বরিশালের মুলাদী উপজেলায় স্বর্ণা আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের দাবি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ স্থানীয়দের।

বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার কান্দি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্বর্ণা ওই এলাকার মোস্তফা বয়াতির মেয়ে। সে কাজিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্বর্ণার বাবা মোস্তফা বয়াতি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বর্ণার মা প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। স্বর্ণা ঘরে একা ছিল। তার মা সাড়ে ১১টার দিকে ঘরে ফিরে স্বর্ণাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন এসে তাকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মোস্তফার দাবি, ঘরের মধ্যে ইঁদুর গর্ত করেছিল। স্বর্ণা হয়তো গর্তের মাটি সরানোর সময় আর্থিং রডে হাত লেগে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল।

মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে। সে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে তা এখনই বলা ঠিক হবে না। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

স্থানীয়রা জানান, স্বর্ণার মৃত্যু রহস্যজনক। তার বাবা-মায়ের আচরণও সন্দেহজনক। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তারা এলোমেলো কথা বলছেন। পুরো বিষয়টি তারা গোপন করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।

মুলাদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী মো. পারভেজ বলেন, আর্থিং রড থেকে বিদ্যুতায়িত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। বিদ্যুতায়িত হলেও ঝাঁকি কিংবা সামান্য শক লাগতে পারে। কিন্তু আর্থিং রড থেকে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা হাজারে একটাও ঘটে কি না জানা নেই।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়ে স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে মডেল থানায় নিয়ে আসে। স্বর্ণার মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য স্বর্ণার মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

 

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সাপের কামড়ে মোসা. মাইশা (৬) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিষধর সাপ কামড় দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মাইশা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁঠালতলী গ্রামের মো. মামুনের মেয়ে ও কাঠালতলী প্রি-ক্যাডেট একাডেমির প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাঠাতলী গ্রামের ওই শিশু শিক্ষার্থী বুধবার মাগরিবের নামাজের পর চাচার ঘর থেকে নিজ ঘরে যাওয়ার সময় তার বাম পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। প্রথমে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) নিয়ে যাওয়া হয়। ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নের জবাবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাত বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২ নভেম্বর বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে বহিষ্কারাদেশের চিঠি পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে তাদের বহিষ্কার কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে।

বহিষ্কার হওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন: চরকাজল ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন গাজী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা, চরবিশ্বাস ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. রাজামিয়া, ডাকুয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন খান, পানপট্টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাসুদ রানা, কলাগাছিয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মাইনুল ইসলাম সিকদার, বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শহিদুল হাওলাদার।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর গলাচিপা উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৮ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নগুলো হলো চরকাজল, চরবিশ্বাস, গলাচিপা সদর, পানপট্টি, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, বকুলবাড়িয়া ও গজালিয়া। এর আগে, প্রথম ধাপে ৪ ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে জানান, দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে আট ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় তাদেরকে এবার দলীয় সকল ধরণের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

মুজিববর্ষে শপথ করি, দুর্যোগে জীবন সম্পদ রক্ষা করি’ এই শ্লোগান নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বরিশালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে সদর উপজেলা ফায়ার স্টেশনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বরিশাল বিভাগের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধন করেন রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. এনামুল হক, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হোসেন চৌধুরী এবং মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীকসহ অন্যান্যরা।

 

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় গৃহবধূ পারভীন আক্তার হত্যা মামলায় স্বামী তানজিল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সিআইডির এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, আড়াই বছর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার জিন্নাত আলী মোল্লার মেয়ে পারভীন আক্তারের সঙ্গে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে তানজিল হাওলাদারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১ বছর ৮ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গত এক বছর ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল পারভীনের। জানা যায়, পারভীনের স্বামী তানজিল হাওলাদার এবং শাশুড়ি সুলতানা বেগম প্রায়ই তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং বাড়ি থেকে বের করে দিতো।’

গত ৯ অক্টোবর পারভীন শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় তার মায়ের কাছে চলে আসেন। কিছুদিন আগে পারভীন জানতে পারেন যে, তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছেন। এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য সে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ওঠেন।

এরপর গত ১৩ অক্টোবর রাতে পারভীনের ফোনে কল দিয়ে তাকে বাইরে যেতে বলেন তানজিল। সেসময় বাড়ির পাশের খালি জায়গায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে পারভীনকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায় তানজিল।

সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, পরে এ ঘটনায় মামলা হলে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে আসামি তানজিলকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি টিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তানজিল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।

 

বরিশাল মহানগর এবং দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকালে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মোহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন।

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুককে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনজীবী আলী হায়দার বাবুল সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জাহিদুল কবির জাহিদকে।

দক্ষিণ জেলা কমিটিতে- সাবেক ছাত্রনেতা মজিবর রহমান নান্টুকে আহ্বায়ক এবং আকতার হোসেন মেবুলকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে।

উত্তর জেলা কমিটিতে- দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কে আহ্বায়ক এবং গৌরনদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মুকুলকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

নবগঠিত তিন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন- আলোচনায় থাকা দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার, দীর্ঘদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া ৫৩ মামলার আসামি মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দীন সিকদার জিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এমপি মেজবাহউদ্দীন ফরহাদ এবং ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ অনেক নেতা।

