নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিলের ২য় দিন বৃহস্পতিবার আল্লাহ জিকিরের ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ময়দান।সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বয়ান করেন।বয়ানে তিনি বলেন,অন্তরের রোগ পরিস্কার করতে সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর জিকির করতে হবে।দৈনন্দিন জীবনে রাজনৈতিক,সামাজিক বা ব্যক্তিগত প্রতিটা কাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।অন্যথায় কেহ মুমিন হতে পারবেনা।ঈমান ছাড়া কারো মৃত্যু হলে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।প্রতিদিন ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর পীর সাহেব-এর বয়ান ছাড়াও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন। ওলাময়ে কেরামের মধ্যে রয়েছেন, মাওলানা মোবারক করীম, প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মুফতী সৈয়দ মো: ফয়জুল করীম, মুফতী সৈয়দ এছহাক মো: আবুল খায়ের, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রমুখ। বয়ানে বক্তারা বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করে দুনিয়ার লোভ লালসা ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিতে সকল কাজকর্ম করার উপদেশ দেন। কুরআন হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ননা করেন এবং জান্নাতের নেয়ামতের বিবরণ দেন। জাহান্নামের ভয়াবহতার বর্ননা শুনে মাহফিলে আসা মুসুল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্যম মহেশপুর আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উৎকোচের মাধ্যমে পক্ষাশ্রিত ব্যাক্তিকে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার পায়তারায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রমের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জ সহকারি জজ আদালতের বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান এ শুনানী শেষে এ নির্দেশ দেন। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় মধ্যম মহেশপুর আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারি কম্পিউটার অপারেটর, সহকারি গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে বাকেরগঞ্জ মধ্যম মহেশপুরের কাওসার হোসেন নিরাপত্তা কর্মী, উপজেলার কাফলা এলাকার ঈশাখান ফয়সাল অফিস সহকারি কম্পিউটার অপারেটর ও ঝালকাঠী নলছিটির কামদেবপুরের মোস্তফা কামাল খোকন সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে যথাযথ কাগজপসহ আবেদন কারেন। কিন্তু সকল যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আবেদনকারি প্রার্থীদের কোন প্রকার প্রবেশপত্র ইস্যু না করে তাদের বৈধ দাবী ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ম্যানেজিং কমিটি নগরীর শহীদ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্যে করেন। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের খালাতো ভাই তসলিম উদ্দিনের চাকরীর বয়স অনেক আগেই শেষ হবার পরেও তার বরাবরে নিরাপত্তা কর্মীর প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়। এমন ঘটনায় কাওসার হোসেন ও ঈশাখান ফয়সাল লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে কামরুজ্জামান সিকদার দাতা সদস্য হওয়া স্বত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ সংক্রান্তে তাকে সংশ্লিষ্ট না করে অবৈধভাবে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করার পায়তারায় লিপ্ত হয়। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ১৫ মার্চ উত্তীর্ন হবে। এতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বে-আইনীভাবে নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াসহ নিয়োগে আবেদনকারিদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কোন প্রকার প্রবেশপত্র দেয়া হবে না এবং দাতা সদস্যকে সংশ্লিষ্ট করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। এঘটনায় গত মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন তালুকদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দাতা সদস্য কামরুজ্জামান সিকদার ও নিয়োগ প্রার্থীসহ ৪ জন যৌথভাবে মামলাটি দায়ের করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারী আদেশের ধার্য্য তারিখে বিচাররক ওই আদেশ দেন। মামলায় অন্যান্য বিবাদীরা হলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক এফএম মিজানুর রহমান, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ফিরোজ আলম হাওলাদার, অভিভাবক সদস্য মোস্তফা কামাল, সৈয়দ কামরুজ্জামান, হাবিবুর রহমান ও নাছির আকন, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য আকলিমা বেগম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি কামরুন্নাহার, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য শাহনাজ পারভীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক ও উপ পরিচালক, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা, রূপালী ব্যাংক বরিশাল সাগরদী বাজার শাখার ব্যবস্থাপক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক।

দেশের ভেতরে বরিশালে সবচেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি হয়। যানবাহনে ব্যবহৃত এ জ্বালানির দাম কেন বরিশালে সবচেয়ে বেশি তার কোনো সঠিক উত্তর নেই এখানকার এলপিজি স্টেশনগুলোর মালিকদের কাছে।

