যার ফলে জ্বালানির সাথে সম্পর্কিত সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন্টায় ২০ টাকা শ্রম বিক্রি করে শ্রমিকদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অবিলম্বে সরকারকে সকল নাগরিকদের রেশনিং এর আওতায় আনতে হবে। জ্বালানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলে দ্রুত পদত্যাগ করার দাবি করেন।

 

গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, “দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপ ও ফ্যাসিবাদি দুঃশাসনে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরনে জনগণ ইতিমধ্যে রাজপথে নেমে এসেছে৷ ভূমির অধিকার সহ সকল নাগরিক অধিকার আাদায়ে রাজপথের সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে৷ গণজাগরণ তৈরি করে সরকার ও শাসন ব্যবস্থা বদলাতে হবে”।

 

সভাপতির বক্তব্যে আরিফুর রহমান মিরাজ বলেন, “দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে জনগনের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রমজীবী মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু ব্যয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন দূর্বিষহ হয়ে গেছে। তারা এর থেকে পরিত্রাণ চায়। সুপরিকল্পিত ভাবেই সরকার সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমার্পন করেছেন। । তারা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে নানান অযুহাত দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ আসল ঘটনা জানে। লুটপাট ও সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে সরকার জনগণকে আজ বিপদে ফেলেছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণ নেবে না। বরিশালের শ্রমজীবী পরিবারগুলো দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, সিন্ডিকেট হটাও এবং ভুমিহীনদের খাস জমির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে। সংবিধানে খাসজমির মালিকানা ভূমিহীনদের দেওয়া হয়েছে। এসকল দাবি না মানা হলে শ্রমজীবীদের নিয়ে অচিরেই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।

 

 

বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্ত্বরে সমাবেশ শুরু করে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে এসে সমাপ্ত হয়।

 

বরিশালের আগৈলঝাড়া বাজারে ফ্রিজকৃত মাংস তাজা করতে রক্ত মেশানোর অপরাধে এক মাংস বিক্রেতাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

|আরো খবর
দেবীদ্বারে কেরাম খেলা নিয়ে হামলায় আহত ৫
ফরিদপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি
বিদে‌শি মদসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
দণ্ডপ্রাপ্ত মাংস ব্যবসায়ী বাদল সরদার গৌরনদী পৌরসভা লাখেরাজ কসবা এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে দণ্ড দেয়া হলেও দুপুরে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

‍আগৈলঝাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সকালে বাজারে এসে পুরনো মাংসে রক্ত মেশাচ্ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত বাদল। বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে মোবাইলে আমাকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিক ওই বাজারে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে বাদলকে আটক করে কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

কার্যালয়ে নিয়ে আসার পর আদালত বসিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুরনো মাংস তাজা করতে রক্ত মেশাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেন। এরপর তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে বাদলকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, যারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত তারা দিনের মাংস দিনে বিক্রি করতে না পারলে তা ফ্রিজ অথবা বরফ দিয়ে রেখে দেন। পরের দিন কেউ পশু জবাই করলে সেই রক্ত সংগ্রহ করে বাসি মাংসে তা মিশিয়ে তাজা করে বিক্রি করে আসছেন। এ ঘটনা প্রতিদিনের বলে জানান তারা। তবে তাদের ধারণা, এই দণ্ডের পর কিছুটা হলেও রক্ত মেশানো বন্ধ হবে।

 

বরিশালে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগী আটক

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতা মোঃ খালিদ হাসান ইমন(৩৪) ও তার সহযোগী মোঃ রুবেল মৃধাকে আটক করেছে বিএমপি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
এসময় তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল ও ঘর ভাঙার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

আটক মোঃ খালিদ হাসান ইমন(৩৪) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে ও মোঃ রুবেল হোসেন মৃধা(২৫)ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কয়ারচর গ্রামের জলিল মৃধার ছেলে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে এয়ারপোর্ট থানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার ।

উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার জানান,পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ খালিদ হাসান ইমন(৩৪) দীর্ঘদিন যাবত বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলায় সিঁধ কেটে চুরি করত।গত অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বরিশালের ফিসারী রোড এলাকায় ৭/৮ টি বাসায় চুরি করে বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বরিশাল সহ চট্রগ্রামের বিভিন্ন থানায় প্রায় ১০ টি মামলা চলমান রয়েছে।চট্রগ্রামে তার বিরুদ্ধে ৯ টি মামলা রয়েছে।তার মধ্যে একটি মামলায় সে ৩ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি।২ বছর সাজা খেটে জামিনে বের হয়ে বরিশালে এসে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ডাকাতি করছে।বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানায়ও একটি মামলা চলমান রয়েছে।এছাড়াও তার সহযোগী রুবেল হোসেন মৃধার নামেও বরিশালের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা আছে।

