সম্প্রতি কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও দু’একটি জাতীয় পত্রিকায় বরিশালে খােলা বাজারে/ন্যায্য মূল্যে/ওএমএস এর চাল বিক্রিতে বাধা/বিরােধ/উৎকোচ ইত্যাদি শিরােনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে জানানাে যাচ্ছে যে, খাদ্য পরিদর্শক
মৌসুমী আক্তারসহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের

 

কার্যালয়, বরিশালের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কারাে নামে ডিলারদের নিকট ঘুষ দাবি করেননি। বরং দরিদ্র জনসাধারণ যাতে ওএমএস খাতে সরকারি বরাদ্দের সমুদয় চাল ও আটা ক্রয় করতে পারেন
সে লক্ষ্যে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের

 

নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তার দপ্তর হতে কর্মকর্তাগণ কর্তৃক আকস্মিক সফরকালে মজুতে ঘাটতি পাওয়ায় সরকারি বিধি অনুসরণ করে বরিশাল মহানগরের

 

০৪ জন ডিলারকে মােট ১,০৭,৯৬৭/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাছাড়া ০৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডের ডিলার শেখ মাসুদ রানা ও জনাব মােঃ মিজানুর রহমানকে তাদের বর্তমান বিক্রয় কেন্দ্রের পরিবর্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসবাস ও বস্তি
এলাকার নিকট দোকান নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

কঠোর নজরদারি ও অনিয়মের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বরিশাল মহানগরের অন্যান্য ডিলারগণও ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে পারেনি। ফলে জরিমানার আওতায়

 

আসা ডিলারগণসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির ঝোঁক আছে এমন ডিলারগণ সংঘবদ্ধ হয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা ও বানােয়াট অভিযােগ দাখিলের পাশাপাশি সাংবাদিকগণকে মিথ্যা তথ্য

 

দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছেন। ডিলারদের প্রদানকৃত বস্তুনিষ্ঠতাবিহীন, অসত্য ও বানােয়াট তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের জন্য খাদ্য বিভাগ, বরিশালের
পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক
বরিশাল বিভাগ, বরিশাল।

আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চরকাউয়া খেয়াঘাট এলাকা থেকে ৫ কেজি গাজা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানাধীন মোহাম্মদ অপু মিয়া ও তার স্ত্রী বর্ষা আক্তার।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মাহি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এবং নিজে বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করে।

পরিচয় গোপন করে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের ১৫ টন গন আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একজন সড়ক পরিদর্শকের ওপর। সিটি কর্পোরেশনের তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রায়শই ভর্ৎসনা করা হয় তাকে। নিজ দায়িত্বে অপারগ এই কর্মকর্তা আবার নিলেন কাবিখা প্রকল্পের সড়ক উন্নয়নের কাজ।

ওই কাজের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১৫ টন গম কাজ না করেই আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এই কর্মকর্তার নাম হাফিজুর রহমান। বিসিসি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে (২০১৯/২০ অর্থবছর) সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বায়না খালপাড় সড়কের দুই ধারে মাটি ভরাট কাজের দায়িত্ব নেন। কাজ না করেই ওই ১৫ টন গম উত্তোলন করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

চরবাডড়য়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ভাগনা এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক হাওলাদার বলেন, বাটনা খালপাড় সড়কের দুই ধারে কোনো মাটি দেয়া হয়নি। সড়কটি প্রায় অকেজো। চলাচল অনুপযোগী। এই সড়কের নাম করে ১৫ টন গম উত্তোলন করা হয়েছে এ বিষয়টি আমরা কেউই জানি না। আর যিনি কাজটি করেছেন তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না। অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা।

পাটনা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালপাড় সড়কটি প্রায় চলাচল অনুপযোগী। সড়কে গত ৫ বছরে কোনো মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে না। মাটি এই সড়কটিতে বড় বড় আকারে গর্ত। আর খালের মধ্যে ভেঙে পড়ছে সড়কটির দুই ধার।

স্থানীয়দের দাবি, গত পাঁচ বছরে এই সড়কের কোন কাজ করা হয়নি।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সড়ক পরিদর্শকদের দায়িত্বে থাকা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত বলেন, হাফিজুর রহমান সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত থেকে অপর একটি প্রকল্প কাজ কিভাবে করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে।

অভিযুক্ত বিসিসির সড়ক পরির্দশক হাফিজুর রহমান বলেন, সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত থেকে অন্য কোনো প্রকল্পের কাজ করতে পারবে না এমন আইনগত বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে যে ১৫ টন গম বরাদ্দ হয়েছে তা দিয়ে মাটি ভরাট কাজ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মাটি পানিতে ধুয়ে খালের মধ্যে পড়েছে। তাই এখন বুঝার উপায় নাই যে কাজ হয়েছে। পাশাপাশি আমি এই প্রকল্পের সভাপতি নই। আমার ভাই মামুন মৃধা সভাপতি, আমাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যেহেতু হাফিজুর রহমান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত সেহেতু তিনি কোনো প্রকল্পের সভাপতি হতে পারেন না। তিনি যদি কোনো প্রকল্পের সভাপতি হয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন তাহলে সেটা অপরাধ করেছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বরিশাল সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার চরবাডড়য়া ইউনিয়নের বাটনা খালের পাড়ে রাস্তার দুই ধারে মাটি ভরাট প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল। এজন্য ১৫ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ওই প্রকল্পের সভাপতি ছিল হাফিজুর রহমান। তবে তিনি সিটি কর্পোরেশনের সড়ক পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।

আর মাটি ভরাট কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে প্রতিবেদনে দিয়েছিল কাজ হয়েছে।

বরিশাল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, কাজটি হাফিজুর রহমান নামে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কিনা তা আমাদের জানা নেই। আর তিনি ওই সড়কের কাজ করেছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের অধীন সাহেবেরহাট বন্দরের ঔষধ ব্যাবসায়ী রতন মেডিকেল হলের স্বত্বাধিকারী সুমন দেবনাথ । তার পিতা তপন দেবনাথ একই বাজারের কাপড় ব্যাবসায়ী। ভালো লোক হিসেবে সুনামও রয়েছে নিজ গ্রাম সোমরাজীর বাসিন্দাদের কাছে। হঠাৎ ঐ পরিবারে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। গত ২৪ শে নভেম্বর সন্ধ্যার পরে সুমনকে তার দোকান থেকে র‌্যাব পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় ৬-৭ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি। সেই থেকে ২১ দিন পার হলেও আজও সন্ধান মেলেনি সুমনের। তবে, প্রশাসনের দাবি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা মডেল থানার একটি হত্যা মামলার আসামি সুমন দেবনাথ। তাই হয়তো তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব কিংবা অন্য কোন সংস্থা। এদিকে সুমনের অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় চরম হতাশা এবং উৎকন্ঠায় ভুগছে সুমনের স্ত্রী সংগীতা, ৩ বছরের শিশু কন্যা পূর্বা, পিতা তপন দেবনাথ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। প্রতিবেদককে কান্না জড়িত কন্ঠে নিখোঁজ সুমনের পিতা তপন দেবনাথ বলেন, ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে আমাদের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য অমলকে নিয়ে হাজির হন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা মডেল থানার ওসি আঃ খালেক ও সঙ্গীয় ফোর্স। তাদের সাথে বন্দর থানার পুলিশও ছিল। এসময় তারা আমাকে জানায় যে, সুমন দামুরহুদা থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। তখন হতবাক হয়ে পুলিশকে আমি জানিয়ে দেই যে, আমার ছেলেকে প্রায় ছয় ঘন্টা পুর্বেই অর্থাৎ ঐদিন সন্ধ্যার পরেই দোকান থেকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। একথা শুনে ওই দলটি স্থান ত্যাগ করে। তবে ওই ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার ছেলের কোন সন্ধান পাইনি। বন্দর থানায় জিডি করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি সদস্য অমল বলেন, আমাকে সাথে নিয়েই দামুরহুদা মডেল থানার ওসি ২৪ শে নভেম্বর রাত ১২ টার দিকে সুমনদের বাড়িতে যায়। অত:পর সুমনকে খুজতে এসেছে জানালে আমিও তাদেরকে সুমনের তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অবহিত করি। তিনি আরো বলেন, সুমন অপরাধী হলেও তার পরিবারের সদস্যদের অধিকার রয়েছে সেটা জানার এবং তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার। একই অভিব্যক্তি ব্যাক্ত করে টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহাউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। সুমন যদি অপরাধী হয়েও থাকে তাহলে তার পরিবারকে জানানো হোক। একটি লোকতো আর হাওয়া হয়ে যেতে পারেনা। এদিকে সাহেবেরহাট বন্দর ব্যাবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি শামিম খান লিখন বলেন, আমি সুমনের পিতা তপন দেবনাথকে নিয়ে বন্দর থানায় গিয়েছিলাম সুমনের সন্ধান পেতে। এ বিষয়ে পুলিশ নিজেদের অপারগতা প্রকাশ করে। এমনকি সুমনের বাবা তপন দেবনাথ একটি সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও তা গ্রহণ করেনি বি এম পি বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা দামুরহুদা মডেল থানার ওসি আমার কাছে এসেছিল এবং একজন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সুমনের গ্রেফতারের আইনগত সহয়তা চাইলে আমি তা প্রদান করি। কে বা কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে তা আমরা অবগত নয়। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে দামুরহুদা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে একই বক্তব্য ব্যাক্ত করে চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন দামুরহুদা মডেল থানার ওসি আঃ খালেক বলেন, চিকনগুনিয়া নিবাসী “মীম হত্যা মামলা” র আসামি সুমন দেবনাথ। তাই তাকে গ্রেফতার করতে আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে বরিশাল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তাকে পাইনি। শুনেছি কে বা কারা ওইদিন সন্ধ্যায় সুমনকে তার দোকান থেকে তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু কারা নিয়েছে তা আমি জানিনা। এদিকে পুলিশের দায়সারা বক্তব্যে বর্তমানে অজানা আতংকে দিন কাটাচ্ছে সুমনের পরিবার। এ বিষয়ে সুমনের স্ত্রী সংগীতা বলেন, আমার স্বামী অপরাধী হলেও তা আমাদের জানতে হবে। এটা আমার অধিকার। আমি আইনগতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ চাই। কান্না জড়িত কন্ঠে সংগীতা আরো বলেন, ৩ বছরের বাচ্চা নিয়ে বর্তমানে আমি চোখে অন্ধকার দেখছি। এদিকে সংগীতার বক্তব্যে সহমত প্রকাশ করে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ওবায়দুল হক সাজু বলেন, সুমন যদি অপরাধী হয়েও থাকে তাহলে তার পরিবারকে জানানো উচিত। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। এর ব্যত্যয় হলে ভুক্তভোগীরা আদালতের দারস্থ হতে পারেন। এ বিষয়ে সুমনের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ সুমনের অবস্থান অবগত হওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত জাহাঙ্গীর হোসেন গত ৬ ডিসেম্বর শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

ওই সূত্রটি আরও জানায়, ক্যান্সার আক্রান্ত কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কয়েক বছর ধরে সেখানে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। এবং সেখানে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করারও কথা ছিল। কিন্তু ক্যান্সারের কোষ শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।

আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী জানান, ভারতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব না জানিয়ে দেওয়ার পরে তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল এবং চিকিৎসদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়লে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসদের নির্দেশনার আলোকে সেখানে ভর্তি করেন। শুক্রবার বিকেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধিরা।


এদিকে এই কাউন্সিলরের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশের পাশাপাশি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এছাড়া আরও শোকপ্রকাশ করেছেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীতে বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আলতাফ খান পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার হাজীখালী গ্রামের মৃত হরমুজ খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাজীখালী গ্রামের খান বাড়ির বাসিন্দা নিহত আলতাফ খানের ভাইয়ের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ঘরে প্রতিবেশী অন্য কারও ঘর থেকে একটি বিড়ালের বাচ্চা আসে। ওই বাচ্চাটি নিজের বলে দাবি করেন মরিয়মের সাত বছর বয়সী শিশুপুত্র। অপরদিকে বিড়ালের বাচ্চাটি দেখে পছন্দ হয় আলতাফ খানের আট বছর বয়সী ছেলের। তিনিও বিড়ালের বাচ্চাটি নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ওই দুই শিশুর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে আলতাফ খানের শিশুপুত্র মরিয়মের ছেলেকে ঘুষি মারে। ঘটনা দেখে মরিয়ম আলতাফ খানের ছেলেকে শাসিয়ে একটি থাপ্পর দেন। এই ঘটনা দেখে প্রতিবাদ জানান মরিয়মের ভাসুর আলতাফ খান।

এ নিয়ে মরিয়ম ও আলতাফ খানের মধ্যে সোমবার বিকেলে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জের ধরে পরের দিন মঙ্গলবার সকালে মরিয়ম ও আলতাফ খানের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন মরিয়ম তার ভাসুর আলতাফ খানকে উঠানে পড়ে থাকা একটি কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। আঘাতে আলতাফ খানের মাথা ফেটে যায়।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- আহত আলতাফ খানকে প্রথমে পটুয়াখালী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন বিকেলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন আলতাফ খান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।

হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার বিকেলে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়িতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু মারামারির ঘটনার পর অভিযুক্ত মরিয়ম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জানান ওসি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সকালে জেলা সার্ভার স্টেশনে লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিয়াউর রহমান খলিফা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আবদুল বারেক মোল্লা (আওয়ামী লীগ) নৌকা, আবদুল আজিজ মুসুল্লী (বিএনপি) ধানের শীষ, মো. নুরুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন) হাতপাখা ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ার হাওলাদারকে জগ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৩১ কাউন্সিলর ও ৮ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এদিকে মেয়র প্রার্থী আব্দুল বারেক মোল্লার বিরুদ্ধে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগেই বহিরাগতদের মাধ্যমে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ভোটাররা জানান, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও বর্তমান মেয়র থাকার কারনে আব্দুল বারেক মোল্লা সাধারণ ভোটারদের চাপের মধ্যে রেখেছেন।

অন্যান্য প্রার্থীরা জানান, নির্বাচনের মাঠ গরম করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পৌরশহরে সহস্রাধিক বহিরাগতদের নিয়ে এসেছেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন করছে এবং ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়াচ্ছে। এতে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ ভোটাররা, যা নির্বাচনী আচরণ বিধিলঙ্ঘনের শামিল।

জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিয়াউর রহমান খলিফা জানান, নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা কোন ধরনের মিছিল এবং জনসভা করতে পারবেনা। যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধিলঙ্ঘন করে তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৮ ডিসেম্বর ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ কুয়াকাটা পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের সাগর পাড়ের পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে শহর এলাকা হিসেবে উন্নীত করে সরকার। এরপর একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর কুয়াকাটাকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী প্রথম পৌর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালের ৩১ মে নবগঠিত কুয়াকাটা পৌরসভাকে সহায়তা করার জন্য ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পৌর পরিষদ গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ এবং নারী ৬জন। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৯৮৬ জনে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হন আরও এক হাজার ৮৮৪ জন। এতে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৬৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ চার লাখ ১৪ হাজার ৩১৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০টি ল্যাবরেটরিতে ১৬ হাজার ৬৪৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৬ হাজার ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৫২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯৩ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মোট মৃত ৬ হাজার ৯৮৬ জনের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৩৩৯ (৭৬ দশমিক ৪২ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৬৪৭জন (২৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ)।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুইজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন।

বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে একজন এবং রংপুরে একজন রয়েছেন।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।’

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় ঝালকাঠির মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দু’বছর ধরে গর্ভবতী মায়ের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে । ফলে অন্ত:সত্বা নারীদের স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও বরিশাল বিভাগীয় সদরে যেতে হয়। এতে মোটা অংকের টাকা খরচের পাশাপাশি মৃত্যু ঝুঁকি বেড়েছে।

 

ঝালকাঠির মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রায় দু’বছর ধরে এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক নেই। উচ্চতর প্রশিক্ষনে গিয়ে কর্মস্থলে আর ফিরে আসেননি তিনি। এতে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার।

 

জরুরি হলেও অন্ত:সত্বা নারীদের এখন অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। তাদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক এবং বিভাগীয় শহর বরিশালে নিয়ে যেতে হয়। এতে মোটা অংকের টাকা খরচের পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে।

 

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখাটা দু:খজনক বলে মনে করেন, এই চিকিৎসক। শিগগিরি একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানায়, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে আশা করে এলাকাবাসী।

নিজ হেফাজতে ফেনসিডিল রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরিশাল নগরীর দুই নারী মাদক কারবারি হাসিনা বেগম ও হেলেনা বেগমকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা বেগম নগরীর কাউনিয়া বাগানবাড়ি এলাকার মমতাজ ফরাজীর ভাড়াটিয়া ও আনিস ওরফে আনিসুর রহমানের স্ত্রী। এছাড়া হেলেনা বেগম ওই বাড়ির আবু বকর সিদ্দিকির স্ত্রী।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি হেদায়েতুনব্বী জাকির জানান, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউনিয়া থানার এসআই হাবিবুর রহমান ফোর্স নিয়ে মমতাজ ফরাজীর ভাড়াটিয়ার বাসায় অভিযান চালান। এ সময় ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ হাসিনা বেগম ও ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ হেলেনা বেগমকে আটক করা হয়। পরে মামলা দায়ের করা হয়।

একই বছর ২৫ আগষ্ট মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই গোবিন্দ চন্দ্র ওই দুই নারীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় দেন।