 

কিশোরীকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে জোর করে ধর্ষণ করার অভিযোগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হুমায়ুন কবির হিমুর (৩২) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা মামলাটি দায়ের করেছেন। ট্রাইব্যুনালের বিচার মো: হাফিজুর রহমান বুধবার মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন।

অভিযুক্ত হিমু বরিশাল জেলার কাজিরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মোতালেব মাস্টারের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনার বামনা উপজেলার কিশোরীর বাবা বুধবার ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, হিমু তার আত্মীয় হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর হিমু তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর তার কিশোরী মেয়েকে হিমু বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন। তারা বিয়েতে রাজি না হলে হিমু প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। ৩১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে বাদীর বসতঘরে কেউ না থাকার সুযোগে তার কিশোরী মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিমু জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীর ডাক চিৎকার প্রতিবেশী লোকজন চলে আসে। এ সময় হিমু পালিয়ে যান।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে হিমু বিয়ে করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাব দিতে থাকে। আমরা হিমুর সাথে কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। পরে ঘরে ঢুকে হিমু আমার মেয়েকে একা পেয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। আমি বামনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি।

এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, এ অভিযোগে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। অসত্য কথা বলেছেন কিশোরীর বাবা।

 

চিকিৎসক না হয়েও নামের আগে ‘ডা.’ পদবী ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক মেম্বার প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুই প্রার্থী।

ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মো. শাজাহান খাঁন জানান, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবয়েল প্রতীকের প্রার্থী উত্তম ঘরামী চিকিৎসব নন। অথচ জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার পোস্টার ও লিফলেটে ডাক্তার পদমর্যাদা ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচচী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমরা উপজেলা নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা পরিচয় বহনকারী উত্তম ঘরামীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আবেদন করেছি।
তবে বিষয়টিকে ‘নিছক ভুল’ দাবি করে অভিযুক্ত প্রার্থী উত্তম ঘরামী বলেন, আমি একজন গ্রাম্য ডাক্তার। লিফলেট ও পোস্টার ছাপাতে প্রেসে অন্য লোক পাঠিয়েছিলাম।

ভুলে তারা গ্রাম্য ডাক্তারের জায়গায় ডাক্তার শব্দটি যুক্ত করে দিয়েছেন। পোস্টার ও লিফলেট দেখে আমি সেগুলো প্রচারণায় কোথাও ব্যবহার করিনি। নতুন করে গ্রাম্য ডাক্তার সংযোজন করে লিফলেট ও পোস্টার ছাপাতে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিছক ভুলবশত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনিরুজ্জামান জানান, ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে এক প্রার্থী প্রাচার-প্রচারণা চালিয়েছেন, এমন অভিযোগ দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী করেছেন। তদন্তে অভিযোগটি সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পটুয়াখালী পায়রা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ জন আহত ও রাইয়ান (১২) নামের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়হানকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
বরিশাল মেডিকেল কলেজ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে রাইয়ান এর মৃত্যু হয়। রাইয়ান পটুয়াখালী পৌরসভার সাত নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান শাহরিয়ারের ছেলে। অপর একজন দশম শ্রেনীর ছাত্র মোরশেদকে (১৪) প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব‌্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নুরুন্নাহার জানান, রাইয়ানের মাথায় ইন্টারনাল ট্রাস ইনজু‌রি হওয়ায় তাকে ব‌রিশাল রেফার করা হয়েছে।
আহত অপর দুজনা সম্বন্ধে কিছু জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা এস আই উত্তম কুমার ভাট জানান, চারলেনের পায়রা সেতুর মাঝে ডিভাইডার থাকার পরও এক‌টি মোটর সাইকেল রং সাইড দিয়ে অ‌তিক্রম করছিল। সেতুর লেবুখালী টো‌ল পয়েন্টের একটু উত্তর পাশে দু‌টি মোটর সাইকেল মু‌খোমু‌খি সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চি‌কিৎসার জন‌্য দ্রুত পটুয়াখালী পাঠানো হয়।

জেলার সর্বত্র ক্রমশ বেড়েই চলেছে অপমৃত্যুর সংখ্যা। ফলে জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের আইটি প্যানেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, বরিশাল বিভাগে গত আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ২৭৫ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

 

পারিবারিক কলহ, মানসিক সমস্যা, হতাশা, অভিমানের কারণে সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে। পরিসংখ্যান মতে, শতকরা হারে ৫৯ ভাগ পুরুষ ও ৪০ ভাগ নারী অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে।

তথ্য মতে, গত তিন মাসে বরিশাল বিভাগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ৯৪ জন, পানিতে ডুবে ৬৫ জন, বিষপানে ৪০ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে ৩৫ জন, বজ্রপাতে তিনজন, গাছ থেকে পড়ে দুইজন, ছাদ থেকে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঘটনায় আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রেঞ্জ পুলিশের তথ্য মতে, বরিশাল জেলায় গত তিন মাসে ৪২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তিন মাসে পটুয়াখালীতে ৮২টি, ভোলায় ২৯টি, পিরোজপুরে ৫৫টি, বরগুনায় ৪২টি এবং ঝালকাঠিতে ২৫টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে অপমৃত্যু বা ইউডি মামলার ৮৭টি নিস্পত্তি করা হয়েছে।