বরিশালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর সেমিনারে হাতাহাতি হয়েছে। পরে লাঠিসোটা নিয়ে নগরীর সড়কে মহড়া দিয়েছে এক যুবদল নেতার শতাধিক অনুসারী।

বুধবার (৫ জুন) বিকেলে ৫টার দিকে নগরীর স্বরোডে এ মহড়ার ঘটনা ঘটে।

এসময় তারা প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালাতে সোনালী আইসক্রিম মোড় এলাকা হতে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে সেমিনারস্থল স্বরোডের দিকে আসে। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার আগে বিকেল ৩টার দিকে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নগরীর স্বরোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সেমিনার শুরু হয়। সেই সেমিনারে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম জাহানসহ তার অনুসারীরা যোগ দেন। তারা প্রবেশের আগেই বিকেল তিনটা থেকে সেমিনার হলের পিছনের সারির চেয়ারে বসে ছিলেন মহানগর যুবদল নেতা আরিফুর রহমান মুন্নার অনুসারীরা। এসময় মুন্নার অনুসারীদের চেয়ার ছেড়ে দিতে বললে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরপর জাহানের অনুসারীরা প্রকাশ্যে লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করতে মহড়ায় নামে বলে অভিযোগ যুবদল নেতা মুন্নার।বুধবার ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার অবদান’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে বরিশাল বিএনপি। এ সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম। প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার। সভাপতিত্ব করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বিলকিস জাহান শিরীন। তাদের সামনেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মহড়ার সময়ও সেমিনার চলছিলো।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জব্বার জানান, দিনের আলোতে হঠাৎ এমন মহড়া দেখার পর থেকে আতংকে আছি। লাঠিসোটা নিয়ে প্রকাশে ঘুরে বেড়ানোর এ দৃশ্য মেনে নেওয়া যায় না।

মহানগর যুবদল নেতা ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মুন্না বলেন, মাজাহারুল ইসলাম জাহানের অনুসারীরা তিনটায় শুরু হওয়া সেমিনারে সাড়ে ৪টায় প্রবেশ করে ইচ্ছে করে গ্যাঞ্জাম করেছে। আমার নেতাকর্মীরা আগে এসে চেয়ারে বসে ছিলো। তখন জাহানসহ তার অনুসারীরা সেমিনার হলে প্রবেশ করে আমার কর্মী সাকিবকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বলে। তখন সে চেয়ার ছাড়তে রাজি না হওয়ায় জাহানের এক অনুসারী সাকিবকে থাপ্পর দেয়। তারপরই দুই গ্রুপ হাতাহাতিতে জড়ায়। এরপর জাহানের অনুসারীরা লাঠিসোটা আমার অনুসারীদের উপর হামলা চালাতে আসলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়গুলো আমি সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি।

এ বিষয়ে মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম জাহান বলেন, আমি এখন সেমিনারে আছি। প্রধান অতিথি বক্তৃতা দিচ্ছেন, তাই এখন কথা বলা যাবেনা।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

 

চতুর্থধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আজ বুধবার (৫ জুন) রাতে বেসরকারি ফলাফলে তারা বিজয়ী হয়েছেন।

বাবুগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে ওহাব। উজিরপুরে চেয়ারম্যান হয়েছেন হাফিজুর রহমান ইকবাল এবং বানারীপাড়ায় গোলাম ফারুক।

বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বরিশাল জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপন কাপ-পিরিচ মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। চার হাজার ১৯ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা বিনতে ওহাব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

উজিরপুর উপজেলায় কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ২৫৮ ভোট পেয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান ইকবাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪৬০ ভোট। দুই হাজার ৭৯৮ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বানারীপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দোয়াত-কলম প্রতীকের গোলাম ফারুক ৩৪ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলাদ হোসেন সানা পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৩১ ভোট। এর আগে আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়।

 