এ সময় তিনি আরও জানান,আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার মাওলানা ভাসানী সড়ক সোহরাব খান হাউজিং এর বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আবিরের বাসা থেকে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতা মোঃ খালিদ হাসান ইমন ও তার সহযোগী রুবেল মৃধাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে তাদের কাছ থেকে চোরাই নগদ ৫০ হাজার টাকা,স্বর্ণালংকার, ১৪ টি হাত ঘড়ি,১ টি মোটর সাইকেল,৮টি মোবাইল সেট,৩ টি এলইডি টিভি সহ বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার জানান,আটক আসামীদেরর বিরুদ্ধে বিএমপি এয়ারপোর্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদ সম্নেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএমপি এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন,ওসি (তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আল-বারী সহ এয়ারপোর্ট থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

চালক-সহকারীকে মারধর করে বেঁধে রাখার প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের দুই ঘণ্টা পর বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জেলার ছয় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, রাজাপুরে আমাদের শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। এর বিচারের দাবিতে ঝালকাঠি থেকে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম। প্রশাসন ও মালিক সমিতি সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে জনর্দুভোগ লাঘবের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বাসের সুপারভাইজার রাকিব জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে ঝালকাঠি সমিতির বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫১৪০) পিরোজপুর থেকে ছেড়ে রাজাপুর মেডিকেল মোড়ে পৌঁছালে কাউন্টারম্যান যাত্রীর টাকা কম দেয়।

এনিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। স্থানীয় কাউন্টারম্যান মো. বাবুল মৃধা ওই বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে বেঁধে রাখে। পরে অন্য বাসের চালকরা তাদের ছাড়িয়ে আনে।

এর বিচারের দাবিতে ঝালকাঠি বাস টার্মিনাল থেকে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া, ঝালকাঠি-কাঠালিয়াসহ ৬ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

ফরিদপুরের ভাঙায় সাকুরা পরিবহন দুর্ঘটনায় আহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমনের মৃত্যুতে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।একই দাবিতে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ৫ ঘণ্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

জানাজার সময় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে আন্দোলনে নামে। দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতি সম্পর্কে সবাই অবগত। আর এই বেপরোয়া গতির কারণে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। আমরা মনে করছি, এটা হত্যাকাণ্ড। ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করবো।’

তবে তারা আপাতত সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছেন বলে জানান তিনি। ঝুমুর নিশাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছি। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি।

আজ গায়েবানা জানাজা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। সাকুরা পরিবহনের মালিক কাল আসলে তার সঙ্গে আমরা ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনায় বসবো।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। আমরাও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা মর্মাহত আমাদের এক ছাত্র নিহতের ঘটনায়। শিক্ষার্থীরা ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। সাকুরা পরিবহনের মালিক কাল সকাল ১০টায় আমাদের সঙ্গে বসবেন।’

বরিশাল মহানগরীর বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে।

৬ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৪ যাত্রী নিহত হয়। এর মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম বর্ষের ছাত্র ইসমাইল ইমনও রয়েছে।

 

পাওনা টাকা পরিশোধের আশ্বাসে নুরুল আমিনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে বরিশালের মুলাদী উপজেলার শ্বশুরবাড়িতে খবর দিয়ে আনেন কামরুল ইসলাম। এরপর তাকে হত্যা করে হাত ও পায়ে ইট বেঁধে আড়িয়াল খাঁ নদে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তির স্বজনরা।

তাদের অভিযোগ ঘটনার তিনদিন পর সিঙ্গাপুর চলে গেছে ঘাতক কামরুল!
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত কামরুলের শ্বশুর গ্রেফতার খোরশেদ আলম এভাবেই আদালতে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত নুরুল আমিন নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার চরবক্তাবলী উপজেলার লক্ষ্মীনগর গ্রামের পিয়ার আলী ফকিরের ছেলে এবং হত্যাকারী কামরুল ইসলাম একই গ্রামের হানিফ ফকিরের ছেলে।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কামরুল ইসলামের শ্বশুর খোরশেদ আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করেছে।

বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রবীর মিত্র বলেন, কামরুলের পাসপোর্ট তদন্তে দেখা গেছে তিনি গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে এসেছেন এবং ১৩ অক্টোবর সকালে সিঙ্গাপুর চলে গেছেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালীন তিনি তার শ্বশুরবাড়ি মুলাদী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ১২ অক্টোবর রাতে নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদীর উত্তর তীরবর্তী চর থেকে নুরুল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। মরদেহের হাত ও পায়ে ইট বাঁধা থাকায় প্রাথমিকভাবে হত্যার সন্দেহ করা হয়। ঘটনার পরদিন নৌপুলিশ বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর বিভিন্ন থানায় সংবাদ পাঠিয়ে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে বরিশালেই দাফন করা হয়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার একটি সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে নুরুল আমিনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

নিহতের বোন সোনিয়া আক্তার জানান, নুরুল আমিন ও কামরুল ইসলাম একসঙ্গে সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে লোক নেওয়ার ব্যবসাও করতেন তারা। কামরুলের কাছে নুরুল আমিন ২৫ লাখ টাকা পেতেন। একবছর আগে নুরুল আমিন সিঙ্গাপুর থেকে বাড়িতে চলে আসেন। পাওনা টাকার জন্য কামরুলকে চাপ দিলে কামরুল কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

সোনিয়া আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর গোপনে কামরুল বাংলাদেশে এসে তার শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান নেন। নুরুল আমিনকে মোবাইল ফোনে কামরুল তার শ্বশুরবাড়িতে যেতে বলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় যেতে পারবেন না জানালে কামরুল তার ছোট ভাই আরিফের মাধ্যমে নুরুল আমিনকে তিন হাজার টাকা পাঠান। গত ১০ অক্টোবর সকালে নুরুল আমিন ওই টাকা নিয়ে কামরুলের সঙ্গে দেখা করতে মুলাদী গেলে হত্যার শিকার হন।

নুরুল আমিনের পরিবারের সদস্যদের ধারণা, পাওনা টাকা চাওয়ায় কামরুল তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সহায়তায় নুরুল আমিনকে হত্যা করে লাশ নদীত ফেলে দিয়েছে।

নাজিরপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রবীর মিত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কামরুল ইসলামের শ্বশুর খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে তিনি বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তার মেয়ে জামাতা কামরুল মোবাইল ফোনে নুরুল আমিনকে ডেকে এনে খুন করেছে। খুনের পর লাশ নদীতে ফেলে সে সিঙ্গাপুর চলে যায়।

কামরুলের মরদেহ ফেরত পেতে বরিশাল আদালতে আবেদন করেছেন তার স্বজনরা। রোববার (২৩ অক্টোবর) এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

 

নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে খোলা চিনি বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় বরিশালে ৯ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বরিশাল নগরের বাজার রোড, হাটখোলা এবং নতুন বাজার এলাকায় পরিচালিত বাজার তদারকিমূলক অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী, সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ্ শোয়াইব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী পরিচালক শাহ্ শোয়াইব মিয়া জানান, অভিযান চলাকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে খোলা চিনি বিক্রি করায় ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া অভিযান চলাকালে স্থানীয় নাগরিকদের মাঝে ভোক্তা অধিকার আইন সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।

 

 

বরগুনার যুবলীগ নেতা খোকন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য জাফরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ।

এদিন ভোরের দিকে বরিশালে গৌরনদী থানা এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেফতার করা হয়। বরগুনা থানার এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শ মারুফ আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরের দিকে বরিশালে গৌরনদী থানা এলাকা থেকে সাবেক ইউপি সদস্য জাফরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের পহেলা জুলাই দুপুর ১২টার দিকে ফুলঝুরি নদীর মোহনা থেকে যুবলীগ নেতা খোকনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া এই মামলায় আরও দু’জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- একই এলাকার রাসেল ও কনু।

 

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ায় নেশাগ্রস্ত হয়ে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাফানিয়া গ্রামের নীলখোলার পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম সিফাত ইসলাম শান্ত, সে ওই এলাকার ঠিকাদার রিয়াজ হাওলাদার এর ছেলে ও কাগাসুরা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শান্ত জানান, শনিবার বিকেলে শান্ত ও তার এক বন্ধু রাকিবকে নিয়ে নীল খোলার পর একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে যায়।
টুর্নামেন্টের আলোচনা শেষে বাসায় আসার পথে নীল খোলার পাড় দোকানের পিছনে শান্ত প্রসাব করে। এ সময় তিন বখাটে হাসান, রাহুল ও মইনুদ্দিন মাদক সেবন করতে ছিল। পরে আসার সময় শান্তকে নেশাগ্রস্ত হয়ে এখানে আসার জিজ্ঞাসাবাদ করে। শান্ত প্রসবের বিষয়টি বললে বখাটেরা অবিশ্বাস করে তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে হাসান, রাহুল মইনুদ্দিন শান্তকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় শান্তর বন্ধু রাকিব ভয়ে পালিয়ে গিয়ে লোকজন খবর দেওয়ার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় পরিবারের সহযোগীরা আহত শান্তকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের-স্বজনরা জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: মুন্সিগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহত ও শতাধিক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত করার প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর যুবদল বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফকির বাড়ি রোড থেকে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি সদর রোড প্রদক্ষিন করে দলীয় কার্যালয় এসে শেষ করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চপল , সহ সাধারণ সম্পাদক জুম্মান হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক জিহাদ সরদার, মো রাজু খন্দকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।