শুধু এলপিজিই নয়, যানবাহনে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রোল আর ডিজেলের দামও দেশের অন্য স্থানের তুলনায় বরিশালে বেশি। ভোক্তাদের অভিযোগ, ফিলিং স্টেশনের মালিকদের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের অগাধ ক্ষমতার কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে। সব ধরনের জ্বালানি তেলে লিটারপ্রতি গড়ে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম নিয়ে তারা লুটে নিচ্ছে জনগণের শত শত কোটি টাকা। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার বলেন, বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এমনিতেই বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নেই সিএনজির কোনো ব্যবস্থা। জ্বালানি তেলের ব্যয় সাশ্রয়ে তাই যানবাহন মালিকরা ঝুঁকতে শুরু করেছে এলপিজির দিকে।

দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠতে শুরু করেছে বহু এলপিজি স্টেশন। বরিশাল নগরেই বর্তমানে এলপিজি স্টেশনের সংখ্যা ৪। আরও বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে চলছে এলপিজি সংযোজনের কাজ। বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও একের পর এক গড়ে উঠছে এলপিজি স্টেশন। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫টি যানবাহনে এলপিজি ব্যবহারের পদ্ধতি সংযোজন করছেন মালিকরা। আর এসব কিছুই করা হচ্ছে গ্যাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত বরিশালে যানবাহনের জ্বালানি ব্যয় প্রশ্নে খানিকটা হলেও সাশ্রয়ের আশায়। কিন্তু বেশি লাভের টার্গেটে এখানে চড়া দামে এলপিজি বিক্রি করছেন মালিকরা।

দেশে এলপিজি সরবরাহ প্রশ্নে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপিজির মোংলা প্ল্যান্টের সেলস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে একই দামে আমরা এলপিজি সরবরাহ করি। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দর নির্ধারণের পরও লিটার প্রতি এ মূল্য ৪২ থেকে ৪৩ টাকার বেশি পড়ে না। এ দরের ওপর আবার কমিশন পান ডিলাররা।

অর্ডার করার পর আমরা আমাদের নিজস্ব পরিবহণের মাধ্যমে এ এলপিজি পৌঁছে দেই সংশ্লিষ্ট ডিলারের পাম্পে। অর্থাৎ তার কোনো পরিবহণ খরচও লাগে না। রেট নির্ধারণ করা আছে লিটার প্রতি ৪৫ টাকা। এ রেটে এলপিজি বিক্রি করলে লিটার প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা লাভ থাকে ফিলিং স্টেশনের মালিকদের। এখানে ৪৮ টাকা লিটার দরে এলপিজি বিক্রি করা হয়।

শুধু এলপিজিই নয়, যানবাহনের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রোল এবং ডিজেল প্রশ্নেও বরিশালের পাম্প মালিকরা অন্য যে কোনো জেলার চেয়ে বেশি রাখেন দাম। বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরে যথাক্রম ৬৪, ৮৫ এবং ৮৯ টাকা দরে বিক্রি হয় প্রতি লিটার ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেন। সেখানে বরিশালের ফিলিং স্টেশনগুলোতে প্রতি লিটার ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেন বিক্রি হয় যথাক্রমে ৬৫ টাকা ১৫ পয়সা, ৮৬ টাকা ১৫ পয়সা এবং ৯০ টাকা ১৫ পয়সা।

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে ফরিদপুরের চেয়েও কম দামে বিক্রি হয় যানবাহনে ব্যবহৃত এসব জ্বালানি। ভাড়ার গাড়ি নিয়ে বরিশাল থেকে সারা দেশে ঘুরে বেড়ানো ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজারে এলপিজির সাপ্লাই যায় চট্টগ্রাম থেকে। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছায় এলপিজি। সেখানেও প্রতি লিটার এলপিজির দাম ৪৫ টাকা।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়ালী মোহাম্মদ খান বলেন, পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন আমরা সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করি। এখানে কোনো অতিরিক্ত মূল্য নেয়া হয়নি। বরিশালে এলপিজির বিক্রি খুবই কম। ৫০ লাখ ১ কোটি টাকা খরচ করে একটি এলপিজি স্টেশন করার পর যদি খরচই না ওঠে তাহলে স্টেশন চালিয়ে রাখব কিভাবে?