বরিশাল নগরীতে জমির মালিক কে জমি থেকে তাড়িয়ে দেবার ষড়যন্ত্র করছে প্রতিপক্ষরা।বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক, মানসিক, ও হত্যার হুমকি প্রদান করছে তারা।ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর পূর্ব বগুড়া রোড, ১৭নং ওয়ার্ড এলাকায়।জমির মালিক প্রতিপক্ষদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে কোতোয়ালি থানায় এসে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ।লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মৌজা : বগুড়া আলেকান্দা, জে.এল নং-৫০, এস.এ খতিয়ান
নং-২৯৬২, এস.এ দাগ নং-৪০৬০, জমির পরিমান ২৬ শতাংশ, তফসিল বর্নিত পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক বগুড়া রোড এলাকার মৃত মানিক সরকারের ছেলে পঙ্কজ সরকার(৪৯)।
বিবাদী নান্টু সরকার ছেলে সন্তু সরকার (২২),
গৌতমের ছেলে জয় সরকার (২৩),
মৃত মিন্টু সরকার স্ত্রী মঞ্জু সরকার (৬০), অজ্ঞতা নামা আরো ৪-৫ জন
জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য পায়তারা
করে। উক্ত জমি নিয়া বিবাদীদের সাথে পূর্ববিরোধ বিদ্যমান। উপরোক্ত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা
বিবাদীরা গতকাল দুপুর ১২ টার সময় লাঠিসোটা সহ দেশীয় অস্ত্রাদি
নিয়া আসিয়া জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে এবং জমিতে থাকা গাছের আম পাড়িয়া
নিতে শুরু করে। বিবাদীদের বাঁধা দিলে তাহারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে
এবং খুনজখমের হুমকি প্রদান করে। জমির মালিকানা বিষয়ে কাগজপত্রাদি সহ বহু সাক্ষী প্রমান আছে।ভুক্তভোগী জানান, আমার এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন ৫টি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  ড্রিংকগুলো হলো এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকিজের রিচার্জ, টারবো।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল কবীরের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

বরিশালে অর্থ আত্বসাতের দায়ে ওয়াই ডাব্লিউ সি এ’র দায়ের করা প্রতারনা মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। জানাগেছে- আটককৃতরা হলেন, নগরীর ১০নং ওয়ার্ড আমবাগান এলাকার জব্বার মিয়ার সড়ক পোদ্দার রোড এলাকার বাসীন্দা রুবেল বিশ্বাস ও স্ত্রী

সুচিত্রা বাড়ৈ। শনিবার বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম বলেন, প্রতারনা করে স্বামী-স্ত্রী ওআই ডাব্লিউ সিএ’র ১৪ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করার অভিযোগে কতৃপক্ষ তাদের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করলে পুলিশ রুবেল বিশ্বাসের বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী’কে আটক করে আদালতে সোপার্দ করেন।

বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে ব্যবসা শাখার শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।

গত (৫ মে) ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্লাস ছিল। মাইদুল ইসলাম ক্লাসে গিয়ে ছাত্রীদের গায়ে পিঠে হাত দেয় বলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করেন। ঘটনার পরদিন ৬ মে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকের এমন আচারণ দীর্ঘ দিনের। এমন হলে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো দায় হয়ে উঠবে। এজন্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এদিকে স্কুল থেকে গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি শিক্ষক মাইদুল ইসলামের এমন আচারণের সত্যতা পান। তিনি যে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেন এ কথার প্রমাণ পেয়েছে বলে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মাইদুল ইসলাম প্রথমে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, মূলত স্কুলের কিছু ভিতরগত রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামান বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে গেল (৯ মে) স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল জানান, তারা এতেই ক্ষ‌্যান্ত থাকবেন না, দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

চুক্তি ভিত্তিক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরআগেও স্কুলে কোচিং করানো নিয়ে ছাত্রীদের হয়রানীর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়াল ও মার্কিন ডলার নিয়ে প্রতারণার মামলায় বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জালাল হাওলাদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বরিশাল মহানগর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু। তিনি বলেন, ‘আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ জালাল হাওলাদারকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। এ সময় আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের বাসিন্দা জালাল হাওলাদার এবং তাঁর দুই ভাই দুলাল হাওলাদার ও চুন্নু হাওলাদার ৪০ বছর ধরে ডলার ও রিয়াল বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। ওই এলাকায় এই চক্রের ৪৫-৫০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডলার ও রিয়াল বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

গত রোববার রাতে ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারসহ ছয়-সাতসদস্য উপজেলার গাজীপুর গ্রামের তৌকির খানের কাছে ৩ লাখ টাকার রিয়াল বিক্রির দেনদরবার করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম ওই গ্রামে অভিযান চালান।

