বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে গলাকেটে হত্যা করে ঘাতক বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (১২ জুন) সকালে কাউনিয়া পানির ট্যাংকের পূর্ব পাশে স্বপ্ন বিলাস ভবনের ৪তলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু রাবেয়া বশরী রোজা বয়স ৫ বছর ৪ মাস। তাকে হত্যার পর নিজের গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা মোহাম্মদ নাঈম হাওলাদার (৩৫)। নাঈম উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।

কাউনিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হাসান বলেন, চারমাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে নাঈমের বিচ্ছেদ হয়। গত রাতে তার স্ত্রী কল করে জানান, সকালে মেয়েকে নিয়ে যাবে। তাই মেয়েকে হত্যা করেছে। পরে নিজে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে। সামনের রুমে বোন থাকলেও তারা কিছু টের পায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এরপর বিস্তারিত জানা যাবে।

সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে নড়াইলের একটি হোটেলে যান যশোরের এক পুলিশ সদস্য। সেখানে ওই পুলিশ সদস্যের বিশেষ অঙ্গ ব্লেড দিয়ে জখম করেন সাবেক স্ত্রী। মঙ্গলবার বিকালে নড়াইল পৌরশহরের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় বিকাল ৫টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ওই পুলিশ সদস্য। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

জানা যায়, যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি নড়াইলে। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। সাবেক স্ত্রীকে নিয়েই মঙ্গলবার সকালে নড়াইলে যান ওই পুলিশ সদস্য। দুপুরে স্টেডিয়ামপাড়ার একটি হোটেলে ওঠেন তারা। সেখানে বিশেষ মুহূর্তে নারী ব্লেড দিয়ে সাবেক স্বামীর বিশেষ অঙ্গে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালে ছুটে যান। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ওই পুলিশ সদস্যের বিশেষ অঙ্গের বেশিরভাগই কেটে গেছে। সেলাই করা হয়েছে। তবে অঙ্গটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সাংসারিক গোলযোগের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে পুলিশের করণীয় কিছু নেই।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় ব্যবসায়ীকে পথরোধ করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তাদের দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। তারা হলেন কনস্টবল নারায়ণ বম্মর্ণ ও কনস্টবল মামুন মিয়া। তারা দুজনে হাতীবান্ধা থানার অধীন দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের ফ্লাড বাইপাস হয়ে মঙ্গলবার রাতে তিস্তা ব্যারাজ অতিক্রম করে নীলফামারীর ডিমলা যাচ্ছিলেন স্থানীয় সাধুর বাজারের ভুট্টা ব্যবসায়ী হাসমত আলী। এ সময় ফ্লাড বাইপাসের মাঝামাঝি অন্ধকারে ব্যবসায়ী হাসমতের পথরোধ করে আটক করেন অপরিচিত দুই ব্যক্তি। এরপর ব্যবসায়ী হাসমত আলীর সঙ্গে থাকা ৪৩ লাখ টাকার একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই দুই ব্যক্তি। পরে ব্যবসায়ী হাসমত আলীর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে ওই দুই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ সদস্য দাবি করেন।

খবর পেয়ে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি ও হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হন। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাতেই দোয়ানী ফাঁড়িতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার (ওসি) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন। পরে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নারায়ণ বম্মর্ণ ও মামুন মিয়াকে প্রত্যাহার করে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।

ওসি নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, রাতেই কনস্টবল নারায়ণ বম্মর্ণ ও কনস্টবল মামুন মিয়াকে দোয়ানী ফাঁড়ি থেকে হাতীবান্ধা থানায় সড়িয়ে নেওয়া হয়। বুধবার সকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফেনীর সোনাগাজীতে সিনথিয়া ইসলাম খুসবু (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আলী আক্কাস রনি (২৫)। বুধবার (১২ জুন) সকালের দিকে পৌরসভার পূর্ব চরগনেশ শেখ পাড়া এলাকার আলমগীর হুজুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

তারা দুইজনই বরিশালের ভোলা এলাকার বাসিন্দা। স্বামীর কর্মসূত্রে সিনথিয়া সোনাগাজীতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে সিনথিয়া ইসলাম খুসবুকে বিয়ে করেন রনি। রনি সোনাগাজীতে ফুটপাতে জুতার ব্যবসায় করতেন। সেই সুবাদে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।

বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। মঙ্গলবার রাতেও বাসায় বাজার আনা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ভোর ৫টার দিকে খুসবুকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে থানায় এসে পুলিশের কাছে রনি নিজেই এ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন।

সোনাগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আসামি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বরিশালের বানারীপাড়ায় ধারালিয়া গ্রামে বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জান্নাতুল (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত জান্নাতুল ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী পাপনের মেয়ে এবং স্থানীয় সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিন উদ্দিন জানান, জান্নাতুলের মা শান্তা পরকীয়ায় আসক্ত। সোমবার (১০ জুন) রাতে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। (মঙ্গলবার) সকালে জান্নাতুলকে বাসার বাথরুেেম গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মা পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ায় কষ্ট ও লজ্জায় জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছে। তারপরেও তার প্রকৃত মৃত রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আপাতত থানায় মামলা করা হয়েছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুরের মোবাইলফোন কিনে না দেয়ায় শিক্তা বড়াল (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্তা বড়াল ওই গ্রামের উত্তম বড়ালের মেয়ে ও নাওটানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার জন্য শিক্তা তার মা-বাবার কাছে বায়না ধরে। কিন্তু তারা মোবাইল কিনে দেননি। এ কারণে অভিমান করে শিক্তা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। শিক্তার বাবা উত্তম বড়াল ঘটনা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপজেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জিন্নাত তসনিম বলেন, ‘রোগী হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই আমরা তার চিকিৎসা শুরু করি, চিকিৎসা চলাকালীন সে মারা যায়।’

নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করেছি। নাজিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে।’

পিরোজপুরের নেছারাবাদে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে স্বরূপকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের কুনিয়ারি বেইলি ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক মো. পনির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, উপজেলার জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. সাকিল (২৬) ও মো. সাইফুল (৩৭)। সাকিল মো. সহিদুল ইসলামের ও সাইফুল ফজলুল করিমের ছেলে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো. বাদশা মিয়া বলেন, ‘সাকিল ও সাইফুল মোটরসাইকেলে করে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাসটি দেখে ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে কুনিয়ারি বেইলি ব্রিজের ওপর উঠেন। এ সময় সামনে থেকে শুভেচ্ছা নামের যাত্রীবাহী বাসটি দ্রুতগতিতে এসে তাদের চাপা দেয়। আমরা স্থানীয়রা হাত ইশারা দিয়ে ড্রাইভারকে থামতে বললেও তা না শুনে তাদের চাপা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ অনেক দূর নিয়ে যায়। আমরা তাদের তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহারুখ মল্লিক বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সান্টু সিকদার বলেন, স্বরূপকাঠি-বরিশাল লাইনের বেশির ভাগ বাস বরিশাল থেকে আসার সময় পথে থেমে থেমে যাত্রী তোলে। পরে টাইম রক্ষার জন্য স্বরূপকাঠির কাছাকাছি এসে বেপরোয়া গতিতে চালায়। এ কারণে এ সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক মো. পনির খান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে ও ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ আমেনা খাতুনের (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী শাকিব মৃধাকে (২২) আটক করেছে।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলাপাড়া উপজেলায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

মৃতের পারিবারের অভিযোগ, দুই বছর আগে ধুলাসার গ্রামের বাসিন্দা শাকিবের সঙ্গে আমেনা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। ২০ বছর বয়সী আমেনাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা কোনো মা আত্মহত্যা করতে পারে না। এ ছাড়া আত্মহত্যার কোনো আলামতও দেখা যায়নি। এই ঘটনায় জড়িত শাকিব ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিচারের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শাকিবকে আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তৃতীয় ধাপে স্থগিত বরিশালের দুইটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। উপজেলা দুইটি হলো- গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া।

রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে, সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। আর সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের পরিবেশ বজায় রাখতে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।

গৌরনদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এর আগে, চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

 

ঘূর্ণিঝড় রিমালের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন হাজারো গ্রাহক। তবে দু-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় লাইন চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ওস্তাখান গ্রামের গ্রাহক আলেয়া বেগম, মিনার বেগম, শেফালী আক্তার, সেতার আক্তার, আজগর আলী ও কালাম ফরাজী বলেন, ‘অসহনীয় গরম, এমন অবস্থায় ১১ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। রাতে ঘুমাতে পারি না। বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে দৈনন্দিন কাজ করার জন্য পানি তুলতে পারছি না। এত বড় ঝড় গেল, আত্মীয়–স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করব যে, মোবাইলেও কল যায় না। আমরা একেবারে অন্ধকারে আছি। জীবন এত দুর্বিষহ যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান আকতার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে রিমালে এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক তারে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ। ভেঙে গিয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ছিঁড়েছে তার। দ্রুত বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের সঙ্গে এলাকার যুব সমাজ একত্রিত হয়ে স্বেচ্ছায় গাছ কাটায় সহযোগিতা করছে।’

ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের সাড়ে চার শ স্টাফ কাজ করেছেন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। হয়তোবা দু-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় লাইন চালু করা হবে।