যে কারণে বাধ্য হয়ে দাম কিছুটা বাড়িয়ে রাখতে হয়। বরিশাল মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের কথা বলে আসলে আমাদের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। ২০-৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অন্য জেলায় গেলেই দেখি বরিশালের তুলনায় এলপিজিসহ জ্বালানি তেলের দাম অনেক কম।

অথচ বরিশালে যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, একটা সময় ছিল যখন সড়ক ও নৌ যোগাযোগ প্রশ্নে বরিশাল ছিল বিচ্ছিন্ন এলাকা। তখন দুর্গম হিসাবে এখানে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ প্রশ্নে ফিলিং স্টেশনগুলোর প্রতি খানিকটা বেশি সদয় ছিল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু এখন তো সেই পরিস্থিতি নেই। বরিশাল নগরেই রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির তেলের ডিপো। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, কিছুদিন হলো বরিশালে এসেছি। আসার পরপরই এ বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে বসব। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

বরিশাল নগরীর কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকায় ছাত্রদল কর্মী শাহাজাদা মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ নামধারী ৭ জন সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রদল কর্মী শাহজাদা মোল্লা।মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি নুরুল ইসলাম।মামলায় আসামীরা হলো বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মাহফুজ, ছাত্রদল নেতা ও বরিশাল নগরের হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা জসীম উদ্দিন তালুকদার, অক্সফোর্ড মিশন এলাকার বাসিন্দা আল আমিন মৃধা, সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম টিপু ও মোঃ রাহত আব্দুল্লাহ ফকির।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামীদের সাথে ছাত্রদলের নেতা শাহাজাদা মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিলো। যার সূত্র ধরে আসামীরা প্রায়ই শাহাজাদা মোল্লাকে খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৯ টার দিকে শাহাজাদা মোল্লা নগরীর পোর্টরোডস্থ তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার
বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার বড় পুকুর পাড়ে মাসুম এর চায়ের দোকানের সামনে পৌছালে আসামীরা তার পথরোধ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। আসামীরা বাদীর মাথা লক্ষ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হলে তা হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে দুই হাতই জখমপ্রাপ্ত হয়। পরে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে লাঠিসোটা দিয়ে পেটানোও হয়। এসময় বাদীর সাথে থাকা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ১ লাখ টাকা মূল্যের ২ ভড়ি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় আসামীরা। হামলার পর মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে শাহাজাদাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করে।এদিকে জানা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপরেই রাতে ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে জখমের জখমের ঘটনা ঘটে।

বরিশালের বানারীপাড়ার চাখার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১২ পাকা গৃহের (ভবন) ৩২ পিলার ভাঙ্গার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ পাকা ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ২৩ জানুয়ারী দেশব্যাপী একযোগে ৭০ হাজার গৃহনির্মাণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে বরিশালের বানারীপাড়ায় ২০০ টি বরাদ্দকৃত ঘরও রয়েছে। উপজেলার চাখার ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামের ২ একর জমির উপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৫ টি গৃহের কাজও ওই দিন শুরু হয়। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি পাকা গৃহ নির্মাণ করা হবে বলে জানা যায়।

গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে ওই গ্রামের সুলতান মৃধার মাছের ঘের সংলগ্ন সরকারী খাস জমির মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ৬৫ টি গৃহের মধ্যে ৩২ টির পিলার ভেঙ্গে ফেলে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় সোনাহার গ্রামের মৃত কাসেম কাজীর ছেলে মোঃ সুমন কাজী (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলা দায়ের করা হয়। চাখার ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিশাত শারমিনের নেতৃত্বে পুলিশ আসামীদের বাড়ীতে অভিযান চালাায়।

এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে তার কার্যালয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব প্রকল্প। তিনি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন এবং যারা এই দেয়াল ও পিলার ভেঙ্গেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। দুবৃর্ত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের চরমোনাই মাহফিলে অংশ নেওয়া এক মুসুল্লি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় ওয়াজ চলাকালীন মো. খলিলুর রহমান নামের এই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবং ঘটনাস্থলের তাঁর মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমের নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেলের বাবা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তার সাথে মাহফিলে অংশ নেওয়া মুসুল্লিরা জানান, মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর বরিশাল চরমোনাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বরিশালের বাকেরগঞ্জে তার নিজ বাড়িতে।’

তারা আরও জানান, ওয়াজ শুনতে শুনতে আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মুসুল্লি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বুড়িগঙ্গা নদীর পোস্তগোলা এলাকায় দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতের বেশিভাগই চাঁদপুর থেকে আসা লঞ্চ ইমাম হাসানের যাত্রী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ থানার এসআই মো. শহীদ বরিশালটাইমসকে মুঠোফোনে জানান, বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সঙ্গে চাঁদপুর থেকে সদরঘাটগামী এমভি ইমাম হাসান লঞ্চের সংঘর্ষ ঘটে। এতে অনেক যাত্রী আহত হয়েছে। তবে ঠিক কতজন আহত হয়েছেন তা তিনি বলতে পারেননি।