সেখান থেকে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মূল হোতা জালাল হাওলাদার পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত সোমবার আমতলী থানায় প্রতারণার অভিযোগে জালালসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় চক্রের পাঁচ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও র‍্যাবের একটি যৌথ দল বরিশাল মহানগরের একটি সড়কে অভিযান চালায়। ওই সড়ক থেকে তারা জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। আজ শনিবার দুপুরে ডিবি পুলিশ তাঁকে আমতলী থানায় সোপর্দ করে। থানা-পুলিশ তাঁকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বরগুনা পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, ‘সৌদি রিয়াল প্রতারণা চক্রের মূল হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ কাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এই চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য রয়েছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তার একটি দোকানে এক হাজার টাকার কয়েকটি বান্ডিল গুনে নিচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দোকানটি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে।

সেই দোকানেই টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১ মার্চ টাকা গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়।

বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করে। তানজিলা আক্তারের নামে কমিউনিটি ব্যাংকের চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে। এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার পর রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।

চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ সদস্য। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরে ব্যবসা শুরু করছে।

টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করছে। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।

রতন দাসের বাবা রবিদাস বলেন, আমি ধার-দেনা করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম তানজিলার কাছে। সে চাকরি দিতে পারেনি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার বলেন, যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি। অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করে জানান, তিনি কোনো টাকা নেননি।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, চাকরির প্রলোভনে দুই পুলিশ সদস্যের ঘুষ নেওয়ার একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক //দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্বামীর নির্যাতন ও জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।গতবছর ২০ ডিসেম্বর বরিশাল মেট্রোপল্টন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরীর পলাশপুর ৫ নং ওয়ার্ড ৭ নং গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মুন্নী বেগম (৩৪)।বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি মোঃ মামুন হাওলাদার(৫০) এর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।আসামী উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে আদালত। এব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান,দায়েরকৃত মামলায় আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবার পর আসামি, তাকে ও তার সন্তানদের কাছে মাদক রেখে ধরিয়ে দেবার হুমকি প্রদান করেন এবং বিভিন্ন সময়ে তার বাসায় মাদক রাখার প্রচেষ্টাও চালান।এই অভিযোগ এনে গত ৩১ শে জানুয়ারি বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন মুন্নি বেগম।গত ২০ ফেব্রুয়ারি কাউনিয়া থানা পুলিশ আসামি মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য লাভলী বেগম।স্থানীয় আদালত সূত্রে জানা গেছে পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা মামলার বাদী মুন্নী বেগমের প্রথম স্বামী মুহাম্মদ ইউসুফ মোল্লার মৃত্যুর পর মামুন হাওলাদার কে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরের ধার্য করিয়া গত ২০১৬ সালের ৪ জুন মাসে নগরীর দরগাবাড়ি পোল ২৩ নং ওয়ার্ডে কাজী অফিসে বসে মুন্নি বেগমকে বিয়ে করেন।বিয়ের পর মুন্নি বেগম তার স্বামী মামুনকে ড্রেজার ব্যবসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেন। ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে গত পাঁচ বছর যাবত মামুন কোন কাজ করেন না।এখন যৌতুকের দাবিতে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা চায়।টাকা দিতে অস্বীকার জানালে গত তিন চার বছর যাবত মুন্নীর উপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। উপায় না পেয়ে সর্বশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন যার মামলা (নাম্বার ৩৪৬)।বর্তমানে তিনি নগরীর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে সুষ্ঠু সহযোগিতা কামনা করছেন।

 

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ, সন্ধ্যা এবং সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। মৎস্য বিভাগের সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

অভিযানকালে ৩টি নদী থেকে ১০টি অবৈধ মশারী জাল, ৫০টি চরঘেরা জাল, এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৩০টি চায়না দুয়ারী জাল এবং মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামাদী উদ্ধার করে তারা। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। পরে জব্দকৃত জাল ও সরঞ্জাম পুড়িয়ে ধংস করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাসের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম ছাড়াও পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা সহায়তা করেন।

জাঁটকাসহ দেশীয় প্রজাতীর ছোট মাছ রক্ষায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস।