পিরোজপুরের জাল টাকার মামলায় মো. জাকির হোসেন হাওলাদার (৩৫) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি গ্রামের মেনাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। আসামীর উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর জেলার ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি বাজারের ‘মা কসমেটিকস’ নামের একটি দোকানের সামনে থেকে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের সময় মো. জাকির হোসেন হাওলাদারকে আটক করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। পরে ওই দিন ভান্ডারিয়া থানা উপ পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মো. কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহুরুল ইসলাম ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন মোস্তফা কামাল শামীম।

 

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কোষ্টাল বরফকল এলাকার ফাহিমের নয়া কৌশল।এবার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রীকে ঢাল বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন ফাইম।বেশ কিছুদিন আগ থেকে নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক হতে ওপারের চরকাউয়া অ্যাডামস রেস্টুরেন্ট ট্রলারের মাধ্যমে যাতায়াত করতো দর্শনার্থীরা।যখন দর্শনার্থীদের চাপ বাড়তে থাকে অ্যাডামস রেস্টুরেন্টে।তখনি ট্রলার ব্যবসার উপর চোখ পড়ে ফাহিম বাহিনীর।ট্রলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলনের জন্য এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংদের নিয়ে একটি বেআইনি কমিটি গঠন করে।আর তখন থেকে ঝামেলা শুরু হয় ট্রলার ব্যবসায়ীদের সাথে।ওই লাইনে নতুন করে কোন ট্রলার যুক্ত করতে চাইলে দিতে হবে তাদের ২০ হাজার টাকা।না হয় কোন ধরনের নতুন ট্ররার যুক্ত করতে পারবে না ওই লাইনে।এছাড়াও ট্রলার সিরিয়ালের নামে প্রতিটি ট্রলার থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে এই বাহিনী।
এটা নিয়ে বিপত্তি বাধে তলার ব্যবসায়ীদের সাথে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদার টাকা দিতে ব্যবসায়ীরা অস্বীকার জানালে ফাহিম বাহিনীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।ফাহিম ও তার ভাই নাঈম ও তাদের বাহিনী নিয়ে ট্রলার ব্যবসায়ী রিপনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার জানালে রিপনকে প্রথমে মারধর করেন। রিপন কে বাঁচাতে রাসেল ও তার বোন আসলে তাদের মারধর করেন ওই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। ততপর নিজেরা বাঁচার জন্য এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে এই বাহিনী।প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ এনে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।অতঃপর বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতিপক্ষের নামে একটি সাধারন অভিযোগ করেন।এ ঘটনায় এলাকার সিরাজ মিয়া জানান, ফাহিম একজন প্রতারক। মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং নিয়ে তার চলাফেরা?এছারা বিভিন্ন প্রশাসনের সোর্স পরিচয় সাধারণ কর্মজীবী মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করাই এর কাজ।এই ঘটনায় রয়েছে একাধিক কল রেকর্ড। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের একটি বাহিনী এ ঘটনা শুনলে তাকে আটক করে উওম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয় যাতে করে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড না করে।কিন্তু বেশ কিছুদিন ঠান্ডা থাকার পর আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এই ফাইম।আবারও প্রশাসনের সোর্স পরিচয় বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সাধারণ ট্রলার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ করেন।ফাহিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলাকাবাসী ও সাধারণ ট্রলার ব্যবসায়ীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক || প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ফিল্মি স্টাইলে দোকান ঘর দখল করতে গিয়ে একই পরিবারের নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা জেলার, দৌলতখান উপজেলার, উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মধ্য জয়নগর বাংলাবাজার এলাকায়। এ ব্যাপারে আহতর বড় বোন সামিয়া জানান,আমার বাবা শফিজুল ইসলাম ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বাংলাবাজার এলাকায় আমাদের তিনটি দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলো ভিপি সম্পত্তি। আমার বাবা দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত লিজ নিয়ে ওই দোকানগুলো পরিচালনা করে আসছেন। এই দোকানগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে দখল করতে চান সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।আমার(সামিয়া) পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবৎ দোকান ছাড়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী।আমাদের কাছে তারা বলে ওই দোকানগুলোতে আওয়ামী লীগের ক্লাব করবে কিন্তু বাংলাবাজার আওয়ামী লীগের ক্লাব রয়েছে। তারা মূলত দোকানগুলো দখল করার জন্য আওয়ামী লীগের ক্লাবের নাম করে দোকান গুলো দখল করতে চান।যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটন এর নেতৃত্বে ৪ নং ওয়ার্ডের কাজল মেম্বার,৫ নং ওয়ার্ডের ফরহাদ মেম্বার,সোহাগ মেম্বার, মিজান বিশ্বাস, সিহাপসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়ে আমাদের দোকানের সামনে হাজির হয়ে দোকানে থাকা লোকজন দের মারধর শুরু করেন।এই ঘটনার খবর পেয় আমার ছোট বোন মুন্নী এবং মা বাধা দিলে মরিচের গুঁড়া চোখে মেরে তারা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আমার বোন এবং মাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন(সমস্ত ঘটনার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে)।অতঃপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতিসনিয়ন্ত্রণে আনেন।