এসআই শহীদ আরও জানান, সংঘর্ষে সুন্দরবন লঞ্চের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এটি অনেক বড় লঞ্চ। সংঘর্ষের পর সেটি গন্তব্যের দিকে রওয়ানা দিয়েছে। অন্যদিকে এমভি ইমাম হাসান তুলনামূলক ছোট। যার কারণে এই লঞ্চের সম্মুখভাগ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্রায় সবাই এই লঞ্চের যাত্রী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাসনাবাদ ঘাটের খেয়া মাঝি হোসেন বলেন, আমি ঘাটের কাছাকাছি ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে তাকিয়ে দেখি মাঝ নদীতে দুই লঞ্চে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে লঞ্চে থাকা কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। খেয়া নৌকার মাঝিরা তাদের উদ্ধার করে। ছোট লঞ্চের অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা লঞ্চের ভেতর আর্তনাদ করছিলেন।

সদরঘাট নৌ- থানার ওসি গোলাম মোর্শেদ তালুকদার জানান, এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় করা হয়েছে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি। অভিযোগে সঞ্চয়পত্রের ৬টি বইয়ের বিপরীতে জমা ও লভাংশ মিলিয়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা নিগার নারিছা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগকারী বহু আগেই তার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন। তারপরও কেন তিনি এই অভিযোগ করছেন বুঝতে পারছি না।

ষাটোর্র্ধ্ব নিগার নারিছা জানান, ১০-১২ বছর আগে পৃথক পৃথক ৬টি বইয়ে তিনি আলাদা করে মোট ৬ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল শাখা থেকে। অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন তিনি মুনাফা নিতে পারেননি। সুস্থ হয়ে মুনাফা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাংকে যেতে চাইলেও সঞ্চয়ের বইগুলো খুঁজে পাননি। এই ঘটনায় তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। কিছুদিন পর তার মনে পড়ে সর্বশেষ মুনাফা তোলার সময় তিনি সঞ্চয়ের বইগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল শাখাতেই রেখে এসেছেন। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত এই স্কুল শিক্ষিকা বলেন, ব্যাংকে মুনাফা তুলতে গেলে সঞ্চয় বিভাগের কর্মকর্তারা বইগুলো নিয়ে নেয়। মুনাফা দেওয়ার পাশাপাশি বইগুলোতে হিসাব লেখার জন্য নেওয়া হয় ভেতরে। দাপ্তরিক কাজ শেষে সেগুলো ফেরত দেওয়া হয় প্রায় ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর।

এই দেরি করে ফেরত দেওয়ার কারণেই মনের ভুলে আমি বইগুলো ব্যাংকে রেখে চলে আসি। কিন্তু ফেলে এলেও সেসব বইয়ের প্রতিটিতেই আমার মোবাইল ফোনের নম্বর লেখা আছে। তারা খুব সহজেই আমাকে ফোন দিয়ে বইগুলো ফেরত দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মুনাফাসহ মূল সঞ্চয়ের টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মইনুদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। লিখিত অভিযোগ দিয়ে মাসের পর মাস তিনিসহ সঞ্চয় বিভাগের লোকজনের পেছনে ঘুরলেও আমার সমস্যার সমাধান হয়নি।

এমনকি সঞ্চয়ের বইগুলো পর্যন্ত দেখানো হয়নি আমাকে। ডিজিএম পদমর্যাদায় বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল শাখার সঞ্চয় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা গাজী সাইদুর রহমান বলেন, উনি আসলে সঞ্চয়পত্রগুলো ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন। আমাদের কাছে থাকা নথিপত্রে তার প্রমাণ রয়েছে। আমরা উনার অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম এবং নমুনা স্বাক্ষর পরীক্ষা করে দেখেছি। সেখানে স্বাক্ষরে মিল রয়েছে। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। আশা করি, শিগগিরই রহস্য বের করে ফেলতে পারব। বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল শাখার নির্বাহী পরিচালক মইনুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ফোনে কিছু বলাও বাঞ্ছনীয় নয়। অভিযোগের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর বলতে পারব যে, আসলে কী হয়েছে।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃআজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জমায়েত চরমোনাইর বার্ষিক (ফাল্গুনের)মাহফিল।দুপুরে যোহর বাদ বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহফিলের উদ্ভোদন করবেন। মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি জানায় মাহফিলের আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।এবারের মাহফিলে আগত মুসুল্লীদের বসার জন্য ৫ টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।ইতোমধ্যে সবক’টি মাঠ কানায় কানায় পূর্ন করে ফেলেছে মুসুল্লিরা।মাহফিলে আসা মুসুল্লিদের গোসল ওজুর জন্য আনুমানিক স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ৫ হাজার পানির টেপ সচল করা হয়েছে।এছাড়া মাহফিল কমিটির দুটি পুকুরসহ স্থানীয় প্রায় ২০ টি পুকুর এবং কীর্তনখোলা নদীতে ব্যবস্থা করা হয়েছে।বিশুদ্ধ খাবার পানীয়ের জন্য ১৩ থেকে ১৪ টি নলকুপ রয়েছে।গভীর নলকুপ থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ৫ টি মটার সংযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সবকটি খালে পানি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য মাদ্রাসা সংলগ্ন ৪ তলা ভবনে প্রায় ২শ টয়লেট ও গোসলখানাসহ প্রায় ৫শ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে অগনিত পাবলিক টয়লেট রয়েছে। মুসুল্লিদের সেবাদানে প্রায় ৫ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবক মুজাহিদ কমিটি রয়েছে।আইন শৃংখলা রক্ষায় মুজাহিদ কমিটির সাথে শতাধিক র‍্যাব পুলিশ সার্বক্ষনিক মনিটরিংযে রয়েছে। মুসুল্লিদের অসুস্থতায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতালে উচ্চমান সম্পন্ন কয়েকজন ডাক্তার দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া বেশী অসুস্থ রোগীদের জরুরী ভিত্তিত্বে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে নিজস্ব এম্বুল্যান্সসহ ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুল্যান্স এবং নৌপথে স্পীড বোট রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যথেষ্ট সচেতনতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের একটি টিম সার্বক্ষনিক দায়িত্বে রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি জেনারেটর সচল রাখা হয়েছে। মুসুল্লিদের যাতায়াতে সহায়তা করার জন্য বরিশাল নগরীর বালুরঘাট, বেলতলা খেয়াঘাট এলাকায় মুজাহিদ কমিটির দুটি ক্যাম্প করা হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য মাহফিলে চরমোনাই পীরসহ দলের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম,চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান পীরজাদা সৈয়দ আবুল খায়েরসহ দেশের খ্যাতনামা আলেম ও ওলামায়ে কেরাম ওয়াজ নসিয়ত করবেন। এছাড়াও আফ্রিকা থেকে ওলামায়ে কেরাম এসে কুরআন হাদিসের নসিয়ত করবেন বলে চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম নিশ্চিত করেন। তিনদিন বয়ান শেষে আগামী শনিবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীতে পাগলের বেশ ধরে এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো ও কলেজছাত্রীসহ নারীদের উত্যক্ত করা সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

 

 

গতকাল (সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম ফরাজী নামের বিশোর্ধ্ব এই যুবককে শহরের বিএম কলেজ এলাকা থেকে আটক করেন।

যুবকের বাড়ি বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে হলেও সে বরিশাল শহরে অবস্থান নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে ছিল। এমনকি নোংরা পোশাক পরিধান করে শহরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করাসহ মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে আসছিল। এনিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবকের অসভ্যতা তুলে ধরে পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েছিলেন।

 

বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের নজরে আসলে তিনি মাঠপুলিশকে যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এবং এর পরপরই সোমবার রাতে পুলিশের একটি টিম শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায় , যুবক ইব্রাহিম ফরাজী পাগলের বেশ ধরে নারীদের উত্যক্ত করলেও তার মূল পেশা হচ্ছে চুরি। সে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করার লক্ষ্য ছিল চুরি করা। ফলে সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়ে শিক্ষার্থীদের গা ঘেষে চলাসহ তাদের কাছাকাছি গিয়ে অসভ্যতা করে আসছিল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘেটে জানা যায়, যুবক অন্তত ১০ মেয়ে শিক্ষার্থী শরীরে হাত দেওয়াসহ নানান অসভ্যতা করেছে। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ইট-পাথর ছুটে আহত করেন।

সর্বশেষ গত? সোমবার) বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে অনার্স তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর শরীরে হাত দিলে তাকে ধাওয়া করে বের করে দেয় শিক্ষার্থীরা।

পুলিশের সূত্রে আরও জানা যায় , এমন গুরুতর অভিযোগসমূহ তুলে ধরে একাধিক শিক্ষার্থী সোমবার যুবকের ছবি সংবলিক একটি নেতিবাচক লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের নজরে আসে।

কোতয়ালি পুলিশ জানায়, কমিশনারের নির্দেশ পাওয়া মাত্র রাতে অভিযান চালিয়ে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং সে জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্মবেশ ধারণসহ নারীদের উত্যক্ত করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সেই সাথে জানিয়েছে, তার মূল পেশা হচ্ছে শিক্ষার্থী এবং বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসাদের মালামাল চুরি করা।

কোতয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , যুবককে বিএমপির মিডিয়া ইউনিটের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ গিয়ে নিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’