আমার বোন মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে ভোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।এখন আমার বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।এই ব্যাপারে জানার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এই ঘটনার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আহত পরিবার।

বরগুনার তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তাসহ দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় তার পরিবারের তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছে। বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ দুইজন হলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা বরগুনার জুনিয়র ফিল্ড অফিসার মোস্তফা কাদের ও তার স্ত্রীর বোনের মেয়ে নুর আক্তার জুই (১৭)।

নিখোঁজদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের বরগুনায় চাকরি করতেন। তার স্ত্রী-সন্তান ঢাকায় থাকত। তাই ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে স্ত্রী, দুই ছেলে ও তার স্ত্রীর বোনের মেয়েকে নিয়ে বরগুনায় বেড়াতে আসেন। পরে আজ সকালে তারা তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান।

সমুদ্র সৈকতে সবাইকে নিকে গোসল করতে নামেন মোস্তফা কাদের। উত্তাল থাকায় সাগরে নামার সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ এসে সবাইকে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে যায়।

এ সময় স্থানীয়রা মোস্তফা কাদেরের স্ত্রী সেলিনা সিকদার (৩৫), ছেলে মাহাথির মোহাম্মাদ (৯) ও আরেক ছেলে আবদুল করিমকে (১৬) উদ্ধার করতে পারলেও গোলাম মোস্তফা ও স্ত্রীর বোনের মেয়ে জুইকে উদ্ধার করা যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

 

নাসির বিশ্বাস, লিয়াকত ও আবুল হক নামে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এনএসআই কর্মকর্তা তার পরিবার নিয়ে সাগরে গোসল করতে নামেন। এ সময় হঠাৎ বড় একটি ঢেউয়ে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে ডুবে যান। আমরা অনেক চেষ্টা করে ট্রলার নিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করি।

তালতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, গোসল করতে নেমে নিখোঁজদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছে। আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে পুলিশ ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে উদ্ধার কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রওনা করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তারাও অভিযানে অংশ নেবেন।

 

দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না পেয়ে প্রথম স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদারের বিরুদ্ধে। রোববার (১০ জুলাই) ঈদের রাতে মারধর করলেও বুধবার (১৩ জুলাই) বিষয়টি জানাজানি হয়। মূলত আহত রেশমা বেগম (৩৫) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা নিলে সেখান থেকে তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

এ ঘটনায় আহত নারী তার স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে নারায়ণগঞ্জের কাইয়ুমপুর এলাকার আলী আশাবের মেয়ে রেশমা বেগমের সঙ্গে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

 

রেশমা বলেন, পলাশ তালুকদার অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি থেকে ১৮ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিয়েছি। বর্তমানে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। ঈদের রাতে আমি বাড়িতে আসলে আমার স্বামী ও দেবর সোহাগ আমাকে মেরে গুম করার চেষ্টা করেছিল। প্রতিবেশীরা আমার চিৎকার শুনে প্রাণে রক্ষা করেছে।

রেশমার বাবা মো. আলী আশাব বলেন, আমার মেয়ে রেশমাকে মারধর করছে, তাকে তাড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের চেষ্টা করছে। তাই রেশমার ওপর নির্যাতন করে সন্তানদের রেখে দেন। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

নলছিটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদার বলেন, পারিবারিকভাবে আমার স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলছে। কয়েক বছর আগে আমার স্ত্রীর অত্যাচারে আমার বাবা স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ। আমার মা তাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকেও অপমান করে বের করে দেন আমার স্ত্রী রেশমা। এ নিয়েই আমাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আমি যৌতুকের জন্য আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করিনি এবং তাকে মারধরও করিনি। আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে আমার স্ত্রীর সঙ্গে মিলে আমার ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল বলেন, আমি পলাশ তালুকদারকে ফোন করেছিলাম বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য, কিন্তু পলাশ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হয়েছে। এখন আর তিনি রেশমার সঙ্গে সংসার করবেন না।

 

মাদারীপুরের রাজৈরে বাস ও পিকআপের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পিকআপের চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন। বাসটি পালিয়ে গেছে।

বুধবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার আলমদস্তা এলাকায় রাজৈর পৌরসভা ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি আমবোঝাই পিকআপ মাদারীপুরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় বরিশাল থেকে আসা খুলনাগামী সোনার বাংলা নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপে থাকা ড্রাইভার নওগাঁ জেলার পোসরা থানার সাদ্দাম ও হেলপার খাইরুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

মাদারীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। একজন আহত অবস্থায় রাজৈর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাসটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।

 

পটুয়াখালীর দশমিনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলার পৃথক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুরা হলো বাউফল কালাইয়া এলাকার বাসিন্দা জামাল গাজীর ছেলে শান্ত গাজী (৮) ও ৬ নম্বর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের বড় খান বাড়ির তৌহিদ খানের ছেলে মো. তাসরিফ খান (৩)। তারা দশমিনাতে বেড়াতে এসেছিল।

নিহত তাসরিফের দাদা মো. সরোয়ার খান বরিশালটাইমসকে জানান, সকালে সবার তাসরিফ নিখোঁজ হয়। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘরের পাশের পুকুরে তাকে ভাসতে দেখা যায়। পরে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু দুটি মারা যায়।

 

বরিশাল সদর উপজেলায় নদীতে নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে বন্দর থানা এলাকার কড়ইতলা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান।

নিহত সুজন মল্লিক (১৮) উপজেলার টুঙ্গীবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিশারদ গ্রামের বাসিন্দা ইসহাক মল্লিকের ছেলে। তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি ওষুধের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

সুজনের ভাই সবুজ বলেন, “ঈদের ছুটিতে সুজন বাড়িতে এসেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধুদের নিয়ে নদীতে গোসল করতে নামে। সবাই সাঁতরে নদীর অপর তীরে যায়।

ফেরার সময় একটি স্পিডবোটের ঢেউয়ের তোড়ে সুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। পরে রাত হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়।

বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরিরা অভিযান শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে ঘাট থেকে ৩০ ফুট দূরে লাশটি পাওয়া যায়।

 

ভোলায় সুপারিবাগান থেকে ওবায়দুল (১৭) নামের এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরের আলীনগর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওবায়দুল ওই গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, সুপারি বাগান থেকে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গত চার দিনে ভোলা সদরে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটল।

 

গত ১১ জুলাই সোমবার বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন পত্রিকায় এবং একটি ফেইসবুক পেইজে” মোবাইল চুরি বাড়লে বাড়ে হাফিজের অবৈধ মোবাইল ফ্ল্যাশ ব্যবসা”এই শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

আমি কখনই কোন চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয় করিনি,চুরি যাওয়া মোবাইল ফ্লাশ সফটওয়্যার প্রয়োগের মাধ্যমে আইএমইআই পরিবর্তন করেনি,কোন অপরাধীর সাথে আমার কোন ধরনের সম্পর্ক নেই।
উক্ত সংবাদটিতে আরো উল্লেখ রয়েছে উজিরপুরের মা টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী আনিচ আমার বিরুদ্ধে নানান মন্তব্য করেছে।কিন্তু আমি আনিচের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে সে জানান, আমার সাথে কোন ধরনের সাংবাদিকদের সাথে কথা হয়নি।আমার সাথে(আনিচ) কথা না বলে অনলাইন পত্রিকাটিতে আমার বক্তব্য তুলে ধরেছে।তার আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মূলত- সংবাদে উল্লেখিত সমস্ত ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সুনামের সহিত আমার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
প্রকৃত পক্ষে এক শ্রেনীর কূচক্রী মহল আমার ও আমার ব্যবসার দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক-
হাফিজ
গীর্জা মহল্লা ভেনাস মার্কেট,
প্রোপাইটর মোবাইল প্লাস দোকান।